তার_শহরে পর্ব ২৯

0
495

#তার_শহরে

পার্ট : ২৯

লেখা : ইসরাত সিনহা



-হেই স্কাউন্ড্রেল । নেহালের চিৎকার শুনে তিনজনই অবাক হয়ে পিছনে তাকাল।



আদিল দ্রুত এসে নেহালের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিল ,
-নেহাল কি হয়েছে , তুই এই ছেলে কে মারছিস কেন ?
কে শুনে কার কথা নেহাল ছেলেটার পেটের মধ্যে আরেকটা ঘুষি দিল । ছেলেটা নেহালের হাত থেকে ছুটার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে । নেহাল ছেলেটা কে মারছে আর গালি দিচ্ছে ।
আনিশা এগিয়ে এসে বলল ,
-নেহাল ওই স্কাউন্ড্রেল টা কে আমার হাতে দাও , আমিও কিছু দেই এই বজ্জাত কে । এই বখাটে ছেলে গুলো মেয়েদের কে কি মনে করে ? বলেই আনিশা ছেলেটার গালে কষে একটা থাপ্পড় দিল ।
আনিতা এসে আদিলের পাশে দাঁড়িয়ে আনিশার উদ্দেশ্য বলল ,
-স্টপ আনিশা , তুই ছেলেটা কে মারছিস কেন ?
নেহাল প্রচন্ড রাগ নিয়ে বলে উঠল ,
-আপু আনিশার কাজ আনিশা কে করতে দাও , ছেলেটার উচিত শিক্ষা দরকার ।
ছেলেটা হাত জোর করে নেহালের দিকে তাকিয়ে বলল ,
-আই এম সরি , প্লিজ ফর গিভ মি ।
নেহাল চিৎকার দিয়ে ছেলেটার শার্টের কলার চেপে ধরে বলল ,
-তর কোনো ক্ষমা নেই , তকে আমি পুলিশে দেবো।
মেয়েদের কে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিতে শিখ , তদের মতো গুটা কয়েক বখাটেদের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় , মেয়েদের নিরাপত্তা নষ্ট হয়।
আজ যদি এর একটা বিহীত না করি তবে তুই অন্য মেয়েদের সাথেও সেম কাজ করবি ।
আনিতা আদিলের দিকে তাকিয়ে বলল ,
-প্লিজ নেহাল কে থামান ও যা রেগে আছে কিছু একটা অঘটন ঘটাবে নিশ্চিত ।
আদিল আনিতার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে বলে উঠল ,
-আনি তুমি এতো ভয় পাচ্ছ কেন , নেহাল তো অন্যায় কিছু করছে না ? ও জাস্ট অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে । নেহাল এতো সহজে রাগে না আনি , নিশ্চয়ই ছেলেটা বাজে কিছু করেছে ?
সাহিল নেহালের সামনে গিয়ে বলল ,
-ভাই কি হয়েছে আমাকে বল , এতো রেগে আছিস কেন ? ছেলেটা কে ছাড় দেখ নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে ?
রক্ত বের হচ্ছে এটা আনিশা দেখেনি , রক্তের কথা শুনে আনিশা খানিক ঘাবড়ে নেহাল কে বলল ,
-নেহাল ওকে ছেড়ে দাও , ওর শাস্তি অনেক হয়েছে। আর কারো সাথে এই অসভ্যতামো করতে গেলে দু’বার ভাববে , আনিশা ছেলেটার দিকে আংগুল উঠিয়ে কথা গুলো বলল ।
