#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
22.
“চাচা হচ্ছে টা কী?হাত ছাড়ো।আর কী সব আবলতাবল বলছো?
” ও আমারে তাহলে ছিনছস?তাহলে সিনহারে ছিনস না ক্যা।আর সিনহাও যে,নিজেরে ছিনে না।তোদের দুজনের কী হইছা,আমারে কও তো।
ইমরান,সিনহার দিকে তাকিয়ে বলে,
“সিনহা তুই রেডি হয়ে আয়।আমি চাচাকে নিয়ে যাচ্ছি।
” আমি যামু না।তোদের কী হইছে, আমারে কও আগে।
ইমরান জোর করেই চাচার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে।চাচা কিছু বলতে চাইলে,ইমরান ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লুঙীর কথা টেনে এনে,চাচার মন লুঙীর দিকে নিয়ে যায়।
”
সবাই নিচে দিশার জন্য অপেক্ষা করছে।কিছুক্ষণ পর,সিনহা-দিয়া, দিশাকে নিয়ে সিড়ি বেয়ে নামতেছে। ইমরান হা করে তার সিনহার দিকে তাকিয়ে আছে।সিনহা হলুদ শাড়ি পড়েছে।হলুদ শাড়িতে সিনহাকে একদম হলুদ পরী লাগছে।ইমরান,তার হলুদ পরীর দিক থেকে নজর সরাতে পারছে না।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ইমরানের ন্যায় দিহানও অন্য আরেক হলুদ পরীর দিকে তাকিয়ে আছে।হ্যাঁ দিহান মুগ্ধ হয়ে দিয়াকে দেখছে। এভাবে কখনো দিয়াকে দেখা হয়নি। আজকে সন্ধ্যার ঘটনার পর থেকে, কেনো যেনো দিহান,দিয়ার প্রতি দূর্বল হয়ে গেছে।হয়তো প্রিয়জনের মুখে, এতোদিনের কাঙ্ক্ষিত কথাটা শুনতে পেরে।
আয়ান দুজনের মাঝখানে এসে দুইটার পেট বরাবর গুতা মারে।দুজনে আউ করে উঠে,আয়ানের দিকে তাকায়।
“ভাই তোরা যেভাবে তাকিয়ে আছিস। ওদের নজর লেগে যাবে তো।
“তোরা মানে?এই দিহান আবার কার দিকে তাকিয়ে ছিলো?
ইমরান ভ্রু কুঁচকে দিহানের দিকে তাকায়।দিহান তো ভয়ে শেষ, ভালোবাসাটা না হতেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে।দিহান আয়ানের মাথায় ঠুয়া মারে।
” শালা এমনভাবে বলছিস যেনো,আমি দিশা আপুকে তাকিয়ে দেখতে পারবো না।দিশা আপুকে হলুদ শাড়িতে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে, তাই দেখছি।
দিহানের কথা শুনে আয়ানের প্রচুর হাসি পায়।কিন্তু সে নিজের হাসিটা নিজের মধ্যেই চেপে রাখে বাইরে আসতে দেয়না।
“শুন দিশা আমাদের আপু হয়।এভাবে তাকাতে হয়না,নজর লেগে যাবে।
” হ তোর মতো শকুনের নজর আমার না।যে নজর লাগবে।শালা।
”
দিশাকে এনে স্টেজে বসানো হয়েছে। সবাই এগিয়ে আসছে দিশাকে হলুদ লাগানোর জন্য।
সিনহা সরে আসে,সিনহার দুই নয়ন একজনকে খুঁজছে।সিনহা আশেপাশে তাকাচ্ছে।এতো মানুষের ভীড়ে, কীভাবে দেখবে,তার ডেভিলটা কোথায় আছে?
হঠাৎ সিনহার মনে হয়,কেউ একজন তার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে।সিনহা সাথে সাথে পিছনে ফিরে দেখে,তার ডেভিল ভ্রূ উঁচু করে তাকিয়ে আছে।
“কাকে খোঁজা হচ্ছে শুনি?আমাকে নয়তো?
ইমরানের কথা মনে হয়,সিনহার কান অবদি পৌছায়নি।সে তার ডেভিলের দিকে হা করে,তাকিয়ে আছে।যা সুন্দর লাগছে না,তার ডেভিলকে।হলুদ পাঞ্জাবী পড়া,হাতে ফোল্ড করা।সিনহা ক্রাশ খেয়ে গেছে,তার ডেভিলের উপর।
” হ্যালো ম্যাম।(তুড়ি বাজিয়ে)
কোথায় হারিয়ে গেছেন?
ইমরানের তুড়ি বাজাতেই,সিনহার হুশ ফিরে আসে।
” ক কী হয়েছে?(থতমত খেয়ে)
“এভাবে চারিদিকে চোখ নাচানাচি করে,কাকে খুঁজছেন শুনি?
” কাউকে না।
“সত্যি।
” হ্যাঁ।
“তোকে তো এখন আমার মারতে ইচ্ছে করছে।
সিনহা প্রশ্নসূচক চাহনিতে ইমরানের দিকে তাকায়।ইমরান বুঝতে পেরে বলে,
” তোকে না সাজতে বারন করেছিলাম। আমি ছাড়া অন্য কারো জন্য সাঁজা তোর জন্য হারাম।এটা কী ভুলে গিয়েছিস।
সিনহা অন্য দিকে মুখ গুরিয়ে জবাব দেয়।
“তুইও তো সেজেছিস।সেটার কী হবে?
