Devil_Cousin_Lover 12

0
1301

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
12.

“শাড়ি পড়তে পারিস তো?আবার বলিস না,আমার তোকে হেল্প করতে হবে।

সিনহা অসহায় চোখে ইমরানের দিকে তাকায়।এই ইমরান বলছে কী?তার হেল্প ছাড়া তো সিনহা কোনোভাবেই শাড়ি ঠিক করে পড়তে পারবে না।

” ভাইয়া তুই তো দেখেছিস আমি কোনোদিন শাড়ি পড়ি নাই।তাই শাড়ি পড়তেও জানি না।এই শাড়ি দিয়া আমাকে পড়িয়ে দিয়েছে।

“শাড়ি পড়তে পারিস না।শাড়ি পড়ার জন্য এতো উতলা হয়ে পড়েছিস কেনো?(ধমক দিয়ে)

সিনহা,ইমরানের কথা কানে না নিয়ে বলল,

” ভাইয়া,তুই গিয়ে আমার বান্ধুবীদের একটু ডেকে দে না,প্লিজ।

“পারব না।আমার খেয়ে দেয়ে তো আর কোনো কাজ নেই,আমি এখন আপনার বান্ধুবীদের খুঁজতে যাবো।

” তাহলে এখন আমি কী করবো?

“তুই এভাবে বসে থেকে,ঘুমিয়ে পড়।(ধমক দিয়ে)

” ভাইয়া তুই আমার সাথে এমন করছিস কেনো?আমি তোর প্রেমিকা না!প্রেমিকার সাথে কেউ এভাবে কথা বলে?(মন খারাপ করে)

“ওলে আমাল প্রেমিকালে,আমি প্রেমিক হলে,আপনি আমাকে ভাইয়া কেনো ডাকেন।

” তুই আমার প্রেমিক ভাইয়া তাই(হেসে)

“এই হাসে,এই মন খারাপ করে পাগলী একটা(হেসে)

” তোর পাগলী(হেসে)

ইমরান হেসে,সিনহার কাছে এসে সিনহার গায়ের কোর্টটাতে হাত লাগাতেই সিনহা লাফিয়ে উঠে।

“ভাইয়া কী করছিস?

” আজব তো,তোকে শাড়ি পড়াতে হবেনা।

“তুই শাড়ি পড়াবি আমাকে?

” তো এখানে আর আছে কে?যে তোকে পড়িয়ে দিবে।

“ভাইয়া আমার লজ্জা লাগবে।

” এই মুহূর্তের জন্য লজ্জা একটু একপাশে রাখেন।এখন সময় নষ্ট করিয়েন না।যে কেউ,যেকোনো সময় চলে আসতে পারে।

ইমরান টান দিয়ে সিনহার গায়ে থেকে কোর্টটা খুলে নেয়।সিনহা দুই হাত দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখার আপ্রান চেষ্টা করছে।

“হাত দিয়ে এভাবে ধরে রাখলে,শাড়ি পড়াবো কী করে?(বিরক্তি নিয়ে)

” আমার সত্যি লজ্জা লাগছে,তোর সামনে এভাবে..

“আমার সাম্নেই এভাবে থাকতে পারবি,অন্য কারো সাথে এভাবে দেখলে জানে মেরে ফেলবো।হাত সরা এখন।

সিনহা চোখ বন্ধ করে দাঁত খিচে দুই হাত দুই পাশে রাখে।ইমরান হেসে,সিনহাকে একবার পরখ করে নেয়।তারপর শাড়িটা ধরে,সিনহাকে সুন্দরভাবে পড়িয়ে দেয়।কুচি দেওয়ার জন্য পেটে হাত দিতেই,সিনহা শিউরে ওঠে এক হাত দিয়ে ইমরানের হাত শক্ত করে চেপে ধরে।সিনহা বড় বড় করে নিশ্বাস ফেলছে।

” ভাইয়া কুচিগুলো আমি দেই।

“চুপ,সব যেহেতু আমি করেছি,কুচি গুলোও আমি পড়িয়ে দিতে পারবো।

ইমরান অন্য হাত দিয়ে,তার হাতের উপর থেকে সিনহার হাত সরিয়ে, সিনহার পেটে শাড়ি গুজে দেয়।সিনহা সাথে সাথে কেঁপে উঠে।ইমরান,শাড়ি কিছুটা সরিয়ে,সিনহার পেটের পাশের তিলটায়,নিজের ঠোঁট টা চেপে ধরে।সিনহা পুরো শরীর কেঁপে উঠে।শরীরে নতুন শিহরণ বয়ে যায়।সিনহা,ইমরানের থেকে কিছুটা দূরে সরে এসে,নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁপাতে লাগল।ইমরান,সিনহার এই অবস্থা দেখে মুচকি হাসি দেয়।

” চল বাইরে যাওয়া যাক।

“হু।

একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা টা নিয়ে সিনহা একটা কথাও বলল না।বরং তার এখন অনেক লজ্জা লাগছে, ইমরানের দিকে তাকাতে।সিনহা মুখে হু বললে,এখনো ঘোর কেটে উঠতে পারেনি।তাই সে এখনো মাথা নিচু করে এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ইমরান দরজার কাছে গিয়ে,পিছনে তাকায়,সিনহাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল,

” আজকে কী সারাদিন এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবি বলে ভেবেছিস?(ধমক দিয়ে)

ইমরানের ধমক শুনে সিনহা মাথা তুলে তাকায়।

“এই রোমান্টিক মুডে থাকে,আবার মুহূর্তে ডেভিল হয়ে যায়(মনে)
না মানে আসছি আসছি।

ইমরান রুমের দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসে।পিছন পিছন সিনহাও বেরিয়ে আসে।

দিহান দিয়া ক্যান্টিন থেকে বের হতেই,সিনহা ইমরানের সাথে দেখা হয়ে যায়।

” তোরা দুইটা একসাথে কি করস?

