সাইকো_নীড় part-41 শেষ পর্ব

0
1121

#সাইকো_নীড়
part : 41 ( last )
writer : Mohona

.

নীড় : granny …
বলেই নীড় দৌড়ে গিয়ে নানুমনিকে কোলে তুলে ঘুরাতে লাগলো।
নানুমনি : আরে পাগল নামা আমাকে…
নীড় : no… কতোদিন পর তুমি…
নানুমনি : নানাভাই তুমি ঠিক আছো তো।
নীড় : হামমম।
নিহাল : নীড়… মা কে নামাও … নাহলে মায়ের মাথা ঘুরবে।
নীড় নামালো। নিহাল গিয়ে ২জনকে সালাম করলো।
মেরিন : সবাই শোনো সবাই শোনো…
নীড় : তুমি আবার কি বলবা?
মেরিন : যেটা সেদিন বলার কথা ছিলো বলতে পারিনি…
নিহাল : কোন কথা?
মেরিন : এখনই বলবো… দারাও… মামনি ভেতরে আসো প্লিজ।
নানাভাই : দেখো নাতবউ ওই মেয়ে এখানে এলে কিন্তু আমি চলে যাবো।
মেরিন : যাবে। কিন্তু আধাঘন্টা সময় আমাকে দিতে হবে..
মেরিন নীলিমাকেও ভেতরে আনলো। এরপর সব বলল। নিহাল ধপ করে বসে পরলো। নানাভাই-নানুমনি কান্নায় ভেঙে পরলো। মেলোড্রামা শুরু হলো। নীড় রেগে আগুন হয়ে ওপরে গেলো।
মেরিন মনে মনে : নীড় রেগে গেলো কেন?
মেরিনও নীড়ের পিছে পিছে গেলো। গিয়ে দেখলো নীড় গান লোড করছে।
মেরিন : oh no…. এতোদিন মামনির সাথে বাজে ব্যবহার করার জন্য নিজেকে shoot করবে না তো? না… কককি করছেন কি আপনি নীড়?
নীড় : …
মেরিন : যদি ভুলেও suicide করার কথা ভাবেন তবে আপনার খবর আছে…
নীড়ের ইচ্ছা করছে সবগুলো গুলিই মেরিনের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে ।
মেরিন : রাখুন গান। রাখুন।
নীড় : আর ১টা কথা বললে সবগুলো গুলি তোমাকে খাওয়াবো।
বলেই নীড় গানটা গুজে নিলো।
মেরিন : ১মিনিট আপনি কি … জহির রায়হানকে মারতে যাচ্ছেন?
নীড় : আমার ভাবনা বুঝতে পারো দেখে অদ্ভুদ লাগলো।
মেরিন দরজা লাগিয়ে দিলো।
নীড় : পাগল হলে নাকি? দরজা লাগালে কেন?
মেরিন : কারন আপনাকে যেতে দিবোনা…
নীড় : পাগল হয়েছো?
মেরিন : হ্যা। নীড় মাথা ঠান্ডা করুন। গান রাখুন…
নীড় : কিভাবে মাথা ঠান্ডা করবো? বলো… just tell me… ওই জহির রায়হানের জন্য আমার মম সবার সামনে বদনাম হয়েছে। আমার খালামনি মারা গিয়েছে। মম-ড্যাড আলাদা হয়েছে। আমি মমকে হারিয়েছি । আমার ছোটবেলা হারিয়েছি। মম মা-বাবা-ভাই-বোন-স্বামী-সন্তান সব হারিয়েছে। এতোগুলো মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে… শুধুমাত্র ওই জহির রায়হানের জন্য। ওকে এমন মৃত্যু দিবো যে অন্যকেউ এমন অপরাধ করার আগে ১০বার ভাববে। সরো যেতে দাও।
মেরিন : আপনি তো ওকে খুন করবেন … কিন্তু এরপর আমার কি হবে?
নীড় : …
মেরিন : আপনাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে… তখন আমার কি হবে?
নীড় : …
মেরিন : নীড়… আমি জানি ছোটবেলা থেকে আপনি যা যা হারিয়েছেন তা কোনোভাবেই ফিরে পাওয়া সম্ভব না … আর সব কিছুর জন্য জহির রায়হান দায়ী… কিন্তু এখন যদি আপনি তাকে ়খুন করেন তবে আপনার অতীতের মতো আপনার বর্তমান আর ভবিষ্যতও অন্ধকার হয়ে যাবে । শাস্তি দেয়ার জন্য আইন হাতে তুলে নেয়ার কি দরকার? এখন আপনার কাছে আপনার মা-বাবা-পুরো পরিবার আছে। এখন এই সবাই কে নিয়ে নিজের বর্তমান আর ভবিষ্যৎ সাজান … জহির রায়হানকে শাস্তি দেয়ার কথা একটু পরও ভাবতে পারবো। এখন এই মোমেন্টটা আগে enjoy করুন। আপনার মমকে আপনি অনেক ভালোবাসেন। সেটা আমার থেকে বেশি কেউ জানেনা… যান তার কাছে যান।

