সাইকো_নীড় part : 6

0
595

#সাইকো_নীড়
part : 6
writer : Mohona

.

নীড় : শাশুড়িমম… তোমার মেয়ে এতো সুন্দর কেন?
মেরিন : আআআ…
নীড় দৌড়ে গিয়ে মেরিনের মুখ চেপে ধরলো।
নীড় : শাশুড়িমম… তোমার মেয়ে এতো চিল্লায় কেন…
মেরিনি নিজেকে ছারিয়ে দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো। কারন মেরিন ১টা টি-শার্ট , আর কোয়ার্টার পরেছিলো। আর মাথায় টাওয়াল পেচানো। নীড় দরজায় টোকা দিলো।
নীড় : এই যে মিস snow white … কি হলো? change করতে কি এতো সময় লাগে?
মেরিন : আপনার কি লজ্জা নেই?
নীড় : কেন? আমি তো জামা-প্যান্ট পরেই তো আছি। লজ্জা পাবো কেন? ?।
মেরিন : ইইই…
নীড় : দরজা খোলো তো snow white …
মেরিন : পারবোনা।
বলেই মেরিন washroom এ গেলো। বেরিয়ে দেখে নীড় বেডে শুয়ে আছে।
মেরিন : আপনি ভেতরে কি করে এলেন?
নীড় : none of your business … চলো।
মেরিন : না আমি যাবোনা।
নীড় : কিছু বললা?
মেরিন : না।
নীড় : good… চলো। আজকে ভীষন শপিং করাতে মন চাইছে….

.

বিকালে…
নীড় : খাচ্ছোনা কেন?
মেরিন : একটু আগেই না খেলাম।
নীড় : ২ঘন্টা আগে। খেয়েছো।
মেরিন : huh…
নীড় : শোনো … কালকে এই শাড়িটা পরবা…
শাড়ি কথাটা শুনেই মেরিনের মাথায় বাজ পরলো।
মেরিন : কি?
নীড় : বললাম যে কালকে এই শাড়িটা পরবে।
মেরিন : নানানানানা । আমি শাড়ি টারি পরবোনা। আমি handle করতে পারিনা। বিরক্ত লাগে। ফালতু লাগে। আমি পরবোনা।
নীড় : কি? কি বললা…
মেরিন : যেটা শুনলেন সেটাই। আপনি যতোই চোখ গরম করে বলেন না কেন আমি পরবো না।
নীড় : তুমি পরবা। এখন চলো।
বলেই মেরিন হাত ধরে হাটতে লাগলো।
মেরিন : আপনি always এতো টানাটানি করেন কেন বলবেন?
নীড় : ভালো লাগে তাই।
মেরিন : আমি কিন্তু শাড়ি পরবোনা।
নীড় : পরবে। না হয় পরাবো।
মেরিন : huh…

