Devil_Cousin_Lover 11

0
1297

#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
11.

আগামীকাল কলেজে নবীনবরণ অনুষ্টান।সিনহার সব বান্ধুবীরা শাড়ি পড়ে আসবে।কিন্তু সিনহার কোনো শাড়ি না থাকায়,সে তার ফুফির কাছে গেলো,একটা শাড়ির জন্য।

“কীরে সিনহা?কিছু বলবি?

” ফুফি আগামীকাল কলেজে নবীনবরণ অনুষ্টান।আমার সব বান্ধুবীরা অনুষ্টানে শাড়ি পড়ে আসবে।কিন্তু আমার কোনো শাড়ি নেই।তুমি যদি আমাকে তোমার একটা শাড়ি দেও,আমি পড়ে যেতাম।

“সিনহা তোর শাড়ি দরকার তুই এখন রাতে আমাকে বলছিস।বিকালে বললেও তো,ইমরানকে দিয়ে তোর জন্য একটা নতুন শাড়ি কিনে আনতাম।এখন বুঝি তুই আমার পুরাতন শাড়ি পড়বি।

” নতুন শাড়ি কিনার দরকার নাই।অযথা টাকা নষ্ট।

“বোকা মেয়ে।তুই কী আমাদের পর কেউ,যে তোর জন্য কিছু কিনতে আমাদের টাকা নষ্ট হবে?এক থাপ্পড় মারবো,আর কখনো এইসব বললে?

সিনহা তার ফুফিকে জড়িয়ে ধরল।

” ফুফি তুমি অনেক ভালো।

“হইছে পাম দিতে হবেনা।আলমারি থেকে পছন্দ করে একটা শাড়ি নিয়ে যা।

সিনহা শাড়ি নিয়ে চলে যেতে,ইমরানের সামনে এসে পড়ে।

” কীরে সিনহা,তোর হাতে শাড়ি কেনো?কালকে শাড়ি পড়ে কলেজে যাবি?

“হুম।আমার সব বান্ধুবীরা যাবে।আমি বাদ যাবো কেনো?

“শাড়ি পড়বি,ভালো কথা।কিন্তু এই শাড়ির জন্য যেনো কোনো অঘটন না ঘটে।

” শাড়ির জন্য আবার কীসের অঘটন ঘটবে?

“না ঘটলেই ভালো।যা রুমে যা।

“হুম।

সকালবেলা দিয়া,সিনহা শাড়ি পড়ে সুন্দরভাবে সেজে বাহির হচ্ছে,এমনসময় দিশা এসে ডাক দেয়।

“ওই দাড়া তোরা।আমিও যাবো,তোদের সাথে।ঘরে থাকতে আর ভাল্লাগছে না।

” আচ্ছা চলো।আপু তুমিও শাড়ি পড়ছো?কী ব্যাপার বলো তো?

“শাড়ি পড়া নিয়ে আবার কী ব্যাপার?চল তো।

ইমরান ঘুম থেকে উঠে তার একটা বোনকেও বাসায় খুঁজে পায়না।পরে তার আম্মার কাছ থেকে জানতে পারলো,তার বোনরা সবাই একসাথে কলেজে গেছে।ইমরানও হালকা নাস্তা করে,কলেজের উদ্দেশ্য ছুটলো।

এইদিকে সিনহা এসে তার বান্ধুবীদের সাথে মিলিত হয়েছে।

“তোকে শাড়িতে দারুন লাগছে।আমি সিউর আজকে তুই অনেক প্রপোজ পাবি।

” তাই(হেসে)

“জি মেরা বান্ধুবী।আমার কথা মিলিয়ে নিস।

” আচ্ছা বাদ দে।অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে।চেয়ারে গিয়ে বসি।

“হুম চল।

“ওই দিহান আমাকে শাড়িতে কেমন লাগছে,বলেন তো?

” বাসায় গিয়ে,নিজেকে আয়নায় দেখে নিও।

“এতো নিরামিষ কেনো,আপনি?আপনাকে জিজ্ঞাস করলাম,কোথায় সুনাম করে আমাকে পটিয়ে ফেলবেন,তা না।আমাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না।

“তোমাকে পটাতে কোনো ইচ্ছাই আমার নেই।

” আচ্ছা পটাতে হবে না।আমার না খিদা লাগছে,চলেন কিছু খাওয়াবেন আমাকে।

দিহান মানা করল না,দিয়াকে নিয়ে চলল ক্যান্টিনের দিকে।

“ওই তোরা থাক।আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি।

” আচ্ছা।

“লেখকঃইমতিহান ইমরান।

সিনহা,ওয়াশ্রুম থেকে বের হতেই দেখে,জিসান দাঁড়িয়ে আছে।সিনহা পাশ কেটে চলে আসতে চাইলে,জিসান এসে সামনে দাঁড়ায়।

“তোমাকে না অনেক হট লাগছে সিনহা।তোমার মতোই তো একটা প্রেমিকা চাই আমি।কিন্তু আফসোস তুমি আমাকে পাত্তা দেওনা।

