Devil_Cousin_Lover 8

0
1414

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
08.

দিহান ক্যান্টিনে বসে মোবাইল টিপছিল।দিয়া এসে হুঠ করে তার পাশের চেয়ারে বসে পড়ে।

“হাই দিহান.

দিহান জবাব দেয়না।এমনকি দিয়ার দিকে তাকায়ও না।

” ওই দিহান সাহেব।এতো ভাব নিচ্ছেন কেনো?আমার দিকে তাকাচ্ছেনও না।

“কিছু বলার থাকলে বলে যাও।না হয় ফুটো।

“আপনার মোবাইল টিপা বন্ধ করুন,তারপর বলছি।

দিহান মোবাইলটা টেবিলের উপর রেখে দেয়।

” আপনি এখানে একা কেনো?আপনার বন্ধুরা কোথায়?

“ওরা কাজে আছে।

” কী কাজ আমার ভালোই জানা আছে।গার্লফ্রেন্ড নিয়া ঘুরতেছে কোথাও।

“যেটাই হোক।গার্লফ্রেন্ড আছে ঘুরবে।তাতে তোমার কী?

” আমার কিছু হতে যাবো কেনো?আপনার জন্য আমার মায়া হয়।আপনি টেনশন করবেন না,আপনার জন্য আমি গার্লফ্রেন্ডের ব্যবস্থা করে দিবো।

“এই মেয়ে আমি কখন গার্লফ্রেন্ড এর জন্য টেনশন করলাম?বেশি কথা বলো তুমি?

” আচ্ছা আমাকে আপনার কেমন লাগে?আমাকে আপনার পছন্দ হয়?

দিয়ার এই কথা শুনা মাত্রই দিহান বিষম খেয়ে উঠে।এই মেয়ে বলে কী?ডিরেক্টলি তাকে জিজ্ঞাস করছে?লজা শরমের কোনো বালাই এই মেয়ের নাই দেখছি।

“বিষম খেলে চলবে না?বলেন না,কেমন লাগে আমাকে,আপনার?

“আমার কাজ আছে,আমি উঠি।

” ওই বলে যান।

দিহান দাঁড়ায় না।হেটে তাড়াতাড়ি ক্যান্টিন ত্যাগ করে।দিহানের কান্ড দেখে দিয়া হেসে দেয়।

“মামা সিঙারা দিয়েন তো।

“আমি জাস্ট ফ্রেন্ড হতে চাইছি।আর আমাকে ইগ্নোর করে,আমার সাথে কথা বলতে অনীহা করে,এখন সবার সামনে এই ছেলেকে জড়িয়ে ধরে।এ-ই মেয়েকে বুঝাবো এই জিসান কী জিনিস।(রেগে)

দিয়া সিনহাকে খুঁজতেছে বাসায় যাওয়ার জন্য।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না।

“এই মেয়েটা গেলো কোথায়?ফোনও নেই যে কল করে জানবো।

দিয়া খুঁজতে খুঁজতে এক জায়গায় সিনহাকে পেয়ে গেলো।সিনহা তার ভাইয়ের সাথেই আছে।দিয়া তাড়াতাড়ি হেটে তার ভাইয়ের কাছে আসে।

” কীরে ভাইয়া?তুই সিনহারে নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছিস।আর আমি সিনহাকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গেলাম।

“কেনো খুঁজতেছিলি?

” গাধা নাকি তুই ভাইয়া?কয়টা বাজে?বাসায় যাবো না?

“যা সিনহা বাসায় যা।

” তুই যাবিনা বাসায়?

“যাবো পরে,তোরা যা।

” আচ্ছা চল সিনহা।আমরা যাই।

দিহান,ইমরানের কাছে এসে দাঁড়ায়।

“কীরে দিহান?আয়ান কই?

” কোথায় আবার,তার ব্রেকআপওয়ালীর সাথে।

“চল একটু মার্কেটে যাবো।

” হঠাৎ মার্কেটে কেনো?

“গেলে দেখতে পারবি।

” আচ্ছা চল।

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

ইমরান বাসায় এসে নিজের রুমে না গিয়ে সোজা সিনহার রুমে চলে আসে।
সিনহা তখন ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসে চুপ আছড়াচ্ছিল।ইমরান শব্দ না করে,দেওয়ালে হেলান দিয়ে সিনহাকে দেখে যাচ্ছে।

হঠাৎ আয়নার ভিতর তাকে ছাড়াও অন্য কারো প্রতিবিম্ব দেখে,সিনহা দাঁড়িয়ে পিছনে তাকায়।

“ভাইয়া তুই?কখন আসলি?

