#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
10.
সোহাগী বেগম এবার উঠে এলেন তার স্বামীকে রক্ষা করতে।
“ওই ছাড় আমার সোয়ামী রে।ছাড় কইলাম।(ধমক দিয়ে)
চাচীর ধমক শুনে,ইমরান সিনহা দুজনে চাচার হাত ছেড়ে দেয়।চাচা ছাড়া পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচে।
” মাগো মা কী একটা মসিবতে পড়লাম?
“কীরে,তোরা দুইটা কী শুরু করলি?আমার স্বামীরে নিয়া এতো টানাটানি করস কেন?অল্পের জন্য তো হাত ছিড়ে ফেলছিলি।
” হু ঢং,এখন স্বামীর লাইগা মোহাব্বত উতলাইয়া পড়তেছে।
ইমরান সিনহার মাথায় একটা থাপ্পড় মেরে,বাগান থেকে বের হয়ে গেলো।
সিনহা কিছু করতে না পেরে রাগে ফুলে উঠছে।
”
“ভাইয়া আজকে তোর বাইকে করে কলেজে যাবো।
” মাথা খারাপ হয়ে যায়নি,আমার।একবার কী করছিলেন মনে আছে আমার।
“ভাইয়া প্লিজ,তোকে আর কাতুকুতু দিবো না,প্লিজ নে না।
” আমার সাথে যাওয়া লাগবে না,দিয়ার সাথে যা।
“দিয়ার ক্লাস আজকে দেরিতে শুরু হবে।দিয়া পরে যাবে।এইজন্যই তো তোরে বললাম।
” আচ্ছা আমি তোকে রিক্সার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
“না,আমি তোর বাইকে করে যাবো।না হয় কলেজে যাবো না।
“তুই কলেজে না যা,আমার কী তাতে?
” এরকম করস ক্যান?আমি তো বলছি আর কাতুকুতু দিবো না।আমাকে বিশ্বাস কর।প্লিজ,প্লিজ।
“আচ্ছা আচ্ছা বাইকে উঠ।এমন ভাবে বলছিস।না নিয়ে উপায় নাই।
সিনহা বাইকে উঠে পড়ে।ইমরান বাইক স্টার্ট দেয়।সিনহা,ইমরানকে জড়িয়ে ধরে বসতে গেলে,ইমরান ধমক দিয়ে উঠে।
” আবার তুই..?
“সরি সরি,আর এভাবে তোকে ধরব না।
সিনহা,ইমরান কলেজে যে যার ক্লাসে চলে যায়।ক্লাস শেষ করে,সিনহা তার বান্ধুবীদের নিয়ে ফুচকার দোকানে আসে।
” মামা ঝাল দিয়ে তিন প্লেট ফুচকা দিন তো।
সিনহা ফুচকা খাওয়া শেষ হলে,দোকানদার মামাকে বলে,
“মামা ওই যে তিনটা ছেলে দেখছেন।
” হুম।
“ওখানে মাঝের ছেলেটা আপনাকে,আমাদের ফুচকার বিল দিবে।
” ও ইমরান ভাই।ছিনি উনাকে,সমস্যা নেই।আপনারা যান।
“আচ্ছা।
সিনহা,তার দুই বান্ধুবীকে বিদায় জানিয়ে ইমরানের কাছে এলো।
” হ্যালো ভাইয়ারা,সবাই কেমন আছেন?
“আমরা ভালো আছি,তুমি কেমন আছো?
” আমিও ভালো আছি।আচ্ছা ভাইয়া আপনাদের কী জিএফ আছে?প্রেম করেন আপনারা?