“সরেন সামনে থেকে,আপনাকে না আমার পথ আটকাতে নিষেধ করলাম।

” আরে দাড়াও না।আমার কথা এখনো শেষ হয়নি।আমি ভাবছি,প্রেমিকা হিসেবে,যেহেতু তোমায় পাবো না।অন্তত তোমার থেকে কিছু মধু খেয়ে নিই(শয়তানী হাসি দিয়ে)

“কী সব যা তা বলছেন,আমাকে যেতে দিন।এর ফল ভালো হবে না বলে দিলাম।

সিনহা পাশ কেটে চলে যেতে নিলে,জিসান সিনহার এক হাত চেপ ধরে ওয়াশরুমের পাশের একটা রুমের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।সিনহা,চিৎকার চেচাঁমেচি করছে,সাহায্য পাওয়ার জন্য,কিন্তু তার চিৎকারের শব্দ কারো কানে পৌছাচ্ছে না।একে তো প্রোগ্রাম থেকে ওয়াশরুম কিছুটা দূরে,তারউপর গান বাজনা হওয়ার কারনে কেউ এখন এইদিক টায় নাই।

“এইদিকে আয়ান,আয়রার পিছনে ঘুরতে ঘুরতে হয়রান।কিন্তু কোনোভাবেই মেয়েটা তাকে পাত্তা দিচ্ছে না।দিবেই বা কেনো,সে যে আজকে বড় একটা ভুল করে ফেলেছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে আয়রার ৩২ টা মিসডকল।কিন্তু আয়ান ঘুমের কারনে,কোনো হুশই ছিল না।যার কারনে মেয়েটা এখন তার উপর অনেক রেগে আছে।

” ওই জান শুনো না।সরি রে বাপ।

“আমি তোর বাপ,তাই না।বলছি না ব্রেকআপ।সো ব্রেকআপ।

” আরে আমি কী ইচ্ছা করা তোমার কল ধরি নাই নাকি?

“আমি তো ঘুমে ছিলাম।শুনতে পায়নি।

” তুই ঘুমেই থাক।এখন উঠছস কেনো?এখন ঘুমে থাকতি।আর আমার পিছন নিবি না।নাহলে খবর আছে।
আয়রা রেগে হনহন করে হেটে চলে গেলো।

জিসান টানতে টানতে সিনহাকে রুমের ভিতর নিয়ে যাবে,এমনসময় তার মনে হলো,কেউ পিছন থেকে সিনহাকে ধরে রেখেছে।জিসান,পিছনে তাকিয়ে দেখে ইমরান।ইমরানকে দেখেই সিনহার দেহে প্রান ফিরে আসে।ইমরান এক টান দিয়ে জিসানের হাত থেকে সিনহার হাত ছুটায়।জিসানকে ধাক্কা মেরে রুমের ভিতর ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।

সিনহা জিসানের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া মাত্রই ইমরানের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

” তুই না আসলে,আজ যে আমার কী হতো ভাইয়া?

“আমি থাকতে তোর কিচ্ছু হতে দিবো না।আর এই ছেলের ব্যাপারটা আমার কাছে লুকানোর জন্য তোকে শাস্তি পেতে হবে।(দাঁতে দাঁত চেপে)

ইমরানের কথা শুনে সিনহা ভয়ে ঢোক গিলল।সিনহা মনে মনে ভাবছে,এ জানলো কীভাবে?

” ভাইয়া…

“কিছু বলতে হবেনা।অনুষ্টান হচ্ছে যা।

সিনহা ইমরানের বুক থেকে মুখ উঠায়,

” ভাইয়া লাভু।

“ওই এটা কী ছিলো??

সিনহা দাড়াল না,এক দৌড়ে প্রোগ্রামের দিকে হাটা ধরল।হঠাৎ করে,সিনহার পায়ের সাথে শাড়ির আঁচল বেধে যায়,যার ফলস্বরূপ শাড়িতে টান পড়ে,শাড়িটা অনেকটা খুলে যায়।

” ভাইয়া..(দুই হাত দিয়ে নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করে)

“ওরে গাধী মেয়ে রে..একটা কাজও যদি ঠিকমতো করতে পারিস।

ইমরান সিনহার কাছে এসে,নিজের কোর্টটা সিনহার গায়ে দিয়ে,সিনহাকে একটা রুমে নিয়ে যায়।

কলেজ প্রোগ্রামে আজকে চাচাও এসেছে।তারও একটু শখ জেগেছে অনুষ্ঠান দেখার।চাচা কলেজ গেইট ঢুকতেই ছেলেমেয়েদের ভিড়ে,কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে দৌড়ে গিয়ে একটা মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।ব্যাস মেয়েটা সহ চাচা নিচে।সবাই মিলে ধরাধরি করে চাচাকে নিচ থেকে উঠালো।

“চাচা ব্যাথা পান নাই তো।আপনার কিছু হয় নাইতো?

” এখনো কিছু হয় নাই।তবে আমার শয়তান ভাতিজা দেখলে অনেক কিছু হয়ে যেতে পারে?(চাচা আশেপাশে তাকিয়ে)

চলবে…

~ইমতিহান ইমরান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here