তার_শহরে পাট ১

0
1410

আচমকাই আদিল ভাইয়া আমাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলেন।কিছু বুঝে উঠার আগেই উনি আমার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন।
.
আমি চোখঁ বড় বড় করে উনার দিকে তাকালাম।যখন বুঝতে পারলাম কি ঘটছে আমি উনাকে দু হাত দিয়ে ধাক্কাতে লাগলাম।
.
কিন্তু উনার কোনো হেলদুল নেই। উনি উনার কাজে ব্যস্ত।অনেকক্ষণ পর উনি আমাকে ছাড়লেন।
উনি ছাড়তেই আমি জোরে জোরে নিঃস্বাস নিতে লাগলাম।মনে হচ্ছেছিল যেন আর কিছুক্ষণ হলেই ধমটা বেরিয়ে যেত।
.
উনার এই কাজের মানে আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।ছলছল চোখে জিজ্ঞেসা দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম।
.
উনি রক্ত চোক্ষু নিয়ে, আমার দিকে তাকিয়ে রাগি কন্ঠে বলতে লাগলেন,
আর কোনো দিন যদি রাদিফ এর সাথে কথা বলতে দেখি এর থেকে বেশি কিছু হবে মাইন্ট ইট..!
.
বলেই উনি রেগেমেগে হনহনিয়ে চলে গেলেন।
আমি বিম্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলাম। কি থেকে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না।
.
রাদিফ ভাইয়া উনার ফ্রেন্ড সেই হিসাবে উনার সাথে কথা বলেছি তার জন্য আদিল ভাইয়া এত রিয়েক্ট করলেন কেন?
.
আর আমার সাথে এত জগন্য আচরণ করলেন কেন?কিছুই মাথায় ঢুকছে না।
.
আমি আনিতা।আজ কয়েক দিন হলো কানাডায় এসেছি। আর আদিল ভাইয়া হচ্ছেন আমার আপন মামাতো ভাই।
.
আমি তাদের বাসায় উঠেছি থেকেই খেয়াল করছি উনি আমার সাথে কেমন যেন রুড বিহেভ করছেন।
আজ তো উনি উনার আচরণের মাএাই ছাড়িয়ে গেছেন।
.
কাদঁতে কাদঁতে আমি নিচে বসে পরলাম।কেউ আমার সাথে আজ পর্যন্ত এতটা খারাপ আচরণ করেনি।
এখানে আসছি থেকে উনি যতটা করছেন।আমার দোষ টা কোথায় সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
.
আদিল ভাইয়া একবার বাংলাদেশে গিয়েছিলেন তখন তার সাথে আমার একটা সামান্য ব্যাপার নিয়ে জামেলা হয়।সে ব্যাপারটা না হয় পরে বলব।
.
তখন থেকে উনি আমাকে দু চোখে দেখতে পারনে না।
.
চোখের জল মুছে দাড়িয়ে পরলাম। এখন আর এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না।
.
কাল থেকে আমার ভার্সিটির ক্লাস শুরু। কানাডা আসার একমাএ কারণ আমার লেখা পড়া।
.
বাবা-মা আমাকে অনেক আশা নিয়ে এখানে পাঠিয়েছেন।তাদের স্বপ্ন পূরণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
.
#তার_শহরে
পার্ট :১
লেখা: ইসরাত সিনহা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here