সাইকো_নীড় part : 5

0
619

#সাইকো_নীড়
part : 5
writer : Mohona

.

মেরিন : আপনি তো বাজে আচরন করছেন ।
কথাটা শুনে নীড় ২জনকে ছেরে দিলো।
নীড় : i know … আর তাই আরও করবো my snow white … আর এই যে তোরা… চোখের সামনে থেকে দূর হ।next time দেখলো কি করবো জানিনা… & my snow white … lunch time এ কেউ এগুলো খায়? ইইই… কি যে করো। wait…
বলেই নীড় এতততো খাবার নিয়ে এলো।
মেরিন : এই হাতির খোরাক কার জন্য?
নীড় : তোমার জন্য ।
মেরিন : আপনি কি পাগল নাকি? আপনি আমাকে ৩দিনের খাবার ১বারে খাওয়াবেন নাকি? আজব তো।
নীড় : শোনো এখন থেকে healthy খাবার খাবে আর জিম করবে , নিজেকে strong বানাবে। কারন তুমি weak হলে আমাদের বেবিও weak হবে…
মেরিন : wh…at…?
নীড় : এতে এভাবে react করার কি আছে বলবা?
মেরিন মনে মনে : চুপ থাক… না হলে আবার কি না কি বলবে…
নীড়ের সাইকোগিরিতে দিন কাটতে লাগলো।

.

কিছুদিনপর…
আজকে ছুটির দিন। মেরিন নীড়ের কাছে লুকিয়ে বাসা থেকে নিজে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে ।
মেরিন : ওই অদ্ভূদ লোকটার জন্য আমার আমাকেই যেন হারিয়ে ফেলেছি । বিরক্তিকর ১টা লোক দেখতে মন চায়না।
মেরিন ভালোভাবেই ড্রাইভ করছিলো কিন্তু ১টা মহিলা বেখেয়ালি ভাবে ভুল করে মেরিনের গাড়ির সামনে চলে এলো।
মেরিন : oh no…
মেরিন ব্রেক মারলো। তারাতারি গাড়ি থেকে নামলো। ভয়ের চোটে মহিলার হাত থেকে ব্যাগ পরে গিয়েছে।
মেরিন : আপনি ঠিক আছেন ? আপনার কোথাও লাগেনি তো। i am really very sorry … আ…
তখন মেরিনের হাতে টান লাগলো। জোরে ওকে ঘুরালো। দেখলো নীড়।
নীড় : তুমি ঠিক আছো? কোথাও লাগেনি তো…? এতো জোরে কেউ ব্রেক মারে? ব্যাথা পেলে কি হতো? সত্যি করে বলো ব্যাথা লাগেনি তো…
মেরিন : আরে আমার কি হবে। আজব তো… ছারন…
মেরিন নীড়কে সরিয়ে মহিলার দিকে ঘুরলো।
মেরিন : ব্যাথা পাননি তো? i am really
মহিলা : না না… আমি ঠিক আছি। আর তুমি কেন sorry বলছো? দোষটা তো আমারই…. আমিই…
নীড় : দোষী… you are the all time culprit…
তখন মহিলাটা নীড়ের চেহারা দেখলো।
মহিলা : নীড়…
মহিলার চোখে পানি টলমল। হবেই তো। বহুদিন পর ছেলেকে দেখলে কোন মায়ের চোখে পানি না আসে? হামমম মহিলাটা নীলিমা।
নীলিমা : নীড়… আমার সোনাবাচ্চা…
নীড় : খবরদার। আমাকে বাচ্চা বলবেন না। you are nothing to me… got it…. you are draculan… i just hate you….
বলেই নীড় মেরিনকে টেনে নিয়ে গেলো। নীলিমা পিছে পিছে দৌড়ে গেলো।
নীলিমা : বাবা বাবা বাবা… একটু দারা না। ১টা বার আমাকে মা বলে ডাকনা। ১টা বার…
মেরিন অবাক হলো। নীড় কোন কথা না বলে মেরিনকে জোর করে গাড়িতে বসালো।
মেরিন : নীড় …you should talk…
নীড় কোন কথা না বলে গাড়ি start দিলো। গাড়ি চলতে লাগলো। নীলিমা গাড়ির পিছে পিছে দৌড়াচ্ছে । মেরিনের খুব খারাপ লাগছে।
মেরিন : প্লিজ গাড়িটা থামান ।
নীড় : ..
নীলিমা দৌড়াতে দৌড়াতে পরেই গেলো। পরে গিয়ে ব্যাথা পেলো।
মেরিন : আন্টি… নীড় প্লিজ গাড়ি থামান । আন্টিটা পরে গিয়েছে। রক্ত পরছে।
নীড় : …
মেরিন বলেই যাচ্ছে । কিন্তু নীড় কিছু শুনতেই পাচ্ছেনা। নীড় মেরিনকে বাসায় দিয়ে চলে গেলো।
মেরিন : এই লোকটার আচরন এমন কেন?

