#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
13.
~তখনকার মতো চাচা,চাচীর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে গেলেন।কারন যেই সময় চাচী,চাচার উপর আক্রমণ করবে,ঠিক সেই মুহুর্তে মাহবুব সাহেবের গাড়ি ঢুকে গেইট দিয়ে।সবাই মাহবুব সাহেবকে দেখে চুপ করে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে।চাচী চোখ গরম করে,চাচার দিকে একবার তাকিয়ে ঝাড়ু নিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায়।
“আল্লাহ শুকরিয়া।সোহাগী বেগমের ঝাড়ু হাত থেকে আজকে বড় বাঁচা বাঁচলাম।
”
সন্ধ্যার দিকে ইমরান বাদে সবাই ড্রয়িংরুমে এসে বসে।মাহবুব সাহেব,সিনহাকে আদেশ দিলেন, ইমরানকে ডেকে আনতে।সিনহাও ইমরানকে ডাকার জন্য সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যায়।
সিনহা,ইমরানের রুমে ঢুকতেই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে ঠাস করে নিচে পড়ে যায়।
“ও মাগো.
সিনহা নিচে থেকেই চেঁচিয়ে উঠে,
” ভাইয়া তুই আমাকে ধাক্কা দিলি কেনো?(রেগে)
ইমরান ভ্রূকূচকে সিনহার দিকে তাকিয়ে বলে,
“গাধা নাকি তুই?তোকে আমি কেনো ধাক্কা দিতে যাবো?
“ধাক্কা না দিলে,আমি নিচে কীভাবে পড়লাম?
” আজব,তুই রুমে ঢুকতে ছিলি,আর আমি বের হতে ছিলাম,কেউ কাউকে দেখলাম না,তাই ধাক্কা খেয়ে ঠাস করে নিচে পড়ে গেলি।
“আমি একা কেনো পড়লাম?তুই নিচে পড়লি না কেনো?
” তোর যে তুলার মতো শরীর।এই শরীরের সাথে ধাক্কা খেয়ে আমি নিচে পড়বো?স্ট্রেঞ্জ!
“আমার তুলার মতো শরীর??
” জি।
“হইছে এখন দাঁড়িয়ে না থেকে,আমাকে নিচে থেকে উঠা।
ইমরান কথা না বাড়িয়ে সিনহার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।সিনহা,ইমরানের হাত ধরে মেঝে থেকে উঠে পড়ে।
” তা এইসময় আমার রুমে কী দরকার তোর?
“আমার কোনো দরকার নেই,ফুফা তোকে নিচে যেতে বলেছে।তাই ডাকতে এলাম
“ও আচ্ছা চল।
ইমরান,সিনহা নিচে ড্রয়িংরুমে চলে আসে।মাহবুব সাহেব সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
” কালকে দিশাকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে।ছেলে,দিশা দুজন দুজনকে নাকী পছন্দ করে।ছেলেও ভালো,তাই আমি আপত্তি করিনি।ইমরান তুমি কী বলো?
“বাবা তুমি যা ভালো মনে করো,তাই করো।আর দিশা যেহেতু পছন্দ করেছে,আমাদের উচিত তাকে সাপোর্ট করা।আমি সিউর দিশা ভুল কাউকে বেছে নিবেনা।
দিয়া,সিনহা দুজনে দিশাকে পৌছাচ্ছে।
” আপু কাহিনী এতো দূর,অথচ আমরা জানি না।এটা কিন্তু একদম ঠিক করলে না।
“সরি মেরা বোইনে দুইটা।
” তা আপু তোমার হিরোকে দেখাও তো,দেখি।কে আমার আপুকে পাগল করে দিয়েছে।তার প্রেমে ফাঁসিয়েছে।
দিশা নিজের মোবাইল বের করে সিনহা,দিয়াকে রিহানের ফটো দেখায়।
“অওও..দারুন দুলাভাই আমাদের।
”
আজকে কেউই কলেজে যায়নি।দিশাকে ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে,তাই সবাই বাড়িতে রয়ে গেছে।
দুপুরের দিকে দিয়াকে দেখতে রিহান আসে।রিহানের সাথে,তার বাবা মা ও একটা কাজিন আসে।ইমরান,মাহবুব সাহেবের সাথে সবাই পরিচিত হয়ে নেয়।মাহবুব সাহেব ডাক দিয়ে দিশাকে আনতে বলে।সিনহা,দিয়া ডাক শুনে তাড়াতাড়ি করে দিশাকে নিয়ে রিহানের সামনে সোফায় বসিয়ে দেয়।
