#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
19.
রাফসানের কান্ডে কেউ অবাক না হলেও দিয়া প্রচুর অবাক হয়।এই রাফসান টা করলো টা কী?আর কোনো মেয়ে খুঁজে পেলো না কোলে নেওয়ার জন্য,এই সিনহাকে’ই কোলে নিতে হলো।দিয়া আড়চোখে তার ভাইয়ের দিকে তাকায়।
ইমরানের মাথায় রাগ উঠে যায়। এই দৃশ্য দেখে সে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারলো না।ইমরান এক প্রকার দৌড়ে এসে,রাফসানের কোল থেকে সিনহাকে টান দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।
“How dare you to touch her?(রেগে)
ইমরানের রাগ দেখে সিনহা ভয় পেয়ে যায়।সে নিচে পড়ে যাওয়াতে,আহ! শব্দ করে উঠে।রাফসান,ইমরানের এমন কান্ড দেখে হতবাক হয়ে যায়।
সিনহার মুখে আহ! শব্দ শুনে রাফসান সিনহার দিকে ঝুকে আসে।
” কী হয়েছে,সিনহা?
ইমরান হাত মুষ্টি করে,নিজের রাগ কোনোমতে কন্ট্রোল করে গফাগফ পা ফেলে নিচে নেমে আসে।এখানে আর কিছুক্ষণ থাকলে,সে সিনহা নাহয় রাফসান যে কাউকে কিছু একটা করে বসতে পারে,কিন্তু সে এখন এমন কিছুই চায় না।তাই সে ছাদ থেকে চলে আসে।
”
“সিনহা কী হয়েছে তোমার?খুব ব্যাথা পেয়েছো?
” না তেমন না,হালকা পেয়েছি।আমি ঠিক আছি।
“এই ইমরান যে কেনো এমন রিয়েক্ট করলো?তোমাকে নিচেও ফেলো দিলো?
” ভাগ্য ভালো তুই ওর ফুফাতো ভাই।নাহলে তোর খবর’ই করে দিতো আজকে।যেখানে আমাকে কেউ টাচ করলে,ডেভিল তাকে ছাড়ে না,আর সেখানে তুই আমাকে কোলে নিয়েছিস।এখনও সুস্থ আছিস,আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় কর।আমারও যে কী অবস্থা করবে আল্লাহ জানে(মনে)
“এই সিনহা উঠ,আর কতোক্ষন নিচে বসে থাকবি।এই তোমরা সবাই নিচে চলো।
রাফসান হাত বাড়িয়ে দিলে,দিয়া ঝাড়ি মেরে হাত সরিয়ে দেয়।
” সমস্যা কী ভাই তোমার?এখানে আমি আছি তো হাত দেওয়ার জন্য।তুমি হাত বাড়িয়ে দিচ্ছো কেনো?(রেগে)
“যাক বাবা সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।তুই এমন রিয়েক্ট করছিস কেনো?তোর ভাইয়ের মতো।
“চুপ বেশি কথা না বলে নিচে যাও।
“সিনহা চল তো।
সবাই নিচে নেমে আসে।দিনের আলো নিভে,আস্তে আস্তে অন্ধকার ভেসে উঠে, সন্ধ্যার আগমনী বার্তা দিচ্ছে। মেহমানে পুরো বাড়ি সমাগম। মোটামুটি সবাই চলে এসেছে।
এইদিকে সিনহা সেই ঘটনার পর থেকে ইমরানকে খুঁজে যাচ্ছে,কিন্তু ইমরানের সন্ধান পাচ্ছে না।
” এই ডেভিলটা কই যে লুকালো?খুঁজেই পাচ্ছি না।এতো মেহমানদের ভিতরে কোন চিপায় যে লুকিয়ে আছে,কে জানে?
“কীরে সিনহা,কিছু খুঁজছিস মনে হয়?
” ইমরানকে খুঁজছি।
“ভাইয়াকে আমি বাহিরে দেখলাম,দোলনায় বসে আছে।
“শালারে আমি সারা বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াচ্ছি।আর শালা দেখ বাহিরে দোলনায় বসে হাওয়া খেতে আছে।কেমনডা লাগে বলতো?
” একবার ভাইয়া,আরেকবার শালা,আরেকবার ইমরাইন্নার বাচ্চা,আরেকবার ডেভিল,ইমরান ভাইকে আর কতো নামে যে ডাকবি, আল্লাহ’ই জানে।
ইশার কথা শুনে সিনহা হেসে দেয়।
“ডাকার কী শেষ আছে রে বান্ধুবী।আচ্ছা যাই,এখন জামাইর লগে দেখা করে আসি।
” এবার জামাই.?
