Devil_Cousin_Lover 20

0
1133

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
20.

“ভেবে বলেছিস তো,যা করতে মন চায় করতে পারবো?

সিনহার হুশ ফিরে আসে,সে কী বলতে কী বলে ফেললো,এখন ডেভিলটা যদি উল্টাপাল্টা কিছু করতে চায়।সিনহা ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাস করে,

” ক কী ক ক রতে চাস তু তুই?(তোতলিয়ে)

“বুঝিস না কী করতে চাই?(হেসে)
আমি লুচ্চা ছেলে,অসভ্য বেয়াদব,সুযোগ পেলেই চুমু খাই।এখন কী করতে চাইবো,খুব করে বুঝেছিস নিশ্চয়।

ইমরানের কথা শুনে সিনহার কলিজার পানি শুকিয়ে যায়।সে ভয়ে এক ঢোক গিলল।ডেভিলটা এখন তাকে ভালোভাবেই ধরাশায়ী করলো।এখন যদি ডেভিলটা সত্যি সত্যি এইসব করে,আল্লাহ গো আমি নাই,আমি পালাই।

সিনহা কোনো কথা না বলে,পাশ কেটে দৌড় দিতে নিলেই,ইমরান হাত চেপে ধরে,

” আল্লাহ গো..

“পালাচ্ছিস কোথায়?এভাবে কথা দিয়ে,কথা না রেখে চলে যাচ্ছিস,দিস ইজ নট ফেয়ার।এটা কিন্তু ঠিক না।

” ভাইয়া আমি তো ইচ্ছা করে বলিনি। মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে।(মুখে ইনোসেন্ট হাসি আনার চেষ্টা করে)

“যেটাই হোক,এখন তো আমি তোকে ছাড়ছি না।সুযোগ যখন পেয়ে গেছি, হাতছাড়া তো আমি একদম করবো না।

” ভাইয়া আমি কিন্তু চিৎকার করবো,আমার সাথে খারাপ কিছু করলে।

“চিৎকার করবি,আমার অনুমতি নেওয়ার কী আছে?

ইমরান সিনহাকে টেনে এনে দোলনায় বসিয়ে সিনহার দুই পাশে দুই হাত দিয়ে,সিনহার দিকে ঝুকে পড়ে।

সিনহা দম খিচে ঠোঁট কামড়ে,চোখ বন্ধ করে আছে।ইমরানের মুখ,সিনহার মুখের খুব নিকটে।

“তোর কথা একদমি বিশ্বাস করতে নেই।তুই কথা দিয়ে কথা রাখতে পারিস নাহ।

ইমরানের বলা কথা শুনে,সিনহা চোখ মেলে তাকায়।দেখে ইমরান গফাগফ হেটে বাড়ির ভিতরে চলে যাচ্ছে। সিনহা বোকার মতো ইমরানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

কেউ একজন বিরিয়ানির থালা নিয়ে সামনে আসায়,জরিনা বানু বলে উঠে,

“এইতো আমার বিরিয়ানির থালা।

পরক্ষনে চোখ উপরে তুলে ভয়ে একটা বিষম খায়।ফুফি যে রাগে ফুলছে, জরিনা বানু তা দেখে নিচ থেকে উঠেই এক দৌড়ে পালালো।

” আপা তুই বিরিয়ানি না খেয়ে,মাথায় দিয়ে বসে আছিস কেনো?

চাচার কথা শুনে ফুফির রাগের মাত্রা দ্বিগুন বেড়ে যায়।ফুফি ঠাস করে,চাচার গালে এক থাপ্পড় দিয়ে হনহন করে হেটে উপরে উঠে যায়।চাচা গালে হাত দিয়ে,নিচে বসে পড়ে।আজ তার মান ইজ্জত সব গেলো!?

এইদিকে দিয়া,তখন থেকেই দিহানকে খুঁজে যাচ্ছে।সেই সকালে তার হাতের কাছে,তার বাড়িতে দিহান আসে।অথচ আজকে ব্যাটাকে ঠিকমতো জ্বালানোর সুযোগ’ই পেলো না।দিয়া খুঁজতে খুঁজতে নিচে চলে আসে।চারিদিকে চোখ ভুলাতে দিহানকে দেখে মেজাজ খারাপের চরম তুঙ্গে উঠে গেলো। দিহান দুইটা মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।এই দৃশ্য দেখে দিয়ার রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে।

“ওরে বাটপার,এরে তো ভালো ভদ্র নিষ্পাপ মনে করছিলাম।কিন্তু এই তো তা না,এ-ও তো দেখছি লুচু কমিটির সদস্য।

দিয়া এক দৌড় দেয়,দিহানের দিকে।এভাবে হঠাৎ করে কেউ দৌড়ে আসায়,মেয়ে দুইটা ও দিহান ভ্যাবাচেকা খেয়ে উঠে।দিয়া হাতে হাত বারি দিয়ে,ঠোঁটে কামড় দিচ্ছে।এমন রিয়েক্ট করছে,যেনো আজকে এদের সবাইকে মেরে পিন্ডি চটকাবো।

দিহান ভ্রু কুঁচকে দিয়াকে জিজ্ঞেস করে,

“কী সমস্যা এমন করছো কেনো?

