সাইকো_নীড় part : 4

0
609

#সাইকো_নীড়
part : 4
writer : Mohona

.

মেরিন : তোমাদের স্যার কোথায়?
২জন চুপ রইলো।
মেরিন : কি হলো ? বলো? কোথায় লোফ… নীড়…?
২জন : …..
মেরিন : কিছু জিজ্ঞেস করেছি।
জেনি : স্যার special রুমে।
মেরিন : special রুমে মানে?
প্রীতি : ওই রুমটার নাম special রুম।
মেরিন : ওহ।
বলেই ১টা জামা নিয়ে washroom এ চলে গেলো । বেরিয়ে দেখে ওরা ২জন ওভাবেই দারিয়ে আছে।
মেরিন : একি ? তোমরা যাওনি?
প্রীতি : ম্যাম আপনাকে না খাইয়ে গেলে আমাদের চাকরী থাকবেনা।
মেরিন অল্প একটু খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলো ।
মেরিন: special রুমটা কোনদিকে?
২জন : …
মেরিন : আজব তো তোমাদের কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে silent mode এ চলে যাও কেন বলবা?
জেনি : ম্যাম আপনি rest করুন।
মেরিন : না। নীড়ের সাথে আমার দরকার আছে। কোথায় নীড় i mean special রুম।
মেরিনের অনেক জোরাজোরিতে ওর ২জন মেরিনকে special রুমের বাহিরে নিয়ে গেলো । ওকে দিয়েই ওরা ২জন চলে গেলো।

.

মেরিন : দেখতে সব নরমালই। তবে special রুম কেন?
মেরিন ২-৩বার দরজায় নক করলো। আর নীড়কে ডাকলো । কিন্তু কোনো সারা নেই । তাই মেরিন দরজাটা খুলল। আর খুলতেই মেরিন আতকে উঠলো। ১টা ভয়ংকর মাথার মুন্ডু ঝুলতে লাগলো ।
মেরিন : ইশ কি ভয়ংকর।
মেরিন দেখলো কি ভয়ংকর রুমটা।
মেরিন : নননীড় নননীড়। এই রুমটা এমন কেন? বিদ্ঘুটে।কোথায় নীড় ।
তখন মেরিন দেখলো কারো পিছন দেখা যাচ্ছে। আলো-অন্ধকারের খেলায় মেরিন ওটাকে নীড়ই মনে করলো।
মেরিন : নীড়… i am sorry … আসলে…
তখন মেরিন দেখছে নীড় মাথা ঘুরাচ্ছে। মেরিন অবাক হলো যে নীড় শরীর ১ফোটাও নরাচ্ছেনা। কেবল মাথাটাই ধীরে ধীরে ঘোরাচ্ছে। এরপর হুট করে মাথার খিলুটা হুট করে পিছে ঘুরলো। কি বিশ্রী চেহারা।
মেরিন : আআ…
বলেই মেরিন ৪-৫কদম পিছে চলে গেলো । আর ও পিছে যেতেই কেউ হুট করে ওর কানের সামনে এসে হাহা করে হেসে উঠলো। মেরিন আবার ভয়ে চিৎকার করলো। দৌড় মারলো দরজার দিকে। কিন্তু দরজা তো খুলছেই না।
মেরিন : আমার আগেই বোঝা উচিত ছিলো নীড়… relax মেরিন। এগুলো দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। they are just doll… আগে বারতে থাকি।
মেরিন আগে বারতে লাগলো। আশেপাশে অনেক কিছু দেখছে। ভয়ও পাচ্ছা। ভয় পেতে ও এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে ১টা হাত ওর পা ধরলো ।
মেরিন : cool cool… তোর পা ছেরে দিবে। just relax …
আসলেই একটুপর পা ছেরে দিলো। মেরিন আগে গেলে। দেখলো ২-৩টা বানর। ও মনে করলো যে এগুলোও বুঝি আগের সবকিছুর মতোই নকল। কিন্তু হঠাৎ ১টা বানর ওর চুল টেনে ধরলো। ও মনে করলো যে এটাও ছেরে দিবে। কিন্তু সেটা হলো না। অন্য ১টা বানর এসে ওর ওরনা নিয়ে খেলতে লাগলো। এরপর অন্য ১টা বানর এসে হাততালি দিতে লাগলো। মেরিন যখন বুঝলো যে ৩টা বানরই আসল তখন সাংঘাতিক ভয় পেলো ।
মেরিন : আম্মু…. ?.
বলেই দিলো দৌড়…।

.