রিহানের কাজিন সিনহার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।দিশার সাথে সাথে আজকে দিয়া সিনহাও হালকা সেজেছে।এই সাজে দুজনকে অসম্ভব সুন্দরী লাগছে।রিহানের কাজিন তো সিনহার দিকে তাকিয়ে হা করে তাকিয়ে থাকে।যেনো এমন সুন্দরী মেয়ে সে তার জীবনেও দেখেনি।তার এভাবে হা করিয়ে তাকিয়ে থাকাটা ইমরানের নজর এড়ায় না।সে রাগী চোখে সিনহার দিকে তাকায়।না সিনহার,ইমরানের দিকে নজর নেয়।
“এভাবে হা করব তাকিয়ে থাকলে মুখে মশা ঢুকে যাবে(দাঁতে দাঁত চেপে)
ইমরানের বলা কথা সবাই হা হয়ে ইমরানের দিকে তাকায়।সে কাকে ইংগিত করে কথাটা বলে কেউ বুঝতে পারছে না।কিন্তু যাকে বলেছে,সে নিশ্চয় বুঝে মুখ বন্ধ করে সিনহার থেকে চোখ সরিয়ে ফেলে।
” রিহান ভাইয়ের কাজিনকে বললাম,উনি হা করে ছিলেন তো,তাই বললাম(হেসে)
রিহান,আড়চোখে দিশার দিকে তাকায়।দিশাও তাকায়,দিশার সাথে চোখাচোখি হলে,রিহান চোখ টিপ মেরে দেয়।দিশা চোখ বড়বড় করে নিচের দিকে তাকিয়ে,পরক্ষনে আবার হাসে।
ইমরানের মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে,এ ছেলেকে একবার সতর্ক করার পরেও,এ সেই বারবার সিনহার দিকে তাকিয়ে থাকে।সিনহার দিকে তাকিয়ে হাসে।
একবার সিনহার সাথে চোখাচোখি হলে,সিনহা ভদ্রতার খাতিরে জোর করে মুচকি হাসি দেয়,যা ইমরানের নজর এড়ায় না।ইমরান সোফা থেকে সাথে সাথে উঠে দাঁড়ায়।
“বাবা,তুমি কথা বলো,আমি একটু আসছি।
” লেখকঃইমতিহান ইমরান।
ইমরান তার বাবার উত্তরের আশা না করে,সিনহার কাছে এসে,সিনহাকে ফিসফিসিয়ে বলে,সিনহা উপরে আয়,জরুরী কথা আছে।দেরি যেন না হয়।
ইমরান দফাদফ পা পেলে সিড়ি বেয়ে নিজের রুমে চলে যায়।ইমরান রুমে হেটে পায়চারী করছে,আর নিজে নিজে বকবক করছে,
” এই সিনহার কতোবড় সাহস,ওই ছেলের দিকে তাকিয়ে হাসে।আবার সাজুগুজু করে,ওদের সামনে আসে।কেনো রে আজকে কী তোকে দেখতে আসবে?তোকে কেনো সাজতে হবে?
ইমরান কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে,সিনহা আসছে না দেখে সে রুম থেকে বের হতে নিলে দেখে সিনহা রুমে ঢুকছে।
সিনহা রুমে আসা মাত্রই ইমরান ঝড়ের গতিতে এসে,সিনহার হাত ধরে,সিনহাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে।এমন হঠাৎ আক্রমণে সিনহা ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে।
“তুই সাজলি কেনো?তোকে কেনো সাজতে হবে?আজকে কী তোর বিয়া,হ্যাঁ?উত্তর দে।তোর সাহস কী করে হয় ওই ছেলের দিকে তাকিয়ে হাসার?
ইমরানের কথা শুনে সিনহা চোখ মেলে তাকায়।
” ভা..ভাইয়া আ..আমি..
“হ্যাঁ তুই কী?
“আমি তো হালকা সাজ দিলাম।আর ওই ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিলো,তাই আমিও ভদ্রতার খাতিরে হাসি দিলাম।
” তুই হালকা সাজ কেনো?কোনো সাজ’ই দিতে পারবি না।আমি ছাড়া অন্য কারো সামনে সেজে যাওয়া তোর জন্য সম্পুর্ন নিষেধ।মনে থাকবে(জোরে ধমক দিয়ে)
“হ্যাঁ হ্যাঁ থাকবে।
” এইবারের মতো ক্ষমা করে দিলাম। আর কখনো যেনো তোকে এতো ভদ্রতা দেখাতে না দেখি।
ছেলের দিকে তাকিয়ে হাসি দেস,তা মনে করে আমার মাথা এখনো গরম হয়ে যাচ্ছে।না তোকে ক্ষমা করা যাবে না। শাস্তি তোকে পেতেই হবে।
ইমরানের কথা শুনে সিনহা ভয় পেয়ে যায়।সে কী শাস্তির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে?
“ভা..ভাইয়া ক কী..কীসের শা..শাস্তি?(কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে)
চলবে..
~ইমতিহান ইমরান।