Devil_Cousin_Lover 14

0
1241

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
14.

“ভা..ভাইয়া ক কী..কীসের শাস্তি?(কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে)

সিনহার ভয়ে কাঁপাকাঁপি দেখে ইমরানের অনেক হাসি পায়।কিন্তু অনেক কষ্টে সে নিজের হাসি বন্ধ করে রাখে।

“শাস্তির কথা না শুনেই এতো ভয় পাচ্ছিস।শাস্তি দিলে তো তোকে আর খুঁজেই পাওয়া যাবেনা।

” ভাইয়া প্লিজ আমাকে কোনো শাস্তি দিস না।আমি জীবনে আর সেজে কারো সামনে আসবো না।এবারের মতো মাফ করে দে প্লিজ।

“না শাস্তি তোকে পেতেই হবে,নাহলে তুই ভুলে যাবি।তুই আমার প্রেমিকা, তোকে কঠিন শাস্তি দিবো না।তোর জন্য শাস্তি হচ্ছে,এক্ষুনি এই মুহূর্তে আমার দুই গালে চুমু খাবি।

ইমরানের কথা শুনে সিনহা থ হয়ে যায়।তার চোখ খুলো নিজে নিজেই ইয়া বড় আকার ধারন করে?সিনহা চিন্তায় পড়ে যায়,সে কী সত্যি সত্যি কথাটা শুনছে?তার ডেভিল কী সত্যি সত্যি এই কথাটা বলেছে?এটা কী ধরনের শাস্তি?এইরকম কোনো শাস্তি তো সে তার বাপের জন্মেও শুনেনি।

সিনহাকে এভাবে থ হয়ে থাকতে দেখে,ইমরান তুড়ি বাজিয়ে সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

” এই যে হ্যালো,এইভাবে থ হয়ে চিন্তায় মগ্ন হলে লাভ নাই,চুমু তোমাকে দিতেই হবে।

“ভাইয়া এটা কো ধরনের শাস্তি?এটা আমি করতে পারবো না।

” অবশ্যই পারবি।তুই না পারলে,তা আমি পারবো।(শয়তানী হাসি দিয়ে)

“মানে কী পারবি?

“তোকে আমি আমার গালে চুমু দিতে বলেছি,তুই যদি না দেস,তাহলে আমি তোর ঠোঁটে কিস করবো।

” কীইই..

সিনহা যেনো আকাশ থেকে পড়লো,সে অবাকের চরম পর্যায়।

“ভাইয়া তুই একটা অসভ্য,লুচু।কী বলছিস এইসব।মুখে আটকায় না তোর,এইসব বলতে?

” খারাপ কি বললাম।তুই চুমু দিলে তো,আর আমাকে কিস করতে হয়না।তাই ভালোই ভালো,চুমু দিয়ে দে।নাহয় আমি দিচ্ছি।

সিনহা কিছু না বলে চুপ করে ভাবতেছে,কীভাবে ইমরানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।সিনহাকে চুপ করে থাকতে দেখে বলল,

“ওকে তুই দিবি না বুঝছি।

ইমরান,নিজের মুখটা সিনহার মুখের কাছে আনতেই সিনহা জোরে বলে উঠে,

” দিবো দিবো আমি।

ইমরান হেসে নিজের গাল পেতে দিয়ে বলে,

“Hurry up..

ইমরানের গাল পাতা দেখে সিনহা মনে মনে ইমরান কয়েকটা গালি দেয়।

” শালা ডেভিলের বাচ্চা,অসভ্য,লুচ্চা।চুমু খাওয়ার এতো শখ কেনো রে?তোর গাল বরাবর ঘুষি মেরে,তোর গাল আমি চ্যাপ্টা করে ফেলবো।দেখিস তুই(মনে)

সিনহা টুপ করে তার গোলাপি ঠোঁট জোড়া দিয়ে, ইমরানের দুই গালে দুইটা চুমু দিয়ে তাড়াতাড়ি সরে আসে।সিনহার কাছে মনে হচ্ছে,যেনো সে কোনো অসাধ্য কাজ সাধন করে ফেলেছে।

“চুমুতে কোনো রস কস নেই।তুই প্রেমিকা নামের কলংক।নিরামিষ প্রেমিকা একটা।

ইমরান,সিনহাকে ছেড়ে দিয়ে বিছানায় এসে বসে।ইমরানের বলা কথাগুলো শুনে সিনহা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে।সে তেড়ে আসে ইমরানের দিকে।

” ওই কী বললি,আমি প্রেমিকা নামের কলংক।তুই প্রেমিক নামের কলংক শালা।এমন ঘুষা মারবো না চোপা বেড়ায়,কথা বলা বন্ধ হয়ে যাবে।লুচু একটা।(রেগে)

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

ইমরানের মুখের ভাষা শুনে ইমরান অবাক,হতভম্ব।এই কোন রূপ দেখছে সিনহার।ইমরান কনফিউশনে পড়ে যায়।তার সামনে কী সত্যি সিনহা দাড়িয়ে আছে?

