তার_শহরে পর্ব ২০।

0
534

#তার_শহরে

পার্ট : ২০

লেখা :ইসরাত সিনহা



আদিল যখনি তার রুমে ঢুকতে যাবে তখনি জেনি এসে আদিলের হাত ধরে আঁটকে দেয় ।



হঠাৎ করে হাতে টান পড়ায় আদিল খানিকটা চমকে তাকায় , জেনি কে দেখামাত্রই আদিলের রাগ সপ্তম আকাশে উঠে যায় । আদিলের চোখ মুখ মুহূর্তেই রাগে লাল বর্ণ ধারণ করে । আদিল রাগ কন্ট্রোল করে জেনি কে জিজ্ঞেস করে ,
-তুমি এখানে কি করছো জেনি , আর আমার হাত ধরেই বা আঁটকালে কেন ?
জেনি ঢোলো ঢোলো গলায় বলল ,
-আমি তোমাকে ভালবাসি আদিল , রিয়েলি আই লাভ ইউ । তুমি ওই মেয়েটাকে বিয়ে করেছ কেন আদিল ?
আদিল বুঝতে পারছে জেনি অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রিংকস করেছে , যার জন্য জেনি ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছে না । কথাগুলো বার বার অস্পষ্ট শুনাচ্ছে ।
আদিল শান্ত কন্ঠে জবাব দিল ,
-জেনি তুমি ড্রিংকস করেছ তোমার মাথার ঠিক নেই তুমি রুমে যাও , অযতা বিরক্ত করো না ।
জেনি জেদি গলায় বলে উঠল ,
-আমার প্রশ্নের উত্তর দাও আদিল ? আমি ঠিক আছি ড্রিংকসে আমার কোনো প্রবলেম করছে না ।
আদিল এবার ঝাঁজালো গলায় বলল ,
-দেখতেই তো পারছি কেমন ঠিক আছো , ঠিক ভাবে দাঁড়াতেই পারছ না , আবার ঠিক আছো ?
জেনি আমি আনি কে ভালবাসি আর আনিও আমাকে ভালবাসে তাই আমরা বিয়ে করেছি ।
জেনি ন্যাকা কান্নার ভান করে বলল ,
-আমিও তোমাকে ভালবাসি আদিল । ওই আনির থেকেও বেশি ট্রাস্ট মি বেবি ।
আদিল রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠল ,
-জেনি আমার জানা আছে তুমি আমাকে কেন ভালবাস , জেনি একটা কথা শুনে রাখ , তোমাকে ঘোড়ায় চড়াতে গিয়ে আমি শূলে চড়তে পারব না । আমি অতো মহান না , আমি আমার রুমে চলে যাচ্ছি , তুমিও তোমার রুমে যাও ।
আদিল যেই না ওর রুমের চলে যেতে উদ্বেত হলো অমনি জেনি গিয়ে পিছন দিক দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরল ।
আদিল আর নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে পারল না । আদিল জেনি কে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিল , আর রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বলতে লাগল ,
-জেনি , ডোন্ট ক্রস ইউর লিমিট ! তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে জড়িয়ে ধরার ? তুমি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আছো বলে কোনো সিনক্রিয়েট করতে চাইছিলাম না । কিন্তু তুমি বারাবাড়ি শুরু করেছো ।
জেনি আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায় , তারপর রাগি গলায় বলে আমাকে এভাবে ধাক্কা কেন দিলে আদিল ?
আদিল রক্তচুক্ষু করে জেনির দিকে তাকিয়ে , প্রচন্ড রাগ নিয়ে বলল ,
-তোমাকে তো শুধু ধাক্কা দিয়েছি , তোমাকে গাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া উচিত ছিল । তুমি হয়তো ভাবছো তোমার করা কুকর্ম গুলো আমি বুঝতে পারিনি , কিন্তু আমি সে দিন ই বুঝতে পেরে ছিলাম এই নোংরা চাল কার হতে পারে ?