“ভাইয়া উনি আজকে আমাকে ট্রিট দিয়েছে,উনি নাকি প্রেমে পড়েছে।

দিয়ার কথা শুনে দিহান ভ্যাবাচ্যাকা খায়।কী বলছে কী এই মেয়ে?সে কখন বলল সে প্রেমে পড়েছে?আর নিজ থেকে ট্রিটও বা কখন দিলো?সব তো মেয়েটাই করছে।

” কীরে দিহান সত্যি নাকি?তা কার প্রেমে পড়েছিস?আমাদের না বলে,দিয়াকেও বা কেনো বলছিস?

দিহান কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না।এই মেয়েটা যে মিথ্যা বলছে,সেটা কী ইমরানকে বলে দিবে?অবশ্য তখন আর কিছু বলতে হয়নি।কারন চাচা এসে হাজির।

“ভাতিজা,ভাতিজিরা দেখি সবাই একসাথে?যাক ভালোই হলো?তা প্রোগ্রাম ছেড়ে তোরা এইদিকে কেনো? বিষয়টা তো আমার কাছে সুবিধার ঠেকছে না।এখানে জোড়া জোড়া দেখা যাচ্ছে।তোরা কী আবার প্রেম করা শুরু করে দিয়েছিস নাকি?

” চাচা তুমি বেশি বুঝো,আর বেশি কথা বলো?তুমি এখানে কেনো?মেয়ে দেখতে এসেছো,সিউর আমি।এক্ষুনি সোহাগী বেগমকে ফোন করে বলে দিচ্ছি,তার স্বামী কলেজে এসে মেয়েদের পিছনে ঘুরছে।

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

“নাউযুবিল্লাহ,ভাতিজা আমি কখন মেয়েদের পিছনে ঘুরলাম?আর কথায় কথায় শুধু সোহাগী বেগমের ভয় দেখাবি না আমারে?আমি হেতিরে ভয় পায়না।আমি তো ভয় পায় হেতির ওসি ভাইরে।আর এখানে আমি মেয়েদের পিছনে ঘুরার জন্য আসিনি,প্রোগ্রাম দেখতে এসেছি।

” তো যাও প্রোগ্রাম দেখো,এইদিকে কী?

“ভাইয়া,তুই চাচার সাথে এরকম করছিস কেনো?চাচা চলো তো আমরা গিয়ে অনুষ্টান দেখি।তোমার শয়তান ভাতিজার সাথে কথা না বলাই উচিত তোমার।

সিনহা,চাচাকে টেনে নিয়ে চলে গেলো।পিছন পিছন দিয়াও চলে গেলো।

” এ আমারে শয়তান বললো,একে আজকে আমি শেষ?
আচ্ছা আয়ান কোথায় রে,দিহান?

“জানি না।হয়তো তার ব্রেকআপওয়ালীর সাথে প্রেম করছে।

” হতেও পারে।আচ্ছা চল বাচ্চা একটাকে দুইটা থাপ্পড় মেরে আসি।ও আমার সিনহার গায়ে হাত দিতে চেয়েছে।ওকে একটু টাইট দিতে হবে।

“কী বললি?সিনহার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কে করলো?

” চল দেখবি।

ইমরান,দিহানকে নিয়ে রুমের সামনে এসে,রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে,ভিতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।জিসান তাকিয়ে ভয়ে এক ঢোক গিলল।তার সাথে আজকে কী হতে যাচ্ছে,সে বুঝতে পারছে না।

অনুষ্টান শেষে আস্তে আস্তে কলেজ গেইট দিয়ে সবাই বাইরে বের হয়ে আসে।

“ভাইয়া ফুচকা খাবো চল।

” এমনিতেও অনেক দেরি হয়ে গেছে।ফুচকা খেয়ে রাত করার দরকার নেই।

“রাত হলে কী হয়েছে?তুই তো আসিস সাথে।

” সিনহা বেশি কথা বলিস না,রিক্সায় উঠ যা।(ধমক দিয়ে)

“কথায় কথায় ধমক দিবে,ডেভিলের বাচ্চা একটা।(বিরবির করে)

ইমরান,সিনহা দিয়াকে একটা রিক্সায় উঠিয়ে দেয়।আর নিজের বাইকে চাচাকে উঠায়।দিশা ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে,সে নাকী বাসায় চলে গেছে।

ইমরান বাইক নিয়ে বাসায় ঢুকে দেখে চাচী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। চাচাকে,ইমরানের সাথে দেখে,চাচী পিছন থেকে তার হাতটা সামনে আনে।ওমা!চাচীর হাতে ঝাড়ু।
ঝাড়ুটা চাচা দেখে ভয়ে এক ঢোক গিলল।সিনহা,দিয়াও গেইট দিয়ে এই দৃশ্য দেখে মুখ হা করে দাঁড়িয়ে রইল।

“ভাতিজা তোর চাচীর হাতে ঝাড়ু ক্যান?মোরে ঝাড়ু পিটা করবে নাকী??নাউযুবিল্লাহ! মুই কী দৌড় লাগাবো ভাতিজা?

চলবে,…

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here