#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
07.
চাচা কলেজ গেইটের সামনে দিয়ে কোনো কাজে যাচ্ছিল।চাচার ভাতিজি,ভাতিজারা এই কলেজে পড়ে।তাই চাচা ভাবলো যাইয়া একটু দেখা করে আসি।
কিন্তু চাচা কলেজ মাঠে ঢুকে তার ভাতিজার এমন জড়াজড়ি দেখবে,সেটা হয়তো ভাবেনি।চাচা এই দৃশ্য দেখে মনে মনে হেব্বি খুশি।তার ভাতিজাকে জব্দ করার মতো একটা হাতিয়ার সে পেয়ে গেলো।চাচা তার পকেট থেকে ফোনটা বের করে,ভিডিও ক্যামেরা অন করে,ভাতিজার দিকে এগিয়ে আসে।
”
ইমরান এখনো হা হয়ে আছে।পরক্ষনে নিজেকে সামলে নিয়ে,সিনহাকে বুক থেকে উঠায়।
“সিনহা কী হয়েছে?কোনো সমস্যা?
সিনহা কিছু বলার আগে একটা মেয়ে এসে ইমরানকে বলল,
” ভাইয়া,এই মেয়েটা কে?কোথায় থেকে এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরল।ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে দিতে পারেন না।
মেয়েটির কথা শুনে সিনহা রেগে ফায়ার।তার সম্পত্তি সে জড়িয়ে ধরবে নাকি চুমু খাবে,এই মেয়ে বলার কে?ইমরান জবাব দিবে,তার আগে হাত দেখিয়ে সিনহা ইমরানকে থামিয়ে দেয়।
“ওই আমি জড়িয়ে ধরি নাকি চুমু খাই,তুই বলার কে?তুই কে রে,যে ওকে আমাকে থাপ্পড় দিতে বলিস?বেশি কথা বললে না এখন জড়িয়ে ধরে চুমুও খেয়ে নিবো।
সিনহার কথা শুনে ইমরান বড়ধরনের একটা বিষম খায়।ইমরান আজকে এইসব কী দেখছে।সিনহা তাকে জড়িয়ে ধরছে।চুমু খাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।আজকে সে কোন সিনহাকে দেখছে।সিনহা পাগল-টাগল হয়ে যায়নি তো।
অন্যদিকে সিনহার বান্ধুবী ইশা ও নিশা একে অন্যের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে।
” কীরে এইসব হচ্ছেটা কী?এই মেয়েতো রীতিমত ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে।
“ঘটনার উৎপত্তি যে এখান থেকে,যদি ওরা জানে,আমাদের রেহান নেই আজকে।
”
সিনহা,আর মেয়েটা এখনো ঝগড়া করে চলেছে।
” ওই তোমরা দুজনে থামবে?(ধমক দিয়ে)
সিনহা,মেয়েটা দুজনে চুপ মেরে যায়।
“ভাইয়া,এই মেয়ে এরকম করছে কেনো?তোকে জড়িয়ে ধরছি,ওর ফাটছে কেনো?বল ওর সাথে তোর কী সম্পর্ক?
” আয়ান তুই এখনো,দাঁড়িয়ে মজা না দেখে,তোর ব্রেকাপওয়ালীকে নিয়ে এখান থেকে হুঠ।
আয়ান,আয়রার(মেয়েটি)হাত চেপে ধরতে গেলে,আয়রা বাধা দেয়।
“ওই একদম আমার হাত ধরবে না।হাত ধরলে এক্ষুনি ব্রেকআপ করে ফেলব।
” ব্রেকআপ পরে করবা,আগে আসো তো।
আয়ান,আয়রার হাত টেনে ধরে নিয়ে যায়।
দিহানও আর দাঁড়িয়ে থাকেনা,চলে যায়।
ইমরান এবার,সিনহার দিকে তাকায়।
“কী হয়েছে,আজকে তোর?এরকম ব্যবহার করছিস কেনো?
” তুই আগে বল,এই মেয়েটা কে?তোকে জড়িয়ে ধরেছি বলে,ও আমার সাথে এরকম করছে কেনো?
