অবন্তর আসক্তি পর্ব ১৭।

0
397

#অবন্তর_আসক্তি
#পর্ব_১৭
#Sharmin_Akter_Borsha
____________
“যেদিন তুমি এসেছিলে তোমার সাথে এসেছিল শুভ্র রঙের শুভ্র ভালোবাসা!
ভালোবাসা ওয়ার্ড টা আমি বিশ্বাস করতাম না তবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যবে প্রথম তোমায় দেখেছি। প্রথম দেখায় কেউ কাউকে পাগলের মতো ভালোবাসতে পারে আমার জানা ছিল না। আমার বন্ধুগুলোর গার্লফ্রেন্ড গুলো যখন রাগ অভিমান করতো তখন ওরা তাদের রাগ ভাঙানোর জন্য যা যা করার দরকার সব করতো আমি শুধু নিরব পাবলিকের মতো দেখতাম। মনে মনে বলতাম, এইসব কি আজব অন্যের রাগ ভাঙানোর জন্য এত কিছু করার কিসের প্রয়োজন। তারা যখন বলতো ওরা তাদের ভালোবাসে। তখন আমি ওদের আড়ালে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতাম। আমার পৃথিবী উলট পালট হয়ে গেলো সেদিন যেদিন হুট করে তোমাকে রাস্তায় দেখি একটা মেয়েকে সেফ করার জন্য তুমি একা এগিয়ে গিয়ে একটা ছেলের গালে চড় মেরে ছিলে। তখন তুমি আমার কাছে ছিলে একদম অচেনা তারপরে হয়ে উঠলে চিরচেনা অবাক্ত্য প্রিয়তমা। আমার প্রতিটা শ্বাস নিঃশ্বাসে শুধু তোমারই আনাগোনা। যবে থেকে তোমাকে দেখেছি তবে থেকেই আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছো তুমি। খুব করে চাইতাম তোমাকে আমি কিন্তু কি জানো তোমার সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল শূন্য। তোমাকে আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখেই ছিলাম তবে তোমার সম্মন্ধে জানা ছিল না আমার কিছু কিন্তু আমার অবাদ্ধ মনকে শান্ত করার জন্য যে তোমাকে প্রয়োজন। হ্যাঁ তোমাকেই প্রয়োজন। এত বড় ঢাকা বনানী তে তোমাকে খুঁজে বের করা অনেক টাই অসম্ভব ছিল তবুও হাল ছাড়িনি আমি, খুঁজেছি তোমাকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাইনি। প্রতিবার যখন তোমাকে না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসতাম তখন মনে হতো, আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি৷ এই বুঝি আর কখনো পাবো না। বুকের বা পাশটায় বড্ড পুড়তো মনে হতো কেউ যত্নসহকারে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমার ভালোবাসা ছিল একতরফা তোমাকে দেখেছি আমি এক মিনিট পয়তাল্লিশ সেকেন্ড, এই এক মিনিট ও কয়েক সেকেন্ডে তুমি আমার মস্তিষ্ক নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছিলে। পাগল উম্মাদ করে তুলেছো আমার হৃদয়কে। না পাওয়ার ভাসনা তিলে তিলে মৃত্যু যন্ত্রণার মতো বিষণ্ণ লাগতো৷ একটা সময় আমার খুবই খারাপ হয়ে পরে না খেয়ে দেয়ে সব কাজকর্ম ফেলে তোমাকে খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরি কিন্তু কোথাও তুমি নেই, নেই তুমি, হ্যাঁ তুমি কোথাও নেই। ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে লাগি। একটা সময় মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই, আমার তখন মস্তিষ্কে শূন্য, সবটাই জুড়ে শুধু তুমি ছিলে। তোমার মায়া মোহিনী চেহারা টা আমার হৃদয়ে তীরের মতো গেঁথে গিয়েছিল। কোনো ভাবেই ভুলতে পারছিলাম না। অনেক বৃথা চেষ্টা করি কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হই। তোমাকে ভুলার জন্য জানো আমি কি করে ছিলাম?
