Devil_Cousin_Lover 21

0
1129

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
21.

দিহানের রাগী মুখ দেখে,দিয়া মুখে একটা সুইট হাসি এনে,দিহানের রাগকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওমা এই দিহান ব্যাটার রাগ চেহারা থেকে যাচ্ছে না।দিয়া নিজের সুইট হাসিকে গালি দিতে থাকে।সামনের মানুষ টার রাগ যদি তোর হাসি দেখে না উধাও হয়,তাহলে এই হাসি রেখে কী লাভ।

“এই দিয়া তোমার সমস্যা টা কোথায়?আমায় একটু বলবে,হ্যাঁ?

” আমার সমস্যা তো আপনি।

“মানে,বুঝলাম না।

” আপনি ওই মেয়েদের সাথে লুচুগিরি করছিলেন কেনো?

“আমি কখন লুচুগিরি করলাম?জাস্ট কথাই তো বললাম।

” আমি ছাড়া অন্য কারো সাথে কথা বলতে পারবেন না।বললেই সেটা লুচুগিরির আওতায় পড়বে।ওই মি.আপনি বুঝেন না আপনার প্রতি আমার Something Something ফিল হয়।গাধা দিহান একটা,কিচ্ছু বুঝে না।

দিয়া কথাগুলো বলেই হনহন করে হেটে চলে যায়।আর দিহান মুচকি হেসে দিয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

ইমরান,রাফসানকে উদ্দেশ্য করে বলে,

“এখন তোদের মিলেমিশে একাকার হওয়ার জন্য,তোদের নিজেদের পার্সোনাল টাইম স্পেন্ড করার জন্য আমি কী এখান থেকে চলে যাবো?

সিনহা অবাক হয়ে ইমরানের কথা শুনছে।এই ডেভিলটা কী বলছে কী?পার্সোনাল টাইম স্পেন্ড করবো মানে কী?সব তো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে?ডেভিলটা করতে চাইছে টা কী?

” হুম ভাই তুই গেলে ভালো হয়।সিনহার সাথে একটু কথা বলতে পারতাম।☺

“আচ্ছা যাচ্ছি আমি।

ইমরান ঘুরে চলে যেতে নিলে,সিনহা তড়িৎ গতিতে দোলনা থেকে উঠে ইমরানের হাত চেপে ধরে।

” ভাইয়া এইসবের মানে কী?কোথায় যাচ্ছিস তুই?

“শুনেছিস তো,ও তোকে ভালোবাসে। তাই তোর সাথে একটু আলাদা করে কথা বলতে চাই।তাই সুযোগ করে দিচ্ছি।

” ভাইয়া তুই কী পাগল হলি? কী বলছিস তুই কোনো খেয়াল আছে তোর?ও আমাকে ভালোবাসে বললো, আর তুই তার কাছে আমাকে রেখে যাচ্ছিস?

“তোর আশা আমি কী করতাম,ওর সাথে?

“তোকে কিছু করতে হবে না।যা করার আমি করবো।

সিনহা ইমরানের হাত ছেড়ে দিয়ে,রাফসানের সামনে দাঁড়ায়।সিনহা বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করে,

” এই যে মি.আপনার নাম যেনো কী? থাক নাম যেনে আমার কোনো কাজ নেই।কী যেনো বললেন,ভালোবাসেন। আপনি আমাকে ভালোবাসেন বলে দিলেই,মনে করছেন আপনি আমার থেকে হ্যাঁ সূচক রেজাল্ট পাবেন।

মন কান দিয়ে শুনে রাখুন,আমি ওই ডেভিলটাকে(ইমরান} ভালোবাসি।একটু না অনেক অনেক ভালোবাসি।♥ওই ডেভিল টা ছাড়া,আমার মনে প্রানে অন্য কেউ নেই। আর কখনো হবেও না।তাই এইসব ভালোবাসা,খারাপ ভাষা আমাকে দেখাবেন না।আর হ্যাঁ আমার পিছুও ঘুরবেন না।আপনার কারনে আমার ডেভিলটা আমার সাথে বারবার রাগ করে।আমার সাথে ঠিকমতো কথা বলে না।মুখ ফুলিয়ে বসে থাকে।আর কখনো যেনো আমার ধারে কাছে আপনাকে ঘেষতে না দেখি।

সিনহা এক দমে কথা গুলো বলে রাফসানের সামনে থেকে সরে এসে, ইমরানকে ভেংচি দিয়ে ইমরানের পাশ কেটে চলে যায়।

ইমরান অবাক হয়ে,সিনহার কথা গুলো এতোক্ষন শুনে গেছে।ইমরানের নিজের কাছে মনে হচ্ছে,সে কোনো একটা ঘোরের ভিতরে বন্দি আছে। সিনহার কাছ এমন কিছু শুনবে সে আশা করেনি।পরক্ষনে সিনহার ভেংচি তে ইমরানের হুশ ফিরে আসলে,সে হেসে দেয়।সিনহার কথা গুলো শুনে, ইমরানের ভিতর এতোক্ষনে জমে থাকা সব রাগ নিমিষেই উধাও হয়ে,মুখে হাসির ঝলক ফিরে আসে।

সিনহার সব কথা রাফসানের মাথার উপর দিয়ে গেলো।সে ইমরানের দিকে ফিরে,জিজ্ঞাস করে,

“ভাই সিনহা এইসব কী বললো?