বলেই মেরিন নীড় গানটা নিয়ে ছুরে মারলো।
মেরিন: যান…
নীড় : সবই ঠিক বলেছো কিন্তু ১টা কথা ভুল বলেছো। আমার কাছে কেবল আমার মা-বাবা- আর পুরো পরিবার নেই…

বলেই নীড় চলে গেলো।
মেরিন : কি বলে গেলো এই সাইকোটা? এর মানে কি? got it… এর জীবনে তো আমিও আছি… ?… yahoo…

.

নীড় : what the hell is this…
নীড়ের এমন গর্জনে সবাই চমকেও উঠলো আর অবাকও হলো।
নীড় : চৌধুরী বাড়ি কি কোনো serial shooting set যে এতো কান্নাকাটি আর মেলোড্রামা হবে? আমাদের পরিবার এক হয়েছে। এতো কান্নাকাটির কিছু নেই। এটা celebrate করার সময়। আর তারওপর বাড়িতে আবার বিয়ের ধুম পরবে। so… কোনো কান্নাকাটি না । আর মম… কিচেনে যাও। ফাটাফাটি কিছু রান্না করো সবার জন্য । ভীষন ক্ষুধা লেগেছে। আর নিরব ম্যাডাম মেরিন বন্যা কে তার বাসায় ড্রপ করে আসো…
মেরিন : মানে কি? এই celebration রেখে আমি যাবো কেন?
নীড় : ok then… রাতে খাওয়া দাওয়ার পর এনাকে ড্রপ করে আসিস..
মেরিন : আপনি ১টা ফকিন্নি…
নীড় : thanks for the compliment … আচ্ছা মামনি আরো ২জন guest আসবে রাতে।
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।
মেরিন : নীড় কোথায় যাচ্ছে? যাই তো…
নীড় সিটবেল্ট বাধছে ঠিক তখনই মেরিন এসে পাশে বসলো । নীড় react না করে গাড়ি চালাতে লাগলো ।

.

১ঘন্টাপর…
গাড়ি ১টা নদীরপারে গিয়ে থামলো। নীড় নামলো। নদীর কিনারায় গিয়ে দারালো। মেরিনও গিয়ে নীড়ের পাশে দারালো ।
মেরিন : চোখ দিয়ে কি নদীর পানি মাপছেন?
নীড় কিছু না বলে মেরিনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : আপনার চোখের পানি আমাকে দেখাতে পারেন নীড়…
নীড় : আমার বিয়ের সব দায়িত্ব নিবে? as a wedding planner …
মেরিন : নীড়…
বলেই মেরিন সরে এলো।
মেরিন : এবার কিন্তু বেশি হচ্ছে । বাদ দিন না এই ড্রামা। আমি আর কখনে suicide attempt করবোনা , আপনার থেকে দূরেও যাবোনা , আপনাকে অবিশ্বাসও করবোনা , আপনাকে ভুলও বুঝবোনা… বাদ দিন না এসব নীড়…
মেরিন নীড়ের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলল। নীড় কিছু না ভেবে মেরিনের ঠোটজোরা দখল করে নিলো ।

নীড় : next week ই আমার বিয়ে। বুঝেছো? তুমি তো বারবার আমার থেকে দূরে চলে যাও। কিন্তু এবার যার সাথে আমার বিয়ে হবে সে কখনোও আমাকে ছেরে যাবেনা…
বলেই নীড় চলে গেলো।
মেরিন : আচ্ছা… তো দূরে থাকার শাস্তি? দেখাচ্ছি মজা…

.

