তার_শহরে পর্ব ২+৩

0
834

#তার_শহরে
পার্ট :২&৩
লেখা: ইসরাত সিনহা

বাবা-মা আমাকে অনেক আশা নিয়ে এখানে পাঠিয়েছেন।তাদের স্বপ্ন পূরণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।


পরের দিন আমি ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি।
বেবি পিংক কালারের একটা শার্ট পরলাম,সাথে ব্লাক কালারের জিন্স আর পায়ে বেবি পিংক কালার সু পরলাম।সঙ্গে একটা ব্লাক কালার স্কার্ফ গলায় ঝুলিয়ে নিলাম।তারপর ঠোঁটে পিংক কালার লিপস্টিক দিলাম, চোখে একটু কাজল ও দিলাম।
,
সব চুল গুলো কে রাবার দিয়ে উঁচু তে বেঁধে নিলাম।


তারপর নিচে নামলাম, নিচে নামতেই লক্ষ্য করলাম
আদিল ভাইয়া, সাহিল ভাইয়া আর নেহাল আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।
,
,
আমি এদের ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকার কারণ টা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
আমি কি আমার সাঁজগুজে কোনো মিস্ট্রেক করলাম?
নিজের দিকে একবার ভালো করে তাকালাম,নাহ সবই তো ঠিক আছে.!


তাহলে এরা তিন ভাই আমার দিকে এভাবে হা করে
তাকিয়ে আছে কেন?
ওদের তাকিয়ে থাকা দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো
এলিয়েন কে দেখছে।


মামা আর মামিমা’র কথায় আমার ভাবনায় ছেদ পরল।
মামা বলছেন,
বাহ!আজ তো আনিতা কে দারুণ লাগছে।সাথে মামিমা ও তাল মিলালেন সত্যিই মামনি আজ তোমায় দারুণ দেখাচ্ছে।


মামা-মামিমা আমার প্রসংসা করছেন,
উনাদের করা প্রসংসায় আমি বিষন লজ্জা পেলাম।
লজ্জা পেয়ে আমি আরচোখে আদিল ভাইয়ার দিকে তাকালাম।
তাকিয়ে দেখলাম উনি আমার দিকে কঠিন চোখে
তাকাচ্ছেন।সেটা দেখে আমি একটা শুকনো ঢুক গিললাম।
,
ভয়ে ভয়ে নাস্তার টেবিলে নাস্তা করতে বসলাম।
কেন জানি না উনাকে দেখলে আমার ভিষন ভয় লাগে।মনে হয় কখন না জানি আবার কোন শাস্তি দিয়ে বসেন।
খেতে খেতে মামা বলে উঠলেন আজ আনিতার ভার্সিটির প্রথম দিন,
ওকে আজ কে ভার্সিটিতে ড্রপ করে দিয়ে আসবে?
বলেই উনার তিন ছেলের দিকে তাকালেন।


সাহিল ভাইয়া এটা শুনে খুশিতে গদগদ হয়ে বলে উঠলেন,
আমি আনিতা কে ভার্সিটিতে ড্রপ করে দিয়ে আসি পাপা?
সেটা শুনে আদিল ভাইয়া সাহিল ভাইয়ার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন।পারলে যেন উনাকে চিবিয়ে খাবেন।

আদিল ভাইয়ার এমন আচরণের মানে আমি
বুঝতে পারলাম না।
আদিল ভাইয়া সাহিল ভাইয়া কে বললেন,আমার ওদিকে একটা কাজ আছে আমিই আনি কে ভার্সিটিতে ড্রপ করে দিবনে।
আদিল আনিতা কে সংক্ষেপে আনি বলেই ডাকে।


সেটা শুনে সাহিল ভাইয়া যেন আশাহত হলেন।
হতাশ চোখে সাহিল ভাইয়া আমার দিকে তাকালেন।

এদিকে তো ভয়ে আমার অন্তর আত্মা কাঁপছে, আদিল ভাইয়ার সাথে যাওয়ার কথা শুনে।
না জানি বজ্জাত টা আবার কি শাস্তি দিয়ে বসে?

