Devil_Cousin_Lover 35

0
1158

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
35.

সিনহার পরীক্ষা শেষ।সবগুলো পরীক্ষায় তার ভালো হয়েছে।সে মনে মনে ভাবছে কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া তার এখন সময়ের ব্যাপার।

রাতে ডিনারের সময়,

“বাবা একটা কথা বলতাম?

” হুম বলো।

“সিনহা-দিয়ার তো এক্সাম শেষ।আমি চাচ্ছি ওদেরকে নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসতে।

“হুম সে তো ভালো কথা।তা কখন যেতে চাও।

” কালকেই রওনা দিতে চাই।

সিনহা অবাক হয়ে ইমরানের দিকে তাকিয়ে আছে।কালকে রওনা দিবে মানে?ওর তো মাত্র এক্সাম শেষ হয়েছে।আর ইমরান তো বলছিল রেজাল্ট ভালো হলেই নিয়ে যাবে।

“আচ্ছা যাও।ঘুরে আসো।

খাওয়া শেষে সিনহা ইমরান রুমে চলে আসে।রুমে আসা মাত্রই সিনহা ইমরানকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।

” কীরে তুই তো বলেছিলি,রেজাল্ট ভালো হলে ঘুরতে নিয়ে যাবি?

“রেজাল্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।আমি জানি তুই ভালো রেজাল্ট করবি।

” ওয়াও কতো কনফিডেন্স আমার প্রতি।

“জি।তুই খুশি হয়েছিস?

” হুম অনেক খুশি হয়েছে।আমার তো আজকে উত্তেজনায় ঘুম’ই আসবে না।

“আমি তোকে সবসময় খুশি রাখতে চাই।কিন্তু তুই তো আমাকে খুশি রাখতে চাস না।

” কে বললো?আমিও তোকে সবসময় খুশি রাখতে চাই।

“কিন্তু রাখিস না তো।

” কেনো?আমি আবার কী করলাম?

“এই যে বিয়ে হয়েছে এক বছর হতে চলল।কিন্তু এখনো তোর মুখ থেকে তুমি ডাকটা,নিজের নামটা শুনতে পারলাম না।

” ইশ শখ কতো।এইটা এই জন্মে মনে হয়না আর শুনতে পারবি।

“হুম আমারও মনে হয়,এই জন্মে মনে হয়না তুই আমাকে খুশি রাখতে পারবি।

সিনহা এগিয়ে এসে ইমরানের টিশার্টের কলার চেপে ধরে।ইমরানের পায়ের উপর নিজের পায়ের ভর দিয়ে, পা উঁচু করে ইমরানের মুখটা নিজের মুখ বরাবর নিয়ে আসে।ইমরান অবাক চোখে হা করে তাকিয়ে সিনহার কর্মকান্ড বোঝার চেষ্টা করছে।

” তোকে আমি খুশি রাখতে পারবো। এবং রাখবো।

সিনহা এই কথা বলে ইমরানের ঠোঁটজোড়ার সাথে নিজের ঠোঁট জোড়ার যতটুকু দূরুত্ব ছিল তা গুছিয়ে দেয়।

ইমরানের হাতজোড়া সিনহার কোমড়ে চলে যায়।সিনহা ইমরানের শার্টের কলার শক্ত করে চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে তার ডেভিলের ঠোঁটে ভালোবাসা দিয়ে যাচ্ছে।

“ভাইয়া..

দিয়ার কণ্ঠ শুনে সিনহা,ইমরানের হুশ আসে।দুজনে একে অপরকে ছেড়ে দাঁড়ায়।

” ভাইয়া,ঘুমাইয়া গেলি নাকি?

“না ভিতরে আয়।

দিয়া রুমের ভিতরে প্রবেশ করে।

” কীরে দুজনেই তো দাঁড়িয়ে আছস? তাহলে এতোবার ডাকতে হলো কেনো?

“তুই এখন কী দরকারে আসলি,সেটা বল।

“আমরা কী কালকে সত্যি সত্যি কক্সবাজার যাচ্ছি।

” হুম সত্যি সত্যি যাচ্ছি।

“ভাইয়া তোদের দুজনের মধ্যে কাবাব মে হাড্ডি হতে আমাকে কেনো নিচ্ছিস?

” তুই কেনো কাবাব মে হাড্ডি হতে যাবি।

“তোরা দুজনে একসাথে ঘুরবি, একসাথে থাকবি।আমি একা একা কী করবো?