রাফসানের কথা শুনে,ইমরান মুখে গম্ভীর ভাব এনে জবাব দেয়,

” যা বলছে নিশ্চয় শুনছস।সবকিছুই সত্যি বলছে,এক দন্ডও মিথ্যা কথা বলেনি।

“ও তোকে ভালোবাসে?কিন্তু আমি যে ওকে ভালোবাসি।ওকে তুই ছেড়ে দে।

রাফসানের কথা ইমরানের ভয়ংকর রাগ উঠে।সে তেড়ে এসে কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারে,রাফসানের গালে।রাফসানের কলার চেপে ধরে বলে,

“তোর সাহস কী করে হয়,এই কথা আমাকে বলার।একদম মেরে ফেলবো।
তোর ভাগ্য ভালো,তুই আমার ফুফাতো ভাই।তাই তোকে এখন পর্যন্ত কিছু করলাম না।কিন্তু লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি, ভুলেও যদি সিনহার আশেপাশে ঘুরঘুর করতে দেখি,তুই যে আমার ফুফাতো ভাই,এই কথাটা একদম ভুলে যাবো আমি।মনে থাকে যেনো।

ইমরান রাফসানকে ছেড়ে হনহন করে হেটে বাগান ত্যাগ করে,ভিতরে চলে যায়।

” থাপ্পড় যেহেতু খেতে হয়েছে।এই সিনহাকে নিজের করে না পাওয়া পর্যন্ত আমি ছাড়ছি না।এই সিনহাকে এখন নিজের করে পাওয়া,রাফসানের জিদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।খুব শীঘ্রই এই সিনহাকে নিয়ে নতুন কিছু হতে চলেছে।হাহা।

রাফসান,গালে হাত দিয়ে কথাগুলো ভেবে জোরে হেসে উঠে।

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

ইমরান সিনহাকে খুঁজছে।ম্যাডাম নিশ্চয় তার উপর রাগ করে আছে। ম্যাডামের তো রাগ ভাঙাতে হবে। ইমরান সিনহার রুমের কাছে এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ,তার মানে সিনহা ভিতরে আছে। ইমরান দরজায় নক করে।

“কে?(ভিতর থেকে সিনহার আওয়াজ)

কিন্তু ইমরান মুখে কথা না বলে,দরজায় এবার জোরে থাপ্পড় মারে।

সিনহা মুখে বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলে,তাকে ঝাড়ি দিতে প্রস্তুত নিলে দেখে,তার ডেভিল দাঁড়িয়ে আছে। সিনহা,ইমরানকে দেখে অন্যদিকে ঘুরে যায়।

” কী চাই?

সিনহার কান্ড দেখে ইমরানের অনেক হাসি পায়।ইমরান হাসি কন্ট্রোল করে জবাব দেয়,

“আমার সিনহা রানীকে চাই।উনি কী এখানে আছে?

” না নাই,এখানে সিনহা নামের আপনার কোনো রানী নেই।আপনি ভুল নাম্বার ডায়াল করেছেন।

চাচা রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।এদের কথোপকথন শুনে চাচা শঠাং করে দাঁড়িয়ে যায়।তার ভাতিজা সিনহার সামনে দাঁড়িয়ে সিনহাকে জিজ্ঞাস করছে,সিনহা রুমে আছে কীনা?আবার তার জবাবে সিনহা জবাব দিচ্ছে,রুমে নাকী সিনহা নেই।চাচা হিসাব মিলাতে পারছে না,সিনহা যদি না থাকে,তো কী সিনহার ভূত দাঁড়িয়ে আছে?।চাচা ধরে নিয়েছে,তার ভাতিজা ভাতিজি দুজনে আজকে পাগলাগারদ থেকে পালিয়ে এসেছে।তা না হলে,এমন পাগলের মতো বকবে কেনো?

চাচার তাদের পাগলামী আর সহ্য করতে না পেরে,দুজোনের মাঝে এসে ঢুকে পড়ে।দুই হাত দিয়ে দুইটার হাত চেপে ধরে,

“অনেক হইছে পাগলামী।চল দুজনেই চল।আজকে তোদের দুইজনকে পাগলা গারোদে ভর্তি না করিয়ে আমি ছাড়ছি না।কী একটা অবস্থা তোদের?গায়ে হলুদের দিন’ই তোদের দুজনকেই পাগল হতে হলো?

চলবে…

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here