শেষমেষ,উনার সাথেই আমার যেতে হলো।
আমি গাড়িতে বসে আছি, জল্লাদ টা ড্রাইব করছে।
আর মাঝে মাঝে আমার দিকে আরচোখে তাকাচ্ছে।
গাড়িতে বসে উনি কোনো কথা বললেন না।
ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে সোজা চলে গেলেন।

আমিও আর কিছু না ভেবে ভার্সিটির ভেতর ঢুকে পরলাম।
এই হচ্ছে আমার স্বপ্নের ভার্সিটি।আজ থেকেই আমার স্বপ্ন পূরণের দিন শুরু।
আস্তে আস্তে ভেতরের দিকে পা বাড়ালাম।

আমি তো কিছুই জানি না,আর কাউকে চিনিওনা।
তারপর ও ধীর গতিতে হাঁটছি।
হঠাৎ শুনতে পেলাম,
-এক্সকিউজ মি.!!
আমি পেছনে তাকালাম তাকিয়ে দেখলাম,
এক জোরা গাঢ়ো ব্রাউন কালারের চোখের মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসছে।


-মেয়েটি আমাকে বলল,তুমি কি এই ভার্সিটিতে নতুন?
-আমি হেসে মাথা নাড়লাম যে, হে।
-মেয়েটি তার হাত আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,আমি চার্লি.!
-আমিও আমার হাতটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম আমি আনিতা।
মেয়েটি মুচকি হেসে বলল,
-হেই!আনিটা, নাইস টু মিট ইউ।
-আমি মৃদু হেসে চার্লি কে বললাম সেম টু ইউ।
তারপর আবার বললাম মাই নেম ইজ আনিতা ইট’স নট আনিটা।
কিন্তু ও আর উচ্চারণই করতে পারল না।আমিও আশা ছেড়ে দিলাম।
তারপর ওর সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল।
এরপর ভার্সিটির সব ক্লাস করে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় ফিরে আমার রুমের দিকে যাচ্ছিলাম আর হঠাৎ আচমকাই কেউ আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগল।

তারপর আমাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরল,চেয়ে দেখি সে আর কেউ নয় আদিল ভাইয়া.!!

#তার_শহরে

পার্ট: ৩

লেখা : ইসরাত সিনহা


তারপর আমাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরল,চেয়ে দেখি সে আর কেউ নয় আদিল ভাইয়া.!!
,
আদিল ভাইয়া কে দেখা মাএই ভয়ে আমার হৃৎপিণ্ড টা থেমে যাবার অবস্থা।
উনি আমার দিকে অগ্নিময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
আমি বুঝতে পারলাম না আজ আমি আবার কি করলাম?
আদিল ভাইয়া আরও শক্ত করে দেওয়ালের সাথে আমাকে চেপে ধরলেন।
আমি ব্যাথায় চোখ বুঁজে নিলাম, আর বলতে লাগলাম,
আদি ভাইয়া প্লিজ আমার লাগছে,আমায় ছাড়ুন।
,
আদি ভাইয়ার রাগ যেন চোখ থেকে টিকরে পরছে।
উনি রাগে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন,
এত সাঁজগুজ করে ভার্সিটিতে যাওয়ার কারণ কি?
ভার্সিটিতে লেখা পড়া করার জন্য যাও নাকি নিজেকে শো-অফ করানোর জন্য যাও?


উনার এমন কথায় যেন আমি আকাশ থেকে পরলাম,
আমাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে উনি জোরে ধাক্কা মেরে আমাকে নিচে ফেলে দিলেন।
আর শাসিয়ে গেলেন,ফারদার যদি এরকম হয় তাহলে ভয়ানক কিছু ঘটবে।
,

আমি ব্যাথায় কুকিয়ে উঠলাম।
নিচে বসে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলাম।
মায়ের কথা বিষণ মনে পরছে,ইচ্ছে হচ্ছে মা কে জরিয়ে ধরে কাঁদি।
আমার ছোট বোন আনিশার কথাও খুব মনে পরছে।
ও সামনে থাকলে ওকে নিজের মনের কথা বলে হয়তো কিছু টা বেটার ফিল করতাম.!