নেহাল ছেলেটার শার্টের কলার ছেড়ে দিয়ে রাগে ফুঁসছে , আনিশার কথায় ছেলেটা কে ছেড়ে দিল ।
ছেলে টা ছাড়া পেয়ে আনিশার দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় হাত জোর করে বলল ,
-ম্যাম আই এম সরি , আমি আর এমন অসভ্যতামো করব না ।
আনিশা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে ছেলেটা কে বলল ,
-এখন এখান থেকে যাও , আর ভুলেও কোনো মেয়েদের সাথে এমন করবা না । তোমার ভাগ্য ভালো পুলিশে দেইনি ।
সাথে সাথে ছেলেটা দৌঁড়ে পালালো ।
সাহিল আনিশার কাছে এসে বলল ,
-আনিশা ছেলেটা কি করে ছিল ?
আনিশা কথা বলার আগে নেহাল গর্জে ওঠে বলল ,
-ছোট ভাইয়া ও আনিশা কে নিজ থেকে ধাক্কা দিয়ে ছিল । তোমরা যদি বাঁধা না দিতে তাহলে আজ একে এখানেই পুঁতে ফেলতাম ।
আনিতা আনিশার গালে হাত রেখে আদুরে গলায় বলল ,
-তুই ঠিক আছিস তো আনিশা ?
আনিশা মুচকি হেসে বলল ,
-হ্যাঁ , আপু আই এম ফাইন ।
আদিল নেহালের কাঁধে হাত রেখে হেসে বলে উঠল ,
-মি.নেহাল মেহবুব অনেক তো মারা মারি করলেন এবার ভেতরে চলুন , লেট হয়ে যাচ্ছে ।
সবাই হেসে উঠল আদিলের কথায় ।
আনিশা বার বার আড় চোখে নেহালের দিকে তাকাচ্ছে । নেহাল সেটা দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে গেল । শপিং মলে তারা যত সময় ছিল আনিশা এই একি কাজ করেছে বার বার তাকিয়েছে নেহালের দিকে ।
নেহালের এতে কোনো হেলদুল নেই , সে গম্ভীর মুখ করে আছে ।
আনিশা বুঝতে পারছে না নেহাল এরকম মুখ করে আছে কেন ?
অবশেষে তারা সব কেনাকাটা করে বাসায় ফিরল সন্ধ্যার দিকে ।
বাসায় ফিরে যে যার রুমে চলে গেল ফ্রেশ হওয়ার জন্য ।
আনিশা ফ্রেশ হয়ে নেহালের রুমের দিকে গেল , নেহালের রুমের দরজায় নক করল ।
নেহাল সবে মাত্র শাওয়ার নিয়ে বের হয়েছে , নেহাল তোয়ালে গায়ে জড়িয়ে বলল ,
-ভেতরে আসো ।
আনিশা রুমে ঢুকে নেহাল কে খালি গায়ে দেখে অপ্রস্তুত বোধ করল , আনিশা আমতা আমতা করে বলল ,
-নেহাল আমি এখন যাই , পরে আসব ।
নেহাল গম্ভীর কণ্ঠে বলল ,
-কেন এসেছ বলো , আর পরে আসবে কেন ?
আনিশা ধীর গলায় বলল ,
-নেহাল তেমার কি হয়েছে তুমি আমার সাথে কথা বলছো না ? শপিং মলের ঘটনার পর থেকেই কেমন একটা যেন বিহেভ করছো ?
নেহাল ঝাঁঝালো গলায় বলে উঠল ,
-তোমার সাথে কি রকম বিহেভ করবো বলে দাও , তোমার সাথে আমার কথা বলার দরকার থাকলে অবশ্যই বলতাম , আমার তো কোনো দরকার নেই।
আনিশা ছলছল চোখে তাকিয়ে রইল , তারপর আস্তে করে বলল ,