“একা কেনো ঘুরবো?তোকে নিয়েও ঘুরবো।

“আমাকে নিয়ে তোদের ঘুরতে হবেনা।তারচেয়ে ভালো তোর বন্ধুদেরও আমাদের সাথে নিয়ে চল।

“তাহলে এই ব্যাপার।

“অন্য কিছু মিন করছিস কেনো?

” কই অন্যকিছু মিন করলাম।আচ্ছা ওরা যদি না যেতে চায়?

“তুই জোর করে বলে নিয়ে যাবি। নাহলে আমি যাবো না,হু।

দিয়া এই কথা বলে হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে যায়।

” ভাইয়া চল চাচা চাচী,মা বাবাকেও সাথে নিয়ে যাই,খুব মজা হবে সবাইকে একসাথে নিয়ে গেলে।

“ভালো বলেছিস।তবে সবাই কী যাবে?

” বলে তো দেখ।

“ওকে কাল সকালে বলব।

ইমরান প্রতিদিনের মতো সিনহাকে বুকে নিয়ে ঘুমাতে গেলে সিনহা বাধা দেয়।

” কী হলো?

“টিশার্ট খোল।তোর টিশার্টকে আমার সহ্য হয়না।

“এটা কেমন কথা?

” এটাই কথা।খোল।

সিনহা ইমরানের টিশার্ট খোলার জন্য টানাটানি শুরু করে দিয়েছে।

“আরে ওয়েট খুলছি তো।

ইমরান নিজের টিশার্ট খুলে নেয়।

” এবার তোর জামাটা খোল।

“কীইই?লুচু অসভ্য একটা।

” যাক বাবা আমারটা খুলতে পারিস। আর আমি বললে লুচু অসভ্য হয়ে গেলাম।

“হুম লুচুই তো।আর একবার জামা খুলতে বললে তোর বুকে কয়েকটা ঘুষি বসিয়ে দিবো।

” আচ্ছা এখন না খুললেও চলবে।কক্সবাজার যাই সব আমি নিজেই খুলে ফেলবো।

সিনহা ইমরানের কথা শুনে বুকে দুইটা ঘুষি দিয়ে,ইমরান হেসে সিনহাকে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে।সিনহা ছোট্ট করে ইমরানের নগ্ন বুকে চুমু খায়। ইমরান হেসে দেয়।

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট করছে।

“বাবা আমরা ঠিক করেছি ফ্যামিলি টূর দিবো।সবাই একসাথে কক্সবাজার যাবো।

” কিন্তু আমি তো যেতে পারবো না। অফিসে ইম্পটেন্ট কাজ আছে আমার।
তোরা যা,তোদের চাচা-চাচীকে নিয়ে।

“কী চাচা-চাচী যাবে তো তোমরা?

” আবার জিগায়।

রাতে সিনহা ইমরান রেডি হচ্ছে।রাতের বাসে করে তারা কক্সবাজার যাবে।

“ওই এইটা কী শার্ট পড়ছিস?তোর না নীল পছন্দ?

” হুম তো এই শার্টে কী সমস্যা?

“আমি নীল জামা পড়েছি,দেখস না।আমার সাথে ম্যাচিং করে পড়।থাক তোকে কষ্ট করতে হবে না,আমিই পড়িয়ে দিচ্ছি।

সিনহা ড্রয়ার থেকে একটা নীল শার্ট বের করে ইমরানকে পড়িয়ে দিচ্ছে।সিনহা ইমরানের শার্টের বোতাম লাগিয়ে দিচ্ছে।আর ইমরান সিনহার কোমড়ে হাত দিয়ে সিনহার দিকে তাকিয়ে আছে।

সবাই বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে।নির্ধারিত সময়ে বাস চলে আসলে এক এক করে সবাই বাসে উঠে পড়ে।সবার শেষে চাচা উঠে।চাচা তাড়াতাড়ি উঠতে গিয়ে বাসের নিচের সিড়ির গুলোর সাথে উষ্টা খেয়ে সামনের সিটে বসা সুন্দরী মহিলাটার কোলের উপর এসে বসে পড়ে।

দিহান বাম পাশের সিটে বসেছিল। চাচাকে এভাবে মহিলার কোলে বসতে দেখে হা হয়ে যায়।সে নিজের পিছনের সিটে তাকায়,দেখে চাচী কালনাগিনীর মতে রাগে ফোঁসফোঁস করছে।

“হায়!হায়! খাইছে দজ্জাল চাচী তো আজকে চাচারে শেষ….

চলবে…

~ইমতিহান ইমরান।

কক্সবাজারে রোমান্টিক কিছু হয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে।
সামান্য বিনোদনের জন্য চাচাকেও সাথে নেওয়া হচ্ছে☺️।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here