এইসব মনে করছি আর কাঁদছি। উনি কেন আমার সাথে এমন করছেন?
আমি তো উনার কোনো ক্ষতি করিনি,তবে কেন উনি এমন রুড বিহেভ করছেন?
আমি আর ভাবতে পারছি না।এর একটা বিহিত করতেই হবে।এভাবে আর চলতে দেওয়া যাবে না।
আমার ও একটা ফ্রিডম দরকার.!
বসা থেকে উঠে পরলাম, উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।এখন কিছু খাওয়া দরকার ক্ষিধের যন্ত্রনায়
পেটের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েগেছে।
,
আদিল ভাইয়ার কথা পরে ভাববো।
,
এর মধ্যে মামিমা আমাকে খাওয়ার জন্য ডাকলেন।
আমি খাওয়ার জন্য নিচে নামলাম।
খাওয়ার টেবিলে দেখলাম সবাই আছেন,শুধু মামা ছাড়া।
মামিমা কে জিজ্ঞেসা করলাম মামা কেথায়?মামা কি দুপুরে খাবনে না?
মামিমা মৃদু হেসে বললেন, না মামনি তোমার মামা দুপুরের খাবার বাহিরে খেয়ে নিবেন।
আমি বললাম, ওহ।
খেতে বসে পরলাম পেটের ক্ষিধায় আর পারছি না।
আদিল ভাইয়া আমার অপোজিট চেয়ারে বসলেন।
আমি আর উনার দিকে তাকানোর সাহস পাচ্ছি না।
,
মামিমা আমাদের কে খাবার সার্ফ করছেন।মামিমা কে বললাম তুমিও খেয়ে নাও না আমাদের সাথে?
উনি মিষ্টি হেসে বললেন,না মামনি আমি পরে খেয়ে নিবনে তোমরা খাও।
মামিমার ব্যবহারে আর এমন আন্তরিকতায় সত্যিই আমি মুগ্ধ।
একজন কানাডিয়ান মহিলাও এত আন্তরিকতা পরায়ণ হতে পারেন আমার ভাবনার বাহিরে।
,
,
আমার মামিমা একজন কানাডিয়ান মেয়ে।উনি আমার মামাকে ভালবেসে বিয়ে করেছেন।
মামিমা দেখতে খুব সুন্দর, বিশেষ করে উনার চোখ দুটো খুব সুন্দর।
শুনে ছিলাম মামা নাকি মামি’মার চোখ দেখে প্রেমে
পরছিলেন।
উনার চোখের রং হালকা সবুজ রংয়ের।তাতে যেন উনার সুন্দর্য অনেক গুন বারিয়ে দিয়েছে।
মামিমার বয়স একদম বুঝাই যায় না।
আদিল ভাইয়ার চোখ দুটো হুবহু দেখতে মামিমার চোখের মতন।
আদিল ভাইয়ার চোখের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না।কেমন যেন একটা ঘোর লেগে যায়।


আচমকাই অনুভব করলাম আমার পায়ের মাঝে
কেউ স্লাইড করছে।
আমি সাথে সাথে তাকালাম কে আমার পায়ে স্লাইড
করছে দেখার জন্য।
দেখলাম সাহিল ভাইয়া একমনে খাচ্ছেন, নেহাল ও তার খাওয়ায় মনোযোগ দিচ্ছে।
ভয়ে ভয়ে তাকালাম আদিল ভাইয়ার দিকে।
তাকিয়ে দেখলাম উনি খাচ্ছেন আর আমার দিকে চেয়ে মিটিমিটি হাসছেন।আর বুঝতে বাকি রইল না এই কাজটা কার?
আমি আমার পা ছাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পরলাম।

কিন্তু উনার কাছ থেকে আমার পা ছাড়াতে ব্যর্থ হলাম।
উনার এমন গন্ডারের শক্তির কাছে আমি এক তুচ্ছ
অসাহায় প্রাণি.!