-নেহাল আমি সরি , আমার ভুল হয়েছে তোমার সঙ্গে যেঁচে কথা বলা । যদি যেঁচে কথা বলতে না আসতাম তাহলে এরকম অপমান করতে পারতে না। বলেই আনিশা অশ্রু বেজা চোখ মুছতে মুছতে চলে গেল ।
নেহাল রাগ নিয়ে নিজ মনে বলল ,
-ছেলেটা কে তো আজ আস্ত পুঁতে ফেলতাম যদি তুমি নিষেধ না দিতে , তার জন্যই আমার রাগ হচ্ছে আনিশা ।
আনি তোমার হলো আমি ওয়েট করছি তো বউ । আদিল আনিতা কে ওয়াশরুম থেকে বাহির হওয়ার জন্য ডাকছে ।
আনিতা একটু পরে বের হয়ে বলল ,
-আপনার জন্য ভালো ভাবে শাওয়ার করতে পারলাম না । কি হয়েছে ডাকছিলেন কেন ?
আদিল বাঁকা হেসে পিছন দিক দিয়ে আনিতা কে জড়িয়ে ধরল , জড়িয়ে ধরে আনিতার কাঁধে তার থুঁতনি রেখে আস্তে করে বলল ,
-তোমাকে না দেখলে আমার ভালো লাগে না তুমি বুঝ না ? তাই তো পাগলের মতো তোমায় ডাকছিলাম ।
আনিতা হেসে বলল ,
-এখন তো দেখেছেন এবার আমায় ছাড়ুন জনাব ।
আদিল আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলল ,
-না, না তোমায় তো এখন ছাড়ব না মিসেস মেহবুব । আমার এভাবে ধরে থাকতে মন চাইছে ।
আনিতা অস্থির গলায় বলল ,
-দূর , ছাড়ুন না যদি কেউ এসে পড়ে ? আমি লজ্জা পাবো , আপনার তো লজ্জা নেই ।
আদিল আনিতা কে ছেড়ে দিয়ে বলল ,
-ঠিক আছে ছেড়ে দিলাম , তোমাকে লজ্জায় ফেলতে চাই না লজ্জার রাণী ।
আনিতা হেসে দিল আদিলের কথা শুনে ।
আদিল নিচে চলে গেল তার ফুফি আর আংকেলর সাথে গল্প করবে বলে ।
আনিতা আনিশার রুমে দিকে পা বাড়ালো ।
আনিতা রুমে ঢুকে দেখল, আনিশা জানালার কাছে দাঁড়িয়ে উদাস মনে বাহিরে তাকিয়ে আছে ।
আস্তে করে আনিতা আনিশা কে ডাক দিল ,
-আনিশা তর শরীর ঠিক আছে ? এরকম একা দাঁড়িয়ে আছিস কেন ?
আনিশা বাহির থেকে চোখ ফিরিয়ে আনিতার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে বলল ,
-আমার শরীর ঠিক আছে আপু , ভালো লাগছিল না তাই এখানে দাঁড়িয়ে বাহির দেখছিলাম ।
আনিতা আনিশার চোখের দিকে তাকিয়ে সন্দীহান কন্ঠে বলে উঠল ,
-আনিশা তর চোখ এতো লাল হয়ে আছে কেন , তুই কি কান্না করেছিস ?
আনিশা সত্যিটা ধরা পড়ার ভয়ে অন্যদিকে চেয়ে থতমত হয়ে বলল ,
– না, না আপু আমি কান্না করব কেন বলতো ?
এমনিতেই বোধ হয় লালা হয়ে আছে , আগে কি যেন একটা ঢুকে ছিল চোখে ।
আনিতা আনিশা কে বলল ,
-ওহ্ আমি আরও ভাবলাম তুই কাঁদছিলি । আচ্ছা নিচে চল , এখানে একা দাঁড়িয়ে থাকবি কেন ?
আনিশা আর আনিতা নিচে গেল , নেহাল বসে আছে একটা সোফায় ।
নেহাল কে দেখে আনিশা চোখ ফিরিয়ে নিল । তাদের মধ্যে কোনো কোনো হলো না ।



