সাইকো_নীড় part-40

0
706

#সাইকো_নীড়
part : 40
writer : Mohona

.

মেরিন : সকালবেলা সকালে এই মানুহুসটার খোমা দেখতে হলো।

আবার বল বাজলো। মেরিন বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলল। দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। মেরিনতো খুশি হয়ে গেলো। ১লাফ গিয়ে নীড়কে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : আপনি আমাকে নিতে এসেছেন?
নীড় : ওয়।।। leave me… ?..
মেরিন : না আমি ছারবোনা…
নীড় নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
মেরিন : চলুন।।
নীড় : কোথায়?
মেরিন : আমাদের বাসায়।। মানে চৌধুরী বাড়িতে…
নীড় : এই যে হ্যালো… চৌধুরী বাড়ি আমার … আপনার না। আর আমি আপনাকে নিয়ে যেতে আসিনি কিছু দিতে এসেছি…
মেরিন : ভালোবাসা… ?…?
নীড় : ন্যাহ। ডিভোর্স। কালকে ছিরে ফেলেছিলেন তাই আজকে আবার আসতে হলো। নিন signature করে আমাকে মুক্ত করুন।
মেরিন হাসিমুখে পেপারটা নিলো।
নীড় : একদম এটা ছিরবেননা। signature করুন।
মেরিন : দারিয়ে দারিয়ে তো আর signature করা যায় না। তাই না? ভেতরে আসুন।
নীড় গেলো।
মেরিন : বসুন…
নীড় বসলো।
মেরিন : এই পেপারে signature চাই তাইনা?
নীড় : হামমম।
মেরিন : এটা ছিরবোনা। তাইতো?
নীড় : হামম।
মেরিন : আচ্ছা…
মেরিন বাটিতে করে পানি এনে। সেটাতে পেপার ভিজিয়ে দিলো।
নীড় : কি করছেন কি?
মেরিন : দেখতেই তো পাচ্ছেন।
নীড় : পাগল হয়েছেন নাকি?
মেরিন : পাগলের দেখেছেন কি? এখন দেখবেন…
বলেই ভেজা কাগজটা নীড়ের মুখে ঢুকিয়ে দিলো।
মেরিন : আপনার ডিভোর্স পেপার আপনিই খান।।। একককেবারে ভালোমতো চিবিয়ে চিবিয়ে খান…

নীড় : আপনি কিন্তু বারাবারি করছেন… আবার ডিভোর্স পেপার বানাবো।
মেরিন : আরেকবার আনলে না ওটা পুরিয়ে সেটার ছাই আপনাকে গিলাবো।

নীড় : ওহ।। তারমানে আপনি আমাকে ডিভোর্স দিবেননা?
মেরিন : না।
নীড় : ok then… আমার ২য় বিবাহের জন্য রাজী আছেন সেটার signature দিয়ে দিয়েন।
মেরিন : কি? ২য় বিয়ে মানে?
নীড় : বিয়ে মানে বিয়ে। আমি আবার বিয়ে করছি। কালকে মেয়ে দেখতে যাচ্ছি….
মেরিন নীড়ের কলার ধরে কাছে নিলো।
মেরিন : ওই ওই কি বললি তুই? তুই বিয়ে করবি? মেয়ে দেখতে যাবি? ওই মেয়েকে জানে মেরে ফেলবো।
নীড় মনে মনে : ওরে বাবারে আমার snow white দেখি সেই ক্ষেপেছে। ভীষন হাসি পাচ্ছে। কিন্তু হাসা যাবেনা… রেগে react করতে হবে।

নীড় : কলার ছারুন…
মেরিন : ছারবোনা।।
নীড় : ছারতে বলেছি কিন্তু…
মেরিন : তো?
নীড় : হামমম।
নীড় মেরিনের হাত শক্ত করে ধরে সরিয়ে দিলো।

নীড় : আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন যখন বলেছি যে আবার বিয়ে করবো তখন করবোই। কথাটা মাথায় রাখবেন।

বলেই নীড় চলে যেতে নিলো । মেরিন পেছন থেকে
বলল : আমিও বলে দিচ্ছি আপনি ২য় , ৩য় , ৪র্থ , ৫ম… যতো বিয়েই করেননা কেন বিয়ের কনে কিন্তু আমিই হবো। কথাটা মাথায় রাখবেন…

নীড় চলে গেলো।

.