” এইত মাত্রই এলাম।গোছল করে আসলি মনে হয়।

“হুম।

” চুল গুলো ঠিকমতো মুছে নিস।পানি পড়ছে।

“আচ্ছা।আর কিছু বলবি?

” এই নে।এগুলো তোর জন্য।

ইমরান,সিনহার দিকে একটা প্যাকেট বাড়িয়ে দেয়।

“কী আছে এইখানে?

” খুলে দেখ।

সিনহা,ইমরানের হাত থেকে প্যাকেট টা নিয়ে,খুলে দেখে।সিনহা প্যাকেটটা খুলে অবাক হয়।একটা মোবাইল সেট,আর একজোড়া নূপুর।

“ভাইয়া এইসব কেনো?

” কলেজে পড়িস,মোবাইল তো লাগবেই।আর নূপুর জোড়া পছন্দ হয়েছে,তাই তোর জন্য নিয়ে নিলাম।

“কী দরকার ছিল এইসবের।

” দরকার আছে দেখেই তো কিনে আনলাম।

সিনহা,ইমরানকে কিছু বলতে গেলে,ইমরান থামিয়ে দেয়।

“উহু আর কিছু বলতে হবেনা।আমি শুনতেও চাই না।সবকিছু সেট করে দেওয়া আছে।মোবাইল খুলবি আর ব্যবহার করা শুরু করবি।
আসি।

ইমরান রুম থেকে বের হতে যায়।হঠাৎ কিছু মনে পড়ায়,থেমে সিনহার দিকে তাকায়,

” আবার এই ফোন দিয়ে কারো সাথে প্রেমালাপ করিস না।নাহলে খুন করে ফেলবো।

সিনহার থেকে জবাবের আশা না করেই ইমরান দ্রুত রুম থেকে বের হতে যায়।

“ভাইয়ায়া..

সিনহার ডাকে ইমরান থেমে পিছনে তাকায়।সিনহা দৌড়ে এসে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে।

” ধন্যবাদ,ভাইয়া..

ইমরান মুচকি হাসে।পরক্ষনে নিজেকে সামলে নিয়ে সিনহাকে বুক থেকে উঠিয়ে গালে একটা থাপ্পড় মারে।

“হুঠহাঠ এভাবে জড়িয়ে ধরিস কেনো,নির্লজ্জ মেয়ে একটা।দিবো কষিয়ে আরেকটা থাপ্পড়।আর হ্যাঁ যতদিন না তোর মুখ থেকে ভাইয়া ডাক বন্ধ হবে,ততদিন তুই আমার হাত দিয়ে শুধু থাপ্পড়ই খেতে থাকবি।গাধী একটা,সর।

ইমরান সিনহাকে সরিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।

” তোকে তো আমি আজীবন ভাইয়াই ডাকব,গাধা একটা।জড়িয়ে ধরলাম,কোথায় নিজে জড়িয়ে ধরবে,তা না করে থাপ্পড় মারল,ছাগল একটা।তোকে আর জড়িয়েই ধরব না হু,ডেভিল একটা।

চাচা গালে হাত দিয়ে বসে আছেন।তিনি আজকে কী সুন্দর একটা ভিডিও করছিলেন।কী সুন্দর ভাবে তার ভাতিজাকে শায়েস্তা করতেছিলেন।কিন্তু শেষে হলোটা কী?

“কোনো রাম ছাগল যে আমারে ধাক্কা দিলো?আর ওই মাইয়ার কী লজ্জা শরম কিছু নাই নাকী?এভাবে সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরতে হইবে?বেয়াদ্দব মাইয়া,মান ইজ্জতের বারোটা বাজাই দিছিল।

ইমরান এসে ধপাস করে,চাচার পাশে ঘা ঘেঁষে বসে পড়ে।চাচা,তার ভাতিজাকে দেখে ঘুরে বসলেন।তিনি ঠিক করলেন,তার ভাতিজার সাথে আজ কোনো কথাই বলবেন না।সোহাগী বেগম জড়িয়ে ধরে,তার কাছে মাফ চাইলেও, বলবে না।সোহাগী বেগম তখন বুঝবে আমি কী জিনিস?

চলবে…

(চাচা বসে বসে কী ভাবছে,সোহাগী বেগম নাকী তার কাছে মাফ চাইবে,এগ্লা ভাবা যায়।)

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here