Devil_Cousin_Lover 5

0
1623

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
05.

সিনহা চলে যেতে নিলে,ইমরান সিনহার ওড়না টেনে ধরে,সিনহাকে আটকায়।

“আমার মুখ মুছে দিবে কে?

“??

” মুখ এরকম না করে,আমার মুখ মুছে দে তাড়াতাড়ি।

“পারবো না।আমাকে কী তোর বউ পাইছস নাকী যে আমাকে দিয়ে তোর সব করাবি।

” বউ পাইছি নাকী পামু,সেটা সামনে দেখতে পারবি।এখন কথা না বাড়িয়ে লক্ষী মেয়ের মতো আমার মুখখানা মুছে দেও।

“যদি মুছে না দেয়।

” অনেক খারাপ কিছুই করতে পারি।হাত টা ভেঙে ফেলি।

“তুই সবসময় আমাকে ইমোশনাল ব্লেকমেইল করস।এটা ঠিক না?

সিনহা,নিজের ওড়না দিয়ে ইমরানের মুখ মুছে দিতে,খেয়াল করে ইমরান তার বুকের দিকে তাকিয়ে আছে।

সিনহা তাড়াতাড়ি মুখ মুছে,উঠে দাঁড়ায়।

” তুই একটা লুচু পোলা।

“আমি কী করলাম?

” এভাবে তাকিয়ে ছিলি কেনো?

“কোথায় তাকালাম?আমি তাকাবো নাতো কী চোখ বন্ধ করে থাকবো?

” তুই একটা অসহ্য।

সিনহা হনহন করে হেটে রুম থেকে বের হতে নিলে,কারো সাথে ধাক্কা খায়।
থালে থাকা সব ময়লা পানি পড়ে তার উপর।

“ও আল্লাহ রে,কোমড় টা ভেঙে গেলো গো।

ইমরান কারো চিৎকার শুনে বাইরে বের হয়ে দেখা চাচা,সিনহা দুজনে মেঝেতে পড়ে আসে।চাচার মাথা থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে।
ইমরান চাচার এই অবস্থা দেখে হেসে দেয়।ইমরান চাচাকে ধরে উপরে উঠায়।

” সরি চাচা,আমি খেয়াল করি না,আপনি ভিতরে আসছেন।

“যা সিনহা তুই তোর কাজে যা।

ইমরান চাচার দিকে তাকিয়ে হাসতে আছে।

” চাচা তোমাকে দারুন দেখাচ্ছে,এই ময়লা পানিতে।

“তাই না।চাচ হুঠ করে দুই হাত দিয়ে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে যতটুকু ময়লা পানি ইমরানের গায়ে লাগানো যায়,ততটাই লাগাচ্ছে।

চাচার এমন কাজে ইমরানের হাসি থেমে যায়।সে চাচার কাছ থেকে ছুটার জন্য জোড়াজুড়ি করছে।চাচার কাজ শেষে,চাচা ইমরানকে ছেড়ে দেয়।

” এবার চলো চাচা ভাতিজা দুজনে গোছল করে আসি।(হেসে)

ইমরান রেগে সোহাগী বেগম বলে এক চিৎকার দেয়।ইমরানের মুখে সোহাগী বেগমের নাম শুনে চাচা উধাও হয়ে যায়।


বিকালবেলা সিনহা,ইমরানের রুমে এসে দেখে,ইমরান এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।সিনহা বিছানার কাছে এসে ইমরানকে ডাক দেয়।

“ভাইয়া উঠ।ওই ভাইয়া।

ইমরানের কোনো সাড়াশব্দ নেই।এবার সিনহা জোরে এক চিৎকার দেয়।

” ভাইয়ায়ায়া..

ইমরান ধপড়িয়ে উঠে বিছানা থেকে পড়ে যায়।তা দেখে সিনহা হাসতে হাসতে লুটিপুটি খায়।

“কে কে?

সিনহা তখনো হাসতেছিল।সিনহার হাসির শব্দে ইমরানের ঘুমের রেশ পুরোপুরি কেটে যায়।সে বুঝতে চাচ্ছে,তার সাথে সিনহা কী করলো?

