Mysterious Part 11

0
371

Mysterious
Part -11
Romoni

(একটা বাচ্চা মেয়ে ছোট একটা মাঠের পাশে কয়েকজন বাচ্চাদের সাথে খেলছে,হাতে একটা পুতুল নিয়ে।
এরমধ্যেই একজন মুখে মাস্ক পড়া ছেলে বাইক নিয়ে এসে, বাইকটাকে একপাশে পার্ক করে রেখে,সেই মেয়েটাকে ডাকে,মেয়েটাও খেলার মাঝ থেকে চলে যায় সেই ছেলেটার কাছে।
ছেলেটা মেয়েটার চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে , আর মেয়েটা সেই মাস্ক পড়া ছেলেটির উপর সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায়।
এটা দেখে বাকি বাচ্চারা আর আশে পাশে থাকা কিছু মানুষ ছুটে আসতে নিলেই সেই ছেলেটা বাচ্চা গুলোর এবং বাকি লোকজন এর দিকে চোখের সাহায্যে এক নীল ধোঁয়া ছুড়ে দেয়, আর বাচ্চাগুলোও স্বাভাবিক ভাবে আবার গিয়ে খেলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ে,আর অন্যান্য লোক জন সবাই নিজের মতো চলে যায়, যেনো সব কিছু ঠিক ঠাকই আছে, কিছুই হয়নি।

এরপর ছেলেটা ছোট মেয়েটাকে পাঁজা কোলে নিয়ে একটা নির্জন স্থানে গাছের আড়ালে চলে যায়।
তারপর নিজের মুখের মাস্কটা একটানে খুলে ফেলে,আর সাথে সাথে ছেলেটার সামনের দুপাশের দাঁত দুটো লম্বাকার ধারন করে, আর ছেলেটা বাচ্চা মেয়েটার ঘাড়ের গভীরে সূচালো দাঁত দুটো বসিয়ে রক্ত শুষে নিতে থাকে।
ধীরে ধীরে মেয়েটার সর্ব শরীর সাদা বর্নের হয়ে যায়, তারপর ছেলেটা মেয়েটার ঘাড় থেকে মুখ তুলে, মেয়েটাকে নিচে শুয়িয়ে দেয়।
আর ছেলটা নিজের গলায় থাকা লকেটটা হাতের মাঝে আনে।
সূচালো দাঁতের থেকে ঝরা রক্ত বিন্দু গুলো এসে লকেটটার উপর পড়ছে,আর ছেলেটার মুখে ঝুলে আছে এক পৈশাচিক হাসি।

তারপর মেয়েটাকে সেখানে রেখেই ছেলেটা বাইকে উঠে বাইক ফুল স্পিডে চালিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

কিছুক্ষণ পরে,

সেই মেয়েটার মা বাবা কখন থেকে মেয়েটাকে খুঁজে চলেছে,রাস্তার আশেপাশে থাকা সবাইকে জিগ্যেস করছে কেউ পুতুলকে দেখেছে কিনা (মেয়েটার নাম পুতুল)।
সবাই-ই বলছে দেখেনি, ওই বাচ্চাগুলোকেও জিগ্যেস করেছে, তারাও বলতে পারছে না কিছু।
এক পর্যায়ে খুঁজতে খুঁজতে পুতুলের মা বাবা সেই গাছটার আড়ালে আসে, এসে দেখে পুতুল অবচেতন অবস্থায় পড়ে আছে, আর পুতুলের শরীর একদম স্বাভাবিক লাগছে, আর ঘাড়েও কোনো ক্ষত চিহ্ন নেই।
তবে এই মুহুর্তে পুতুল মৃত।)

___________________________________

–কি বলছেন আন্টি, আঙ্কেল Devil power caller?
(তায়াশা)