দিহান ফটাফট উত্তর দিয়ে দেয়,
“এদের দুজনের জিএফ আছে।কিন্তু আমার নেই।
“কীইই?ভাইয়া তোর জিএফ আছে।আমি জানি না।এতো বড় ধোঁকা আমার সাথে।যা তোর সাথে ব্রেকআপ।
সিনহা এই কথা বলে বিপরীত দিকে হাটা শুরু করল।ইমরান,দিহানের মাথায় একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
” শালা,আমার কথা বলতি গেলি কেনো?আর কার সামনে বললি,খেয়াল ছিল না,তোর।থাক তোরা,মেয়েটাকে আটকায়,আমি।
দিহান হা হয়ে দুজনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে,
“এটা কী হলো?আমি তো সত্যি কথাই বললাম,আপনারা না বুঝলে আমার কী করার?
সিনহা হেটে চলে যাচ্ছে।ইমরান এসে সিনহার হাত ধরে আটকায়।
” ওই দাড়া।তোর সাথে কথা আছে।
“না তোর সাথে আমার কোনো কথা নেই।যা তুই তোর প্রেমিকার কাছে যা।
” লেখকঃইমতিহান ইমরান।
” আচ্ছা,তোর সাথে আমি প্রেম করলাম কখন?যে ব্রেকআপ করে চলে যাচ্ছিস। আর আমি যদি প্রেমও করি,তাতে তো তোর কোনো মাথা ব্যাথা থাকার কথা না।
“আমি বুঝি না মনে করছস,তুই যে আমার সাথে লাইন মারার চেষ্টা করতি।
” এখন আর বলে লাভ কী?এখন তো আমি অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করতেছি।
“এ্যা ভাইয়া,তুই সত্যি সত্যি প্রেম করছিস।?
” আমি প্রেম করি তাতে তোর সমস্যা কী?তুই কান্না করছিস কেনো?
“আমার সমস্যা আছে।তুই প্রেম করছিস,এখন ওই মেয়েটার সাথে ব্রেকআপ করবি।তা না হলে আমি ওই মেয়েটার চুল ছিঁড়ে ফেলবো।
” তুই আমার প্রেমিকার চুল ছিড়বি,এতো বড় সাহস তোর?
“আমার একি হলো রে?কোন শাকচুন্নী আমার ভাইয়াকে দখল করে নিলো গো??
” আরে বইন এতো কান্না করিস না।সবাই ভাববে আমি তোকে মেরেছি।
“কান্না থামাবো,তুই বল,ওই শাকচুন্নী টা কে?
” না বলব না।
“এ্যা?
” বলছি বলছি,কান্না থামা।
“বল।
“আমার কোনো প্রেমিকা নাই।আর দিহান যার কথা বললো,সেটা হচ্ছিস তুই।
” আমি।?
“হ্যাঁ তুই।প্রেম করবি আমার সাথে?
” যা!তোর মতো কাজিন ডেভিলের সাথে প্রেম করব না।
“ভাব নিয়েন না।বলেন প্রেম করবেন। যদি না করেন,সমস্যা নেই।এক্ষুনি ভার্সিটির একটা মেয়েকে প্রপোজ করে, প্রেম করা শুরু করে দিবো।
” যা না যা!মানা করছে কে?
“ওকে যাচ্ছি।
ইমরান বিপরীত দিকে হাটা শুরু করলে,সিনহা দৌড়ে এসে ইমরানের পথ আটকায়।
” কী সমস্যা?
“যেতে হবে না।আমি মানতে পারবো না,অন্য কেউ তোকে আমার থেকে নিয়ে যাবে।আমি প্রেম করবো,আমি তোর সাথে প্রেম করবো।
ইমরান হেসে একটান দিয়ে,সিনহাকে বুকে জড়িয়ে নেয়।সিনহা ইমরানের বুকে থেকেই বলে,
” কী করছিস কী ভাইয়া?সবাই দেখছে তো।
“দেখতে দে।অন্য কেউ যেনো তোর দিকে নজর না দিতে পারে,সবাই ছিনে নিক তোকে,ইমরানের কাজিন প্রেমিকাকে।তুই এখন অন্য দিকে তাকাইস না,আপাতত এই বুকে মুখ লুকিয়ে রাখ।
চলবে..
~ইমতিহান ইমরান।
