আলেমের বউ পর্ব ৫+৬

0
514

#আলেমের_বউ (পর্ব-৫+৬)


নাজিফা প্রায় নুসাইরকে দেখে আসতো মাদ্রাসায়।কারণ নুসাইরকে বাসায় আনলে সে আর যেতে রাজি না!তাই হুজুরগন ও কিছুতেই নুসাইরকে বাসায় দেন না!তাই নাজিফাই প্রায় সময় নুসাইরকে দেখে আসতে হয়!


এই দিকে নাজিফাকে নুসাইরের মাদ্রাসার একটা ছেলে খুব বিরক্ত করে।উপায় খুঁজে পায় না নাজিফা কী করবে সে!বাবাকে বলবে নাকি!কী করবে বাবা!
নুসাইরকে কী মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসবে?না না আমার জন্য নুসাইরের কেরিয়ার কেন নষ্ট করবো!মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায় নাজিফার।আর ভাবতে পারেনা!



রাতে নাজিফার নানি ফোন করে নাজিফার বাবার ফোনে!জামাই শাশুড়ি কথা বলা শেষ করে।নাতনীর কাছে ফোন দিতে বলেন নাজিফার নানি!
নাজিফার বাবা ফোন তুলে দিয়ে নাজিফাকে,তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।


নাজিফা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলা শুরু করেন!
আসসালামু আলাইকুম!
-ওয়ালাইকুমুস সালাম।কেমন আছিস নাজিফা?
-জ্বী,ভালো তুমি কেমন আছো?
-আছি ভালো!নুসাইর কেমন আছে,এখন কী মাদ্রাসায়য়?
-হ্যাঁ ভালো।মাদ্রাসায় আছে!কেন?
-কেন জানি নুসাইরের জন্য খুব ভয় হয়রে!
-কী বলছো তুমি!কিছু হয়েছে?
-হ্যাঁ আমাদের বাজারের সামনে যে কলেজ এর পিছনে নতুন মাদ্রাসা হয়েছে,দেখেছিস?
-হ্যাঁ,কেন কি হয়েছে?
-গতকাল ঐ মাদ্রাসায় একটা ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়।ঐ মাদ্রাসার হুজুর মেরেছে আজ পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেছে!
-ওহ আচ্ছা!আর কোনো কথা মুখ দিয়ে বের হয় না নাজিফার।
নাজিফা ভয়ে ঢোক গিলা শুরু করে
-হ্যালো নাজিফা,!
-হ্যাঁ,শুনছি বলো?
-সাবধানে থাকিস,নুসাইরকে দেখিস!
-আচ্ছা।



নানির সাথে কথা বলে নাজিফা নুসাইরকে নিয়ে আরো বেশি ভয় পাচ্ছে!
ঐ মাদ্রাসার ছেলেটা যে আমাকে বিরক্ত করে তা যদি বাবাকে বলে ঐ মাদ্রাসার হুজুরদের বলে বিচার দেই।এতে ঐ ছেলেটা আবার নুসাইরকে কিছু করবেনা তো?অজানা ভয় এসে বাসা বাঁধে নাজিফার মনে।