মেরিন হাপাতে লাগলো।
মেরিন : এই লোকটা কি বিশ্বউন্মাদ না আরো কিছু। আরে এখানে তো সব নরমালই লাগছে। সব সাদা। না বাবা না নীড়কে বিশ্বাস করা যায় না।
মেরিন হাটছে। না কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কদম যেতেই দেখলো ১টা দরজা । কেমন যেন কিন্তু সুন্দর।
মেরিন : ও তারমানে next এই দরজার ভেতরে। দেখি আর কি কি আছে …

.

ভেবেই মেরিন দরজাটা খুলল। আর খুলে যা দেখলো তা আগের সব কিছুকে ছাপিয়ে গেলো। মেরিন react করাই ভুলে গেলো। দরজা খুলতেই এক ঝলক মেঝেতে চোখ গিয়ে ওর নজর কাবার্ডের দিকে গেলো। মেঝেতে নীড়ের কালোশার্ট পরে আছে। আর কাবার্ড….
নীড় ১টা মেয়েকে কাবার্ডের সাথে চেপে ধরে কিস করছে। মেয়েটাও ১হাত দিয়ে নীড়ের চুলগুলো শক্ত করে ধরে আছে আর অন্য হাত দিয়ে নীড়ের পিঠ খামছে ধরে আছে। মেরিনের মনে হচ্ছে একটু আগে যা যা দেখলো এই দৃশ্য সেগুলো সবগুলোর থেকে ভয়ংকর।
মেরিন : আআআ…
নীড় মেয়েটাকে ছেরে দিলো। নীড় দৌড়ে গিয়ে মেরিনের মুখ চেপে ধরলো ।
নীড় : চিল্লাচ্ছো কেন? কি হয়েছে?
মেরিন এমন মুখ করে এমন ভাবে কথা বলছে যেন কিছুই হয়নি। মেরিন অবাক চোখে নীড়ের দিকে তাকিয়ে আছে । মেরিন নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
তখন মেয়েটা
বলল : বেবি who’s that bloody 3rd class বেহেনজী…
নীড় রেগে ওর দিকে তাকালো।
মেয়েটা : কককি হলো?
নীড় দাঁতে দাঁত চেপে
বলল: she is my snow white… my fiance… my everything ..
মেয়েটা : what? তুমি না আমাকে ভালোবাসো? we are in relationship …
নীড় : i love you কখন বললাম ? anyway out…
মেয়েটা : তুমি আমার সাথে এমন করতে পারোনা… i love you…
নীড় : oh god…
বলেই পকেট থেকে ছোট্ট ১টা গান বের করে মেয়েটার পায়ের দিকে ফাকা shoot করে
বলল : get lost…
মেয়েটা চলে গেলো। মেয়েটা কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলো।
মেরিন : এসবের মানে কি? কি করছিলেন?
নীড় : রাগ কমাচ্ছিলাম। রাগটা মাথা চরা দিয়েছিলো। thats why i needed someone … তোমাকে দিয়ে কমানোর তো আপাদত option নেই। বিয়ের আগে… যাই হোক ভালো লাগলো। যে তুমি আমার সাথে দেখা করতে ওই বিপজ্জনক পথ দিয়ে এসেছো। ভালো লাগলো … তোমার প্রশ্ন। অধিকারবোধ ছিলো।
মেরিন : আপনার কি লজ্জা করে না?
নীড় ১হাতে দিয়ে মেরিনের কোমর ধরে সামনে এনে অন্যহাত দিয়ে মেরিনের চুলের খোপা খুলে দিলো।