.

চৌধুরী বাড়িতে…
নীড় সব ভাঙচুর করছে । হাত দিয়ে রক্ত পরছে। ও কি করবে দিশা পাচ্ছেনা। নিপার ফোন পেয়ে নিহাল অফিস থেকে ছুটে এলো। নীড়ের রুমে গেলো। দেখলো কাচ ভাঙার ওপর নীড় চিত হয়ে শুয়ে আছে…

নিহাল : বাবা ও বাবা… ও নীড়… কি হয়েছে? তুমি এভাবে শুয়ে আছো কেন? কি হয়েছে তোমার ?তোমাকে কি কেউ কিছু বলেছে? বলো… কে কি বলেছে…. তাকে যে কি করবো..। নিজেও জানিনা। ড্যানি ড্যানি….
ড্যানি ছুটে এলো।
ড্যানি : জী স্যার।
নিহাল : খোজ লাগাও আমার ছেলেকে কে কি বলেছে?
ড্যানি : জী স্যার …
ড্যানি বেরিয়ে গেলো।
নিহাল : ও বাবা ও বাবা… তোমার কি হয়েছ? বলোনা। তোমার ড্যাড ডার্লিংকে বলবেনা… হ্যা? আচ্ছা তোমার কি রাগ কমানোর জন্য মেয়ে লাগবে? হ্যা ? বলো… তুমি বললে কোনো মডেলকে এনে দার করাবো। তুমি ১বার বলো। তুমি যা বলবে আমি তাই করবো। তবুও তুমি এভাবে থেকোনা। আমি মেনে নিতে পারবোনা। ও বাবা বাবারে…
নীড় : …
নিহাল : তোমাকে কি মেরিন কিছু বলেছে? রাগ কমানোর জন্য কি মেরিনকে লাগবে? তুলে আনাবো ওকে….
নীড় নিহালের দিকে ঘুরলো।
নীড় : মেরিন আমার জিদ না…
নিহাল : তাহলে এখনই বিয়ের ব্যাবস্থা করবো….?
নীড় : ও আমার ভালোবাসানা…
নিহাল ভাবলো যে মেরিনকে নিয়ে কিছু বলাতে যখন ও react করলো তখন মেরিনকে নিয়েই কথা বলবে।
নিহাল : তাহলে মেরিন তোমার কি?
নীড় আর কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।

.

রাত ১১টা…
মেরিন : আরে লোড শেডিং। ips এর কি হলো…. আম্মু … আম্মু…
কনিকা : কি হয়েছে?
মেরিন : ips এর কি হলো?
কনিকা : battery তে ঝামেলা হয়েছে। কালকে তোর বাবা নতুন লাগাবে।
মেরিন : কাহিনী হলো আজকে আর কাজ হবে কালকে। আজব তো…
কনিকা : candle তোর বেড সাইড ড্রয়ারে আছে।
মেরিন : huh…
তখন মেরিনের ফোনটা বেজে উঠলো।
মেরিন : হ্যালো।
নিহাল : আমি নিহাল আহমেদ চৌধুরী বলছি।
মেরিন : বলুন…।
নিহাল : আমার ছেলেটা কি তোমার কাছে গিয়েছে?
মেরিন : না। এতো রাতে আমার এখানে আসবে কেন?
নিহাল : আচ্ছা তুমি নীড়কে ১টা ফোন করবে মা?
মেরিন : কেন আমি উনাকে ফোন করবো কেন? না চাইতেই ঝামেলা আমার কাধে এসে পরেছে। তারওপর সেধে সেধে ঝামেলাকে কেন দাওয়াত দিবো?
নিহাল : ও না সেই দুপুরে বের হয়েছে। কারো ফোন ধরছেনা। তুমি ১টা বার ফোন করবে?
মেরিন : আপনার ছেলে আপনার ফোন ধরে না আর আমার টা ধরবে?
নিহাল : তবুও যদি ১টা ফোন দিতে… না জানি কি হালে আছে।
মেরিন : আমি ফোন দিবো না। উনি মরে গেলেও আমার কিছু না…
নিহাল : মেরিন…
নিহালের ধমকে মেরিন ভয় পেয়ে গেলো।
নিহাল : আমার ছেলে এতো সহজে মরবে না। আমার ছেলেকে তুমি আজকে এভাবে তিরস্কার করছো তো… দেখে নিও। এমনও দিন আসবে যে তুমি আমার ছেলের জন্য চোখের পানি ফেলবে…
বলেই নিহাল রেখে দিলো।
মেরিন : বাবা ছেলে ২জনই আজব। আমাকে বকে এদের কি শান্তি লাগে আল্লাহ জানে। আর ওই সাইকোটাও বা কোথায় গেল? সকালে অমন অদ্ভূদ আচরন কেন করলো? যাই হোক…
মেরিন মোম জ্বালিয়ে কেবল পিছে ঘুরলো। দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। মেরিন চমকে উঠলো। কিন্তু অন্ধকারে এই মোমবাতির আলোতেও মেরিন স্পষ্ট বুঝতে পারলো যে এটা নীড় । এই মোমবাতির আলোতে নীড়ের মুখটা অন্যরকম সুন্দর লাগছে। কিন্তু ১হাতে সেই হুইসকির বোতল। চুল গুলো উস্কোখুস্কো। চোখগুলোও যেন কেমন লাগছে।
মেরিন : আ…
মেরিনকে কথা শেষ করতে না দিয়ে নীড় হুট করে মোমবাতিটা নিভিয়ে অনেক শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। আর এমন ভাবে জরিয়ে ধরলো যে মেরিন মেঝে থেকে কয়েক ইঞ্চি উচুতে উঠে গেলো। নীড় এমনভাবে ধরেছে যে মেরিন দমই ছারতে পারছেনা… মেরিনের অবস্থা ছেরে দে মা কেদে বাচি। কিন্তু নীড়ের পিঠ ছোয়া লাগায় ভেজা ভেজা অনুভব করলো। যার কারনে মেরিন আবার পিঠে হাত দিলো। কিন্তু অন্ধকার থাকায় দেখতেও পারছেনা। তবুও কেন যেন ওর মনে হচ্ছে যে রক্ত ।
অনেক কষ্টে মেরিন
বলল : নীড়…
নীড় : …