পরের দিন নুসাইরকে বাসায় নিয়ে আসতে বলে নাজিফা তার বাবাকে!
বাবা ও নুসাইরকে বাসায় নিয়ে আসে!
নুসাইর ও খুব খুশি বাসায় আসতে পেরে।এসেই নাজিফার চুলে চিরুনি দিয়ে টান টান করে আচড়ে আর জোরে জোরে টেনে ধরে।এতে নাজিফা আউওওও বলে উঠলে,নুসাইর খিল খিল করে হাসে।
নুসাইরের হাসি নাজিফার কাছে সব থেকে দামি!
-নুসাইর তুই আমার ব্যাগ থেকে আজ চকলেট নিয়েছিস?
-নুসাইর খিল খিল করে হাসির শব্দ করে বলে না!ভুতে নিয়েছে!আমি দেখেছি!
-ও মা তাই!ভুতটা কী তুই নুসাইর?
-হিহিহাহাহা!আমি ভুত!আরো চকলেট দাও!
-না দিলে কী করবি রে?
-ঘাড় মটকাবো তোমার!
-ওমা তাই,তারপরে কী করবি?
-তারপর চলে যাবো!
-কোথায় যাবিরে?
-মাদ্রাসায়!
-তারপর?
-আবার আসবো তোমার কাছে!
-কেন?
-চকলেট নিতে!
-ওরে আল্লাহ্ আমি তো তখন থাকবো না!তুই তো আমার ঘাড় মটকে দিবি, আমি তখন আর চকলেট দিতে পারবোনা!
-তুমি দিবে আমি জানি!
-ক্যামন করে?
-এই তো আমি তো যখনি মাদ্রাসা থেকে আসি,এসেই তোমার ব্যাগে চকলেট পাই!আর তুমি আমার জন্যই রাখো!নয় তো চুরি হয়ে যায় তবুও কেন রাখো চকলেট?

নুসাইরের মুখে এমন কথা শুনে নাজিফা কাঁন্নাই করে দেয়!জড়িয়ে ধরে নুসাইরকে খাটের উপরে বালিশে মাথা ধরেই বলে!ভুতটাকে আজ কোথায় ও যেতে দেবোনা!আমার বুকেই রেখে দেবো!
নুসাইর তখন চুপ করে তার আলতো নরম আঙ্গুল দিয়ে নাজিফার চোখের পানি মুছে দেয়!অনেকটা সময় বুকের মাঝে রাখে নুসাইরকে।মনে হয় বুক থেকে গেলেই কেউ বুঝি নুসাইরকে নিয়ে যাবে!না না,আমি নুসাইরকে কোথায় ও দিবো না!



নাজিফা তার বাবাকে বলে নুসাইরকে অন্য একটা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়তে দেয়।বাসা ও নতুন করে নেয়!



নাজিফা এস এস সি দিয়ে পেলেছে!নুসাইর এর বয়স ও চার শেষ করে পাঁচে এ পড়েছে।দেখতে খুব মিষ্টি।



সে দিন শুক্রবার ছিলো নুসাইরের মাদ্রাসা বাসার কাছেই তাই নুসাইর মাদ্রাসা থেকে এসে নাজিফাকে বলে,”আজ আমি বাসায় আসবো না,একটা দাওয়াত আছে!রাতে এসে খেয়ে যাবো!আমার প্রিয় খাবার গুলো চাই!নাজিফা,”আচ্ছা রাজকুমার তাই হবে!
-আপু তোমার কাছে টাকা আছে?
-নুসাইরের এমন প্রশ্নে নাজিফা অবাক হয়ে যায়,কারণ এই প্রথম নুসাইর টাকা চায়!মুচকি হেসে নুসাইরের হাতে একটা বিশটাকার নোট তুলে দেয় নাজিফা।নুসাইর বলল,এটা হবে না!লাল রং এর দিতে হবে,মানে দশটাকা!
নাজিফা হেসেই খুন।বিশ টাকা রেখে দশটাকা নিয়ে চলে যায় নুসাইর।


