Devil_Cousin_Lover 36

0
1231

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
36.

“চাচা আর কতোক্ষন এভাবে অন্য মহিলার কোলে বসে থাকবা।এবার তো একটু তোমার সোহাগী বেগমের দিকে তাকাও।

দিহানের কথা শুনে চাচা মাথা বামদিকে ঘুরিয়ে চাচীর দিকে তাকায়।
চাচীর মুখের বর্ণমালা দেখে চাচা শঠাং করে দাঁড়িয়ে পড়ে।

“ভাতিজা আমি বাস থেকে নাইমা যাই।আমি যাবো না,যেতে ইচ্ছে করছে না।

” চাচা তোমার মাথায় কী সমস্যা? কী বলছো কী?

দিহান ইমরানের দিকে তাকিয়ে বলে,

“দোস্ত চাচা,চাচীর ভয়ে যেতে চাচ্ছে না।

” আমি কিছু বলব না,নামতে হবে না বাস থেকে।

“সত্যি।

” সত্যি।

চাচা এসে সোহাগী বেগমের পাশের সিটে এসে বসে পড়ে।আর মনে মনে বলছে,সোহাগী বেগম এতো ভালো হইলো কেমতে?

ইমরান এবার দিহানকে উদ্দেশ্যে করে বলে,

“তুই ওই সিটে বসলি কেনো?পিছনে যা।শুধু মেয়েদের সাথে বসতে ইচ্ছে করছে?

“তুই মেয়ে পাইলি কই?এটা তো দিয়া।

“তো দিয়া কী ছেলে নাকী?

“আমারে বলস।তুইও তো মেয়ের সাথে বসেছিস।

” আমি আমার বউয়ের সাথে বসেছি।

“আমিও আমার বউয়ের সাথে বসেছি।

” কী বললি?

দিহান থতমত খেয়ে যায়।কী বলে ফেললো এইটা?

“না মানে আমি আমার বোনের সাথে বসেছি।তোর বোন তো আমার’ই বোন।

” তাইলে ঠিক আছে।

দিহানের কথা শুনে দিয়া,দিহানের পিঠে জোরে একটা চিমটি দেয়।

“আউচ..

” আমি তোর বোন নাহ,ওকে।বউ টা’ই ঠিক আছে।(ফিসফিস করে}

“সিনহা ঘুম পাচ্ছে?

“হু।

” আমার কাধে মাথা দিয়ে ঘুমাও।

“যদি পড়ে যাই।

” পড়তে দিবো না।

সিনহা হেসে নিজের দুই হাত দিয়ে ইমরানের এক হাত জড়িয়ে ধরে ইমরানের কাধে মাথা দেয়।ইমরান সিনহার মাথায় ছোট্ট করে চুমু খায়।
সিনহার দুই চোখ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসে।


ভোরবেলা বাস কক্সবাজারে এসে থামে।
যে যার যার মতো হোটেলে বুকিং করা রুমগুলোতে চলে যায়।সবাই রুমে গিয়ে একদফা ঘুম দেয়।


সবাই একসাথ হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে বসে।
একে অন্যের সাথে আলোচনা করছে, আজকে দিনটায় ঘোরাঘুরি নিয়ে।

“চাচা এইটা কী??

” কোনটা কী?

“তুমি এইখানেও লুঙী পড়েছো।এখন আবার লুঙী পড়ে ঘুরতে বের হয়েছো।

” তো কী হয়েছে?লুঙী পড়ার মজা তোরা কী বুঝবি?
ভাতিজার দল।

“চাচা এখানেও যদি লুঙী খুলে পড়ে যায়।

” আমার লুঙী পড়লে পড়বে।তোদের তো পড়বে,তাই চাপ নিস নাহ।

“আচ্ছা।?

সিনহা,ইমরান হাত ধরে হাটতে হাটতে সমুদ্র সৈকতে চলে আসে।দিয়া,দিহান একসাথে হাটছে,তবে কিছুটা দুরুত্ব রেখে।

দিয়া,দিহান চুপচাপ হাটছে।দিয়া চোখ বন্ধ করে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ শুনছে।শুনতে খুব ভালোই লাগছে।

“দিয়া চোখ খুলো।

দিহানের কন্ঠ শুনে দিয়া চোখ খুলে সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে যায়।দিহান তার সামনে হাটু গেড়ে বসে আছে।

“দিয়া আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিছু বলতে পারব না।আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার পাগলামীর প্রেমে পড়ে গেছি আমি।আমি তোমাকে চাই।আমার সঙী,সাথী হিসেবে আমি শুধু তোমাকে চাই।I Love U Diya.Will You Love Me.