রাতে…
নীড় : আমার বিশেষ অতিথিরা চলে এসেছে ।
সবাই তাকিয়ে দেখে জহির আর নাবিল দারিয়ে আছে । সবাই অবাক। মনে করলো নীড় এদের সাথে হয়তো ভয়ানক কিছু করবে।
নীড় : সবাই এভাবে কেন তাকিয়ে আছো ? কি ভেবেছো ? আমি এদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য এখানে এনেছি ? ন্যাহ… যা হয়েছে অনেক খারাপ হয়েছে। কিন্তু যেভাবেই ওরা আমাদের পরিবার। নাবিল আমার ভাই এটা অস্বীকার করার কোনো কারন নেই। নিজের ভালোবাসা অন্যকারো হয়ে গেলে মনের ভেতর কি চলে সেটা কেবল জহির আংকেল না আমিও বুঝি। অপরাধ আমিও করেছি… যার সাক্ষী মেরিন… তাই আমি আংকেলকে ক্ষমা করে দিয়েছি । চলো সবাই সব ভুলে গিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করি…। কারন আসলেই ভালোবাসা জিনিসটাই বেস্ট। আর আজকে সারা পরিবার একসাথে খেতে বসবো… oh yeah?
সবাই : yeah… ???…

.

একটুপর…
সবাই খেতে বসলো। মেরিন দুম করে এসে নীড়ের পাশের চেয়ারে বসলো।
নীড় : ?।
মেরিন : ?।
নাহিদ কাশি দিলো।
মেরিন লজ্জা পেলো।
নীড় মনে মনে : ড্রামাবাজ…
পরক্ষনেই নীড় বুঝতে পারলো ওর হাত কিছুতে আটকে আছে।
নীড় : কাহিনী কি?
নীড় দেখলো যে মেরিন নিজের আর ওর হাত handcuffএর মধ্যে বন্দী করেছে।
নীড় ফিসফিস করে
বলল : এসবের মানে কি?
মেরিন : এখন থেকে আমরা সবসময় এভাবেই থাকবো। কেউ কারো থেকে দূরে যাবোনা।
নীড় : stupid … unlock করো…
মেরিন : না না আমি করবোনা…
নীড় : তুমি কি পাগল?
মেরিন : না সাইকো।
নানাভাই : নীড়… নানাভাই তুমি খাচ্ছো না কেন?
নীড় : আমি মমের হাতে খেতে চাই…
মেরিন : আমিও…
নীড় : ?।
নীলিমা : আচ্ছা আমি আমার ২বাচ্চাকেই খাইয়ে দিবো।
নীলিমা ২জনকেই খাইয়ে দিলো।

.

খাওয়ারপর…
সবাই উঠে যাচ্ছে ।
নির্ঝর : কি হলো দাদাভাইয়া আর কতোক্ষন বসে থাকবে?
নীড় : ?।
নির্ঝর : তোমার ইচ্ছা। ?।
নীড় : এখন তো লক খোলো …
মেরিন : না।
নীড় : এভাবেই বসে থাকবে?
মেরিন : হামমম।
নীড় : এসবের মানে কি?
মেরিন : আচল আচল খেলা বন্ধ করার টেকনিক। ভুলে যান আচলকে।
নীড় : অসম্ভব।
মেরিন : তবে থাকেন এভাবে বসে…
নীড় : হামম। এখন যা হবে তারজন্য আমাকে দোষ দিওনা।
মেরিন : আচ্ছা।
নীড় উঠে দারালো। পানি খেতে লাগলো। যারজন্য সবাই ওদের ২জনের হাতের দিকে তাকালো।
নিরব : কি ব্যাপার দাদাভাইয়া… এটা কেমন ভালোবাসা?
সবাই মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো।
নীড় : এটাকে বলে over possessive ভালোবাসা। তিনি নাকি আমাকে ছারবেননা…
নানুমনি : হায় কি ভালোবাসা…
মেরিনের লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছা করছে। দিলো দৌড় । কিন্তু বাধা পরলো নীড়ের হাতে… নীড়ের ঠোটে বাকা হাসি। মেরিন আর কিছু না ভেবে নীড়ের বুকেই মুখ লুকালো।

.

৩দিনপর…
মেরিন নিচে নামলো। দেখলো কতো কতো জামা কাপড় ঝুলানো।
মেরিন : এটা আমাদের বাসা না snowroom? তবে?
নীড় : যতো কােনো ঘাটতি থাকে তবে জানে মেরে দিবো।
মেরিন নীড়ের পিঠে টোকা দিতে লাগলো। নীড় ঘুরলো।
নীড় : what?
মেরিন : what is all this ?
নীড় : দেখতে পাচ্ছো না ?
মেরিন : কিন্তু কেন ?
নীড় : পরশুর পরদিন পার্টি আছে তাই…
মেরিন : কিসের পার্টি? আমাদের anniversary ???
নীড়ের ঠাস করে ১টা থাপ্পর দিতে ইচ্ছা করছে। এই মেয়ে anniversary এর তারিখটাও ভুলে গিয়েছে।
নীড় : ইচ্ছা দমিয়ে রাখতে নেই।
মেরিন : কি ইচ্ছা ?
নীড় ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
নীড় : এই ইচ্ছা।
মেরিন : এখন শুধু মারলেন কেন ?
নীড় : পরশুর পরদিন আমার বিয়ে। তাই। ছাগল।
বলেই নীড় চলে গেলো।
মেরিন : সাইকোর বাচ্চা সাইকো ।
ওখানে উপস্থিত ডিজাইনারদের মধ্যে মেরিন ১জনের সামনে গেলো।
মেরিন : কিসের পার্টি পরশুর পরদিন? না বললে কিন্তু জানে মেরে দিবো।
ডিজাইনার পরলো বিপদে। যদি বলে দেয় তবে নীড় মারবে আর যদি না বলে তবে মেরিন মারবে।