পরদিন…
নিরব : দাদাভাইয়া তুমি এতো সাজছো কেন?
নীড় : ভুলে গেলি যে আজকে এখন মেয়ে দেখতে যাচ্ছি…?
নির্ঝর : অ্যা… তুমি কি সত্যি সত্যি মেয়ে দেখতে যাবে নাকি?
নীড় : হ্যা।
নিরব : তুমি কি সত্যি সত্যি আবার বিয়ে করবে নাকি ?
নীড় : হামম করবো। দেখতো কেমন লাগছে আমায় ?
২জন : দেখতে তো crush boy লাগছে। কিন্তু… রঙ্গিলাভাবির জায়গায় অন্য কাউকে ভাবি ডাকতে পারবোনা।
নীড় : ডাকতে বলেছে কে?
নির্ঝর : দাদাভাইয়া… তোমার কথা কিছুই বুঝিনা…
নীড় : বুঝতে হবেও না। ড্যাডডার্লিং… ড্যাডডার্লিং…
নিহালকে ডাকতে ডাকতে নীড় নিচে গেলো।
নিহাল : হ্যা বাবা…
নীড় : বের হচ্ছি আমি মেয়েটাকে দে়খতে… ৫টা বাজে আসবে তো? late হবে না তো?
নিহাল : না। কিন্তু বাবা এসব মেয়ে দেখতে যাওয়া কি ঠিক হবে? মামনি…
নীড় : ok bye…

নীড় মনে মনে : আমি জানি আমার snow white ওখানে হাজির হবে…

নীড় গিয়ে গাড়িতে বসলো। start দিলো। খানিকটা যেতেই মেরিন ওর সিটের পেছন থেকে হুট করে ওর গলা জরিয়ে ধরলো…

নীড় : আরে.. আরে আরে..

accident হতে হতে বেচে গেলো। মেরিন পেছন থেকে সামনে এসে বসলো।
নীড় : আপনি কি পাগল? এখনই ২জন একসাথে পরকালে যেতাম।
মেরিন : তো?
নীড় : নামুন আমার গাড়ি থেকে।
মেরিন : উহু।
নীড় : নামুন। শুভ কাজে যাচ্ছি । বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে…
মেরিন : তাইজন্য তো আমি এলাম। আপনাকে সাজাতে।
নীড় : সাজাতে মানে?
মেরিন : এখনই দেখাচ্ছি…
বলেই মেরিন নীড়ের ঠোটজোরা দখল করলো। ঘটনাটা বুঝতে নীড়ের একটু সময় লাগলো। ভীষন অবাক হলো। মেরিন সব শক্তি দিয়ে নীড়ের ঠোটে ১টা কামড় দিয়ে ছেরে দিলো।
নীড় : ouch… আপনি কি ভ্যাম্পায়ার? এভাবে কেউ কামড় দেয় ? দাগ বসিয়ে দিয়েছেন…
মেরিন : কি সুন্দর লাগছে আমার দাতের চিহ্নগুলো…
নীড় : ?।
মেরিন : আরেকটু সাজানো বাকী আছে।
বলেই নীড় গালে কামড় দিলো। আরো জোরে।
নীড় : আআআ…
মেরিন : ?। কি সুন্দর লাগছে আপনাকে… আহা।। চমৎকার । আচ্ছা যান মেয়ে দেখতে… আর এই স্পট ২টা দেখিয়ে বলবেন যে আপনার জীবনের ১ম আর শেষ ভালোবাসা snow white আপনাকে ভালোবাসা দিয়েছে আসার সময়। হামমম? এখন আমি আসি। শুভ কাজে বাধা দিবোনা…
বলেই মেরিন বেরিয়ে যেতে নিলো। কিন্তু নীড় হাত ধরে ১টানে কাছে নিলো। কপাল থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিলো।
নীড় : আমার মতো হতে চাইছো?
মেরিন : উহু… আপনার মতো কেউ কখনো হতে পারবেনা।
নীড় : ২য় বিয়ে করতে চাইলেও আমি কিন্তু সেই নীড়ই আছি … মাত্র যা করলে… তার শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে…
বলেই নীড়ও মেরিনের ঠোট জোরা দখল করলো। কামড় দিলো। গালেও কামড় দিলো। অরপর গলায় কিছুক্ষন মুখ গুজে রেখে কামড় দিলো।
মেরিন : কপিক্যাট…
নীড় : এখন আমার গাড়ি থেকে নেমে যাও।
মেরিন : না…. মানুষ হাসবে আমাকে দেখে।
নীড় : তাতে আমার কি? নামো।
মেরিন : না…
নীড় কি়ছুনা বলে প্রচন্ড জোরে গাড়ি চালাতে লাগলো।
মেরিন : আআআ…. নীড়…গাড়ি থামান…. accident হবে তো….
নীড় : বসো আরো গাড়িতে।।
মেরিন : ok ok…. নেমে যাবো নেমে যাবো…. থামান থামান…
নীড় : না…. এভাবেই বসে থাকো।।
মেরিন : নামবো তো।
নীড় : কিন্তু আমি তো নামতে দিবোনা।
মেরিন : ওরে বাবারে…
বলেই মেরিন নীড়ের কাধ জরিয়ে ধরলো। চোখ বন্ধ করে রাখলো।