–হ্যা তায়াশা,ইয়ান আমায় একদিন হঠ্যাৎ করেই বলে যে ওর বাবা ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করেন,কিন্তু আমি বিশ্বাস করি নি।
আমি বিবেচনাও করি নি ইয়ানের কথাটা।
বরং ইয়ানকে আমি আমায় ছুয়িয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিয়েছিলাম যে এ বিষয় যেনো ইয়ান আর কোনো কথা না বলে, বা কোনো রকম পদক্ষেপ না নেয়।
কারন আমার বিশ্বাস ছিলো সে কখনোই এমন কাজ করতে পারে না,আর সে যদি জানতে পারে তার ছেলে তার উপর এমন অভিযোগ করছে, তাহলে সে খুব কষ্ট পাবে।
তাই ইয়ান এ বিষয় আর এগোয় নি, তবে ও ওর বাবার সাথে কথা বলতো না, ওর বাবা এর কারন জিগ্যেস করলেও কোনো উওর দিতো না।
আর আমায় প্রশ্ন করলে আমিও জানিনা বলে বিষয়টাকে এড়িয়ে যেতাম।

কিন্তু যেদিন ইয়ানের বাবা ইয়ানকে বলেছিলো তোকে lone island এ ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা, সেদিন তার মুখে আমি এক পৈশাচিক আনন্দ দেখেছিলাম, আর সেদিন আমার তার উপর সন্দেহ হচ্ছিল, তাই আমি তার মাইন্ড পড়তে শুরু করি, আর তখনই জানতে পারি যে,ইয়ানের বাবা চাইছিলো তোর কাছে থাকা স্পেশাল পাওয়ার ব্যাবহার করে নিজে অধিক পাওয়ার অর্জন করতে, কেনোনা ইয়ানের পাওয়ার যদি সে জোড় করে নিতে চায়, তাহলে ইয়ানের ক্ষতি হতে পারে।
তাই নিজের ছেলের কোনো ক্ষতি হোক সে চায়নি।

তখনই আমি ইয়ান আর কিং কে সবটা জানাই, আর সেদিন ইয়ান রেগে lone island থেকে আমায় নিয়ে এখানে চলে আসে, কিং ও বাঁধা দেয় নি।
অবশ্য বাঁধা না দেওয়ারও যথেষ্ট কারন ছিলো, কেনোনা ইয়ান যা চায় তা করেই ছাড়ে,কারোর বাঁধ মানে না।

তারপর ইয়ান আমায় এখানে এনে এই ঘরটার চারপাশে প্রটেক্ট হোল তৈরি করে দেয়, যাতে ডেভিলদের মধ্যে কেউ আমার কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
আর ব্ল্যাক পেপার lone island এর অধীনে থাকায়, ডেভিলদের পাওয়ার এর থেকে আমাদের পাওয়ার বেশি হওয়ায়, ইয়ানের তৈরি প্রটেক্ট হোল ভেদ করে আসতে পারে নি কোনো ডেভিল সদস্য।

আর কিং সবটা জেনে যাওয়ার পর ইয়ানের বাবাকে সমগ্র invisible island থেকে বহিষ্কার করেন।(মা)

–আচ্ছা আন্টি আমায় একটা প্রশ্নের উওর দিবেন প্লিজ।(তায়াশা)

–বল।(মা)

–ইয়ান স্যার আসলে কে?
ইয়ান স্যার বলেছে যে ইয়ান স্যার invisible island এর সদস্য নয়,তাহলে?(তায়াশা)

ইয়ানের মা কিছু বলতে যাবে, তার আগেই ইয়ান তাকে থামিয়ে দেয়, আর বলে আমার সময় মতো আমি জানিয়ে দিবো মা, তোমার কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
ইয়ানের কন্ঠে রাগ স্পষ্ট, আর ইয়ানের মা জানেন যে ইয়ানের রাগ কতোটা ভয়ঙ্কর, তাই তিনিও কথা বাড়ান নি।
ইয়ানের এহেন আচরনে তায়াশা একটা ডোন্ট কেয়ার লুক ইয়ানের দিকে নিক্ষেপ করে আবার খাওয়ায় মনোযোগ দেয়।

