Devil_Cousin_Lover 16

0
1274

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
16.

~বিয়ের শপিং করার জন্য দিশার সাথে সিনহা ও দিয়া যায়।শপিংমলে এসে রিহানের সাথে মিলিত হয় তারা।রিহানের সাথে তার কাজিন রায়হান ছেলেটা আসে।পাঁচজনে একে অপরের সাথে হাই হ্যালো করে শপিংমলের ভিতরে প্রবেশ করে।রায়হান বারবার সিনহার সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে চাইলেও সিনহা প্রতিবারে ইগ্নোর করে চলে আসে।সে চায় না,তার ডেভিলের যা অপছন্দ তা করতে।ডেভিলটা বারবার নিষেধ করে দিয়েছে,যেনো অচেনা কোনো ছেলের কথা না বলি।

শপিং শেষে লাঞ্চ করার জন্য রিহান সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে আসে।

“কী খাবে তোমরা?অর্ডার করো?

” দুলাভাই আজকে আমরা আপনার পছন্দের ডিস খেতে চাই।

“ওকে ডান তাহলে।

রিহান ওয়েটার ডেকে তার পছন্দের সব ডিস অর্ডার দেয়।গল্প করতে করতে সবাই লাঞ্চ করে নেয়।

লাঞ্চ করা শেষে সবাই ঘুরতে যায়।একটা পার্কে এসে রিহান,দিশাকে একসাথে সময় দেওয়ার জন্য দিয়া,সিনহা রায়হানকে নিয়ে সরে আসে।

” আচ্ছা দিয়া আপু।এই ম্যাডাম আমাকে এতো ইগ্নোর করছে কেনো বলুন তো?

“ও কেনো আপনাকে ইগ্নোর করছে আমি কীভাবে বলবো?

” আমি আপনাকে কেনো ইগ্নোর করতে যাবো।আমি এমনিতেই কোনো অপরিচিত ছেলের সাথে কথা বলিনা। বলতে চাইও না।

“পরিচিত হওয়ার সুযোগ দিলে তো আর অপরিচিত থাকিনি।আপনি তো আমাকে পরিচিত হওয়ার সুযোগ’ই দিচ্ছেন না।

আচ্ছা আগে যা হয়েছে বাদ দেন।এখন থেকে আমরা ফ্রেন্ডস ওকে।আপনাদের কোনো আপত্তি আছে?

দিয়া ফট করে বলে উঠল,না আমার কোনো আপত্তি নেই।

রায়হান এবার সিনহার দিকে তাকায়,

” আর আপনার?

“সরি আমার কোনো ছেলে ফ্রেন্ড লাগবে না।

” ছেলেদের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলে,আপনার বয়ফ্রেন্ড রাগ করবে বুঝি?

“ঠিক এমন কিছুই।

দিয়া অবাক হয়ে সিনহার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে,

” তোর বয়ফ্রেন্ড আছে??

“হুম আছে।এখন বলব না,সময় হলে জানতে পারবি।

রিহান দিশাদের তাদের বাসায় ড্রপ করে দিয়ে,নিজের বাসায় চলে যায়।

তারা বাসায় ঢুকতেই দেখে ইমরান সোফায় বসে আছে।ইমরানও সবাইকে দেখে জিজ্ঞেস করে,

“আজকে মনে হয় পুরো মার্কেট তুলে নিয়ে এলি?

দিয়া ধপ করে ইমরানের সাথে সোফায় বসে পড়ে।

” ভাইয়া এই কথা বাদ দে,আজকে টাটকা খবর একটা আছে?

“কী টাটকা খবর?

” সিনহা প্রেম করছে।ওর নাকি বয়ফ্রেন্ড আছে।

ইমরান ভ্রূ উঁচু করে সিনহার দিকে তাকায়।ইমরানের এভাবে তাকাতে দেখে সিনহা ভ্রূ কুঁচকায়।

“কী হলো,এভাবে তাকাচ্ছিস কেনো?দিয়া কী বলছে তোকে?

” উপরে আমার রুমে আয়,তাড়াতাড়ি।কথা আছে।

ইমরান হনহন করে হেটে উপরে নিজের রুমে চলে যায়।সিনহা রেগে দিয়ার কাছে তেড়ে আসে।

“কী বলছিস তোর ডেভিল ভাইকে?এমন রিয়েক্ট করছে কেনো?

” আমি কিছু বলি নাই।জাস্ট তোর বিএফ আছে এটাই তো বললাম।

“আসতে না আসতে তোকে কেনো এই কথা বলতে হবে।আর তোর ভাইয়ের সমস্যা কী আমার বিএফ থাকলে?আমার মতো সুন্দরী মেয়ের বিএফ থাকতেই পারে,তাই না?