রাত ১১ টার দিকে সবাই ডিনার শেষ করে সব রুমে চলে গেল ।
আদিল বেডে গিয়ে অন্য পাশে ফিরে শুয়ে পড়ল ।
আনিতা আদিল কে এভাবে শুতে দেখে বলল ,
-আপনি অন্য দিকে ফিরে আছেন কেন ?
আদিল নিশ্চুপ কোনো কথা বললো না , মুখ টিপে হাসছে ।
আনিতা ভয়ার্ত গলায় বলল ,
-কথা বলছেন না কেন , আমি কি কিছু ভুল করেছি ? প্লিজ বলুন না ।
আদিল তাও কোনো উত্তর দিল না , নিরব হয়ে আছে ।
আনিতা কান্না মাখা কন্ঠে বলে উঠল ,
-এ যে শুনছেন , আপনি কথা বলছেন না কেন ?
আদিল আর চুপ থাকতে পারল না আনিতার কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে , আদিল আনিতার দিকে ঘুরে টান দিয়ে আনিতা কে বুকে জড়িয়ে ধরল ।
আনিতাও আদিল কে শক্ত করে পেছিয়ে ধরল ।
আদিল হেসে বলল ,
-এই বোকা মেয়ে কাঁদছো কেন ? আমি তো জাস্ট তোমাকে রাগানোর জন্য এটা করেছিলাম , কিন্তু হলো তার উল্টো তুমি কান্না করে দিলে ।
আমি চেয়ে ছিলাম তুমি আমার সঙ্গে রাগ করো , আর আমি তোমার রাগ ভাঙ্গাই ।
আনিতা আদিলের বুকে মুখ গুজে বলে উঠল ,
-আমি পারি না আপনার সাথে রাগ করতে , মোট কথা আপনার সাথে তো রাগ করার কোনো প্রশ্নই আসে না ।
আদিল আনিতার কপালে চুমু এঁকে দিয়ে বলল ,
-তোমাকে বুকে না নিলে আমার ঘুম আসে না আনি।
আনিতা আস্তে করে বলল ,
-আপনার বুকে মাথা না রাখলে আমরাও ঘুম আসে না ।
রাত গভীর হয়ে গেছে কিন্তু এখনো নেহালের চোখের পাতায় ঘুম নেই । তার বার বার শুধু আনিশার ছলছল চোখের দৃষ্টি মনে পড়ছে ।
নেহাল অস্বস্তি বোধ করছে সে চায় না আনিশা কে ভাবতে , তারপরও আনিশার কথাই মনে পড়ছে ।
আনিশার সাথে দূর ব্যবহারের কথা টা একদম ভুলতে পারছে না । নেহাল বুঝে উঠতে পারছে না তার কি করা উচিত ।
নেহাল এসব ভাবছে আর রুমের মধ্যে পায়চারি করছে ।
আনিশাও বসে আছে বেডের এক কোণায় গুটিশুটি মেরে । রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেহালের অপমানের কথা তার বিষণ মনে হচ্ছে ।
আনিশার কষ্ট লাগছে , আনিশা ভাবছে ,
-নেহালের কথায় আমার এতো খারাপ লাগছে কেন , আর এতো কষ্টই বা হচ্ছে কেন ?
আনিশা নিজেকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বলল , দূর আমরা তো আর কয়েকদিন মাত্র আছি কানাডায় ।
এসব কথা ভেবে নিজের আনন্দ কে মাটি করার কোনো মানে হয় না ।
আপুর বিয়েটা হয়ে যাক, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরে যাব ।
তবে আমি জানি না নেহাল কেন আমার সঙ্গে অযতাই ঝামেলা করছে , আমার তো মনে হয় না আমি ওর সাথে কোনো মিস বিহেভ করেছি বলে ।
ঠিক আছে নেহাল আমি তোমার সঙ্গে আর কখনো কথা বলব না ।
আনিশা চোখ মুছে শুয়ে পড়ল ।
নেহালের চোখে কিছুতেই ঘুম আসল না , সে অনেক চিন্তায় বিভোর । এভাবেই সারা রাত পার করে ভোরের দিকে ঘুমালো ।
সকালে আনিতার ঘুম ভাঙলো আদিলের ভালবাসার স্পর্শ কপালে পেয়ে ।
আনিতা তাকাতেই আদিল বাঁকা হেসে বলল ,
-এখন আমার পাওনা টা মিটিয়ে দিন মিসেস মেহবুব ।
আনিতা লজ্জা পেয়ে চোখ বন্ধ করে নিল ।
আদিল অভিমানী গলায় বলে উঠল ,
-ওকে আমাকে দিতে হবে না , আমি উঠলাম। বলেই চলে যেতে নিলে আনিতা আদিলের হাত ধরে নিল ।
আদিল প্রশ্ন বিদ্ধ দৃষ্টিতে তাকালো আনিতার মুখের দিকে , আনিতা লজ্জা রাঙা চেহারায় এগিয়ে আদিলের কপালে ঠোঁট ছুয়ে দিল ।
আদিল আনিতা কে জড়িয়ে ধরে ধীর কন্ঠে বলল ,
-প্রথমেই যদি দিয়ে দিতে তাহলে এই নাটক করতে হতো না । আনিতা আদিলের বুকে কয়েকটা কিল, ঘুষি বসিয়ে লজ্জা নিয়ে বলল ,
-আপনি তো ভালো নাটক জানেন দেখছি ?
আদিল বাঁকা হেসে বলে উঠল ,
-হুম বউয়ের ভালবাসা পাওয়ার জন্য এরকম একটু আধটু নাটক করতেই হয় , না হলে তো বউ আদর দেয় না । বলেই চোখ টিপ মারল ।
আনিতা লজ্জায় লাল হয়ে উঠল , আদিল আনিতা লজ্জা পাচ্ছে বুঝতে পেরে বলল ,
-মিসেস মেহবুব এতো লজ্জা পেতে হবে না যাও ফ্রেশ হয়ে আসো , সবাই হয়তো নাস্তার টেবিলে আমাদের জন্য ওয়েট করছে । আমি পরে ফ্রেশ হবো ।

