#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
17.
“চাচা তোমার লুঙী কখন খুলল?আমি তো দেখলাম না??
সিনহার কথা শুনে চাচার দুঃখের পরিমাণ টা বেড়ে যায়।শেষমেশ এই মেয়েটাও তার লুঙী খোলা নিয়ে পড়েছে।ইমরান সিনহার কাছে এসে সিনহার মাথায় ঠুয়া মারে।
“চাচার লুঙী খুলছে কী খুলে নাই,তোরে কেউ জিজ্ঞাস করতে আসে নাই।
” তুই কথায় কথায় আমার মাথায় ঠুয়া মারস কেন?আমি কী তোর লুঙী খুকার কথা জিজ্ঞেস করছি নাকি?আমি তো চাচার লুঙী খোলার কথা জিজ্ঞাস করলাম?তুই নাক গলাস কেন?তোরও কী লুঙী খুলছে নাকী?হিহি।
ইমরান আরেকটা ঠুয়া মারে,সিনহার মাথায়।
“হাসি পাচ্ছে অনেক তাইনা।এক থাপ্পড় মারে সব হাসি উধাও করে ফেলবো।যা এখান থেকে(ধমক দিয়ে)
” আমি কেনো যাবো?তোর যাইতে মন চাইলে তুই যা।
চাচা কোকা কোলা খাচ্ছে আর সিনহা ইমরানের ঝগড়া দেখছে।আর মনে মনে ভাবছে,
“এই লুঙী খোলার কাহিনী নিয়ে এদের মধ্যেও ঝগড়া লাইগা গেছে।সত্যিই তো এই লুঙী রেখে কী লাভ?
”
আজ দিশার গায়ে হলুদ।সকাল থেকে আত্নীয়স্বজন আসা শুরু করেছে। বাড়িতে একটা আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।মাহবুব সাহেবের প্রথম মেয়ের বিয়ে,তাই তিনি আয়োজনের কোনো কমতি রাখছেন না।
“আরে ফুফিজান ভালো আছো?
“আমার ভালো কে রাখে?বিয়েটা না হলে তো কেউ খবরই নিতি না।
” আহা ফুফি রাগ করেনা।এবার এক মাস এখানে রেখে তোমার ভালো খাতির যত্ন করবো।
“লাগবে না তোর ভালো খাতির যত্ন।
ফুফি উপরে রুমে চলে যায়।ইমরান,রাফসানের দিকে তাকায়।
” কিও ভাই কেমন আছিস?
“ভালো আছি,তুই?
” আমিও বিন্দাস আছি।জার্নি করে এসেছিস।যা রেস্ট কর।
“হুম।পরে কথা হবে।
এমন সময় সিনহা সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসে।রাফসান,সিনহার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে।যেনো সে কোনো রুপকথার পরী দেখতেছে।
” ওয়াও সো বিউটিফুল।
রাফসানের কমেন্ট ইমরানের কানে আসতে সমস্যা হয়নি।ইমরান কোনো মতে নিজের রাগ কন্ট্রোল করে, রাফসানের ঘাড়ে হাত রাখে।
“ভাই,সি ইজ সো বিউটিফুল।আগের থেকেও বেশি সুন্দরী হয়ে গেছে।
ইমরান রেগে রাফসানের ঘাড়ে হাত দিয়ে এক চাপ দেয়।
” আউচ.
“ভাই কী করছিস?
” কিছু না,যা রেস্ট কর।
“দাঁড়া।
রাফসান নিজের ঘাড় থেকে ইমরানের হাত সরিয়ে,সিনহার সামনে এসে দাঁড়ায়।
” হাই।
সিনহার সামনে এভাবে হুঠ করে আসায়,সিনহা থতমত খেয়ে যায়।তার উপর রাফসান,সিনহার দিকে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।সিনহা ভয়ে ভয়ে আশেপাশে তাকায়,তার ডেভিল কোথাও নেই তো।
সিনহা পাশে তাকাতেই ভয়ে এক ঢোক গিলল।তার ডেভিল অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
রাফসান তুড়ি বাজিয়ে সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
“হ্যালো,আমি রাফসান।
রাফসান এখনো সিনহার দিকে হাত বাড়িয়ে আছে।
” আসসালামু আলাইকুম।আমার কাজ আছে;বাই।
সিনহা দাড়াল না,হেটে সদর দরজা দিয়ে বাইরে বের হয়ে এলো।আর এইদিকে রাফসান হতভম্ব হয়ে,হা করে সিনহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
“এটা কী হলো?মেয়েটা এরকম করলো কেনো?