জেনি আদিলের কথায় ভয় পেয়ে গাবড়ে গেল , তাই ধাতস্থ হওয়া গলায় বলল ,
-তু তুমি কি ব বলছি আদিল , আমি কি কুকর্ম করলাম ? আমি কোনো কুকর্ম করিনি ।
আদিল ভেঙ্গ সুরে বলল ,
-ওহ রেয়েলি জেনি , এখন তোমার কুকর্ম গুলো মনে পরছে না বুঝি ? তা আমি কি নতুন করে মনে করিয়ে দিবো ?
জেনি মিইয়ে যাওয়া গলায় বলে উঠল ,
-আমি যা করেছি আদিল সব তোমাকে পাওয়ার জন্য । আমি তোমাকে ভালবাসি আদিল ।
আদিল কঠিন কন্ঠে বলল ,
– “জোর করে ভালবাসা পাওয়া যায় না জেনি “।
জেনি যেন আদিলের এমন কথায় রেগে আগুন হয়ে গেল , জেনি রাগে ক্ষুভে বলে উঠল ,
-আমি জোর করে হলেও আদায় করব তোমার ভালবাসা , দরকার পড়লে ওই মেয়ে কে খুন করে ফেলব ।
আদিল আর নিজের রাগ কে কন্ট্রোল রাখতে পারল না , কষে জেনির গালে একটা চড় বসাল ।
তারপর ভয়ংকর রাগি গলায় বলল ,
-একবার এই কথা উচ্চারণ করেছ দ্বিতীয় বার করার সাহস দেখিয় না , তুমি যদি কোনো ভাবে আনির কোনো ক্ষতি করতে চাইবে তাহলে এই আদিল মেহবুব তোমাকে দুনিয়া থেকে সরাতে দুই সেকেন্ড ও টাইম নেবে না । মাইন্ড ইট !
জেনি গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল , আদিল তার রুমের দিকে চলে গেল ।
জেনি আদিলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দাঁতেদাঁত চেপে বলে উঠল ,
-আমার গায়ে হাত দিয়ে তুমি ভালো করোনি মি.আদিল মেহবুব , এর শাস্তি তোমার ভালবাসার আনি পাবে । কারণ ওই মেয়ের জন্যই তুমি আমাকে চড় মেরেছো । এর চরম মূল্য তোমায়ও দিতে হবে , জেনিফার গায়ে হাত দিয়ে ভুল করেছো ।
অন্যদিকে আনিতা রুমে বসে থাকতে থাকতে বোর হচ্ছে , তার ঘুম ও পেয়েছে ।
বজ্জাতটা যে কোথায় গেল , এই বারি লেহেঙ্গা পরেতো আমার অসয্য লাগছে । কোথায় যে উধাও হলেন এই মধ্যে রাতে ।
চিন্তা ও হচ্ছে বাবা-মা কি বিয়ে টা মেনে নিবেন ?
নাহ আমি অযতাই দুশ্চিন্তা করছি , বাবা -মার উপর আমার ভরসা আছে । বাবা-মা আমার পছন্দ কে ফিরিয়ে দিবেন না । উনারা তো আমার সুখ দেখতে চান , আমায় ভালো দেখতে চান । আমি আদিল ভাইয়ার সাথেই ভালো থাকব সুখে থাকব । আনিতার এসব ভাবনার মধ্যে আদিল রুমে ঢুকল । আদিল কে দেখা মাত্র আনিতার হৃদপিণ্ড কেঁপে উঠল , কারণ আদিল প্রচন্ড রেগে আছে । আদিল তার রাগ কমানোর জন্য লম্বা করে কয়েকটা নিঃশ্বাস নিলো , তারপর স্বাভাবিক গলায় আনিতা কে বলল ,
-কি ব্যাপার আনি এখনো ড্রেস চেঞ্জ করো নি ? আনিতার আরেকটু কাছে এসে বলল , যাও ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে আসো ।
আনিতা কোনো কথা না বলে আদিল কে সালাম করার জন্য এগিয়ে গেল , তখনি আদিল আনিতা কে বাঁধা দিয়ে বলে ,
-এই এই তুমি পায়ে ধরে সালাম করছো কেন আনি ?