একটুপর নীড় মেরিনকে ছারলো।
নীড় কিছু না বলে মেরিনকে কোলে তুলে গাড়িতে বসালো । নীড় চুপচাপ ড্রাইভ করছে।
মেরিন : নীড় আপনার পিঠ দিয়ে যে রক্ত পরছে। শার্ট যে ভেজা ভেজা… হয় হসপিটালে চলুন না হয় আমার মেডিসিন লাগাতে দিন…
নীড় কোন কথা না বল হুইসকি খেতে খেতে এলোমেলো ভাবে ড্রাইভ করছে। মেরিনের ভীষন ভয় করছে। এই বুঝি accident হয়… এই বুঝি accident হয়। অনেক্ষন ড্রাইভ করার পর নীড় গাড়ি থামালো। ১টা উচু টাওয়ারের নিচে। নীড় মেরিনকে টেনে ওপরে নিয়ে গেলো।
মেরিন মনে মনে : আমাকে কি ওপর থেকে ফেলে দিবে নাকি?
নীড় মেরিনকে ওপরে নিয়ে গেলো। এমনকি রেলিং এর ওপরেও বসালো। তাও জোর করে…. ১বার নিচে তাকিয়েই মেরিনের মাথা চক্কর মারলো।
মেরিন : আম্মু…
বলেই মেরিন নীড়কে জরিয়ে ধরলো। নীড়ের শার্টটা খামচে ধরলো। নীড় ১হাত দিয়ে মেরিনকে আগলে ধরে আকাশ দেখতে দেখতে হুইসকি গিলতে লাগলো। ভয়ের চোটে মেরিন নীড় থেকে সরেও আসছে না।

.

একটুপর…
এতোক্ষনের নিরবতা কাটিয়ে নীড়
বলল : i need you very badly … i don’t know why…. but i need you…
মেরিন নীড়ের বুক থেকে উঠে এলো। পিটিপিটি চোখ করে নীড়কে দেখছে।
নীড় সামনে তাকিয়েই
বলল : এভাবে তাকিয়ো না… উল্টাপাল্টা ভাবনা আসছে। control করতে পারবোনা…
মেরিন ছোটছোট চোখ করে মনে মনে হাজারটা বকা দিলো নীড়কে।
নীড় : বেশি বকা দিওনা। তোমারই বর হবো।
মেরিন : huh…
মেরিন নিজের কাধ থেকে নীড়ের হাত সরাতে নিলো।
নীড় : ওই পরবা তো…
মেরিন : না। আমি নিজেকে সামলাতে পারি?
নীড় বাকা হেসে
বলল : তাই বুঝি? ?।
মেরিন : হামম।
নীড় : good…
বলেই মেরিনের পিঠে থাপ্পর মারলো। আবার ধরে ফেললো।
মেরিন : আম্মু…
নীড় : হাহাহা….
এমন করে হাসতে মেরিন নীড়কে দেখেনি। না না দেখেছিলো। রমনা পার্কে।