“তুই আগে বল,আমাকে জড়িয়ে ধরেছিস কেনো?
” আমার ইচ্ছে করছিল,তাই জড়িয়ে ধরেছি(সিনহা লজ্জার ভান করে,দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলে)
“সিনহা তোর ব্যবহার আজকে আমার সুবিধার মনে হচ্ছে না।
” তোদের ব্যবহারও আজকে আমার কাছে সুবিধার মনে হচ্ছে না।
সিনহা,ইমরান দুজনে তাকিয়ে দেখে,চাচা দাঁড়িয়ে,কথাটি তাদের দিকে ছুঁড়ে দিলো।
সিনহা চাচাকে দেখে ভয়ে এক ঢোক গিলল।
“চাচা আপনি?
” হ অনেকক্ষন থেকে তোদের রঙ তামাশা দেখতেছি।আর পারতেছিলাম না।তাই এবার আমার খেল দেখাইতে চলে এলাম।
“ওও চাচা তোমার খেল তোমার কাছে রাখো।ওইসব দেখার সময় আমার কাছে নাই।
” ভাব নিও না ভাতিজা।মোবাইলে ভিডিও আছে।
“চাচা কীসের ভিডিও?
“মনে করছিলাম অন্য কোনো মাইয়া ইমরানরে জড়িয়ে ধরছে,তাই মোবাইলে ভিডিও করলাম।এখন দেখি তুই?থাক কোনো সমস্যা হইবে না।তোর চেহার উপর ব্লার করে দিবো।তোকে ছিনা যাইবো না।
এই ইমরান আমারে অনেক জ্বালান জ্বালাইছে।আজকে ওর বাগে পাইছি।আজকে আর ওরে ছাড়ছিনা।
” চাচা আপনি ভিডিও করলেন??
“ইয়া ভাতিজা?
“লেখকঃইমতিহান ইমরান।
“তোর সাথে ব্রেকআপ।আজকে পর থেকে আমার সাথে কোনো কথা বলবি না।
” আরে জান,সবকিছু শুনবা তো।তারপর না হয়,তোমার আজাইরা ব্রেকআপ করিও।
“কী আমি আজাইরা ব্রেকআপ করি।যা আজকে সত্যি সত্যি তোর সাথে ব্রেকআপ।
আয়ান,এবার হুট করেই আয়রার কোমড় চেপে ধরে,আয়রাকে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।এমন হঠাৎ আক্রমনে আয়রা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।
” এই মেয়ে একদম চুপ।কীসের ব্রেকআপ হ্যাঁ।একদম মেরে ফেলবো,ছিনো আমাকে?এই আয়ানের কাছ থেকে কোনো রেহাই নেই তোমার,বুঝলে।
আয়রা,ছুটার জন্য মুছড়ামুছড়ি করছে।
আয়ান হুঠ করে আয়রার চুলের মুঠি চেপে ধরে,আয়রার ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে আসে।
”
চাচা খুশিমনে কলেজ গেইট দিয়ে বেরুচ্ছে।আজকে ভালোই শায়েস্তা করেছে,তার ভাতিজাকে।এভাবে এই ভিডিও দিয়ে ভাতিজাকে শুধু শায়েস্তাই করে যাবে।
হঠাৎ করে পিছন থেকে কারো ধাক্কায়,চাচা একটা মেয়ের উপর এসে পড়ে,ধপাস করে মাটিতে পড়ে যায়।চাচা মাটিতে,মেয়েটা চাচার উপর।
“ওও চাচা,হোয়াট এ্যা রোমান্টিক সিন!!
চাচা তাকিয়ে দেখে,তার ভাতিজা মোবাইল নিয়ে ভিডিও করছে,চাচা তাড়াতাড়ি করে মাটি থেকে উঠে পড়ে।
“চাচা,এই ভিডিও সোহাগী বেগম যদি দেখে…☺
” বুঝতে পারছি ভাতিজা?তোমারে আর কিছু বলতে হবেনা।
চাচা নিজের মোবাইলটা হাতে নিয়ে মেবাইলের দিকে তাকিয়ে বলে,
“এই ভিডিও রেখে কী লাভ???
চলবে…
~ইমতিহান ইমরান