আনিতা মৃদু হেসে বলে ,
-স্বামী কে তো পায়ে ধরেই সালাম করে । তাই আমিও করছি ।
আদিল মুচকি হাসি দিয়ে বলে উঠল ,
-বোকা মেয়ে তোমার স্থান আমার পায়ে নয় আমার বুকে , এই কথা বলে আদিল দুই হাত দু দিকে প্রসারিত করে দিল আর আনিতা আদিলের বুকে হুমড়ি খেয়ে পরল । আদিলও আনিতা কে জড়িয়ে রইল অনেক্ষণ তাদের মধ্যে বিরাজ করছে এক পিনপতন নীরবতা । নীরবতা ভেঙ্গে আনিতাই প্রথম বলে উঠল ,
– আচ্ছা আপনি এতে রেগে ছিলেন কেন ?
আদিল আনিতা কে বাহু থেকে ছেড়ে দিয়ে বলল ,
-নাহ , কই না তো । আনি তুমি যাও ফ্রেশ হয়ে আসো , পরে আমি ফ্রেশ হবো ।
আনিতা আর কোনো কথা বাড়াল না ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেল ।
আদিল বসে বসে ভাবছে জেনি আবার কোনো নতুন প্ল্যান করবে আমি নিশ্চিত । এই মেয়ে কে দিয়ে বিশ্বাস নেই ।
খানিকক্ষণ বাদে আনিতা ওয়াশরুম থেকে বাহির হলো , আনিতা কে দেখে আদিল কিছু সময় চেয়ে রইল । আনিতা আদিলের তাকানোয় অপ্রস্তুত ভাবে বলে উঠল ,
-কি হয়েছে আদিল ভাইয়া আপনি এরকম তাকিয়ে আছেন কেন ?
আনিতার কথায় আদিল সারা ঘরময় কাঁপিয়ে শব্দ করে হেসে উঠল , আদিলের এমন হাসির কোনো কারণ খুঁজে পেলও না আনিতা ।
তাই জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আদিলের দিকে , আদিল হাসি থামিয়ে বলল ,
-বিয়ের রাতে কেউ থ্রি-কোয়াটার , টি-শার্ট পরে আমার জানা ছিল না আনি ? বলেই আবার হাসতে লাগল আদিল ।
আনিতা লজ্জায় মাথা নিচের দিকে করে রইলো , আর মনে মনে বলল ,
-ইশ আদিল ভাইয়া ও না খুব অসভ্য , এরকম কেউ কাউকে লজ্জা দেয় ?
আদিল আনিতার এরকম লজ্জা পাওয়া মুখ দেখে বলে উঠল ,
-এতো লজ্জা পেতে হবে না লজ্জাবতী , আমি জানি তুমি শাড়ি পরতে পারো না । এই ড্রেসে তোমাকে পুরাই বাচ্চা টাইপ লাগে , আদর করতে ইচ্ছে করছে , এ কথা বলেই আদিল ওয়াশরুমে ঢুকে গেল । আনিতা লজ্জায় মুখ তুলতে পারছে না , লজ্জায় তার মুখ লাল হয়ে গেল । এই লোকটা এমন কেন কোনো কথা মুখে আঁটকায় না ।
আনিতা আদিলের বেডে এক পাশে জড়সড় হয়ে বসে আছে । আদিল ওয়াশরুম থেকে একদম খালি গায়ে বের হলো , পরনে শুধু একটা থ্রি -কোয়াটার । আনিতা আদিলের দিকে একবার তাকালো আর সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নিল লজ্জায় , আর অস্বস্থিতে । এর আগে কখনো আদিলকে এভাবে খালি গায়ে আনিতা দেখেনি ।
আদিল আনিতার সামনে গিয়ে দাঁড়াল , তারপর আনিতা কে আদেশের কন্ঠে বলে উঠল ,
-আনি আমার তোয়ালে নিয়ে এসো তো । আমি এখানে বসছি । আনিতা বসা থেকে উঠে তোয়ালে নিয়ে এসে দাঁড়াল ।
আদিল আনিতা কে বলল ,
-তোয়ালে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেন , আমার মাথা মুছে দাও । আনিতা কাঁপা কাঁপা হাতে আদিলের মাথা মুছে দিচ্ছে , আর আদিল মিটিমিটি হাসছে ।