.

নীড় কিছুদূর গিয়ে ১টা মাস্ক কিনলো। মুখে দিলো।
মেরিন : ঠোটেরটা ঢাকলেও মুখেরটা ঢাকেনি…

রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামলো। নীড় নামবে ঠিক তখনই মেরিন মাস্কটা ফেলে দিলো।
নীড় : ?।
২জনই গালে হাত দিয়ে গাড়ি থেকে নামলো… ভেতরে ঢুকলো। মেরিন দেখলো পুরো floor booked…
মেরিন : আমার সাথে এলে পুরোটা বুক করেন ভালো কথা। আজকে করেছেন কেন ?
নীড় : আমার ইচ্ছা।
মেরিন : ?।

.

একটুপর ১টা মেয়ে এলো। ভালোই সুন্দর মুন্দর । নাম আচল। ওকে আসতে দেখে ২জন গালে হাত দিলো।
আচল : hi…
নীড় : হ্যালো … ???…
নীড় হাত মিলোনার জন্য হাত বারালো। মেরিন হিল দিয়ে দিলো নীড়ের পায়ে দিলো পারা।
নীড় : ouch….

আচল : কি হলো?
নীড় : কিছুনা। বসুন।
আচল বসলো।
আচল : যদি কিছু মনে না করেন তবে ১টা কথা জিজ্ঞেস কর?
নীড় : হামমম।
আচল : আপনারা ২জন গালে হাত দিয়ে রেখেছেন কেন?
নীড় : কাউকে বাচাতে গিয়ে গালে থাপ্পর খেয়েছি…
আচল : ওহ। আর আপনার গালে কি হয়েছে?
মেরিন : ধলা চিকা কামড় দিয়েছে।
আচল : ওহ।
নীড় : আপনাকে আমার সুন্দর লেগেছে। আপনার ?
আচল হেসে দিলো।
নীড় : will you marry me?
আচল লজ্জা মেশানো হাসি দিলো ।
আচল : yes…
মেরিন : ওই কিসের বিয়ে হ্যা কিসের বিয়ে? বউ থাকতে বিয়ে করা নাজায়েজ। এই যে আচল না কি? কোনো বিয়ে টিয়ে হবেনা । আমি উনার বিয়ে করা বউ। আর আজীবন থাকবো । এমনকি মৃত্যুর পরেও। বুঝেছো?
আচল : কি?
নীড় : she is ex wife…
মেরিন : জী না…. আমি উনার ex wife না। all time present wife…
মেরিন গাল থেকে হাত সরালো।
মেরিন : এই যে আমার গালে কোনো ইদুরের কামড় না। উনার কামড়। একটু আগেই romance করতে গিয়ে দিয়েছে… আর আমার জামাইর দিকে নজর দিলে না তোমার চোখ তুলে ফেলবো বলে দিচ্ছি…

নীড়ের ইচ্ছা করছে গলা ফাটিয়ে হাসতে। হাসি আটকে রাখতে যে ওর কি পরিমানের কষ্ট হচ্ছে তা কেবল ওই জানে।

আচল : আপনি কি কোনো mental asylum থেকে পালিয়ে এসেছেন?