বাবা ও বলে গেছে আজ রাতে ফিরবে না।নুসাইরকে নিয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম।কিন্তু ঘড়ির কাটা দশটা পার হয়ে গেছে,নুসাইর এখন ও আসছে!নিজের থেকে ফোন ও নেই যে ফোন করে বাবাকে বলবো!বাবা যাতে মাদ্রাসায় ফোনন দিয়ে খোঁজ নেয়।
অপেক্ষার প্রহর যেনো শেষ হয় না।রাত এগারো টা বাজে।নুসাইর আসার কোনো খবর নেই!নুসাইর কী ভুলে গেলো নাকি!ছোট মানুষ হয়তো ভুলে গেছে।এই বলে নিজেকে মিথ্যা শান্তনা দেওয়া।মনটা মানছেনা।শুক্রবারে তো যারা বাসায় খায় তাদেরকে মাদ্রাসায় তো খেতে দেবে না।তবে নুসাইর কী না খেয়ে ঘুমিয়ে গেছে!না না আমি থাকতে তা হতে দেবো না।রাত প্রায় বারোটা।রুম থেকে লাইট নিয়ে চলে আসলাম মাদ্রাসায়।সব লাইট বন্ধ।মনে হলো সবাই ঘুমিয়ে গেছে আর নুসাইর ও।গেট ম্যান আমাকে দেখে অবাক ভাবে বললেন,এত রাত এখানে কী?
-আমি কি উওর দেবো বুঝতে পারছিলাম না!ভয়ে ভয়ে বলল,”নুসাইর আজ বাসায় ফিরেনি!
-নুসাইর?
-হ্যাঁ,
-ওকে তো আজ মাদ্রাসা সকালে দেখেছি আর দেখিনি!
-কী বলছেন আপনি?
-হ্যাঁ সত্যি বলছি!
-আপনার কোথায় ও ভুল হচ্ছে দেখার মাঝে!নুসাইর আজ বাসায় যায় নি!মাদ্রাসার ভেতরে চলেন,দেখি কোথায় নুসাইর!
সবাই ঘুমাচ্ছে এখন ডেকে ঘুম নষ্ট করা ঠিক হবে না,বরং যিনি সবাই কে খেতে দেয় উনাকে ডেকে জিজ্ঞেস করি।
-ঠিক বলছেন আপনি!(গেট ম্যান)
-শুনছেন!(আমি)
-শুনছেন,শফিক চাচা(গেট ম্যান)
-এত রাইত কেডা?(শফিক চাচা দরজা খুলে)
-আমি নাজিফা বলছি,নুসাইরের বোন!নুসাইর কোথায়?
-নূসাইর তো আজ মাদ্রাসায় নেই!(শফিক চাচা)
-নাই মানে ও বাসায় যায়নি তো!(নাজিফা)
কথার শব্দ জোরে হওয়াতে
না ঘুমানো এক ছাত্র এসে সামনে দাঁড়ালো!আমি নুসাইর কে দেখছিলাম!
নাজিফা দৌড়ে ছোট্ট ছেলেটাকে আকরে ধরে,বলো না নুসাইর কোথায়?কখন দেখেছো?
-সকালে!(ছাত্র)
-কোথায়?



চলবে,
লিখা:শারমিন সুলতানা সালমা

#আলেমের_বউ (পর্ব-৬)


নাজিফা দৌড়ে গিয়ে ছোট্ট ছেলেটাকে আকরে ধরে,বলো না নুসাইর কোথায়?কখন দেখেছো?
-সকালে!(ছাত্র)
-কোথায়?
-বড় হুজুরের রুমে!উপরে টানিয়ে নুসাইরকে মেরেছে পাঞ্জাবী খুলে!
-হোয়াট?
নাজিফা মাটিতে বসে পড়ে।মা হারানো নুসাইরের শরীরে একটা আঁচ ও নাজিফা কখন পড়তে দেয়নি!এত ছোট্ট শিশু কী এমন করলো!যার জন্য এমন করে মেরেছে?নাজিফা কাঁন্না করা শুরু করে দেয়!
শফিক চাচা শান্তনা দিয়ে বলেন,”শান্ত হোউ মা!আমি দেখছি বড় হুজুরের রুমে নুসাইর আছে কী না!
-আছে কী না মানে কী?আমার ভাইকে আমার কাছে এনে দাও।নয় তো আমাকে ও মেরে ফেলতে বলেন আপনাদের বড় হুজুর কে!
শফিক চাচা রুমের দরজার তালা খুলতেই নাজিফা শফিক চাচাকে সরিয়ে আগে ঢুকে পরে,রুমে প্রবেশ করেই আগে লাইট ওপেন করে দেয়।না নুসাইর এই রুমে নেই।কোথায় ও কোনো কারো সাড়া শব্দ নেই!টেবিলের দিকে চোখ যেতেই নাজিফা কেঁপে উঠে নুসাইরের পাঞ্জাবী!
তাহলে নুসাইর এই রুমেই কোথায় ওও আছে!
নুসাইর ভাই কোথায় তুই!কোনো উওর নেই কারো।কিছু একটার সাথে ধাক্কা লাগে নাজিফার পায়ে! নিচে চেয়ে নাজিফা চিৎকার দিয়ে উঠে,নুসাইর,,,,,,,,,,,,,,