নীড় : চুল আর বাধবে না আমার সামনে। তবে হ্যা … যখন আমি আশেপাশে কোথাও থাকবোনা তখন খোপা বেধে বের হবে। যদিও তোমার এই ঝলমলে চুল দেখার অধিকার কেবল আর কেবল আমার। তবুও আমি সাথে থাকলে চুল খুলেই রাখবে। সবার জানার অধিকার আছে যে নীড় আহমেদ চৌধুরীর বউ সবথেকে সুন্দরী।
মেরিন নীড়ের থেকে সরে এলো।
মেরিন : বউ my foot… আমি কখনো আপনার মতো characterless লোকের বউ হবো না। ছিঃ … কেমন মানুষ আপনি… জঘন্য।
নীড় : এই জঘন্য মানুষটাকেই সারাজীবন সহ্য করতে হবে & বিশ্বাস করতে হবে my snow white …
মেরিন : বিশ্বাস আর আপনাকে? হাসালেন…
নীড় : তুমি মানো না মানো তুমি already আমাকে বিশ্বাস করা শুরু করে দিয়েছো।
মেরিন : জেগে থেকে স্বপ্ন দেখা ভালোনা।
নীড় : জেগে থেকে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকেনা। আর ঘুমের স্বপ্ন… হ্যাহ… ঘুম শেষ স্বপ্ন শেষ। যাই হোক বিশ্বাস… আমার ওপর বিশ্বাস করা শুরু করেছো তার প্রমান আমি এখনই দিচ্ছি…
বলেই নীড় কাবার্ড থেকে শার্ট বের করে পরতে পরতে
বলল : দেখো এটা আমার রাজত্য। এখানে কারো হুকুম চলেনা। এমনকি আমার ড্যাডডার্লিং এরও না। এটা নীড় মহল… আর এমন ১টা জায়গায় তুমি আমাকে কথা শোনাচ্ছো। কারন তোমার মনে এই ভয় নেই যে আমি তোমার সাথে যা তা করতে পারি … আর তাই তুমি নির্ভয়ে আমাকে characterless বলছো।
মেরিন কেন যেন বোকা বনে গেলো।
নীড় : ভেবেছিলাম থাপ্পর দেয়ার জন্য তোমাকে শাস্তি দিবো। কিন্তু এই special রুমে আসার জন্য তুমি নিজে থেকেই যে শাস্তি পেয়েছো তাই শাস্তি আর দিবোনা…
মেরিন : নিজে থেকে শাস্তি পাইনি… আপনিই দিয়েছেন। আমাকে ভয় দেখানোর জন্যেই সব করেছেন তাইনা…
নীড় : কি বললা … হাহাহা… no my snow white… এটা তো তাদের জন্য যারা আমার সাথে business deal or meeting করতে চায়। নীড় আহমেদ চৌধুরীর সাথে মিটিং করা তো চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। যারা actually meeting r deal করতে চায় তারা ওই সাত সমুদ্র পারি দিয়ে আসে।
মেরিন বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে আছে। লোকটা বলে কি।
নীড় :যাই হোক । চলো তোমাকে তোমার বাবার কাছে দিয়ে আসি। by air..
বলেই মেরিনের হাত ধরে রুম থেকে বেরিয়ে এলো কিন্তু ওই পথে না। just ১টা দরজা খুলেই বেরিয়ে এলো। মেরিন তো অবাক।
নীড় : এই দরজাটার চাবি কেবল আমার কাছেই থাকে my snow white ….