নীড় : হাহাহা…
মেরিন : আপনি হাসছেন? এই মেয়েটা আমাকে indirectly পাগল বলছে আর আপনি হাসছেন? আমি কিন্তু খুন করে ফেলবো…
নীড় : এই যে… মিসেস নীড় যা খুশি করতে পারে। বুঝেছো?
মেরিন : ওই মিস্টার এই মেয়েটা এখনও আপনার মিসেস হয়নি। আর হবেও না। আমিই ছিলাম থাকবো আছি।
নীড় : সময়ই বলে দিবে। মিস বিউটি shall we go?
আচল : অবশ্যই মিস্টার handsome…

নীড়-আচল চলে গেলো। আর মেরিন হাতের সামনে যা পেলো সব ওদের দিকে ছুরে মারতে লাগলো। যেগুলোর মধ্যে ১টাও ওদের পর্যন্ত পৌছালোনা।

.

আচল : আহ নীড় ছার আমার হাত আর চুল? আর কতোক্ষন মুচরে ধরে রাখবি?
নীড় : তোর সাহস কি করে হয় আমার snow white কে indirectly পাগল বলার?
আচল : আরে ওইটা তো situation এর demand ছিলো…
নীড় : রাখ তোর situation আর রাখ তোর demand … অভিনয় করতে বলেছি করবি। কিন্তু আমার বউকে উল্টা পাল্টা কিছু বলতে পারবিনা। বুঝেছিস?
আচল : আচ্ছা বাবা বলবোনা । এবার তো ছার…
নীড় ছেরে দিলো।
নীড় : তুই হাসতেছিস কেন? ?।
আচল : তোর মতো বউ পাগল আমি জীবনে কাউকে দেখিনি… ইশ আমার জামাইটা কেন যে এমন না!!!

রিপন ( আচলের বর ) : ২বন্ধু মিলে আমার নামে বদনাম করা হচ্ছে বুঝি!!!
আচল : দেখোনা ভুলবশত ওর বউকে পাগল বলেছি। তাই জন্য আমাকে মারলো…. কতো ভালোবাসে নিজের বউটাকে। আর তুমি? তুমি আমাকে এমন করে ভালোবাসো?
রিপন : কেন বাসবো হামম? আমার বউ তো তুমি… snow white তো না… ?…

কথাটা শুনেই নীড়ের চোখ জোরা লাল হয়ে গেলো। হাত মুঠো করে ফেলল। উদ্দেশ্য রিপনকে ১টা ঘুষি মেরে উরিয়ে দিবে…

আচল : oh no….
আচল নীড়ের হাত ধরে ফেলল।
আচল : তততুমি একটু কফি করে আনোনা সবার জন্য প্লিজ প্লিজ …
রিপন : ok…
রিপন চলে গেলো। নীড় ঘুষিটা দেয়ালে মারলো।

আচল : দেখ ও just মজা করেছে… প্লিজ ক্ষমা করে দে…
নীড় : ও কেবল আমার snow white… আর ওকে snow white ডাকার অধিকারও কেবল আমার। এটা তোর জামাইর মাথায় ঢুকিয়ে দিস… না হলে বোঝার জন্য ওর মাথাই থাকবেনা।
বলেই নীড় যেতে নিলো।
আচল : ওই তোর হাত তো লাল হয়ে গিয়েছে । ice bag ধর…
নীড় বেরিয়ে গেলো।
আচল : এই সাইকোর সাথে কাজ করতে কেন যে রাজী হলাম?

.

মেরিন নীড় আর আচলকে বকতে বকতে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটছে । পেছন দিয়ে সাইডের জন্য হর্ন বাজালে মেরিন ক্ষেপে গেলো। মেরিন পিছে ঘুরলো । গাড়ির সামনে গেলো।
গাড়িওয়ালা : এই যে আপ…
মেরিন : নাম তুই…।
গাড়ি ওয়ালা : sorry ….
মেরিন : আব্বে তোর সরির খেতাপুরি…
মেরিন লোকটাকে টেনে নামালো ।
গাড়ি ওয়ালা : আরে আপনি কি করছেন টা কি?
মেরিন : অন্ধ নাকি? হ্যা? তোর সাহস কিভাবে হয় আমাকে হর্ন দেয়ার ? তুই জানিস আমি কে? আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের বউ… যদি আর কোনোদিন হর্ন বাজিয়েছিস না তো বুড়িগঙ্গায় নিয়ে চুবাবো…
বলেই মেরিন লোকটাকে ছেরে দিয়ে গাড়িতে ১টা লাথি মারলো। এরু হাটতে লাগলো। কিন্তু এবার সাইড দিয়ে। সবার গুষ্ঠি উদ্ধার করতে লাগলো।