ইমরান সিনহার কানে ফিসফিস করে বলে,
” আমি সাজতে পারবো।কিন্তু তুই পারবি না।এমনিতেও তোর উপর ছেলেরা নজর দেয়।তার উপর এমন সাজ দিলে তো ছেলেরা তোকে তুলে নিয়ে চলে যাবে।
“আমাকে তুলে নেওয়ার আগে,তাদেরকে তোকে মোকাবেলা করতে হবে,আর আমি জানি,তুই থাকতে আমাকে কেউ তুলে নিতে পারবে না।
” অনেক কনফিডেন্স।
“লেখকঃইমতিহান ইমরান।
“হুম।
” বাইদা ওয়ে তোকে অনেক সুন্দর লাগছে।নতুন করে আবার প্রেমে পড়লাম।
সিনহা খুশি হয়ে,ইমরানের দিকে ফিরে জবাব দেয়।
“সত্যি।
” হুম সত্যি।আর এইসব সাঁজ-সজ্জা যেনো শুধু আমার জন্যই হয়।
“হুম।শুধু তোর জন্য।
এমনসময় ডাক আসে দিশাকে হলুদ লাগানোর জন্য।সিনহা,ইমরান দুজনেই দিশার সারা মুখে হলুদ লাগিয়ে দেয়। সিনহা হুঠ করেই হলুদ নিয়ে, ইমরানের মুখে মাখিয়ে হাসতে থাকে।সিনহার কান্ড দেখে ইমরান অবাক হলেও,অন্যরা হেসে দেয়।ইমরান আস্তে করে সিনহার উদ্দেশ্যে বলে,তোকে পরে দেখে নিবো। সিনহা প্রতুত্তরে ইমরানকে একটা ভেংচি উপহার দেয়।
হলুদের ফাংশন শেষ হওয়ার পর,ছেলেমেয়েরা ডান্স করার সিদ্ধান্ত নেয়।ছেলেরা এক গ্রুপ,মেয়েরা আরেকগ্রুপ।বিচারকের আসনে চাচা-চাচীকে বসানো হয়েছে।
ছেলেদের পক্ষ থেকে প্রথমে যায় আয়ান।
আয়ানের শেষ হলে,মেয়েদের পক্ষ থেকে যায় দিয়া।এভাবে এক এক করে সবাইর ডান্স শেষ হয়।এবার বিজয়ী ঘোষণা করার পালা।কিন্তু এখানে শুরু হয় চাচা-চাচীর ঝামেলা।চাচা বিজয়ী ঘোষণা করতে চায় মেয়েদের।কিন্তু চাচী বিজয়ী ঘোষণা করতে চায় ছেলেদের।এই নিয়ে চাচা-চাচীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।আর আজকে চাচা সবাইকে অবাক করে দিয়ে,চাচীকে ভয় না পেয়ে তার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে।
সবাই যখন ঝগড়া করতে ব্যস্ত,এমনসময় সবার আড়ালে ইমরান সিনহাকে নিজের রুমে নিয়ে,দরজা বন্ধ করে।
” ভাইয়া আমাকে রুমে আনলি কেনো?
“শাস্তি দেওয়ার জন্য।তখন আমার গালে হলুদ লাগানোর জন্য তোকে শাস্তি পেতে হবে।
” ভাইয়া আমি তো তখন দুষ্টুমি করে লাগিয়েছি।সরি।এবারের মতো মাফ করে দে না।
ইমরান নিজের বা হাত সামনে আনে,ইমরানের হাতে হলুদ দেখে সিনহা ভ্রু কুঁচকে বলে,
“তুইও আমাকে হলুদ লাগিয়ে দিবি?
ইমরান নিজের হাতে থাকা হলুদ টুকু নিজের দুই গালে লাগিয়ে নেয়। তারপর সিনহার দিকে এগিয়ে আসে।ইমরানের এহেন কাজে,সিনহা হা হয়ে যায়।সে ইমরানকে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে পিছনে হটতে থাকে।একসময় সিনহার পিঠ দেওয়ালে লেগে যায়। ইমরান সিনহার দুই পাশে দেওয়ালে হাত রেখে সিনহার দিকে ঝুঁকে আসে।
” ভ ভাই.ইয়া ক কী করছিস?
“চুপ।
ইমরান সিনহার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।তারপর নিজের গাল,সিনহার গালের সাথে ঘষা দেয়। সিনহার শরীরের বিদুৎের শক লাগার মতো কারেন্ট দৌড়াতে থাকে।পুরোদেহ শিহরিত হয়ে উঠে।সিনহা চোখ বন্ধ করে ফেলে তার ডেভিলের স্পর্শ পেয়ে।ইমরান তার গালে থাকা হলুদ টুকু সিনহার দুই গালে লাগিয়ে দেয়।এমন শিহরণ জাগানো স্পর্শ পেয়ে,সিনহা চোখ খুলে না,লজ্জায় সিনহার মাথা নুয়ে যায়।সিনহার এভাবে লজ্জা পাওয়া দেখে ইমরান হেসে,সিনহার কপালে টুপ করে চুমু খায়।
চলবে…
~ইমতহান ইমরান।
(সামনে অনেক চমক আছে,ধৈর্য ধরেন☺)