এসব কিছুর মধ্যে দু’দিন চলে গেল , আজ আদিল আনিতার আবার নতুন ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হবে ।
পার্লারের মেয়েরা এসে গেছে আনিতা কে সাজানোর জন্য । নেহাল আর আনিশা কেউ কারো সাথে কথা বলেনি সেদিনের পর থেকে । একে অপর কে দেখলেই এড়িয়ে যায় ।
সব গেস্টরা ও আস্তে আস্তে আসতে শুরু করে দিয়েছে । নেহাল, সাহিল খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কাজে , তাদের বড় ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা তারা গেস্টদের কোনো ত্রুটি হতে দিবে না ।
আনিশাও যতটুকু পারছে তার মা আর মামিমা কে কাজে হেল্প করছে ।
জেনির মা ও এসেছেন বিয়েতে শুধু জেনি বাদে ।
তিনি অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ , জেনি একদম ভিন্ন হয়েছে তার মায়ের থেকে ।
জনাব আলী মেহবুব এবং আনিতার বাবা এনাম আহমেদ গেস্টদের সাথে কথা বলছেন ।
আদিল কে বর সাজোনোর জন্য তার বন্ধুরা তাকে তার রুমে নিয়ে গেল ।
১ ঘন্টার মধ্যে আনিতার সাজ শেষ হলো , আদিল পার্লারের মেয়েদের বলে ছিল আনিতা কে যে ভাবে সাজানোর জন্য ঠিক সে ভাবে সাজানো হলো ।
হঠাৎ করে সাহিলের চোখ পড়ল এক ব্যক্তির উপর সে এদিক দিয়ে ভেতরের দিকে আসছে , সাহিল ছোট করে একটা ঢুক গিলল ।(চলবে)

আমার প্রিয় সকল পাঠক -পাঠিকাদের বলছি আপনাদেরও আদিল আনিতার বিয়েতে আসার নিমন্ত্রণ রইল ☺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here