আনিতা মাথা মুছা শেষ করে যখনই সরে যাবে তখন আদিল আনিতা কে টান দিয়ে তার কোলে বসিয়ে দিলো । আনিতা চোখ বড় বড় তাকিয়ে আছে আদিলের দিকে । আদিল আনিতার এমন তাকানো দেখে হাল্কা হেসে বলে উঠল ,
-আনি এতো বড় বড় চোখে তাকিয়ো না , চোখ বের হয়ে আসবে । আদিলের কথায় আনিতা আবার লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে মুখ করে রইল ।
আদিল আনিতার উদ্দেশ্য বলল ,
-তুমি আমাকে এতো লজ্জা পাও কেন আনি ? এখন তো আমি তোমার স্বামী তাহলে লজ্জা পাচ্ছ কেন ? আমাকে খালি গায়ে দেখেও লজ্জা পেয়েছো বলে তোমাকে দিয়ে মাথা মুছালাম । তাও লজ্জায় তাকালে না । এতো লজ্জা রাখ কোথায় আনি ?
আনিতা আদিলের গলা জড়িয়ে বসে আছে , বার বার আদিলের ফর্সা লোমযুক্ত বুকের দিকে চোখ যাচ্ছে ।
হঠাৎ করেই আদিল আনিতা কে বলল ,
-আনি তুমি চোরা চোখে আমার বুকের দিকে তাকাচ্ছ কেন ? সোজাসোজি তাকাতে পারো আমি তোমার বিয়ে করা বর ।
আনিতা যেন আদিলের এমন কথায় লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে চাইছিল । আনিতা থতমত গলায় বলে উঠল ,
-ক ক কই না তো !
আদিল মুচকি হেসে বলল ,
-আদিল মেহবুবের চোখ ফাঁকি দেওয়া অতো সোজা না মিসেস আদিল মেহবুব ।
আনিতাও হেসে লজ্জায় আদিল কে জড়িয়ে ধরল ।



রাত ২ :৩০ , আদিল আনিতা কে নিয়ে ছাদে বসে আছে । আনিতা আদিলের বুকে মাথা দিয়ে দূর আকাশের তারা দেখছে । আজ আকাশে কোনো চাঁদ নেই ।
আদিল আনিতা কে বলে ,
-আনি আই এম সরি ,
আমি অবাক হওয়া কন্ঠে বলে উঠলাম ,
-আপনি সরি বলছেন কেন আদিল ভাইয়া ?
আমার কথায় উনি ধমকের সুরে বললেন ,
-তুমি আমায় ভাইয়া ডাকছো কেন , আমি কি তোমার ভাইয়া ?
উনার কথায় লজ্জা পেলাম , সত্যিই তো উনাকে ভাইয়া ডাকছি কেন , দূর উনি তো এখন আমার বর ।
উনাকে বললাম ,
-আসলে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে তো , আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে , আর বলব না সরিইইই ।
উনিও হেসে আমাকে আবারও বুকে জড়িয়ে নিলেন । আমি আবার বললাম ,
-কিসের জন্য সরি বললেন , বললেন না তো ।
উনি উনার সভাব মতো মুচকি হাসি দিয়ে বলে উঠলেন ,
-আমরা এখন কোনো স্বামী- স্ত্রীর মতো সম্পর্কে জড়াবো না । উনার কথা টা আমি ঠিক বুঝলাম না উনি কি বুঝাতে চাইছেন , তাই আবার প্রশ্ন করলাম কি বললেন বুঝলাম না তো আমরা তো স্বামী-স্ত্রী ই ? আমার বলা কথায় উনি হাসলেন তারপর বললেন ,
-তোমার অতো সতো বুঝতে হবে না , শুধু এটুকু যেন রাখও আমরা তোমার বাবা-মার দোয়া ছাড়া নতুন জীবন শুরু করব না । একমাস পর তোমার আমার নতুন ভাবে বিয়ে হবে সবাই কে জানিয়ে , এমনকি ফুফি -আংকেল ও আসবেন ।
আমি খুশি হলাম বাবা-মা আসবেন শুনে , কিছু সময় পর আমার আনন্দ টা মাটি হয়ে গেল একথা ভেবে যদি তার রাজি না হন , তবে ?
উনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে চিন্তিত ভাবে বললেন ,
-আনি তুমি খুশি হওনি ফুফি আর আংকেল আসবেন শুনে ?
আমি মন খারাপ করে বললাম ,
-খুশি হবনা কেন ? আমার এর জন্য ভয় হচ্ছে যদি বাবা -মা রাজি না হোন ?
উনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলে উঠলেন ,
-দূর , তুমি খামোকাই এসব চিন্তা করছ , উনারা মানবেন না কেন ? আমি তো সব দিকেই পারফ্যাক্ট , আমাকে রিজেক্ট করার কোনো এক্সকিউজ আছে বলো ? সব কিছুর পরে আমরা একজন অন্যজন কে ভালবাসি ।
আদিল আনিতার দিকে তাকিয়ে হতবাক , কারণ আনিতা ঘুমিয়ে পরেছে আদিলের বুকে ।
আদিল আনিতার কপালে গভীর ভাবে চুমু এঁকে দিল , হেসে আনিতাকে পাঁজো কোলে করে রুমের দিকে পা বাড়াল । মনে মনে বলছে এই মেয়েটা দেকি পুরাই ঘুম কাতুরে , কি রকম কথা বলার মাঝে ঘুমিয়ে গেল ? রুমে এসে আনিতা কে বুকের মধ্যে নিয়েই ঘুমিয়ে গেল , আনিতাও ঘুমের ঘুরে আদিল কে আসটেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল । আদিলের শূন্য বুক আজ পূর্ণ হলো তার ভালবাসা কে বুকের মধ্যে আগলে ধরে ।


সকালে আনিতার ঘুম ভাঙলো ভার্সিটির টাইমে , ঘুম ভাঙতেই আনিতা নিজেকে আবিষ্কার করলো আদিলের বুকে । আদিল তাকে জড়িয়ে ধরে আছে , আনিতা আদিলের দিকে অপলক দৃষ্টিতে অনেক্ষণ তাকিয়ে রইল , আদিলের ঘুমন্ত চেহারা দেখতে অনেক মায়াবী লাগছে । আনিতা আদিলের চুলে হাত বুলিয়ে দিল , এক সময় আদিলের কপালে আস্তে করে চুমু দিল । আদিল ঘুমের মাঝেই মুচকি হাসল । আনিতা আদিলের দিকে তাকিয়ে একমনে বলে উঠল ,
-আপনি খুব ভালো , সত্যিই আপনাকে বিয়ে করে আমি কোনো ভুল করিনি । বলেই আনিতা ওয়াশরুমের দিকে গেল ফ্রেশ হতে ।
আনিতা চলে যেতেই আদিল চোখ খুলে মিটমিটিয়ে হাসল , আর মনে মনে বলল ,
-আমি তোমার মনকে ভালবেসেছি আনি , অন্যকিছু না ।
আনিতা ফ্রেশ হয়ে বাহিরে আসতেই বেডের দিকে নজর গেল , সাথে সাথেই আনিতার চোখে মুখে ফুটে উঠল বিরক্তি ভাব । বিরক্তির কারণ হলো জেনি , বেডে জেনি বসে আছে ,।
আনিতা আদিল কে দেখতে পেলনা ,
এরমধ্যে জেনি বলে উঠল ,
-সকাল বেলা আদিলের রুমে আসার কারণ তোমাকে একটা কথা বলতে এসেছি …! (চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here