#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
15.
ইমরান,সিনহার একদম কাছে এসে, সিনহার চুলের মুঠি চেপে ধরে, সিনহার মুখ নিজের মুখের খুব কাছে নিয়ে আসে।সিনহার চোখ সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়।সিনহার ঠোঁট কাঁপছে।
সিনহার ভয় করছে।ডেভিলটা কী করতে চাইছে তার সাথে?
“ভালোবাসিস আমাকে?
ইমরানের কথা শুনে,সিনহা চোখ মেলে তাকায়।তার ঠোঁট কাঁপা বন্ধ হয়ে যায়।সিনহা অবাক হয়ে,ইমরানের দিকে তাকিয়ে আছে। এই মুহূর্তে অবাক হওয়া ছাড়া তার কী বা করার আছে?সে কী ভেবেছিল,আর হলো টা কী?
” অবাক হয়ে তাকিয়ে না থেকে বল,ভালোবাসিস আমাকে?
সিনহা বুঝতে পেরেছে,ইমরান খুব সিরিয়াস।এই মুহুর্ত মজা করা মানে,নিজেই নিজের বারোটা বাজানো।সিনহা মাথা নিচু করেই জবাব দেয়।
“ভালো না বাসলে কী প্রেম করতে চাইতাম?
” ভালোবাসিস?
“হু।
” সুন্দরভাবে,আমার দিকে তাকিয়ে বল।
“পারব না,আমার লজ্জা লাগতেছে।
“লজ্জা একপাশে রাখ।আমি এখন খুব সিরিয়াস।বল আমার দিকে তাকিয়ে।
বল ইমরান আমি তোমাকে ভালোবাসি।
” আমি তোকে তুমি করে বলবো? ইম্পসিবল।
ইমরান,নিমিষেই সিনহার ঠোঁট জোড়া,নিজের ঠোঁট জোড়া দিয়ে আকড়ে ধরে।ইমরানের এমন কাজে সিনহা হতভম্ব।সিনহার চোখ রসগোল্লার মতো বড় বড় হয়ে যায়। সিনহা নিজের দুই হাত দিয়ে ইমরানের শার্ট শক্ত করে আকড়ে ধরে।
ইমরান শক্ত করে সিনহার চুলের মুঠি ধরে,সিনহার ঠোঁটে কিস করে যাচ্ছে।
সিনহা এখন ব্যাথা পাচ্ছে।সে ব্যাথা পাচ্ছে,এই কথা বলতে চাচ্ছে,কিন্তু তার মুখ দিয়ে উম উম শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ বের হচ্ছে না।সিনহা উপায় না পেয়ে জোরে ইমরানের ঠোঁটে কামড় দিয়ে বসে।
“আউচ..সিনহা কামড় দিলি কেনো?
ইমরানের হাত নিজের ঠোঁটে চলে যায়।ঠোঁট কেটে হালকা রক্ত বেরিয়েছে।
” ভাইয়া তুই আসলেই একটা অসভ্য,লুচু পোলা।সর সামনে থেইকা।
সিনহা,ইমরানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বিছানা থেকে নেমে নিচে চলে যায়।
“একে তো কামড় দিলো।এখন আবার কথা শুনাচ্ছে।
সিনহা,নিচে এসে দেখে সোফায় দিয়া,চাচা বসে আছে।সিনহা ধপাস করে সোফায় বসে পড়ে।
” অসভ্য,লুচ্চা বেয়াদব পোলা।মন চাচ্ছে মুখ বরাবর ঝাটা দিয়ে বারি মারি।
“কাকে বলছিস এইসব?
” কাকে আবার,তোর রাজপুত্র ভাইরে।রাজপুত্র না ছাঁই।
“কেনো আমার ভাই কী করলো আবার?
” কথায় কথায় মাথায় ঠুয়া মারে।কেনো রে আমার মাথা কী তোর সম্পত্তি পাইছস,যে কথায় কথায় ঠুয়া মারবি?