ডিজাইনার মনে মনে : আল্লাহ… কি করবো? রহম কর। স্যার যেটা বলে গেলো সেটাই বলি।।
মেরিন : চুপ কেন? বলেন কিসের পার্টি?
ডিজাইনার : স্যারের বিয়ের…
মেরিন : বিয়ে না?
বলেই মেরিন ১টা কাচি নিয়ে ডিজাইনারের শরীরের জামা জায়গায় কেটে দিলো।
মেরিন : নীড় কেবল আমার জামাই। huh…

.

২দিনপর…
মেরিন : নীড় এবার কিন্তু অতিরিক্ত ড্রামা হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ করুন না এই বিয়ে বিয়ে ড্রামা। বলুন না যে কালকে আপনার বিয়ে না। আর কালকে কোনো পার্টিও হবেনা…
নীড় : হবে। আমি যখন বলেছি হবে তখন হবেই।
মেরিন : আমিও যখন বলেছি হবেনা তখন হবেনা। “এন ও ” … no…. a very big NO…
বলেই মেরিন বেডে লাথি মারলো। আর নিজেই ব্যাথা পেলো।
নীড় : হাহাহা…
মেরিন নীড়ের মুখে মারলো ১টা ঘুষি।
মেরিন : শালা সাইকো। বিয়ে আমি বন্ধ করবোই…
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো ।

সারাদিন মেরিন পার্টি বন্ধ করতে যতো plan করলো সব ফ্লপ হলো।

মেরিন : নাহ… এবার ১টা বড় সরো ধামাকা করতে হবে…

.

রাতে…
নীড় অফিস থেকে ফিরলো। ফিরতে ফিরতে সারে ১০টা বেজে গিয়েছে। রুমে এসে দেখে মেরিন নেই।
নীড় : snow white কোথায় ? ম্যাডাম মেরিন বন্যা আপনি কোথায়? আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন ? বলুন তো কোথায়? না কোনো সারা নেই। আবার কি ড্রামা করবে কে জানে?

তখন নীড়ের ফোনটা বেজে উঠলো। ভিডিও কল।
নীড় : হ্যালললো.. ?..
মেরিন : এভাবে কেউ হ্যালো বলে? সে যাই হোক, আপনি আমাকে ভালোবাসেন? যদি ভালোবাসেন তবে এখনই পার্টি আর ২য় বিয়ে cancel করে এই যে এই কুয়ার এখানে এসে আমাকে উদ্ধার করুন। না হলে আমি suicide করবো।
বলেই মেরিন কুটুস করে কেটে দিয়ে হেসে কুটিকুটি হতে লাগলো।
মেরিন : হতচ্ছারা সাইকো…. তুই যদি বিয়ের নাটক করতে পারিস তবে আমিও suicide এর নাটক করতে পারি ।

নীড় : ড্রামাবাজ। খুব শখ না কুয়ায় লাফ দেয়ার!! no worry my snow white …. আমি তোমার এই ইচ্ছাও পূরন করবো। ?

.

১ঘন্টাপর…
মেরিন পা ঝুলিয়ে কুয়ার সাইডে বসে আছে।
মেরিন : এখন নিজেকে নীড়ের perfect বউ মনে হচ্ছে । সাহসী।
তখন নীড় গাড়ি নিয়ে এলো।
মেরিন মনে মনে : এসে পরেছে আমার সাইকোটা। নেমে পরবো? না না… উনিই কোলে করে নামাক… ?

