Mysterious Part 9

0
358

Mysterious
Part -9
Romoni

ধীরে ধীরে রাফিম তার কাজে অগ্রসর হতে থাকে।
আর আমি ইচ্ছা কৃত ভাবে ভুল পথে ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করতে থাকি, যা দেখে রাফিম খুব খুশি হয়, কেনোনা তার উদ্দেশ্য সফলে আমি বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারি নি।
তবে একটা বিষয়ে রাফিম খুব অবাক হয়েছিল, আমি ভুল ভাবে পাওয়ার আহ্বান করার পরেও আমার কোনো ক্ষতি হচ্ছিলো না।
তবে রাফিম অবাক হলেও ব্যাপারটা নিয়ে বেশি ভাবেনি, তার মনে হয়েছে যে হয়তো একটু সময় লাগবে, তবে ক্ষতি আমার হবেই।

কিন্তু হঠাৎ একদিন রাফিম তার কাজে অসফল হয়।
আর সেদিন সে এতোদিনে যতটা পাওয়ার অর্জন করছিলো তার অর্ধেক পাওয়ারই হারিয়ে ফেলে, এতে সে বেশ রেগে যায়।
আর ঠিক সেই সময় আমি তার সামনে উপস্থিত হই, আর সে আমায় তার পাওয়ার হারিয়ে ফেলার কথাটা বলে,প্রতি উওরে আমি বলি, সব কিছু তো আর চাইলেই পাওয়া যায় না রাফিম হিন।

সে আমার মুখে তার এই নাম শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কেনোনা তার এই নাম শুধু Devil island এ জানে,আর সে তো আমায় ডেভিল পাওয়ার অর্জনের ভুল পথ দেখিয়েছে, তাহলে ডেভিলদের সিক্রেট তথ্য অথবা ডেভিল পাওয়ার আহ্বান কারীদের কোনো রকম সিক্রেট তথ্য বা নাম আমার জানার কথা নয়।
এসব বিষয়ে শুধু তারাই জানবে যারা সঠিক উৎস ব্যাবহার করে পাওয়ার আহ্বান করে।

সেদিন আমার মুখে তার এই নাম শুনে সে অতি দ্রুততার সহিত আমার মাইন্ড পড়তে শুরু করে, অবশেষে সফল হয় রাফিম আমার সঠিক মাইন্ড পড়তে।
আমি কেনো এসেছি?কেনো তার সাথে বন্ধুত্ব করেছি, কি চাই?
এসব সম্পর্কে রাফিম সব সঠিক উওর পায় সেদিন।

এতোদিন সে আমার মাইন্ড পড়েছে ঠিকই তবে ভুল তথ্য পেয়েছে, কারন সে যখন ই আমার মাইন্ড পড়েছে তখনই আমি সমস্ত ভুল তথ্য গুলো মাইন্ড এ জড়ো করেছি, আর সঠিক তথ্য গুলোকে আড়াল করে দিয়েছি,যাতে রাফিম আমার আসল পরিচয় জানতে না পারে।
রাফিম জানতো আমিও রাফিমের মতই একজন সাধারণ মানুষ, যে নিজের আধিপত্য বিস্তারে ডেভিল পাওয়ার অর্জন করতে চাইছে।

আর রাফিম আমার করা পরিকল্পনা বুঝতেও পারে নি, কেনোনা ব্ল্যাক পেপার আমাদের অর্থাৎ lone island এর অধীনে থাকায় আমার পাওয়ার বেশি ছিলো রাফিম এর থেকে।

তবে রাফিম নিজের পাওয়ার অর্ধেকটা হারানোর পরে আমি নিজের মাইন্ড এর সঠিক তথ্য রাফিম এর মাইন্ড এ ট্রান্সফার হতে দেই, কারন আমি চাইছিলাম এভাবে আড়ালে থেকে দ্বন্দ্ব না করে সরাসরি প্রচেষ্টা করি।

আর তারপর থেকেই রাফিম আর আমার মধ্যে এক ভয়বহ শত্রতার সৃষ্টি হয়।

আর সেদিন আমার lone island এ ফিরে আসতে দেরি হয়েছিলো, কেনোনা সেদিন রাফিমের সাথে আমার এক প্রকার যুদ্ধ বেঁধে যায়, আর সে যুদ্ধের মাঝ থেকে রাফিম পরাজিত হয়ে ফিরে যায়।
কারন আমার সাথে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত ক্ষমতা রাফিম এর কাছে ছিলো না।

আর আমারও অনেকটা আঘাত লাগে সে লড়াইয়ে।
তারপর আমি ফিরে আসার পরে তুমি আমার ক্ষত গুলো দেখে জিগ্যেস করেছিলে কি হয়েছে?
কিন্তু তুমি আমার এমন অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে, আমায় কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তুমি নিজেই তখন আমার মাইন্ড পরতে শুরু করো, আর তখনই তোমার মাইন্ড এ ট্রান্সফার হয় আমার ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করার বিষয়টা,তাই তুমি আমার সম্পূর্ণ মাইন্ড না পড়েই আমার উপর রেগে যাও।
আর সব সত্যি না জেনেই আমায় শাস্তি দিয়েছিলো, তাই রাগ হয়েছিল, তাই মিথ্যেটা স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছি যে আমি আসলেই ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করেছি।
আর তুমিও যাচাই না করেই বিশ্বাস করে নিয়েছিলে।

কিং ইয়ানের কথা শুনে আরো বেশি রেগে যান,আর বলেন,
তোর এই বদমেজাজ আর রাগের জন্যই তোর বিপদ বাড়ে।