সিনহার সাথে এবার চাচাও বলা শুরু করলেন,
“আসলেই ভাতিজা টা বড়ই বেয়াদব।ছোটদের স্নেহ,বড়দের সম্মান করতে জানে না।তোর কী কোনো দরকার আছে,বাচ্চা মেয়েটাকে সকাল সকাল ঠুয়া মারার?
” আচ্ছা বেয়াদব বুঝলাম?কিন্তু অসভ্য,লুচ্চা কেনো বললি?
“তো বলব না,হুঠ হাঠ করে অনুমতি না নিয়েই রুমে ঢুকে যায়।এতো অসভ্য কেনো তোর ভাই?
চাচা আবার সিনহার সাথে সুর মিলায়।
” আসলেই ভাতিজা টা একটা অসভ্য লুচ্চা।কী দরকার তোর,সকাল নাই দুপুর নাই,একটা মেয়ের রুমে ঢুকে যেতে হবে।
“লেখকঃইমতিহান ইমরান।
ইমরান পিছনে দাঁড়িয়ে সিনহা,চাচা দুজনের কথায় এতোক্ষন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছিল।সে বলে উঠল,
“ও আচ্ছা তারপর?
” কে রে পিছন থেকে কী বলে?
চাচা পিছনে তাকিয়ে দেখে ইমরান।চাচা ইমরানকে দেখে চুপ মেরে সোজা হয়ে বসে পড়ে।সিনহাও ইমরানকে দেখে ভয়ে এক ঢোক গিলল।
“হায় আল্লাহ এই ডেভিলটা সব শুনে ফেললো।না জানি আমার কপালে কোন শনির দশা লাগে।ওমা ডেভিলটা যে সামনে আসতেছে।আল্লাহ এই যাত্রায় আমারে রক্ষা কর(সিনহা)
ইমরান এসে সিনহা,চাচার সামনের সোফায় এসে বসে।
” সিনহা কী যেনো বলছিলি তুই,আমাকে নিয়ে?
“কই কখন আমি আবার কী বললাম?আমি তোকে নিয়ে কী কিছু বলতে পারি বল।আমি তো তোর সুনাম করতেছিলাম,যেতুই কত্তো ভালো একটা ছেলে।আমাদের রাজপুত্র তুই।
দিয়া হা হয়ে সিনহার কথা শুনছে।
” সিনহা তুই কেনো মিথ্যা বলছিস।তুই তো এইসব বলিসনি।
“তুই চুপ থাক।কথার মাঝে তোর বাম হাত দিবি না।(ধমক)
” ভাইয়া আমি আসি এখন।আমার কাজ আছে,হিহি।
সিনহা এক দৌড়ে ফুরুৎ।ইমরান এবার চাচার দিকে তাকায়।
” চাচা কী যেন বলছিলা তুমি?
“ভাইয়া আমি বলি কী বলছিল তোকে?
” তুই চুপ থাক।
চাচা দিয়াকে একটা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে রাখে।
“কই আমিও কিছু বলি নাই তোকে।আমারও একটা জরুরি কাজ আছে।উঠি আমি।
চাচা তাড়াহুড়ো করে সোফা থেকে উঠে চলে যেতে নিলে,লুঙ্গীর সাথে পা বেঁধে হোচট খেয়ে কাজের বউয়া জরিনা বানুর গায়ের উপর এসে পড়ে।
জরিনা বানু এই সময় মাহবুব সাহেবের জন্য এক গ্লাস দুধ নিয়ে যাচ্ছিলেন।চাচা তার গায়ের উপর পড়ায়,গ্লাসের সব দুধ চাচার উপরে এসে পড়ে।আর চাচা,জরিনা দুজনে হুমড়ি খেয়ে মেঝেতে পড়ে যায়।চাচার লুঙী অর্ধেক খুলে যায়। জরিনা লুঙী খোলা দেখেই,ওমাগো চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
চাচা তাড়াতাড়ি করে মেঝে থেকে উঠে লুঙী ঠিক করে নেয়।জরিনা বানুর দিকে তাকিয়ে বলে,
” বেডি হুদায় অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলো।বেডি রে এখন কে বুঝাইবো লুঙী যে পুরোটা খুলে নাই।?
চলবে..
ইমতিহান ইমরান।