ইমরান নিচ থেকে উঠে,সিনহার সামনে চলে আসে।এভাবে হঠাৎ করে ইমরান সামনে চলে আসায়,সিনহার হাসি সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়।সে কিছুটা পিছনে চলে আসে।

” তোর হাসিটা অনেক সুন্দর।কিন্তু এখন তোর হাসিটা আমার কাছে বাজে লাগছে।এভাবে চিৎকার করলি কেনো?বল।

“তুই উঠতে ছিলি না।আমি আর কী করতাম?তাই জোরে ডাক দিলাম।

” খুব ভুল করে ফেলেছিস,এইজন্য এখন তোকে শাস্তি পেতে হবে।

ইমরান এক পা এক পা করে সিনহার দিকে এগিয়ে আসছে।সিনহা ভয়ে এক ঢোক গিলে,পিছনে হটতে লাগল।

“ক কী কিসের শাস্তি?আমি যাই।

সিনহা চলে যেতে নিলে।ইমরান সিনহার হাত ধরে,সিনহাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে,সিনহার মুখের দিকে নিজের মুখ নিয়ে আসে।সিনহা ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে পেলে।

” লেখকঃইমতিহান ইমরান।

ইমরান কিছুক্ষণ সিনহার মুখের দিকে তাকিয়ে,সিনহাকে ছেড়ে দেয়।সিনহা ছাড়া পাওয়া মাত্রই এক দৌড়ে পালালো।
ইমরান হেসে,সিনহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

দিশা তার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র পত্র কিনতে শপিংমলে এসেছে।শপিংমলে দিহানকে দেখে,দিশা হেসে ডাক দেয়।

” ওই দিহাইন্না।

কারো মুখে নিজের নাম শুনে দিহান,সেইদিকে তাকায়।তাকিয়ে দেখে দিশা।দিহান,দিশার দিকে এগিয়ে আসে।

“এই মেয়ে আমি তোমার ভাইয়ের বন্ধু,তোমার না।যে নাম ধরে ডাকবে।আর দিহাইন্না কী,হ্যাঁ>

“তো কী বলে ডাকবো আপনাকে?

” ভাইয়া বলে ডাকবা।

“ইশ আইছে,আমি ওইসব ভাইয়া টাইয়া ডাকতে পারবো না।আমি দিহান বলেই ডাকবো।

” তুমি তো বড় বেয়াদব মেয়ে।

দিশা তার হাতে থাকা শপিংব্যাগ গুলো দিহানের হাতে ধরিয়ে দেয়।

“এখন আপনার সাথে ঝগড়া করতে পারবো না।এই ব্যাগ গুলো হাতে নিয়ে আমাকে একটু সাহায্য করুন দিহান,ভাইয়ায়া..।আমার অনেক কিছু কেনা এখনো বাকী?ফলো মি,দিহান ভাইয়া..

দিশা দিহানকে কিছু বলতে না হাটা শুরু করে।

” আরে,ওই…কী বিপদে পড়লাম রে।এখন আমাকে এই মেয়েটার ব্যাগ বহন করতে হবে?কেনো যে এখানে আসতে গেলাম??


সিনহা ইমরান,চাচা চাচী চারজনেই লুডু খেলতে বসেছে।চাচার মনটা খারাপ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।সোহাগী বেগম তাহলে শায়েস্তা করে দিয়েছে চাচাকে।ইমরান চাচার দিকে তাকিয়ে ভাব নিয়ে হাসি দেয়।তা দেখে চাচার গা জ্বলে যাচ্ছে।চাচা রাগে ফুসছে।

ইমরান-চাচী এক পক্ষ।চাচা-সিনহা এক পক্ষ।খেলা শুরু হয়ে গেছে।খেলতে খেলতে এমন সময় আসে,চাচার গুটি দিয়ে চাচীর গুটি কাটা যাবে।চাচা হেসে চাচীর দিকে তাকায়।

“গুটি কাইটা দেখো।তোমার খবর আছে আজকে।?

সোহাগী বেগমের কথা শুনে চাচা অসহায় চোখে সিনহার দিকে তাকায়।?

” চাচী,এটা ঠিক না।এটা কিন্তু চিটিং হয়ে যাচ্ছে।

“কীসের চিটিং।কোনো চিটিং না।
সাব্বাশ চাচী।

ইমরান হেসে চাচীর সাথে হাতে হাত মিলায়।চাচা,চাচীর কথা শুনে ভয় পেয়ে,গুটি না কেটে অন্য একটা গুটি চালান দেয়।এটা দেখে সিনহা,

” চাচা আপনি এইটা কী করলেন?

ইমরান হেসে সিনহাকে এক চোখ টিপ মেরে দেয়।তা দেখে সিনহা রাগ দেখিয়ে ইমরানকে ভৎর্স করতে চায়।?

চলবে…

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here