নীড় গাড়ি থেকে নেমে মেরিনের দিকে এগিয়ে এলো। ওর কোমড় জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : আমি জানতাম আপনি আসবেন।
নীড় : আমার snow white এর ইচ্ছা অপূর্ন রাখি কি করে?
মেরিন ear to ear ১টা হাসি দিলো।
নীড় : বাট কালকে পার্টি কিন্তু হচ্ছে ।
মেরিন : কি? ?।
নীড় : হামমম।
মেরিন : সরুন আমি লাফ দিবো।
নীড় : ok my snow white ….
বলেই নীড় মেরিনকে দিলো ধাক্কা…
মেরিন : আআআ… ???… নীড়…
মেরিন গিয়ে কুয়ার মধ্যে পরলো। মেরিন ৩বার পানির নিচে গেলো ৩বার ওপর এলো। ৪বারের বেলায় বুক পর্যন্ত পানির ভেতরে গেলো। মাথার ওপর উঠলো না পানি। মেরিন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নীড় ঝাপ মারলো।
মেরিন : মারবেন যখন বাচাতে এলেন কেন? আর বাচাবেন যখন তখন ঝাপ দেয়ার কি দরকার ছিলো? দরি টরি ফেললেই তো বাচাতে পারতেন। এখন তো নিজেই মরবেন…
নীড় : তোমাকে কে বলল যে আমি তোমাকে বাচাতে এসেছি?
মেরিন : তো কেন এসেছেন?
নীড় : ২জন একসাথে মরবো বলে…
মেরিন : এমন বিন্দাস ১টা জীবন রেখে মরার ইচ্ছা কেন হলো?
নীড় : কারন আমার বউ পাগল।
মেরিন : huh…
নীড় : আজকে তারিখ কতো গেলো?
মেরিন : দেখুন আজকে মরে গেলেও ২১শে নভেম্বর নয়। কারন তখন শীত থাকে… যদিও পানিগুলো প্রচুর ঠান্ডা।

তখন মেঘ ডেকে বৃষ্টি হতে লাগলো।
মেরিন : নীড় বৃষ্টি…
নীড় : oh wow…
মেরিন : ওই কিসের wow?
নীড় : তুমি বুঝবেনা…. চলো count down…
মেরিন : মরে যাওয়ার count down ও কেউ করে? আপনি সত্যিই সাইকো…
নীড় : shut up…. মিনিমাম আর ২মিনিটের মধ্যে কোনো কথা বললে খবর আছে।
মেরিন : …
নীড় : 5…4…3…2…1… Happy Birthday My snow white…. many many happy returns of the day….

মেরিন নীড়কে wish করা তো দূরে থাক , খুশি হওয়াও দূরে থাক। বোকার মতো নীড়ের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন ভাবে এমন situation এ কেউ birthday wish করে?
নীড় : কোন ফালতু কথা বলার আগে আমাকে wish করে নাও প্লিজ।
মেরিন : ….
নীড় : করো…
মেরিন নিজের কপালে ১টা থাপ্পর মারলো। এরপর ১টা মুচকি হাসি দিয়ে নীড়ের গালে কিস করলো।

মেরিন : a very happy birthday my #সাইকো_নীড় ….
বলেই হাহা করে হাসতে লাগলো।

নীড় : তুমি আসলেই বোক। আমার তো আমারই…. নিজের birthday ও ভুলে গিয়েছো? কাল তো আমাদেরই birthday party… আর কালকে কেন যেন আবার তোমাকে বিয়ে করতেও ইচ্ছা করেছে। anniversary তে তো সবাই করে। birthday এর দিনে কারা করে? আর কয়টা কাপলের birthday ১দিনে পরে হামম হামম?

মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো।
মেরিন : best birthday celebration of my life…
নীড় : my dear snow white … কেক ছারা celebration হয়? কেক প্লিজ…

তখন ওপর থেকে ধীরে ধীরে কেক নামতে লাগলো যেটা কাচের ভেতার। আর ওপরে ১টা ছাতা।

মেরিন : এগুলো আপনিই পারেন…
নীড় : আবার জিগায়… ?…
মেরিন : কোমড়ে নিশ্চয়ই বেল্ট লাগানোর জন্য হাত দিয়েছিলেন?
নীড় : ?…

.

কেক নামলো। কেকের চারদিকে “happy birthday psycho&snow” লিখা…. ছাতার নিচে ২জন ঢুকলো। কাচটা একটু তুলে ২জন কোনোরকমে কেক কাটলো…. আর কুয়ার ওপর থেতে সবাই হাততালি দিতে লাগলো আর wish করতে লাগলো। ২জন ২জনকে খাইয়ে দিলো।

নীড় : i just love you my #snow_white….
মেরিন : i just love you my #psycho_Nir …

২জন ২জনের ভালোবাসা আর সাইকোদিরি দিয়েই ২জনের আর সারা পরিবারের জীবন সুন্দর করে সাজিয়ে দিলো…

আর এখানে শেষ এই গল্প। অন্য গল্প কালকে থেকে।

.

❤❤❤সমাপ্ত❤❤❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here