.

একটুপর…
হেলিকপ্টারে…
মেরিন মনে মনে : হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাচ্ছে কেন? আর এই হেলিকপ্টারটার ১দিক এভাবে খুলেই রেখেছে কেন?
হুট করে নীড় মেরিনের কোমড় জরিয়ে ধরলো। মেরিন ১বস্তা বিরক্তি নিয়ে সরে বসলো ।
মেরিন : আপনি কি চিপকানো ছারা আর কিছু পারেন না…
নীড় : ন্যাহ।snow white জানো আমি এই হেলিকপ্টার টা sky diving এর জন্যেই মূলত use করি।
মেরিন : তাতে আমার কি?
নীড় : তোমার কি? তোমার তোমার তোমার… কিছু হতোনা… but you know ….কারন ছারা আমি কোনো কাজ করিনা… এই যে হেলিকপ্টারে তোমাকে নিয়ে উঠেছি এর পিছেও কারন আছে।
মেরিন : কি কারন শুনি? আমাকে এখানে থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিবেন?
নীড় : yes my snow white …
বলেই নীড় মেরিনকে ধাক্কা মারলো….
মেরিন : আআআ…???

]

.

বর্তমান …
in USA…
doctor butler : who is nir…?
নীলিমা : কেন?
butler : patient কোমা থেকে বের হয়েছে।
নীলিমা : কি? কি বললেন আপনি? সত্যি?
নীলিমা দৌড়ে ভেতরে যেতে লাগলো। butler বাধা দিলো। রেগে গিয়ে
বলল : what the hell are you doing …?
নীলিমা : ১টা বার ওকে দেখতে দিন না। দেখেই চলে আসবো।
Butler : no… ২০ঘন্টার আগে ওনার সাথে দেখা করা সম্ভব না। যাই হোক নীড় কে?
তখন পেছন থেকে ১জন বলে
উঠলো : “খুনী” … নিজের ভালোবাসার খুনী , নিজের খুনী হ্যা হ্যা নীড় নিজের খুনী।
Butler : সে কি jail আছে? থাকলে নিয়ে আসুন। patient এর জন্য ভালো হয়।
লোকটা : না সে jail এ নেই।
Butler : তবে কোথায়?
লোকটা : তার আত্মার মৃত্যুদন্ড হয়েছে।
Butler : বুঝলামনা ? is he died ?
লোকটা : হামমম।
Butler : so sad… but নীড়কে ছারা জানিনা patient কে কিভাবে সম্পূর্ন সুস্থ করবো।

.

নিহাল : হ্যালো… নিহাল আহমেদ চৌধুরী speaking …
নীলিমা : i know …
নিহাল : তুমি?
নীলিমা : হামম আমি। তোমার সেই সুপুত্রটা কোথায়?
নিহাল : ওর খবর নিয়ে তোমার কি লাভ?
নীলিমা : সেটা তোমার না জানলেও হবে। যাই হোর নীড়কে একটু ফোনটা দাও।
নিহাল : নীড় বাসায় নেই।
নীলিমা : বাসায় নেই? এটা বলোনা যে তোমার ছেলে jail এ। i know you…
নিহাল : না নেই নীড় jail এ। আর না কখনো থাকবে। ও আমার ছেলে। কোনো ছোটলোকেরনা।
নীলিমা : হামম। ও আমার ছেলে হতেও পারেনা। সে যাই হোক সম্ভব হলে নীড়কে একটু USA পাঠিয়ে দাও। ওর নীড়কে অনেক দরকার…. নীড় এলে ওর জন্য অনেক ভালো হবে। সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। একটু পাঠিয়ে দিবে।
নিহাল : না।
নীলিমা : এতো নির্দয় হয়োনা নিহাল। ১টা বার মেয়েটার কথা ভাবো।
নিহাল : যে আমার ছেলের কথা ভাবেনি আমি তার কথা কেন ভাববো? সে বাচুক বা মরুক তাতে আমার বা আমার ছেলের কিছুই যায় আসেনা।
নীলিমা : অমানুষ হয়ে গিয়েছো নিহাল। আসলে কি… তুমি যেমন ভালোবাসতে জানোনা তেমনি তোমার ছেলেও না। সবটাই ছিল জিদ… আমার ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে যে নীড় আমার ছেলে।
নিহাল : জন্ম দিলেই মা হয়না।
নীলিমা : অমন ছেলেকে যে গর্ভে ধরেছি সেটাই আমার দুর্ভাগ্য ।
নীলিমা ফোন রেখে দিলো।

নিহাল : তোমার দুর্ভাগ্য না সৌভাগ্য সেটা জানিনা তবে আমার ছেলেটার সত্যি দুর্ভাগ্য । জীবনে কোনোদিনও প্রকৃত সুখ পেলোনা। দুর্ভাগ্য তো আমি যে ছেলেকে সুখী করতে পারলাম না। কিন্তু আমি নীড়কে নিয়ে USA যাবো। তবে অন্যকারো জন্য না। কেবল আমার ছেলের জন্য । হয়তো ওকে দেখে আমার নীড় সুস্থ হতে পারে।

.