” দিহান..এ্যাঁ তুমি আমার সাথে এভাবে করতে পারলা।সামান্য একটা ফোন ধরি নাই বলে,তুমি এখন আমাকে ছাড়া অন্য মেয়েদের নিয়ে ঘুরছে,এ্যাঁ।এখন আমার কী হবে??

দিহান,দিয়ার কথা শুনে বোকা বনে যাওয়া ছাড়া আর কিছু দেখছে না।এই মেয়ে এইসব কী বলছে?মাথায় কী সমস্যা আছে?নাকি ভুল করে এই বাসায় ঢুকে পড়েছে।

“এই দিয়া সমস্যা কী তোমার?কী বলছো এইসব?আর এভাবে বাচ্চাদের মতো ভ্যাঁ ভ্যাঁ করছো কেনো?

” কী আমি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করি।আজ আমি পর হয়ে গেলাম বলে,আমার কথাও এখন সহ্য হয় না।আমি আমার ভাইয়াকে সব বলে দিবো।এ্যাঁ?

দিয়া পিছন ফিরে হাটা ধরলে,দিহান হাত চেপে ধরে,মেয়েদেরকে এক্সকিউজ মি বলে,দিয়াকে একপাশে টেনে আনে,যেখানো কোনো মানুষজন নেই।

“~ইমতিহান ইমরান।

ইমরান ভিতরে এসে,চাচাকে এভাবে গালে দাত দিয়ে বসে থাকতে দেখে অবাক হয়ে,চাচার পাশে বসে।

চাচা কী হয়েছে?কে মেরেছে তোমাকে?
আর এভাবে এখানে নিচে বসে আছো কেনো?মান ইজ্জতের তো বারোটা বাজাইতে আছো।

“কী উল্টাপাল্টা কইতেছস,আমারে কেউ মারতে যাইবো কেনো?তোর চাচারে মারার কারো সাহস এখনো হয় নাই।
উস্টা খাইয়া পড়ছি,ব্যাথা পাইছি।তাই বসে আছি।

ইমরান সন্দেহের দৃষ্টিতে চাচার দিকে তাকায়।চাচা বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি মেঝে থেকে উঠে কেটে পড়ে।

উপর থেকে রাফসান,ইমরানকে দেখে নিচে নেমে এসে সিনহার কথা জিজ্ঞাস করে।বিকালের ঘটনার জন্য এমনিতেই ইমরান প্রচুর রেগে আছে,এখন আর রাগ সহ্য করতে পারছে নাহ। ইমরান, রাফসানের কাধে হাত দিয়ে বলে,

” চল তোকে সিনহার কাছে নিয়ে যাচ্ছি।

“কোথায় সিনহা?

” আমার সাথে চল।নিয়ে যাচ্ছি।

ইমরান রাফসানের কাধে হাত দিয়ে,রাফসানকে বাগানের দিকে নিয়ে যায়।রাফসান দেখে সিনহা দোলনায় বসে আছে।সে ডেকে উঠে,

“সিনহা।

রাফসান সিনহার দিকে যেতে নিলে,ইমরান হাত চেপে ধরে।সিনহা ভয়ে ভয়ে ইমরানের দিকে তাকিয়ে আছে,না জানি এখন কুরুক্ষেত্র শুরু হয়।

” সিনহাকে পছন্দ করিস,আই মিন ভালো টালো বাসিস নাকী?

ইমরানের প্রশ্ন শুনে সিনহা এক বিষম খায়।কিন্তু রাফসান হাসি মুখে জবাব দেয়,

“হুম ভালোবাসি।

সিনহা চোখ বড় বড় করে রাফসানের দিকে তাকায়। গাধা টা বলে কী?সকালে গাধাটার সাথে দেখা হয়েছে,আর এখন সন্ধ্যায় এসে বলছে ভালোবাসি।এই রাফসান গাধা তো আজ গায়া।

সিনহা ভয়ে ভয়ে ইমরানের দিকে তাকায়।সিনহা ভয়ে বড় একটা ঢোক গিলল,কারন ইমরান আগে থেকেই তার দিকে তাকিয়ে আছে।

চলবে..

~ইমতিহান ইমরান।

২০ পর্ব শেষ। এই পর্যন্ত গল্পটা পাঠক-পাঠিকাদের কেমন লেগেছে,জানতে চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here