Devil_Cousin_Lover 4

0
1764

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
04.

সিনহার চোখ ইমরানের উপর পড়তেই সিনহা জোরে কেঁদে ওঠে।

“ভাইয়া..

ইমরান সিনহার কাছে এসে থামে।কান থেকে সিনহার দুই হাত সরিয়ে,নিজের দুই হাত দিয়ে সিনহার চোখের পানি মুছে দেয়।

” কান্না করিস না?আমি আছি তো তোর কাছে এখন।

ইমরান,সিনহাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।সিনহা কান্না করে যাচ্ছে।

ইমরান,নিজের পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে,আয়ানের নাম্বারে ডায়াল করে।

“হ্যালো.

” কোথায় তোরা?

“কলেজে কোথায়?

” ক্যান্টিনে বসে আছি।

“কয়েকটা ছেলেকে নিয়ে কলেজ মাঠে আয়।

” কেনো?কোনো সমস্যা?

“সমস্যা ছাড়া কী এমনি এমনি বলি(রেগে জোরে)

” আসছি আসছি।

আয়ান ফোন কেটে দিয়ে,দিহানকে উদ্দেশ্য করে বলে,

“দোস্ত চল চল।ইমরান ভালোই ক্ষেপেছে।বড় কোনো ঝামেলা মনে হয়।

” কোথায় ইমরান?

“কলেজ মাঠে।

এইদকে ইমরান কথা শেষ হতে না হতেই,ছেলেগুলো দৌড়ে ইমরানের পায়ের উপর এসে হুমড়ি খায়।

” ভাই,আমাদের মাফ করে দেন।আমরা জানতাম না,উনি আপনার বোন।

সিনহা কান্না থেমে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ছেলেগুলোর দিকে।

“জানার আগেই তো যা করার করে ফেলেছিস?শাস্তি তো তোদের পেতেই হবে।

” এবারের মতো মাফ করে দিন।আমরা আপনার বোনের বডিগার্ড হয়ে থাকবো।

আয়ান,দিহান এসে এই অবস্থা দেখে অবাক হয়।দিহান ইমরানের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে,

“এরা কী করেছে,ইমরান?

” এরা কী করেছে,সেটা পরে বলবো।এখন এদেরকে নিয়ে যা আমার সামনে থেকে।এদেরকে আমি পরে দেখছি।

আয়ান কয়েকটা ছেলেকে ইশারা দিলো,এই ছেলে গুলোকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ইমরান উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলল,

“আজকে এই ব্যাপার নিয়ে কখনো যদি ওর(সিনহা)সাথে কাউকে হাশিতামাশা করতে দেখি,তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে।(রেগে)

দিহান,আয়ান দুজনে অবাক হয়ে যায়,এই মেয়েটাকে তারা কখনো দেখেছে বলে মনে হয়না।এতো বছরের বন্ধুত্ব তাদের,ইমরানকে কখনো কারো সাথে প্রেমও করতে দেখি না।ইমরানের একটা বোন আছে,ওকে তো ওরা ছিনে।তাহলে এই মেয়েটা কে?

” তোরা এখানে দাড়া,আমি ওকে ক্লাসে দিয়ে আসি।

“আচ্ছা যা।

ইমরান,সিনহাকে নিয়ে চলে আসল।
ক্লাসের সামনে এসে,সিনহাকে বলল,

” ওই শুন,কয়েকটা মেয়ে ফ্রেন্ড বানিয়ে নিবি।বাট একটা ছেলে ফ্রেন্ডও বানানো যাবে না।কোনো ছেলের সাথে কথাও বলতে যেনো না দেখি।

“যদি কোনো ছেলে আমার সাথে কথা বলতে আসে?

” ইগ্নোর করবি।আমি যদি দেখি আমার কথা অমান্য করে কোনো ছেলের সাথে কথা বলছিস,তোকে মেরেই ফেলবো আমি।মনে থাকবে?

“আমাকে মারতে পারবি না।শুধু শুধু ভয় দেখাচ্ছিস।হিহি।

” যখন মারবো তখন দেখবি।এখন যা ক্লাসে যা।

সিনহা চলে যেতে নিলে,ইমরান আবার ডাক দেয়।

“ওই শুন।

সিনহা দাঁড়িয়ে পিছনে ইমরানের দিকে তাকায়,

” ক্লাস শেষে এখানেই থাকবি,আমি বাড়িতে নিয়ে যাবো।

“আচ্ছা।

” এবার যা।

সিনহা ক্লাসে চলে গেলে,ইমরান তার বন্ধুদের কাছে ফিরে আসে।

“কী মামু মেয়ে টা কে?কখনো দেখি নাইতো?