বন্ধুরা জোর করে ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিল, যেতে চাইনি আমি আমার যে তখন তোমাকে খোঁজার ছিল, সকলে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। হুইস্কি খেয়েছিলাম জীবনে প্রথম বার সেটাও শুধু তোমার জন্য তোমাকে ভুলার জন্য কিন্তু তবুও মন থেকে ভুলতে পারিনি। নেশাগ্রস্ত হয়ে যখন বিছানায় পরে ছিলাম তখন মনের কোণে সুখের নীড় দোলা দিয়ে যেতো। মিটমিট করে চোখ খুলে তাকালে তোমাকে আমার মাথার পাশে বসে থাকতে দেখতাম। তোমার উপস্থিত আমার বিষন্ন ভগ্নহৃদয়কে আরও উতলা করে দিতো। হাত দিয়ে স্পর্শ করতে চাইতাম। ধীরে ধীরে আমার ভালোবাসা পাগলামি তে পরিণত হলো। বন্ধুরা আমার ফ্যামিলি তে কিছুই জানায়নি৷ তারাই আমাকে নিয়ে গেলো একজন বড় মানের সাইকোলজি ডাক্তারের কাছে। তিনি আমার ব্রেইন ওয়াশ করলেন। এমন কোনো মেয়ের অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। ধীরে ধীরে আমিও তাই বিশ্বাস করে নিয়েছিলাম। তবে মনের কোণে তোমার প্রতি ভালোবাসা টা ছিল আসমান ছোঁয়া যা তীব্র গতিতে শুধু বাড়তেই থাকতো। তোমার লম্বা ঘন কালো কেশ, টানা টানা চোখ, ঘন চোখের পাপড়ি। মসৃণ খাঁড়া নাক তার। টকটকে লাল ঠোঁট জোড়া। রাগে যখন হাত তুলে ছেলেটা কে শাসাচ্ছিলে তখন তোমার নাম দিয়েছিলাম আমি রাগরাগিণী।
সারাদিন আমার যেমন তেমন কেটে যেতো তবে রাতে, একরাশ অন্ধকার নেমে আসতো আমার ঘরে। সে অন্ধকার কাটিয়ে ঘর আলোয় আলোকিত করতে একমাত্র তুমিই পারতে। বিষন্নতায় ডুবে থাকতাম রোজ। উপরে উপরে দেখে সবাই ভাবতে লাগল আমি আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছি। হাসছি খাচ্ছি দিব্বি চলাফেরা করছি৷ কিন্তু ভেতর থেকে আমার হৃদয় আগুনে পুড়ে প্রতিদিন দগ্ধ হতো পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। আমার কোয়াটারের পেছনে এক বড় বকুল ফুলের গাছ রয়েছে। আমি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে সর্ব ক্ষণে গাছটার নিচে যাই। গাছের নিচে বিছিয়ে থাকতো ফুলগুলো৷ তাদের ঘ্রাণ আমি মন ভরে নিতাম। হাটু গেড়ে বসে মাটি থেকে ফুলগুলো কুড়িয়ে হাতের উপর আলতো চাপ দিয়ে ধরতাম। চোখ জোড়া বন্ধ করে নেই, ফুলগুলো নাকের ডগায় এনে ঘ্রাণ নিতে থাকি। তখন জেনো মনে হয়। কেউ একজন এশ কালারের শাড়ি পরে আলতা পায়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। কিছুটা সামনে আসলে আমার মন আমাকে জানান দেয়৷ এটা আমার রাগরাগিণী। তোমাকে দেখার জন্য চোখ খুলে তাকালে তুমি হারিয়ে যাও, আশেপাশে হন্ন হয়ে প্রথম কয়েকদিন খুঁজে ছিলাম পরে বুঝতে পারি তুমি আমার কল্পনার সবটা জুড়ে। এটা আমার গল্প তবুও রোজ আমি ফুল কুড়াতে যেতাম তোমার উপস্থিতি আমার মনকে শান্ত করে দিতো। হোক না তুমি আমার কল্পনা তবুও তুমি তো। যখন আমার মন কেমন কেমন করতো তখনই আমি বকুল ফুলের গাছ তলায় গিয়ে বসে থাকতাম। গাছ থেকে ফুল ঝড়ে আমার উপর উপচে পরতো। তখনই চোখ জোড়া খিঁচে বন্ধ করে নিতাম। এক মূহুর্তের জন্য মনে আভাস হতো ফুলের স্থানে তোমার হাত আমাকে ছুঁয়ে দিচ্ছে। দু হাতে ফুলগুলো কুড়িয়ে নিয়ে সেখানে বসেই তোমার নামে মালা গাতিতাম।
সুঁইয়ে সুতা লাগানো জানতাম না। তবুও মনে বড় স্বাদ জাগতো তোমার জন্য বকুল ফুলের মালা গাথি। বহু কষ্টে সুঁইয়ে সুতা গাঁথা শিখি। রোজ তোমার নামে একটা মাথা আমি নিয়ম করে বানাই৷ ও সরি নাম তো জানা ছিল না, তবে তোমার স্মৃতি চারণ করে মাথা গাথি।