নুসাইর এর সারা শরীরে মাইরের দাগ!
ছোট্ট মানুষ আঘাত গুলো নিতে পারেনি সব চামড়া ফেটে রক্তে ভেসে গেছে ফ্লোর!নুসাইর জ্ঞানহীন।রক্তমাখা শরীর নিয়ে নাজিফা নুসাইরকে জড়িয়ে ধরে তুলে নেয়!
নাজিফা কাঁন্নার জন্য কথা বলতে পারেনা,বার বার শুধু নুসাইর এই নুসাইর বলে ডাকে।রক্তে মাখা জ্ঞানহীন নুসাইর কোনো উওর দিচ্ছে না!

নাজিফা
কোনো কথা কাউকে না বলে
নুসাইরকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।সবাই দাঁড়াতে বললে ও নাজিফা শুনে না!মাদ্রাসার থেকে বের হয়ে যায়।ফিরে তাকায় আরো একবার মাদ্রাসার দিকে,সব ঘৃণা হুজুরদের মাঝে পড়ে নাজিফার চোখে।ভুল করেছে সে মা হারা ভাইকে মাদ্রাসায় দিয়ে।মাদ্রাসার থেকে চলে এস রাস্তায়য় দাঁড়ায়।কোনো গাড়ি পাবেনা সে জানে এত রাতে।তাই দেরি না করে হাটা শুরু করে রাস্তার বাম দিকের মোড়েই হলো কুমিল্লা কুচাইতলি মেডিকেল কলেজ।

চলে আসে মেডিকেল এর সামনে রাত একটায়।পিছনে পিছনে গেট ম্যান ও শফিক চাচা আসেন।জরুলী বিভাগে নুসাইর কে নিয়ে আসে নাজিফা।ডাক্তার গুলো ঘুমো ঘুমো চোখে বলে এত রাত কীসের রোগী দেখবো,সরকারি ডাক্তার বলে কি ঘুমাতে পারবো না!
কিন্তু না এমন নিষ্টুর ডাক্তার হতে পারেনা! নুসাইরের মত
এমন মিষ্টি শিশু আর তার পাগলী বোনের কাঁন্নায় ফিরিয়ে দিতে পারেনি সেই রাত ডাক্তার।


নাজিফার বাবা পরের দিন নুসাইরকে দেখতে এসে নুসাইরের এমন অবস্থা দেখেই মাদ্রাসায় চলে যায় কী অপরাদ ছিলো ছোট্ট নুসাইরের কেন এমন মেরে জ্ঞানহীন ভাবে রুমে আটকে রাখে!