আমার মুখ নিমিষেই ফ্যাকাশে হয়ে গেল।তা দেখে
নিহাল জিজ্ঞেস করলল,আপু আর ইউ ওকে?
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,হে আই এম ওকে!
,
মামিমা আর সাহিল ভাইয়া ও জিজ্ঞেস করলেন কোনো প্রবলেম কি না?
আমি মৃদু হেসে জবাব দিলাম, না আমি ঠিক আছি।
এদিকে আমার জান যায় যায় অবস্থা। উনি যতবারই আমার পায়ে স্লাইড করছেন,আমি ততবারই কেঁপে কেঁপে উঠছি।
তা দেখে যেন আদিল ভাইয়ার পৈশাচিক আনন্দ হচ্ছে।
শেষমেশ আমি আর খেতেই পারলাম না।উঠে চলে এলাম।আমি আমার রুমে এসে বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে লাগলাম।পড়াতে কিছুতেই মন লাগাতে পারছিনা।বার বার মনে হচ্ছে উনার করা কাজ গুলোর কথা।কখনো রাগ দেখান আবার কখনো রোমান্টিক মুডে চলে যান।কি হচ্ছে আমার সাথে এইসব, আমি কোনো হিসাব মিলাতে পারছি না।


হঠাৎ মামিমা আমার রুমে এলেন, এসে বললেন
কাল উনার এক বন্ধুর বার্থডে আমাদের সবাইকে যেতে হবে।
সবার যাওয়ার কথা শুনে আমার মনে পরল নিশ্চয়ই বজ্জাত টা ও যাবে?না না আমি যাব না।
কখন আবার কি করে বসে?মামিমা কে না করে দিলাম আমি যাব না। কিন্তু উনি যা নাছুর বান্দা শেষমেশ কি আর করার রাজি হয়ে গেলাম।

রাতে আমরা রেডি হচ্ছি যাওয়ার জন্য।মামিমার জোরাজুরিতে আমি একটা জরজেটের শাড়ি পরলাম।একদম ডার্ক ব্লু কালার আর এর মধ্যে হোয়াইট স্টোনের কাজ করা। আমি একটু হালকা মেকাপ করে নিলাম।
তারপর ঠোঁটে মেরুন কালার লিপস্টিক দিলাম,চুল গুলো কে কোপা করে বাঁধলাম। চোখে কাজল ও দিলাম।এখন নিজেকে আয়নায় দেখছি কেমন লাগছে,নাহ মন্দ লাগছে না।

আমি রেডি হয়ে মামিমার রুমের দিকে পা বাড়ালাম।
উনি রেডি হয়েছেন কি না দেখতে?গিয়ে আমি পুরাই অবাক, মামিমা কে আশ্চর্য সুন্দর লাগছে।
উনি আমাকে দেখা মাএই বললেন, আনিতা মা এদিকে আসো তো।উনার কাছে গেলাম,মামিমা ইশারা করে আমাকে বসতে বললেন আমি বসলাম।
উনি যেন কি খুঁজছেন দেখলাম,তারপর হাতে একটা ডায়মন্ডের নেকলেস আমার সামনে রাখলেন।বললেন আমার গলায় কিছু নেই বলে আমার সাঁজ অপূর্ণ লাগছে এটা পরলে সব সাঁজ পূর্ণ হবে।

আমি বললাম পরবা না। কিন্তু কে শুনে কার কথা?
উনি নিজ হাতে আমায় পরিয়ে দিলেন।পরিয়ে দিয়ে বললেন,যাও মামনি এখন আয়নায় একটু দেখোতো।কেমন লাগছে তোমায়?
আয়নায় নিজেকে দেখে অবাকই হলাম সত্যিই তো নেকলেসে যেন সুন্দর্যটা আরো বারিয়ে দিয়েছে।