আমি তোমাকে খোঁজা ছেড়ে দিয়েছিলাম। সত্যি ভেবে নিয়েছিলাম তুমি বাস্তবে নেই সেদিন সবটাই ছিল আমার ইমাজিনেশন। তুমি শুধু আমার কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ।
সকলকে ভুল প্রমাণিত করে দিয়ে সেদিন তুমি আবারও এসেছিলে আমার জীবনে, যেদিন তুমি হসপিটালে এসেছিে ওইদিন তুমি একটা ছোট বাচ্চা কে কোলে তুলে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলে। প্রথম নজর তোমার উপরে পরতে আমি ভেবেছিলাম তুমি আমার আরও এক কল্পনা কিন্তু যখন দেখলাম। তুমি মানুষের ভিড় ঢেলে একটা আহত বাচ্চা কে কোলে নিয়ে দৌঁড়ে আসছো তখন আমার মাথায় কেউ একজন কড়া নাড়িয়ে জানান দিলো। আমার রাগরাগিণী আমার কল্পনা নয় আমার বাস্তবতা যাকে আমি একটা সময় হন্ন হয়ে খুঁজেও পাইনি। আজ সে নিজে থেকে আমার সামনে এসেছে। কোনো ভাবেই তোমাকে আমি হারাতে রাজি নই। উঁহু’ আর কোনো কিছুর বিনিময়ে আমি তোমাকে হারাতে পারবো না। এবার আমি জেনে গেছি তুমি আমার বাস্তবতা আমার তোমাকে চাই-ই চাই। হ্যাঁ আমার তোমাকেই চাই আমার রাগরাগিণী। তোমার পিছু নেই কেবিনের সামনে দরজার আড়াল থেকে শুনতে পারি তোমার আর ডাক্তারের কথোপকথন।

‘ তুমি ঢাকা বনানী তে থাকো না এখানে মাঝেমধ্যে আসো তবে সেটা তোমার ফ্রেন্ডের ফুপির বাড়িতে বেড়াতে। আর এবারও তাই এসেছো রাস্তায় একটা গাড়ি এসে ছেলেটা কে ধাক্কা দিয়ে যায়। ছেলেটা আহত হয়ে মাটিতে পরে কৈ মাছের মতো লাফাতে থাকে। তুমি যেমন আমার রাগরাগিণী ঠিক তেমনই তুমি আমার করুণাময়ী। ছেলেটাকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসো। ছেলেটার ট্রিটমেন্ট এর সকলে খরচ তুমি নিজে দিয়েছিলে। তুমি তিন ঘন্টা হসপিটালে ছিলে। আমিও তোমার আড়ালে তোমাকে তিন ঘন্টা দেখেছি মুগ্ধ হয়েছি৷ প্রেমে পড়েছি নতুন করে। নিজের অজান্তেই তোমার কথা চিন্তা করে মৃদু হেসেছি। তোমাকে চিন্তিত দেখে আমি বিচলিত হয়েছি। ইচ্ছে করেছিল তখন তোমার সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে তোমার কপালের চুলগুলো সরিয়ে দিতে, প্যান্টের পকেট থেকে টিস্যু বের করে তোমার কপালে জমাট বাঁধা বিন্দু বিন্দু ঘাম আলতো হাতে মুছে দিতে। কিন্তু আমি পারিনি হাত পা লাগাতার কাঁপছিল। তোমাকে পাওয়ার আনন্দে তারাও আত্মহারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আমার তখন আরও ইচ্ছে করছিল ছুটে গিয়ে তোমাকে শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেই। কিন্তু আমি আমার ইচ্ছে টাকে প্রাধান্য দেইনি। কারণ তখনও আমি তোমার পরিচয় জানতাম না।
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর তোমার বান্ধবীর ফুপির ফ্ল্যাট পর্যন্ত আমি ফলো করি। পরেরদিন জানতে পারি তুমি ও তোমার বান্ধবী চলে গেছে। আমি আবারও আগের মতো হয়ে যাই। খুঁজতে হবে আমার তোমাকে একবার হারিয়েছি দ্বিতীয় বার হারাতে পারবো না ধম বন্ধ হয়ে মারা যাবো।
দুইদিন লেগেছিল আমার এটা জানতে তুমি গাজীপুরে থাকো। তিনদিনের দিন গাজীপুর চলে আসি শুধু তোমাকে খুঁজতে। কিন্তু আমি সঠিক জানতাম না তোমার ঠিকানা। তাই খুঁজেও পাইনি। তবে তোমার গ্রামের নাম জানতে পেরেছিলাম পাঁচ দিনের দিন রাতে। ছয় দিনের দিন রাতে সেখানে এসে উপস্থিত হই। গভীর রাতে এসে ছিলাম বলে, আর উদ্দেশ্য সফল করতে পারিনি। ভেবেছিলাম সকালে খুঁজবো। মাথা গুঁজবার জন্য একটা ঠাই প্রয়োজন ছিল তখন আমার।
পরদিন সকালে তোমাকে আমি এত সহজে পেয়ে যাবো আমি কল্পনা ও করিনি। আমার কল্পনার বাহিরে ছিল সবটা। তোমাকে পেয়ে যাই আমি খুঁজে পাই আমও আমার রাগরাগিণী বর্ষাকে। সকালেই তোমার সম্পর্কে সবটা জানতে পারি। তোমার সামনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তীব্র কিন্তু সব ইচ্ছা পূরণ করতে নেই। বুকে হার্টবিট জোরে জোরে বিট করছিল আমি বাহির থেকে ধুকধুক শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। ডান হাত বুকের বা পাশের উপর রেখে আলতো চাপ দিয়ে বললাম, ওরে এবার তো থাম পেয়েই তো গেছিস তোর প্রিয়শীকে এখন কেন এত জ্বালাচ্ছিস আমাকে? তখন মনে হচ্ছিল পৃথিবী জুড়ে সকল গাছপালা আলো বাতাস আমার খুশিতে তারাও খুশিত আনন্দিত। ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠে এক চিলতে তৃপ্তিময় হাসি। সূর্যের তীব্র রোদের রশ্মি চোখে মুখে এসে পরছে। সূর্যের আলো টাকেও আমার আজ বিষণ মিষ্টি লাগছে। ইচ্ছে করছে গায়ে মাখি। আনন্দে উল্লাসিত আমি তোমাকে যে পেয়ে গেছি আমি তুমি আমার একান্তই আমার শুধুই আমার, তোমায় ভালোবেসে পুড়েছি আমি সে পুড়ে যাওয়া হৃদয়ে তোমার নরম কোমল হাত দিয়ে মলম তো তোমাকেই লাগাতে হবে আমার রাগরাগিণী বর্ষা।