ইয়ান আর তায়াশা খাওয়া শেষ করে গিয়ে হাত ধুয়ে নেয়, আর ইয়ানের মা ও খেয়ে নেন।

এরমধ্যেই ইয়ান বলে,

–তায়াশা আপনি বাসায় যাবেন না?(ইয়ান)

ইয়ানের এমন খাপ ছাড়া প্রশ্নে ইয়ানের মা রেগে গিয়ে বলেন, ইয়ান তোর সমস্যাটা কোথায়?
কারোর বাড়িতে কেউ আসলে তাকে এভাবে কাউকে বলে?

— আরে উনি তো এমন ঘরে থাকেন না, আর তায়াশার অসুবিধা হতে পারে এখানে থাকতে, তাই বললাম। (ইয়ান)

–আমি বলেছি আমার অসুবিধা আছে?(তায়াশা রেগে বলে)
–না (ইয়ান)।

–তাহলে চুপ করে থাকুন, আর নিজের কাজ করুন, আমায় নিয়ে না ভাবলেও চলবে আপনার। (তায়াশা)

আচ্ছা, বলেই ইয়ান ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

তায়াশা ইয়ানের মায়ের সাথে বসে গল্প করছে।
এদিকে প্রায় অনেক্ক্ষণ হয়ে গেছে ইয়ান বেরিয়েছে, এখনো ফেরে নি।

কিছু সময় পরে ইয়ানের ফেরার অপেক্ষা করতে করতে তায়াশা উঠে গিয়ে দরজার কাছে দাঁড়ায়, আর তখনই দেখতে পায় ইয়ান পুতুলের কবরের পাশে বসে আছে।
তায়াশাও গিয়ে ইয়ানের পাশে বসে, ইয়ান তায়াশাকে দেখে বলে,
আজ একজন না ফেরার দেশে চলে গেলো।
আর কারোর এমন ক্ষতি করার আগে ইফান কে আটকাতে হবে।
ইফানের এই জঘন্য গেইমটাকে বন্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

–হুম। (তায়াশা)

–একবার আপনার বাসায় যেতে হবে।(ইয়ান)

–কেনো? (তায়াশা)

–গেলেই দেখতে পাবেন।(ইয়ান)

ইয়ান উঠে সামনের দিকে হাঁটতে থাকে, তায়াশা ইয়ানের পেছন পেছন যায়।

এরপর তায়াশা ইয়ানের মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়,সাথে ইয়ানও যায়।
ইয়ান তায়াশার ঘরে গিয়েই কাবার্ড এর পেছনে থাকা ক্যামেরাটার মধ্যে নতুন একটা মেমোরি সেট করে দেয়, আর পুরোনো মেমোরিটা নিজের কাছে রেখে দেয়।

–ক্যামেরা দিয়ে কি হবে?(তায়াশা)

–ভিডিও।(ইয়ান)

–কিসের?(তায়াশা)

–দেখতেই পাবেন। (ইয়ান)

তায়াশা আর কথা বাড়ায় না,কেনোনা এখন কিছু বলা মানেই ইয়ানের রহস্য ময় কথা গুলো শোনা, আর তার উওর খুজে বের করার কাজ সেচ্ছায় গ্রহণ করা।

ইয়ান নিজের ব্যাগ থেকে একটা Timer বের করে।আর ইয়ান টাইমারের বাটন প্রেস করতেই মুহুর্তেই সব কিছু স্থির হয়ে যায়, গাড়ির কোলাহল নিস্তব্ধ হয়ে যায়,চলন্ত সিলিং ফ্যানটা ঘূর্ণন অবস্থা থেকে স্থির হয়ে যায়,ঘড়ির কাটা এক স্থানে আটকে যায়, রাস্তায় চলমান মানুষগুলো পুতুলের ন্যায় হয়ে যায়।

এরপর ইয়ান বাঁকা হেঁসে নিজের আসল রুপে ফিরে আসে, তারপর…..

To be continue…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here