দিয়া চুপ করে থাকে।কিছু বলছে না।দিহান দিয়াকে চুপ করে থাকতে দেখে,উঠে চলে যায়।

” ওই দিহাইন্না কই যাও।ভালোবাসি তো।

দিহান,দিয়ার দিকে ফিরলে দিয়া দৌড়ে এসে দিহানের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে।


লেখকঃইমতিহান ইমরান।

“ওই আমি আর হাটতে পারছি না।

” কেনো?তোর পায়ে আবার কী হলো?

“আমি জানি না।

“তাহলে চল রুমে ফিরে যায়।

” না,আমি তোর কোলে উঠব।

“কীই?এখানে এই সবার সামনে।

” সবার সামনে হলে কী হয়েছে?তুই কী অন্য কাউকে কোলে নিচ্ছিস নাকী? তুই তো তোর বউকেই কোলে নিচ্ছিস।

“আচ্ছা।পিচ্চি বউকে কোলে নেওয়ায় যায়।

ইমরান এই কথা বলে সিনহাকে কোলে তুলে নিলো।সিনহা দুই হাত দিয়ে ইমরানের গলা জড়িয়ে ধরল।ইমরান সিনহাকে কোলে নিয়েই বীচে হাটছে।সবাই উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে সিনহা ইমরানকে দেখছে।বিভিন্ন জনে বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করছে।

” ঢং, যেনো শুধু নিজের বউ আছে অন্য কারো বউ নেই।

“হাই সুইট কাপল।

কেউ কেউ এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে নিচ্ছে।ইমরান হাটতে হাটতে চাচার নিকটে চলে আসে।চাচা তো,সিনহাকে কোলে নিয়ে ইমরানকে হাটতে দেখে হা হয়ে যায়।চাচা মনে করছে ইমরান সিনহা,চাচাকে খেয়াল করেনি।তাই চাচা কাশি দিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে।

” কী সমস্যা চাচা,এভাবে কাশি দিচ্ছো কেনো?যক্ষা নাকী?

“তোদের কান্ডকারখানা দেখলে আমার এমনিতেই উড়াধুরা যক্ষা শুরু হয়ে যায়।কাশি দিচ্ছি যেনো আমাকে খেয়াল করে,সিনহাকে কোল থেকে নামিয়ে দিস।কিন্তু না তোদের তো দুইটার’ই লজ্জা শরম কিচ্ছু নাই।আর সিনহা কী বাচ্চা এভাবে কোলে নেহা ধেই ধেই করে হাটতেছিস কেনো?চাচার সাম্নেও কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছিস।

” আমার বউকে নিয়ে আমি হাটবো,তোমার সমস্যা কী?
হিংসা হয় তোমার?তোমার সামনে আবার কীসের লজ্জা?চাচা ভাতিজা যেখানে লজ্জা শরম নাই সেখানে।

“চাচা তুমি আমার জামাইকে এইসব না বলে,যাও তো তোমার সোহাগী বেগমের কাছে যাও।

” বেশরম ভাতিজা ভাতিজি আমার।থাকব না এইখানে।

চাচা নিজে নিজে বকতে বকতে চলে গেলো।
সারাদিন ঘোরাঘুরির পর সবাই হোটেলে ফিরে ডিনার করে,যে যার যার রুমে চলে যায়।

সিনহা আয়নার সামনে বসে হালকা সাজুগুজু করছে।ইমরান দেওয়ালে হেলান দিয়ে সিনহাকে দেখছে।সিনহা আয়নার ভিতরে দিয়ে ইমরানকে ইশারা দিয়ে কাছে ডাকে।সিনহা উঠে দাঁড়ায়।ইমরান সিনহার কাছে এলে, সিনহা ইমরানের সামনে হাটু গেড়ে বসে,একটা গোলাপের ফুলের তোড়া ইমরানের দিকে বাড়িয়ে দেয়।

“আমি তোমাকে ভালোবাসি ইমরান।

চলবে….

~ইমতিহান ইমরান।

~এবার মনে হচ্ছে ভাইয়া ডাকা বন্ধ হবে।।

” গ্রুপে জয়েন করুন,প্লিজ।??
https://www.facebook.com/groups/302357397533873/?ref=share

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here