“?সিনহা হাসি দিয়ে এক দৌড়ে বাহিরে চলে যায়।
”
এইদিকে চাচা আজকে হেব্বি খুশি।আজকে অনেক দিন পর সে হালকা পাতলা তরল পানি গিলবে। বিয়ে উপলক্ষ কিছু মেহমানদের জন্য এইসব তরল পানীয় আয়োজন করা হয়েছে।চাচাও সুযোগ বুঝে কোপ মারবে,তাই ভেবেই চাচার হাসি পাচ্ছে।
চাচা সিড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল।সদর দরজার দিকে তাকাতেই চাচা হা করে তাকিয়ে থাকে।সুন্দরী মহিলা নাফিসা খানও এসেছে।মাহবুব সাহেবের অফিসে কাজ করে নাফিসা খান,সেই সুবাধে দাওয়াত পাওয়া।চাচা এক দৌড় দেয়, নাফিসা খানের দিকে।দৌড় দেওয়ার সময় চাচার নিজের পায়ের সাথে,নিজের পা বেধে উষ্টা খায়,আর ধপাস করে পড়ে সামনে দিয়ে যাওয়া জরিনা বানুর উপর। জরিনা বানু এই সময় এক প্লেট বিরিয়ানি নিয়ে কারো জন্য যাচ্ছিল।চাচা ধপাস করে তার উপর লাফ দেওয়ায়,তার হাতের বিরিয়ানির প্লেট পড়ে,সোফায় বসে থাকা ফুফির মাথায়।বিরিয়ানিতে হয়ে যায় ফুফি মাখামাখি।
”
“লেখকঃইমতিহান ইমরান।
সিনহা বাগানে এসে দেখে ইমরান মাথা নিচু করে বসে বারবার হাত মুষ্টি বদ্ধ করছে।সিনহা ভয় পাচ্ছে খুন,তারপরও সাহস সঞ্চার করে,নিঃশব্দে এসে ইমরানের পাশে বসে।ইমরান এক বার মাথা তুলে তাকিয়ে,আবার নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে।
“ভাইয়া,এখানে একলা বসে আছিস কেনো?মন খারাপ?
” তোর সমস্যা কী তাতে?যা তো তোর কাজে যা।বিরক্ত করিস না।(রেগে)
“আমি তো এখন আমার কাজে এসেছি।
ইমরান কিছু বলছে না,চুপ করে আছে।
” ভাইয়া আমার সাথে রাগ করছিস কেনো?আমি কী বলছি,ওরে আমারে কোলে নিতে?আর তুই ওর নাকশা ফাটিয়ে দেস নাই কেনো?
সিনহার কথা শুনে ইমরান রেগে যায়,সে সিনহার দিকে তাকিয়ে সিনহার চুলের মুঠি চেপে ধরে বলতে লাগল,
“সিনহা ওই কথা আবার মনে করিয়ে দিয়ে,আমার মাথা গরম করিস না।তোর মতো গাধা মনে করস আমারে।তুই বুঝস না,ও তোকে দেখার সাথে সাথে তোর পিছন ঘুরঘুর করছে।তোর সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে। আর তুই জানতি ডেয়ার টা দিলে,ও তোকেই কোলে নিবে।তুই ইচ্ছে করেই ওকে ডেয়ার টা দিয়েছিস,কেনো ওকে তোকে টাচ করার সুযোগ টা দিয়ে দিলি।তুই ভাবলি না,এর জন্য আমি তোর কী করতে পারি।
ও তোকে কোলে নিয়েছে,এটা জাস্ট আমি নিতে পারতেছি না।বিয়েটা শেষ হোক,তারপর তোদের দুইটাকেই আম দেখে নিবো।আমাকে কষ্ট দেওয়ার, উপকার খুব ভালো করেই বুঝাবো।
ইমরানের সিনহার চুলের মুঠি শক্ত করে ধরায়,সিনহা ব্যাথা পায়।সিনহা বলে উঠে,
” ভাইয়া ব্যাথা পাচ্ছি।
ইমরান সিনহাকে ছেড়ে দোলনা থেকে উঠে চলে যাচ্ছে।সিনহা তাড়াতাড়ি করে দোলনা থেকে উঠে দৌড়ে পিছন থেকে ইমরানকে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
” ভাইয়া,আমি সরি,আমাকে ক্ষমা করে দে।আমি তোকে এতোটা হার্টস করতে চাইনি।তুই যা শাস্তি দিবি,আমি মাথা পেতে নিবো,তোর আমাকে যা ইচ্ছা করতে মন চায় কর,তারপরেও আমার সাথে রাগ করে থাকিস না।আমি সহ্য করতে পারবো না।(সিনহা প্রায় কেঁদে দিয়েছে)
ইমরান সিনহার হাত ছুটিয়ে,সিনহাকে সামনে এনে দাঁড় করায়।
“ভেবে বলছিস তো,তোর সাথে যা করতে মন চায় করতে পারবো?
(এখানে রাগ অভিমান চলুক,আসুন আমরা একটু চাচার কাছ থেকে ঘুরে আসি)।।
আর হ্যাঁ নিয়মিত গল্প পড়তে চাইলে লেখকের সাথে এড হয়ে নিতে পারেন। গল্প টাইমলাইনে দেওয়া হয়।
“ও আল্লাহ গো কোমড় টা ভাইঙা গেলো গো।ও চাচা আপনে আর কোনো মানুষ খুঁজে পান না,সেই আমার উপরেই আপননেরে উষ্টা খাইয়া পড়ে যাইতে হইবো।ও আল্লাহ আমার হাতের বিরিয়ানির প্লেট কোথায় গেলো?
“আরে আস্তে থাম।তুই আছস তোর কোমড় নিয়া,বিরিয়ানি নিয়া।আর এইদিকে আমার ক্রাশের সামনে পইড়া আমার যে ইজ্জত গেলো,এখন ক্রাশরে আমি এই মুখ দেখামু কেমন করে?
” চাচা আপনের ক্রাশও আছে?….চাচা আপনের লুঙী…..??
জরিনা বানুর কথা শুনে,চাচা তার মাথায় একটা ঠুয়া মারে।
“ওই বেটি,খবরদার অজ্ঞান হবি না।লুঙী খুললে সমস্যা নাই,ভিতরে প্যান্ট আছে।।
চলবে…
~ইমতিহান ইমরান।