মামিমা আমাকে নিচে নামতে বললেন,আর উনি উনার ছেলেরা রেডি হয়েছে কি না দেখতে যাচ্ছেন।
আমরা দুটো গাড়ি দিয়ে যাব।তাই আমি মামা আর মামিমার গাড়িতে গিয়ে উঠলাম।কিছুক্ষণ বাদে দেখলাম সবাই গাড়ির দিকে আসছেন।আমার চোখ গেল আদিল ভাইয়ার দিকে, আমি পুরাই ক্রাস।
উনাকে যা লাগছে, যে কোনো মেয়েই উনার প্রেমে পরতে বাধ্য।
আদিল ভাইয়া একটা ডার্ক ব্লু কালারের কোট পরেছেন আর ভিতরে হোয়াইট কালার শার্ট।
চুল গুলো কে স্পাইক করে রেখেছেন।তাতে উনাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। চোখ দুটো থেকে যেন সবুজ আভা ছড়াচ্ছে। পুরাই কিউটের ডিব্বা।
মামার কথায় আমার ঘোর কাটল,মামা বললেন আনিতা তুমি কি আমাদের গাড়িতেই যাবে?
আমি হে বললাম।
মামিমা মাঝখানে বলে উঠলেন কিন্তু মামনি সাহিল ও নেহাল আমাদের গাড়িতে করে যাবে।
তুমি বরং আদিল এর গাড়িতে করে যাও।ও তো একাই যাবে।সাহিল ভাইয়া বলে উঠলেন, না মম আমরা এক সাথেই যাই?ভাইয়া না হয় একাই যাক,ওর তো একা থাকা পছন্দ।
সাহিল ভাইয়া একথা বলা মাএই দেখলাম আদিল
ভাইয়া উনার দিকে কটমট চোখে তাকালেন।

আমি ভয় পেয়ে গেলাম উনার তাকানো দেখে। উনি যেন এখনি সাহিল ভাইয়া কে গিলে খাবেন।

তার মধ্যে মামা বললেন, তুমি নেমে আসো আর আদিল এর গাড়িতে যাও।আমি আর না করার সাহস পেলাম না উনি যা রেগে গেছেন।কখন না জানি আমার উপর শাস্তির মামলা চালায়।

আমি নামতেই নেহাল বলে উঠল, ও আপু ইউ আর লুকিং সো গর্জিয়াস..!!
ওর কথায় মুচকি হাসলাম।সাহিল ভাইয়া ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছেন,কিছু বলছেন না।
আদিল ভাইয়া চোরা চোখে অনেক বার তাকালেন।
দেখে ও না দেখার ভান করলাম।
আমরা যে যার গাড়িতে উঠে পরলাম।উনি গাড়িতে বসেই আমার দিকে তাকালেন কিছু টা রাগি দৃষ্টিতে।
বুঝলাম না উনার এমন ভাবে তাকানোর মানে.!
আদিল ভাইয়া হঠাৎ আমার দিকে ঝুঁকে আসছেন দেখে ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেল।আবার কি শাস্তি দিবেন?
কিন্তু না হলো তার উল্টো উনি আমার কোপা করা চুল গুলো ছেড়ে দিলেন।আমি অবাক হলাম উনার এমন কাজে.!
উনি নিজেই বলতে লাগলেন,আনি তোমাকে কোপাতে বেমানান লাগে,কেমন যেন একটা বিয়েতি ভাব চলে আসে।তাই চুল গুলো ছেড়ে দিলাম।
আমি কি বলব ভেবে পাচ্ছি না.!
ছিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে রইলাম।
উনার সব কিছু আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে আমাদের গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন।

হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করায় আমি চোখ খুললাম।বুঝতে পারলাম আমরা গন্তব্য স্থানে এসে গেছি।সবার সাথে ভেতরে গেলাম সব কিছুই খুব সুন্দর করে সাঁজানে হয়েছে।
মামিমার বন্ধু এসে কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। আমার সাথে পরিচয় হলো।আমি কাউকে চিনি না তাই এক সাইডে দাঁড়িয়ে জুস খাচ্ছি আর চারিদিক দেখছি।
আমি হঠাৎ অনুভব করলাম আমার পেটে কেউ নকের আছর দিল…(চলবে)

#আগের_পর্বের_লিন্ক :https://www.facebook.com/groups/2581414678629687/permalink/2761554450615708/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here