নীড় গাড়ি চালাচ্ছে।

মেরিন : আচ্ছা আপনি যে সারাদিন আমার সাথে থাকেন আপনার কোনো কাজটাজ নেই… আপনার girlfriend গুলো রাগ করেনা…
নীড় : তাদের জন্য রাত আছেনা… ?…
মেরিন : ?।
নীড় : হাহাহা। are you jealous?
মেরিন : what for?
নীড় : এই যে girlfriend দের কথা বললাম। রাতের কথা বললাম। তাই…
মেরিন : আপনি কি পুরোপুরিই পাগল।
নীড় : হামম my snow white … but my dear snow white… এখন আমার কোনো g…
তখন হুট করে গাড়িতে ব্রেক মারলো। কারন গাড়ি সামনে ৮-১০জন দারিয়ে আছে।
মেরিন : আপনার মাথা কি খ…
তখন মেরিনের চোখ সামনে গেলো।
মেরিন : এরা কারা।
নীড় : বসো দেখি। আর শোনো গাড়ি থেকে নামার দরকার নেই।
মেরিন : নীড়… নামার দরকার নেই। গাড়ি ঘোরান।
নীড় : আরে nervous হচ্ছো কেন? relax … ভয় পাচ্ছো কেন? হামম হামম? ওরা আমাকে মেরে টেরে ফেলবে এটা ভেবে…
মেরিন : আরে আপনাকে মারুক i don’t care… but সাথে আমাকেও মারলে…
নীড় : …
মেরিন : গাড়ি ঘোরান।
নীড় আর কোনো কথা না বলে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো। ও নামতেই ছেলেগুলো ঘুরলো। আর ওদের মধ্যে জীবনকে দেখলো। নীড় কিছু বললনা।
জীবন : student দের গায়ে হাত? student power সম্পর্কে কোনো ধারনাই নেই তোর। আজকে তোকে ওপরে পাঠিয়ে দিবো।
কথাটা শুনে নীড় ঘাড় বাকা করে ১বার মেরিনকে দেখলো।
জীবন : আর তোর রঙ্গীলাকে নিয়ে ফূর্তি করবো….
কথাটা বলতে দেরি আছে কিন্তু নীড় নিজের হিংস্র রুপে আসতে দেরী নেই। হাতের ঘড়িটা loose করে সেটা ঘুরিয়ে নিলো। এর হাত মুঠো করে সেটাকে আঙ্গুলের সামনে এনে একেকটার চেহারায় ঘুষি মারতে লাগলো। আর তাও মেরিনের দিকে তাকিয়ে। আসলে মেরিনের ওপররের অভিমানটাও ওদের ওপরই ঝারছে।

মেরিন : ওরে বাবারে … যেভাবে তাকিয়ে আছে যেন আমাকেই মারছে। বাবা গো… এর ১টা ঘুষি আমার ওপর পরলে আমি তো পরকালে পৌছে যাবো। বাবাগো…
নীড়ের মাইরের চোটে একেকজন পালিয়ে গেলো। নীড় দুম করে গাড়ির সামনে এসে পানির বোতলটা নিলো। এরপর হাত ধুতে লাগলো।
নীড় : যেহেতু মরিনি সেহেতু কালকে শাড়ি পরতেই হবে তোমাকে… তুমি চাও আর না চ…
বলতে বলতে নীড় থেমে গেলো । মেরিন দেখলো নীড়ের চোখ গুলো যেন কেমন বেরিয়ে আসার মতো হয়ে গিয়েছি… আসলে জীবন ওর পিঠে ছুরি মেরেছে।
মেরিন : এর আবার কি হলো…

নীড় কোন রকমে হাতটা পেছনে দিয়ে জীবনের হাত ধরে সামনে আনলো । এরপর মাথা দিয়ে এমন ১টা বারি মারলো জীবনের মাথায় যে জীবন ঠাস করে পরে গেলো।

নীড় : আর শাড়ি পপপরতে হবেনা তততোমাকে snow white … তততুমি চলে যাও এখান থেকে এক্ষনি পপপ্লিজ…
মেরিন মনে মনে : এ এভাবে কথা বলছে কেন?
নীড় জ্ঞান হারালো।
মেরিন : নীড়…
মেরিন ছুটে গাড়ি থেকে নামলো।

.

২০ঘন্টাপর…
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো। চোখ মেলতেই নিহালকে পেলো। কিন্তু ও নিহালকে একদম আশা করেনি। কেন যেন মেরিনকে চাইছিলো। কেন তা নীড় জানেনা। নীড় চারদিকে চোখ বুলালো। দেখলো কোথাও মেরিন নেই। হঠাৎ দরজার ওখানে কারো আভাস পেয়ে তারাতারি দেখলো। মনে করলো মেরিন। দেখলো না । নিরব আর নির্ঝর ।
নিহাল : বাবা তুই ঠিক আছিস?
নীড় : হামমম।
নীড় অবাক হলো। কারন নিহাল ১টা বারও জিজ্ঞেস করলোনা যে কি হলো?কিভাবে হলো? পরে মনে করলো যে হয়তো জেনেছে। নিরব আর নির্ঝর ভেতরে ঢুকলো।
নিরব : whats up ব্রো…
নীড় : ভালো…
নির্ঝর : দাদাভাই তোমার কিছু হয়ে গেলো এতো এতো মেয়ে যে suicide করবে।
নিরব : আর মেয়েদের এতো কষ্ট কি মেনে নেয়া যায়?
নীড় মুচকি হেসে
বলল : ন্যাহ…
বলেই ৩ভাই হাসতে লাগলো।
নিহাল : thats like my son…
নীড় : মেরিন কোথা়য়?
নিরব : ওকে তো কা…
নিহাল : ওর খবর জানে কে? ১টা স্বার্থপর মেয়ে..। ও তো তোর শুভ কামনাই করেনা… ইচ্ছে করেছিলো… যাই হোক তুমি রেস্ট করো বাবা…
বলেই নিহাল বেরিয়ে গেলো ।