” আমার ভাইয়ের সমস্যা কী,সেটা উপরে তার রুমে গেলেই টের পাবেন,হু।

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

দিয়া মুখ ভেংচি দিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে যায়।সিনহা গুটি গুটি পায়ে হেটে ইমরানের রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়।সিনহা ইমরানের রুমে উঁকি দিয়ে ইমরানকে দেখার চেষ্টা করে।

“উঁকি দিয়ে দেখতে হবেনা,রুমের ভিতরে আসেন।

ইমরানের কন্ঠ শুনে সিনহা সাথে সাথে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।ইমরান দরজার পাশ থেকে সরে এসে রুমের ভিতরে এসে বিছানায় বসে।সিনহাও ইমরানের পিছন পিছন রুমে আসে।

” কাহিনী কী বল তো?আজকে বিএফের কথা উঠলো কেনো?আর তুইও দেখি খুব সহজে হ্যাঁ বলে দিলি।এখন যদি দিয়া সবাইকে বলে দেয়,তাহলে কী হবে ভেবে দেখেছিস?

“তো কী করতাম,ঐ ছেলেটা আমার পিছন ছাড়ছিল না,তাই বিএফের কথা বলে দিলাম।

ইমরান রেগে বিছানা থেকে উঠে সিনহার সামনে এসে দাঁড়ায়।

” কোন ছেলে?

সিনহা নিচের দিকে তাকিয়ে জবাব দেয়।

“রিহান ভাইয়ের কাজিন ছেলেটা।

” ওকে তো আমি…

ইমরান রেগে রুম থেকে বের হতে নিলে,সিনহা তাড়াতাড়ি করে ইমরানের হাত ধরে আটকায়।ইমরান সিনহার দিকে ফিরলে,সিনহা সাথে সাথে দুই হাত দিয়ে ইমরানকে জড়িয়ে ধরে।

“ভাইয়া রেগে যাচ্ছিস কেনো?আমি তো ওকে বলেই দিয়েছি আমার বিএফ আছে।আর পিছু নিবে না।আমি আমার ডেভিলের সাথেই কথা বলব,আর অন্য কারো সাথে না।

সিনহার কথা শুনে ইমরানের রাগ অনেকটা কমে আসে।ইমরান সিনহাকে বুক থেকে তুলে গালে চুমু খায়।

” অসভ্য লুচু বাজে ছেলে,সুযোগ পেলেই চুমু তাই না।ছাড় আমারে,তোর কাছে আসাই আমার উচিত না।

সিনহা হনহন করে হেটে রুম থেকে চলে যায়।আর ইমরান হা করে তাকিয়ে সিনহার চলে যাওয়া দেখে।

“মাত্রই তো সব ঠিক ছিল।একটা চুমুতেই এমন রিয়েকশন।?আমার উচিত আরো বেশি বেশি করে চুমু দেওয়া।তাহলেই ও অভ্যস্ত হয়ে যাবে।যেভাবে হোক এই মেয়ের চুমুর রোগ সারাতে হবে।

এইদিকে সোহাগী বেগমের কানে চাচার লুঙি খুলে যাওয়ার ঘটনা চলে যায়।সেই সাথে জরিনা বানুর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার দূর্লভ কাহিনীটাও চলে যায়।সেই জন্য সোহাগী বেগম,চাচার লুঙী পড়া বন্ধ করে দিয়েছে।

চাচা কোনোভাবেই বোঝাতে পারলো না,যে তার লুঙীটা খুলে নাই।চাচা মনের দুঃখে ছাদে এসে একা একা কোকা কোলা খাচ্ছে,আর হিরো আলম ও মাহফুজ স্যারের গান শুনে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা করতেছে।

এমন সময় ইমরান ছাদে এসে চাচাকে হিরো আলম ও মাহফুজ স্যারের গান শুনতে দেখে অবাক হয়ে যায়।এই চাচাই তো তাকে একদিন বলল,হিরো আলম ও মাহফুজ স্যারের গান শুনলে মরার আগে যে কেউই শেষ হয়ে যাবে।চাচা কী সুইসাইড প্ল্যান করছে নাকী?

ইমরান চাচার কাছে এসে দাঁড়াতেই চাচা ইমরানকে দেখে বলল,

“ভুলেও গান বন্ধ করবি না,আজকে আমি গান শুনে নিজেকে শেষ করে ফেলবো।কেউ বিশ্বাস করেনা,আমার লুঙী যে পুরোটা খুলে নাই।এই জীবন রেখে কী লাভ??

এইদিকে সিনহা ছাদে এসে চাচার গান শুনা ও লুঙী খোলার কথা শুনে অবাক হয়ে যায়।?সে চাচার কথার মানে বুঝতেছে না।চাচা এইসব কী বলছে?

” চাচা তোমার লুঙী কখন খুলল,আমি তো দেখলাম না?

চলবে…

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here