চলে এলাম তোমাকে রেখে আমার গন্তব্যে। বিশ্বাস করো সেদিন তোমাকে রেখে আসতে আমার বিষণ কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু আমার কিছুই করার ছিল না আমি আসবো তোমার সামনে তবে এখন নয় সঠিক সময় হলে। রোজ বিকেলে বকুল ফুলের মালা গাথতাম তোমাকে স্বরন করে। এখন তো আরও অধিক মালা গাথি। তোমাকে নিয়ে আমি অনেকগুলো ডায়েরি চিরকুট লিখে ফেলি রোজ লিখেছি। সময় হলে সব গুলো এক সাথে দিবো বলে। নিবে কি আমার ভালোবাসায় জমানো লিখা চিরকুট গুলো? যদি নাও তাহলে সবগুলো চিরকুট আমি উড়িয়ে দিবো খোলা আকাশে পায়রার ডানায় বেঁধে তুমি আলতো হাতে খুলে পরে নিও। কি নিবে গো আমার রাগরাগিণী? ‘

*

হাত আমার নিস্তেজ হয়ে আসছে। মনে হচ্ছে এখনই ধপ করে পরে যাবো। হা করে পাশ থেকে আমার চার বোন চিঠিটার দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টি ও রিমা কাল ফিরে এসেছে। হোস্টেলে দুই ঘন্টার কাজ ছিল তা মিটিয়ে আবার রাত দশটার দিকে বাড়িতে এসে পৌঁছিয়েছে। তারা জেনো এই অচেনা চিঠিবাজের প্রেমেই পরে গেছে। শেষের লাইন টুকু কি ভাবে বলল জেনো মনে হলো আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাঁটু গেঁড়ে একহাত আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল। আমার পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে। ভাবতেও পারছি না কেউ আমাকে এত ভালোবাসে তাও আবার দুই বছর ধরে।

বিছানা থেকে নেমে উঠে দাঁড়ালাম চোয়াল শক্ত করে রিয়া, রিমা, বৃষ্টির উদ্দেশ্য বললাম,’ নাহ! এবার আর বসে থাকা যাবে না। এইবার এই চিঠিবাজ টাকে আমার খুঁজে বের করতেই হবে। ভাবা যায় আজকেও আমার বইয়ের মধ্যে চিরকুট গুঁজে দিয়েছে। তাও আবার এত্তো বড়, কয় দিনে লিখেছে কে জানে? ‘ গালে হাত দিয়ে মেঝেতে বসে পরলাম।

#চলবে

(কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here