কোথায় ও পাওয়া যায়নি ঐ মাদ্রাসার বড় হুজুরকে সে দিন।মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদের থেকে শুনা,নুসাইরের অপরাদ ছিলো!
মাদ্রাসার অন্য এক ছাত্রের দশটাকা হারিয়ে যায়।নুসাইর সেই ছাত্রকে বলে তুমি বলতে পারবে তোমার টাকার নাম্বার কত?বলতে পারলে আমি দশটাকা দেবো!সেই ছাত্র মনে করছে সত্যি নুসাইর তার দশটাকা পেয়েছে।ছাত্র বড় হুজুরের কাছে বিচার দিলে,হুজুর রেগে গিয়ে এমন ভাবে নুসাইরকে মারে।নুসাইর জ্ঞানহীন হয়ে গেলে হুজুর ভয়ে মাদ্রাসা থেকে চলে যায়।শফিক চাচা নুসাইরকে না দেখেই ঐ রুমে তালা দিয়ে দেয়।


নুসাইরে জ্ঞান ফিরলে বার বার শুধু মা মা বলে ডাক দেয়!
নাজিফার বুক কেঁপে উঠে কী উওর দেবে সে নুসাইরকে মা যে তাকে পৃথিবীতে আলো দেখাতে গিয়ে চলে গেছে!চোখের কোণে সব অশ্রু গুলো জমে যায় নাজিফার,কোনো কথা মুখ দিয়ে বাহির হয় না!শুধু আলতো করে নুসাইরের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় নাজিফা!নুসাইর আস্তে করে তার নরম হাতে নাজিফার হাতে ধরে বুঝিয়ে দেয় সে বসতে চায়।নাজিফা নুসাইরকে আস্তে করে বসিয়ে দেয়।নুসাইর তার আঙ্গুল দিয়ে নাজিফার চোখের কোণে জমে থাকা পানি গুলো মুছে দেয়।নাজিফা কিছুই বলতে পারেনা শুধু তাকিয়ে দেখে!



নুসাইর একটু সুস্থ হলেই বাসায় নিয়ে আসে!নাজিফা আর কিছুতেই নুসাইরকে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় দেবেনা।
নাজিফা আর হুজুরদের বিশ্বাস করতে রাজি না।নুসাইর সুস্থ হলেই আলিয়া মাদ্রাসায় ওয়ানে ভর্তি করিয়ে দেয়।এক মাসের টিউটোরিয়ালের রেজাল্ট দেখে সব টিচার্স এর উক্তি নুসাইর ক্লাসের টপ স্টুডেন্ট।


মে মাস এর ত্রিশ তারিখ আজ নাজিফার এস এস সি রেজাল্ট দিবে।সেই সকাল থেকেই টেনশন করে যাচ্ছে নাজিফা!
-আপু আজ তোমার রেজাল্ট দেবে তাইনা?(নুসাইর)
-হুম!
-দুপুর হয়ে যাবে দিতে দিতে রেজাল্ট!
-তো?
-কিছু তো খাওনি এখন পর্যন্ত,খেয়ে নাও।
-নারে ভাই খেতে ইচ্ছা করছে না!
-রেজাল্ট দিলেতো তখন ও খাবেনা!
-কেনো?
-বুঝোনা?
-না!
-তখন তো খুশিতে খেতে মন চাইবে না!হিহিহাহা!
-তুই পারিস ও এত মজা করতে!তা ও আবার আমার মন খারাপের সময়!
-হুম,খেয়ে নাও আবার রেজাল্ট খারাপ হলে ও তো মন খারাপ থাকবে!তখন ও খাবেনা!
-এই তুই এত্ত ফাকনামি কেন করছিস বলতো,মনে হয় আশি বছরের বুডা?
-হাহা আশি বছরের না আরো বেশি হবে!
-ওরে আল্লাহ!
-হুম,বলবো?
-হ্যাঁ বল শুনি ক্যামনে হলো?
-আল্লাহ্ তো সব রুহ এক সাথে বানিয়েছে তাইনা আপু?
-হু,তো?
-আমার ও তো কত আগে বানিয়ে রেখেছে!আমি ঐ হিসাবে বুডা রুহ!হাহাহাহিহি!
-তুই যাবি এখান থেকে!আমাকে তো হাসাতে হাসাতে খুন করে ফেলবি!
-যাচ্ছি!


চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here