]

.

বর্তমান…
নীড় : ইহিহিহি ইহিহিহি…. মামা মামা … তুমি কি বোকা… ইহিহিহি… পুন্টুস রেডু রেডু না পিংকু পিংকু… তুমি তো দেখি চিনোই না। ইহিহিহি ইহিহিহি।
দীপ্ত : তাই তো তাই তো। আসলেই আমি বোকা।

নিহাল : ড্যানি… নীড়ের সাথে মেরিনের মিটিংএর ব্যাবস্থা করেছো ।

{ বুঝেছোই তো যে patient টা মেরিন। আর যারা বুঝতে পারোনি তারা এখন তো বুঝতেই পারলে। যেন বোঝা যায় আমি ওই অনুযায়ীই দেই। }

ড্যানি : জী স্যার।
নিহাল : নীলিমা আর জাফর যেন ভুলেও না যানে যে আমরা মেরিনের সাথে দেখে করতে এসেছি । actually আমাদের কথা জানুক। কিন্তু নীড়ের কথা যেন না জানে। কারন আমি চাই না নীড় নীলিমার মতো ১টা মহিলার সহানুভূতি পাক। না তো সে মা হওয়ার যোগ্য আর না নারী হওয়ার যোগ্য।
ড্যানি : ঠিকাছে স্যার। আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না। আমি সব ম্যানেজ করে নিবো।
নিহাল : হামম।

নিহাল চকোলেট নিয়ে নীড়ের কাছে গেলো।

নিহাল : ড্যাড ডার্লিং…
নীড় : হ্যা ড্যাড ডার্লিং…
নিহাল : ১টা জায়গায় যাবে আমার সাথে?
নীড় : কোথায় কোথায়?
নিহাল : its a surprise ….
নীড় : উহু উহু উহু… আগে বলো । তারপর যাবো।
নিহাল : তোমার ….
নীড় : আমার…
নিহাল : তোমার…
নীড় : আমার…?
নিহাল : তোমার favorite মানুষের কাছে….

.