নীড় মেরিনের হাত ধরে বসে রইলো। এতো উচুতে থাকায় মেরিনের বেশ ঠান্ডা লাগছে।
মেরিন : শুনুন…
নীড় : শীত করছে…?
মেরিন : ভীষন….
নীড় : আমাকে মুভির হিরো আর নিজেকে মুভির হিরোইন ভাবার দরকার নেই । আমি আমার জামা তোমার গায়ে জরিয়ে দিবোনা।
মেরিন হা করে তাকিয়ে আছে।
মেরিন : oh hello … শখও নেই আপনার ওই রক্তাত্ব শার্ট পরার। ছিঃ। আমি বলছিলাম যে আমরা বাসায় কখন যাবো?
নীড় : বাসায়? ন্যাহ। আজকে আমরা এখানেই থাকবো my snow white …
মেরিন : কি…. ???…
নীড় : হাহাহা….
নীড় বোতলটা রেখে মেরিনের নাকটা টেনে দিলো।
নীড় : cute snow white ….

]

.

বর্তমান…
in usa…
butler : no no no… আপনি বললেই তো আর আমরা ওকে ছারতে পারিনা।

লোকটা : কেন পারবেন না কেন? ভুলে যাবেন না যে আমি ওর পরিবার। আর আপনি just ওর treatment করছেন। thats it…
butler : excuse me… ও এখন আমাদের patient … তাই ও আমাদের দায়িত্ব। ও সুস্থ না হলে আমরা ওকে রিলিজ দিতে পারবোনা।
লোকটা : আপনি দিতে বাধ্য।
butler : আরেকটা ফালতু কথা বললে আমরা action নিতে বাধ্য হবো।
লোকটা রেগে আগুন হয়ে বের হলো।

নীলিমা : আপনি শান্ত হন ভাই। মেয়েটাকে সুস্থ হতে দিন…
লোকটা : ১বছর ধরে তো এরা কিছুই করতে পারলোনা ।
নীলিমা : এমন করে বলবেন না। এখন তো কোমা থেকে বের হলো। দেখবেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।
লোকটা : কিচ্ছু হবেনা। আপনি তো বুঝবেন না বাচ্চাটার কষ্ট। আপনি তো ওর শাশুড়ি। কিন্তু আমার তো রক্ত। বাবা-মা মরা মেয়েটা আমার। এতিম বাচ্চাটা। সে যাই হোক আমি পুলিশে রিপোর্ট লিখাতে যাচ্ছি। আপনি গেলে ভালো হয়।
নীলিমা : না আমি যাবোনা।
লোকটা : ওও আপনি যাবেন কেন? আপনার তো আর রক্ত না। আপনার তো ছেলের বউ । আপনি তো চানই যেন ও মরে যায়। নিজের ছেলেকে বাচানোর জন্য আপনি এসব করছেন। শাশুড়ি শাশুড়িই হয়। মেয়েটার মা নেই তবুও তো একটু মেয়েটার মা হতে পারেন। আপনি মা নামের কলঙ্ক।
নীলিমা : মিস্টার জাফর…. mind your language … এই কথা বলার আগে আপনার ১০বার ভাবা উচিত ছিলো। ওকে আমিই এনেছি এখানে সুস্থ করতে। আর আমি আপনার উদ্দেশ্য বুঝিনা ভেবেছেন? কেন আপনি ওকে দেশে নিয়ে যেতে চাইছেন ?সব জানি আর বুঝি। আপনি ওকে নিয়ে যেতে চাইছেন ওর সম্পত্তির জন্য। আগে তো নীড়ের জন্য পারেননি। গত ১বছর ধরে পারেননি কারন ও কোমায় ছিলো। নীড় না থাকুক আমি তো আছি। আমি আমার মেয়েকে রক্ষা করবো। ভালো আছি ভালো থাকতে দিন।
জাফর রেগে চলে গেলো।

ওদিক পরদিন নিহাল-দীপ্ত আর নীড় usa পৌছালো।

.

অতীত…
[
নীড় : snow white … snow white … এই snow white… শাশুড়িমম snow white কোথায়?
কনিকা : shower নিচ্ছে… ?..
নীড় ধপ করে ফ্লোরে বসে পরলো কনিকার পায়ের সামনে।
নীড় : কি গো শাশুড়িমম… আমাকে always এই লুক দাও কেন হামমম হামমম…
কনিকা তো ভয়ে শেষ।
নীড় : কি হলো সুইট শাশুড়িমম এতো ভয় পাচ্ছো কেন শুনি? আমি তোমার ছেলে নই হামম?
মেরিন : আম্মু… আম্মু… আম্মু…
চিল্লাতে চিল্লাতে মেরিন এলো। নীড়ের মনে হলো ১৬-১৭বছরের এক বালিকা।
নীড় : শাশুড়িমম তোমার মেয়ে এতো সুন্দর কেন?

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here