–আমি কিন্তু একটা উওর এখনো পাই নি, ইয়ান স্যার invisible island এর সদস্য না তো কে উনি?(তায়াশা)

–তায়াশা আপনি এতো অধৈর্য হয়ে যান কেনো?
একটু অপেক্ষা করুন, সব জানতে পারবেন।
আর এখনো এতো কিছু জানার পর আপনার আমার উপর বিশ্বাস হচ্ছে না?
রাফিম আপনাকে বিভ্রান্ত করছে সেটা আপনি বুঝতে পারছেন না?
আপনি আজ রাফিমের দিকে তাকিয়ে তার বলা কথা গুলো শুনেছেন, আর সেই সুযোগটাই রাফিম নিয়েছে।

আপনি মনে হয় ভুলে যাচ্ছেন রাফিমের কাছে ডেভিল পাওয়ার আছে, তাই উনি ম্যাজিক পাওয়ার দ্বারা যে কাউকে নিজের প্রতি বিশ্বাস যোগ্য করে তুলতে পারে।
কিন্তু আপনাকে নির্জিত করা রাফিমের পক্ষে সম্ভব হোতো না, যদি আপনি রাফিমের প্রতি দুর্বল না থাকতেন।
আর আপনার রাফিমের প্রতি ভালোবাসাই রাফিমের সব থেকে বড়অস্ত্র।
কারন সে জানে আপনার জীবনের সব থেকে বড় দুর্বলতা রাফিম।

রাফিম invisible island এর যে কাউকে নির্জিত করতে পারে, শুধু কিং আপনি আর আমি ছাড়া।
তবে একদিক থেকে আমাদেরও সে নির্জিত করতে
পারবে? (ইয়ান)

–আপনি আবারও মজা করছেন?
একবার বলছেন আমাদের নির্জিত করতে পারবেনা আবার বলছেন পারবে। (তায়াশা)

–আরে শান্ত হন,আমি মজা করছি না,আমায় সম্পূর্ণ কথা বলতে তো দিন।
আমাদেরও নির্জিত করতে পারবে যদি আমাদের তার উপর দুর্বলতা থাকে তাহলে, নয়তো পারবে না।(ইয়ান)

–ওহ আচ্ছা, কিন্তু আপনি কথা বলার সময় সহজ ভাবে বলবেন, আপনার এমন রহস্যময় কথার মানে খুঁজে বের করতে অসহ্য লাগে।(তায়াশা)

ইয়ান প্রতিউওরে একটু হালকা হাসে।

অন্য দিকে ইফান রাগান্বিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে কিং,ইয়ান আর তায়াশার দিকে।

— তায়াশা তুমি তাহলে যাবে না আমার সাথে? (ইফান)

–না।(তায়াশা)

ইফান আর কথা বাড়ায় না, সেখান থেকে চলে যায়, কারন এখানে ইফান একা তিনজনের সাথে পেরে উঠবে না।
তবে ইফান এতোদিন বিষয়টাকে স্বাভাবিক ভাবে সামলে নিলেও, আজকের পর আর তা স্বাভাবিক ভাবে সামলাবে না।
ইফানের আজকের চলে যাওয়াটা নিশ্চুপ হলেও, ফিরে আসাটা এক ভয়ঙ্কর ঝড় বয়ে আনবে।
যে দুর্যোগ এর প্রতিরোধ করা অসম্ভব এর ন্যায় হতে পারে।

অতঃপর কিং ইয়ানের দিকে কিছুটা রাগী চাউনি নিক্ষেপ করে lone island এর মধ্যবর্তী স্থানে অর্থাৎ নিজের কাঠের তৈরি প্রাসাদে চলে যান।

ইয়ান তায়াশাকে নিয়ে invisible Door এর সাহায্যে তায়াশার ঘরে চলে আসে।
তায়াশা এসেই বেডে বসে মুখ দুি হাত দিয়ে চেপে ধরে মাথা নিচু করে রাখে।

–তায়াশা!
আপনি কফি বানাতে পারেন?(ইয়ান)

তায়াশা ইয়ানের দিকে বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে তাকায়, এতো কিছুর পরেও এই ছেলেটা স্বাভাবিক আছে কিভাবে? সেটাই তায়াশার বোধগম্য হচ্ছে না।
ইয়ানের মধ্যে কোনো ভাবান্তরই নেই,ইয়ানকে দেখে মনে হচ্ছে যেনো কিছুই হয়নি।
তারপর তায়াশা কড়া কন্ঠে বলে,হ্যা পারি।

–আমি কফি খাবো।(ইয়ান)

–তো আমি কি করবো?(তায়াশা)

–বানিয়ে দিবেন? (ইয়ান)

তায়াশা কিছু না বলে উঠে রান্না ঘরে চলে যায়।
ইয়ান ভাবলেশহীন ভাবে বেডের এক কোনায় গিয়ে বসে।
পূর্ব দিকের খোলা জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে ঘরে পরছে, আর ইয়ান সেই আলোক রশ্নির দিকে দৃষ্টিপাত করে, নিজের গলার লকেটটা শার্টের ভেতর থেকে বের করে, হাতের তালুতে রাখে।
আর সূর্যের রশ্মি এসে লকেটটার উপর পড়তেই লকেট থেকে এক বিকৃত আলোক রশ্নি ছড়াতে থাকে,যার আলো পুরো ঘরকে উজ্জ্বল করে তুলেছে।

To be continue…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here