বিকালে…
Asha Mental Asylum …
দীপ্ত : দুলাভাই আপনি যা বলছেন সেটাতে যে যথেষ্ট riskও হতে পারে। হিতে বিপরীতও হতে পারে।
নিহাল : ভালোও তো হতে পারে… কেউ না জানুক আমি তো জানি যে নীড় ওকে কতোটা ভালোবাসে…
দীপ্ত : হামম।
ডক্টর আকরাম কে দিয়ে দীপ্ত সব formality পূরন করে নিলো । আকরাম নীড়কে যতোটাই অপছন্দ করুক না কেন নিহাল এলে হারে কাপে।
নীড় : মামা মামা মামা… আমরা কোথায় যাচ্ছি…
নিহাল : usa… your favorite ..
নিহালকে দেখে নীড় দীপ্তর পিছে লুকিয়ে পরলো।
নীড় : এটা কে মামা?
দীপ্ত : এটা তোমার বাবা…
নিহাল : your ড্যাড ডার্লিং….
নীড় : কি মজা কি মজা … ড্যাড ডার্লিং।
ওরা asylum থেকে বের হলো। কিছুটা সামনে ফাকা জায়গায় হেলিকপ্টার দারানো। ওরা হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকা পৌছাবে। ওখানে ১দিন থেকে usa যাবে। দীপ্তও যাবে ওদের যাবো। কারন নীড় অসুস্থ। হেলিকপ্টার দেখেই নীড় থেমে গেলো।
দীপ্ত : কি হলো? থেমে গেলে যে… ওঠো। আমরা উরে উরে যাবো ।
নীড় : ননননা নননননা না… আমি ওটাতে উঠবোনা । না না না…
নীড় দৌড়ে ভেতরে চলে গেলো।

.

অতীত…

[

মেরিন : আআআ… ???
১টা সময়ে মেরিনের মনে হলো যে ও দুলছে মানে ঝুলছে।
মেরিন : আল্লাহ তোমার এতো রহমত? তুমি আমাকে শূন্য ভাসিয়ে রেখেছো…. শুকরিয়া ।
নীড় : ওয় stupid look yourself …
মেরিন নিজের পাশেই নীড়। আর ওও ভাসছে। নীড় বেশ বুঝতে পারছে যে মেরিন চিল্লাবে ।
নীড় : এবার চিল্লানী মারলে i swear কোমড়ের ropeটা খুলে দিবো…
মেরিন অবাক হয়ে নিজের গায়ের সেই special জ্যাকেট যেটা নীড় জবরদস্তি পরিয়েছিলো সটার কোমড়ের দিকে ১টা ভিন্নরকম rope লাগানো।
নীড় : এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে।
মেরিন : আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
নীড় : তাইজন্যেই ফেলেছিলাম। মিসেস নীড় এতো ভীত হলে চলেনা। সব দিক থেকে perfect হতে হবে। আমি নিজে তোমাকে সব শিখাবো। এটা ১টা ধাপ ছিলো।
মেরিন : ধাপ না প্রতিশোধ?
নীড় : ২টাই। কালকে থাপ্পর ক্লাসের বদৌলতে আজকে জোরে থাপ্পর মারতে পেরেছো…. you see…
মেরিন : oh god…

.

পরদিন…
মেডিকেলে…
মেরিন ক্যান্টিনে বসে আছে। কফি খাচ্ছে। ওর পিছে ২টা ছেলে দারিয়ে দারিয়ে খাচ্ছে। ১জনের নাম সুমন আর অন্যজনের নাম জীবন। ওরা মেরিনকে দেখেনি। ওরা বলাবলি করছে।

সুমন : ওই মেরিনকে দেখেছিস নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের সাথে? একটু i love you বলেছিলাম বলে কেমন দেমাগ দেখিয়েছিলো? থাপ্পরও মেরেছিলো । আর এখন… ওই চৌধুরীর সাথে…
জীবন : তুই তো আর চৌধুরী না।
সুমন : যেদিকে টাকা দিয়েছে সেদিকেই দৌড়ে মেরেছে।
জীবন : লোভী…
সুমন : সেই সাথে characterl….

আর বলতে পারলোনা। ওদের মুখ দিয়ে কেমন যেন আওয়াজ হতে লাগলো। মেরিন পিছে ঘুরলো। দেখলে নীড় জীবনের বুকে পারা দিয়ে ধরে আছে আর সুমনের গলা চেপে ২হাত উচু করে রেখেছে….
মেরিন : আরে কি করছেন টা কি? মরে যাবে যে… ছারুন…
নীড় : ওদেরকে মেরেই ফেলবো। আর এই সুমনকে তো… ওর সাহস কিভাবে হয় আমার snow white কে characterless বলে… এদের তো…
মেরিন : ছারুন ওদের…
নীড় তো ছারছেই না।
মেরিন : ছারুন না নীড়।
নীড় : কেন ছারবো কেন? এরা তোমাকে নিয়ে বাজে কথা বলছে আর তুমি এদেরকে ছারতে বলছো…
মেরিন : হ্যা । মরে যাবে তো।
নীড় : মরুক…
মেরিন : আজব তো … ওরা তো just বলেছে। আর আপনি তো বাজে আচরন করছেন…

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here