”
সিনহা তার বান্ধুবীদের নিয়ে বাসায় ঢুকতেই ইমরান সামনে এসে দাঁড়ায়। ইমরানকে দেখে সিনহা ভয় পেয়ে যায়।না জানি ডেভিলটা এখন কী করে?ডেভিলটা কিছু করার আগেই, তাকে সামাল দিতে হবে।
“ভাইয়া আমি কিন্তু এখন ওই ছেলের সাথে কথা বলিনি?।তুই কিন্তু নিজের চোখে সব দেখছস,হু।
” গাধা একটা সর সামনে থেইকা।আমি এসেছি তোর বান্ধূবীদের স্বাগতম জানাতে।আর তুই কীসব কথা বলছিস?
কেমন আছো তোমরা?আসতে কোনো সমস্যা হয়নিতো?
“আমরা ভালো আছি ভাইয়া।আর আসতেও কোনো সমস্যা হয়নি।
” ওকে যাও ভিতরে,রেস্ট কর।
“চল সিনহা।
সিনহার বান্ধুবীরা সিনহাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে,কিন্তু সিনহা এখনো বোকার মতো ইমরানের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে আছে। ইমরান তা দেখে সিনহার দিকে তাকিয়ে হাসি দেয়।
” গাধা একটা(হেসে)
সিনহার হুশ আসলে,সে তার বান্ধুবীদের কাছ থেকে নিজের হাত ছুটিয়ে নেয়।
“ওই হাত ছাড়।দাঁড়া তোরা।
” লেখকঃইমতিহান ইমরান।
সিনহা দৌড়ে এসে ইমরানের সামনে দাঁড়ায়।ইমরান বোঝার চেষ্টা করছে,সিনহা করতে চাইছে টা কী?
” তুই গাধা,গরু,ছাগল,পাগল,অসভ্য,লুচু।
আর আমাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করার জন্য,এই নে।(আস্তে বলে)
সিনহা হাত মুঠো করে,ইমরানের বুকে,তার দুই হাত দিয়ে ধপাধপ দুইটা ঘুষি বসিয়ে দেয়।ইমরানের হাত নিজের বুকে চলে যায়,আর চোখ নিজ থেকেই রসগোল্লার মতো বড় হয়ে যায়।?
সিনহা ঘুষি দিয়ে তার বান্ধুবীদের নিয়ে চলে যায়।তার বান্ধবীরাও সিনহার এই কাজে চরম অবাক।
ইমরান বাইরে এসে তার বন্ধুদের ফোন দেয়।
“ফোন দিতে হবে না বাচ্চা,আমরা চলে এসেছি।
” আরে বেটা এতো দেরি হলো কেনো?
আর তোরা দুজন যে,আয়ান আয়রা কই?
দিহান,ইমরানের কানে কানে ফিসফিস করে বলে,
“আরে ভাই এবার সিরিয়াস ব্রেকআপ।নাম্বারটা পর্যন্ত ব্লকলিস্টে ঠাঁই পেয়েছে।
” ব্রেকআপ হবেই,ওইটা কোনো ব্যাপার না।চল এখন।
ইমরান দুজনকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায়।
”
এইদিকে রাফসান সিনহাকে খুঁজছে।তখন মেয়েটা তার কাছ থেকে এভাবে পালিয়ে গেলো কেনো,সে বুঝতে পারছে না।রাফসান খুঁজতে খুঁজতে একটা রুমের সামনে এসে সিনহাকে দেখতে পায়।
“আসতে পারি।
সিনহা তার বান্ধুবীদের নিয়ে গল্প করছিল,কারো কন্ঠ শুনে সবাই দরজার দিকে তাকায়।
” এই বেটা এখানেও চলে এসেছে।(মনে)
কী চাই?
“তোমাকে।
” মানে?(জোরে)
“না মানে তোমার সাথে গল্প করতে চাই।
” আমি এখন আমার বান্ধুবীদের সাথে গল্প করতেছি।আপনার সাথে পারব না,সরি।
ইমরান পিছন থেকে রাফসানের ঘাড়ে হাত দেয়।
“অভ্যাস আর বদলালো না,আগেও মেয়েদের পিছন পড়ে থাকতি।আর এখনও।
চাচা এসে পিছন থেকে ইমরানের ঘাড়ে হাত দিয়ে বলে,
“তোরও অভ্যাস টা বদলালো না।আগেও আমারে সোহাগী বেগমের ভয় দেখাতি। আর এখনোও দেখাস।
সোহাগী বেগম এসে পিছন থেকে চাচার ঘাড়ে হাত দিয়ে বলে,
“আপনারও অভ্যাস টা আর বদলালো না,আগেও মেয়েদের দেখলে উষ্টা খাইয়া পড়ে যাইতেন;আর এখনোও,পড়ে যান,লুঙী খুলে যায়।
চলবে…
~ইমতিহান ইমরান।