“সিনহা কী বললি(অবাক হয়ে রেগে)

ইমরানের এভাবে অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে,সিনহার হুশ আছে।সে কাকে কী বলে ফেললে। সিনহা নিজের জিভ কাটে।সে রাগের বশে ডেভিলকে কী বলে ফেলেছে। পরক্ষনে সিনহা নিজেকে সামলে মাথা চুলকিয়ে হেসে বলে উঠে,

“ভাইয়া আমি কিছু বলি নাই।সত্যি আমি কিছু বলি নাই।
ভাইয়া আমি পালাই।

সিনহা এক দৌড়ে রুম থেকে পালিয়ে যায়।ইমরান বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায়।

” পালিয়ে যাবি কোথায়?তোকে আমি পরে দেখে নিচ্ছি।

নিচ থেকে ডাক আসলে ইমরান রুম থেকে বের হয়ে নিচে ড্রয়িংরুমে আসে।

“বলো বাবা।

” ইমরান ওরা ছাচ্ছে,আগামী সপ্তাহে বিয়েটা সেড়ে ফেলতে।

“এতো তাড়াতাড়ি।

” হুম।রিহান নাকি লন্ডনে সেটেল্ড হতে চাই।কয়েকদিন পরে ওর ফ্লাইট।তাই ও চাই বিয়েটা করে,দিশাকে একসাথে নিয়ে যেতে।

“তাহলে আর কী করার,আগামী সপ্তাহেই বিয়াটা হোক।

আগামী বৃহস্পতিবার রিহান_দিশার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।সবাই মিষ্টি মুখ করে নেয়।সবাই অনেক খুশি।সবচেয়ে বেশি খুশি রিহান_দিশা।

সকালের ঘটনার পর থেকে সারাদিনে আর একবারও সিনহাকে দেখেনি ইমরান।সন্ধ্যার পর ইমরান,সিনহার রুমের দিকে যায়।দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে,সিনহা শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছে।ইমরানকে দেখামাত্রই সিনহা ঢাপ করে বিছানায় উঠে বসে।

ইমরান রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।ইমরানকে দরজা বন্ধ করতে দেখে,ভয়ে সিনহার বুক ধক করে উঠে।

“ভাইয়া দরজা বন্ধ করছিস কেনো?

” সকালে কিছু বলছিলি আমারে।মনে আছে তোর।অবশ্য আমি ভুলি নাই।

ইমরান বিছানার দিকে এগিয়ে আসে।তা দেখে সিনহার কলিজার পানি শুকিয়ে যায়।সিনহা তাড়াতাড়ি করে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ায়।

“ভাইয়া একদম এগুবিনা।ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি।

” কেনো এগুলে কী করবি তুই?

“আমি চিৎকার করব বলে দিচ্ছি।

” কর চিৎকার।আমিও দেখি তোর গলায় কতো জোর।

ইমরান,সিনহার কাছে এসে,সিনহার বাহুতে হাত দিয়ে,সিনহাকে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।

“ভাইয়া ক..কী কর..ছিস?

“আমি তোর শালা?আমি প্রেমিক নামের কলংক?আমার চোপায় ঘুষি মারবি?আমি লুচু?

ইমরান বিছানার উপর উঠে,সিনহা ভয়ে ভয়ে পিছু হটতে থাকে।

” না না তুই আমার শালা না।তুইতো আমার ভাইয়া।তুই প্রেমিক নামের কলংক না।আমিই প্রেমিকা নামের কলংক।তুই লুচু না,সত্যি বলছি।

ইমরান,সিনহার একদম কাছে এসে, সিনহার চুলের মুঠি চেপে ধরে,সিনহার মুখ,নিজের মুখের খুব কাছে নিয়ে আসে।সিনহার চোখ সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায়।

চলবে..

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here