” তোদের ফিউচার ভাবী?

“কীই,ফিউচার ভাবী?

দিহান,আয়ান দুজনেই অবাক হয়।

” তোর বিয়া ঠিক হইয়া গেলো,অথচ আমরা জানি না।

“শুধু তোরা কেন?যে পাত্রী সেও জানে না।হাহা।

” বুঝলাম না,বুঝিয়ে বল।

“মজা করছিলাম,তেমন কিছু না।ও আমার মামাতো বোন।ওকে আমি পছন্দ করি।শুধু পছন্দ না,ভালোবাসিও বলতে পারিস।

” ওহো,আমাদের ইমরান তাহলে ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে।

আয়ানের কথা শুনে দিহান বলল,

“তো কী শুধু নিজেই একলা ডুবে ডুবে জল খাবে।অন্যদের কী হক নাই।

” তুই মাঝখান দিয়া কথা বলস ক্যান।তুই সিংগেল মানুষ চুপ থাক।সিংগেলদের আবার কীসের কথা?

“অপমান করলি।এখন’ই আমি আয়রার কাছে যাইয়া,তোর কীর্তিকলাপ সব পাশ কইরা দিমু।

দিহান,চলে যেতে নিলে আয়ান দিহানকে জড়িয়ে ধরে।

” ও মেরা ভাই,আমি তো মজা করছিলাম।কেনো আবার আয়রাকে এখানে টানস।

সিনহার ক্লাস শেষ হলে,সিনহা ইমরানের কথামতো ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।কিছুক্ষন পর ইমরান এসে,সিনহাকে নিয়ে কলেজ থেকে বের হয়।

ইমরান একটা রিক্সা ডাক দেয়।তা দেখে সিনহা বলল,

“ভাইয়া রিক্সা ডাকিস না,আমি বাইকে করে যাবো।তোকে এখন আর কাতুকুতু দিবো না।

” ভাইয়া ডাকলি ক্যান,এখন তোকে রিক্সা করেই যেতে হবে।

“আজব সবসময় তো ভাইয়াই ডাকি।

” সবসময় তো তোকে ভাইয়া ডাকতে মানাই করি।

উঠ,যা রিক্সায় উঠ।

“আমি বাইকে…

” রিক্সায় উঠতে বলছি না(ধমক দিয়ে)

সিনহা,ইমরানের ধমক শুনে রিক্সায় উঠে বসে।মামা চৌধুরী বাড়িতে নিয়ে চলেন।

ইমরান,সিনহাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।বাসায় এসে যে যার রুমে চলে যায়।দিয়া,ইমরানকে ডাকতে এলে বলে,

“আমি এখন নিচে যাবোনা।আমার খাবার সিনহাকে দিয়ে পাঠিয়ে দিস।

” আসছে আমার নবাবজাদা ভাই।সবসময় উনার খাবার রুমে পাঠাতে হবে,ঢং।

“বেশি কথা না বলে,যা করতে বলছি কর।

দিয়া মুখ ভেংচি দিয়ে নিচে নেমে আসল।সিনহা নিচে খাবার খেতে আসলে,দিয়া তাকে ইমরানের জন্য খাবার নিয়ে যেতে বলল।সিনহা মাথা নাড়িয়ে,ইমরানের জন্য রুমে খাবার নিয়ে যায়।

” ভাইয়া আসবো.?

“আসতে না আসতে,আমার মেজাজ গরম করে দিচ্ছিস।

ইমরান,সিনহাকে ভিতরে নিয়ে আসে।

” সবার সাথে বসে খেতে পারিস না?তোর খাবার কেনো রুমে আনতে হবে?

“আমার হাত কাটা তো।তুই বুঝিস না কেনো?

” এই হাত দিয়ে তো সব করতে পারিস।শুধু খাওয়ার বেলায় যত বাহানা তোর।

“এতো কথা না বলে খাওয়ায় দে।নাহলে খাবার নিয়ে চলে যা।

” রেগে যাচ্ছিস কেনো?খাওয়ায় দিবো না,কখন বললাম?

সিনহান খাবার নিয়ে ইমরানকে খাওয়ায় দিতে লাগল।ইমরান মজা করে খাচ্ছে।খাওয়া শেষ হলে,সিনহা চলে যেতে নিলে,ইমরান সিনহার ওড়না টেনে ধরে,সিনহাকে আটকায়।

“আমার মুখ মুছে দিবে কে?

“??

চলবে…

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here