মেরিন : সবতো ঠিকই আছে … নীড়কেও ঠিকই সোজা করে নিবো। কিন্তু মনে হচ্ছে যে কিছু ১টা ভুলে গিয়েছি … কিছু জরুরী… কিন্তু কি?
তখন মেরিন দেখলো নীলিমা রেললাইন দিয়ে হেটে যাচ্ছে।
মেরিন : আরে মামনি না? ওখান দিয়ে কেন হাটছে? oh no train আসছে। মামনি….
মেরিন দৌড়ে গিয়ে নীলিমাকে সরিয়ে আনলো । মেরিন হাপাতে লাগলো।

মেরিন : এখন মনে পরেছে কি মনে করার ছিলো? যাই হোক …. তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছো মামনি? কি করতে যাচ্ছিলে?
নীলিমা : কেন বাচালে আমাকে…. মরে যেতে দিতে।
মেরিন : আজবতো… কিন্তু তুমি মরবে কেন?
নীলিমা : বেচে থেকে কি করবো?
মেরিন : এতোদিন যা কর… না মানে হঠাৎ করে এগুলো কেন?
নীলিমা : এতোদিন তাও বেচেছিলাম এটা ভেবে যে আমার বাচ্চাটা বেচে আছে…. সুস্থ আছে । কিন্তু এখন…
মেরিন : এখন কি?
নীলিমা : আমার বাচ্চাটা যে আর নেই।
মেরিন : নাউযুবিল্লাহ … বলে কি? আমার নীড় তো আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছে।
নীলিমা : কি? আমার বাচ্চাটা সুস্থ আছে? বেচে আছে …
মেরিন : হ্যা।
নীলিমা : তু্মি সত্যি বলছো?
মেরিন : আরে হ্যা
নীলিমা : আল্লাহ তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি ১টাবার নীড়কে দেখবো। দূর থেকেই একটু দেখাবি আমাকে?
মেরিন নীলিমার গালে হাত রাখলো ।
মেরিন : দূরে থেকে কেন দেখবে? কাছে থেকেই দেখবে। ছুয়ে দেখবে। কারন চৌধুরানী চৌধুরী বাড়িতে ফিরবে।
নীলিমা : মানে?
মেরিন : ধীরে ধীরে বুঝে যাবে ।
নীলিমা : ১মিনিট। তুই এভাবে কথা বলছিস? তোর…
মেরিন : সবকথা মনে পরে গিয়েছে। আমি সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে গিয়েছি।
নীলিমা মেরিনের কপালে চুমু দিলো।
নীলিমা : আজকের মতো ভালোদিন আমার জীবনে অনেকদিন পর এলো ।
মেরিন : এরথেকেও হাজারগুন ভালো ভালো দিন আসবে। just wait & watch …

.

২দিনপর…
নীড় : ড্যাডডার্লিং আমি বে… একি তুমি? এখানে? কেন ?
মেরিন : আমার বাড়িতে আমি এসেছি । আপনার সমস্যা? বাবা , কাকা-কাকীমা , মামা ,নির্ঝর , নিরব , তিন্নি , ইশিতা সবাই এখানে আসো। সবাই ছুটে এলো।
মেরিন : যাক মামা তুমি এসেছো। যে হারে ক্ষেপেছিলে…মনে হচ্ছিলো আমার ডাকে আসবেই না…
দীপ্ত অসহায় দৃষ্টিতে নীড়ের দিকে তাকালো।
মেরিন : যাই হোক ১মিনিট…
বলেই মেরিন বের হলো। আবার ১মিনিটেই ভেতরে ঢুকলো। সাথে নীড়ের নানা-নানু , বড়মামা-বড়মামী কে নিয়ে…
সবাই অবাক হলো।
নীড় : granny ….

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here