অতীত…
[
নিরব-নির্ঝর কথা বলছে নীড়ের সাথে।
নীড় : my dear tom & jerry …
নিরব-নির্ঝর : হ্যা দাদাভাই…
নীড় : whats the truth …?
নিরব : ttttruth… কার truth ? কিসের truth… হাহাহা… ?..
নির্ঝর : তোর হাসিটা রাক্ষের মতো… দেখ আমার হাসি কতো সুন্দর? হা…হা…হাহাহা…
নীড় : ওয়… tom & jerry … আমার হাতে আহত হতে না চাইলে বলে ফেল…
নিরব : ওরে বাবারে… ডক্টর যদি জানে যে আমরা তোমার সাথে বকবক করছি তাহলে তো শেষ… এই ছোটদা চল…
নির্ঝর : হ্যা চল চল…
নীড় : তোদের কি ১টা গুলিতেই হবে না আরো লাগবে?
নির্ঝর : না থাক। thats not so testy…
নীড় : সিট…
২জন বসলো।
নীড় : snow white কোথায়?
নিরব : snow white ? oh… মের… না মানে ভাবি…. জানিইনা ।
নীড় : বলবি নাকি বলবি না? দেখ তোরা না বললেও আমার এই শরীর নিয়ে খোজ করতে হবে। আর অমনটা করতে হলে তোদের ২টাকেই গাছে উল্টা করে ঝুলাবো…
নির্ঝর : কিন্তু ককককাকা…?
নীড় : কে বেশি ভয়ংকারী ?
২জন : obviously তুমি।
নীড় : শুরু কর….
নিরব : আসলে আমরা কয়েক মিনিট পরে এসেছি… এসে দেখি…
নীড় : থেমে গেলি কেন?
নিরব : না মানে তুমি ককক্ষেপে যাবে।
নীড় : শেষ পর্যন্ত বল।
নির্ঝর : এসে দেখি কাকা ভাবির গলা চেপে ধরেছে। ভাবি নীল হয়ে গিয়েছিলো। এমনকি নাক দিয়েও রক্ত বের হয়ে গিয়েছিলো।
নীড় : কি?
নিরব : হামম। তবে জায়েজ আছে?
নীড় : কি? ?।
নিরব : ভাইয়া … তোমার রাগ লাগতে পারে but… ভাবিই তো তোমাকে ছুরি মেরেছে।
নীড় : কি ফালতু কথা বলছিস? কে বলল তোদের?
নির্ঝর : হ্যা। বোঝাই যায় । আর ছুরিতে ভাবির হাতের ছাপ পাওয়া গিয়েছে।
নীড় : তোরা কি আমাকে সিনেমার গল্প শোনাচ্ছিস?
নির্ঝর : না ভাইয়া। its true… তারমধ্যে আমরা সবাই কাকাকে ছারানোর পর ভাবি কোনো রকমে নিজেকে সামলে কাকাকে কিছু কথা বলে। তোমাকে বকে। তুমি খারাপ। হেন তেন এই আরকি। তবে ভাবির কথা শেষ হওয়ার আগেই কাকা ভাবিকে থাপ্পর মারে। ডক্টর ভাবির কথা বলতে এলে কাকা এমন ঘুষি মারে যে কি বলবো।
নিরব : আসলে কাকা পাগল হয়ে গিয়েছিলো…
নীড় : snow white এখন কোথায়?
নিরব : jail এ…
নীড় আর ১মিনিট দেরি না করে হাত থেকে স্যালাইন ট্যালাইন টান দিয়ে খুলে ফেলে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। নিরব-নির্ঝর চেয়েও আটকাতে পারলোনা।

.

কবির মেরিনকে jail থেকে বের করানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে। কিন্তু যেখানে নিহাল নিজে মেরিনকে jail এ ঢুকিয়েছে সেখানে কবিরের কি সাধ্য আছে ছারানোর? নীড় ছুটে এলো police station এ।
নীড় : এই অফিসার… আমার মেরিনকে বের করে দিন…
অফিসার : sorry …court order নিয়ে আসুন। bail নিয়ে আসুন।
নীড় : আমাকে চিনেন? আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ।
অফিসার : সসস্যার আপনি?
নীড় : মেরিনকে ছারুন।
অফিসার : স্যার নিহাব স্যার case withdraw না করলে যে সম্ভব না…
নীড় : case my foot… ছারুন মেরিন কে…
অফিসার : না হলেও bail তো লাগবে…
নীড় : মেরিন কোথায় : মিট করতেও কি court order লাগবে?
অফিসার : no…. thats way…
নীড় হন্তদন্ত হয়ে গেলো। নীড় ওখানে গিয়ে দেখে যে মেরিন ১কোনায় দারিয়ে আছে। আর কয়েকটা দানব দানব মহিলা মেরিনকে নিয়ে মজা করছে। কেউ ওর চুল ধরছে, কেউ ওর ওরনা ধরছে , কেউ গাল ধরছে,। মেরিন দারিয়ে থাকার বল পাচ্ছেনা । গলায় দাগ বসে আছে। গালেও ৫আঙ্গুলের দাগ পরে আছে। আর হাতের মধ্যে 1 time ব্যান্ডেজ। নীড় কোনো কথা না ভেবে ১জনের কাছ থেকে তালার মধ্যে গুলি করে লাথি মেরে দরজা খুলল। নীড় ভেতরে ঢুকলো। নীড় যেতেই মেরিনের মনে ১টা সাহস এলেও অন্যরকম ১টা অভিমান হলো। মেরিন দেয়ালের দিকে মুখ করে রইলো। নীড় কোনো কথা না বলে মেরিনের হাত ধরে টেনে সেল থেকে বের করে আনলো। এরপর বেরিয়ে যেতে নিলো। অফিসার বাধা দিলেও শুনলোনা। মেরিন কোনো কথা বলল না। নীড় মেরিনকে নিয়ে চৌধুরী বাড়িতে গেলো।

.

নীড়-মেরিনকে দেখে নিপা নিহালকে ফোন করলো। নীড় মেরিনকে নিয়ে নিজের রুমে গেলো। ওর বেডের ওপর সেই off-white স্টোনের শাড়িটা রাখা। নীড় ওর লোকেদের দিয়ে এনেছে। নীড় শাড়িটা মেরিনের হাতে দিয়ে বলল…

নীড় : ওই যে washroom… গিয়ে fresh হয়ে এই শাড়িটা পরে নাও …
মেরিন শাড়িটা হাতে নিয়ে দারিয়ে রইলো। নীড় ঝারি মেরে
বলল : যাও…
মেরিন : …
নীড় মেরিনকে টেনে washroom এ নিয়ে shower on করে দিলো।
নীড় : বলেছিলাম না আজকে আমি তোমাকে এই শাড়িতে দেখবো… so… shower নিয়ে এই শাড়িটা পরে আসো। ১৫ মিনিট সময় দিলাম। যদি এই সময়ের মধ্যে বের না হও তবে আমি নিজে ভেতরে এসে নিজের হাতে শাড়িটা পরাবো। নিশ্চয়ই তুমি সেইটা চাওনা।
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো। নীড় washroom থেকে বের হতেই নিহাল নীড়ের রুমে ঢুকলো।
নিহাল : বাবা তুমি কোথায় ছ…
নীড় : don’t touch me…
নিহাল : এমন করে বলছো কেন?
নীড় : বলেছিনা ছুবে না আমাকে।
নিহাল : বাবা…
নীড় : আমাকে বাবা ডাকবেনা ড্যাড… তুমি মেরিনের সাথে কেমন আচরন করেছো নিজে ভেবে দেখেছো?
নিহাল : কেবল তোমার কথা ভেবেই ওকে জানে মারিনি…
নীড় : thats your good luck ড্যাড… তাহলে তোমার ছেলেকেও পেতে না…
নিহাল : নীড়… যে মেয়েটা তোমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো… ছুরি মেরেছে… তাকে তুমি…
নীড় : বাবা ও মেরিন বন্যা খান। ১টা মশা মারতে গেলেও ২বার ভাবে সে আমাকে মারতে চাইবে? এই তুমি নিহাল আহমেদ চৌধুরী…? এই তুমি মানুষ চেনো? আজকে ওর জন্য আমি বেচে আছি ড্যাড। ওই আমাকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছে আর ওই আমাকে রক্ত দিয়ে বাচিয়েছে ।
নিহাল : কি?
নীড় : হ্যা ড্যাড। আমার ড্যাড ডার্লিং এতো বেখেয়াল কিভাবে হয়ে গেলো?
নিহাল : আমি এতো বড় ভুল করলাম…
নীড় : ড্যাড ত…
তখন washroom এর দরজা খোলার শব্দ হলো।
নীড় : ড্যাড যাও এখন। প্লিজ।
নিহাল চলে গেলো।

.

মেরিন বের হলো। চুলে টাওয়াল পেচিয়ে। নীড় মেরিনের দিকে এগিয়ে গেলো।
নীড় : আমার ভাবনার থেকেও তোমাকে বেশি সুন্দর লাগছে এই শাড়িতে।
বলেই মেরিনের কপালে চুমু দিলো।
নীড় : ভালোবাসি snow white…

.

((( sorry for late )))

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here