Mysterious Part 8

0
451

mysterious
Part -8
Romoni

কারন, তায়াশার ইফানের দিকে তাকালে রাগ হতো,নিজের কষ্ট গুলো আরো তীব্র হয়, তায়াশার সাথে করা ইফানের ব্যাবহার গুলো তায়াশা মেনে নিতে পারেনি।
কিন্তু তবুও তায়াশার মনে ইফানের প্রতি ভালোবাসার কোনো প্রকার ক্ষুন্নতা ঘটে নি।

আজ কতোদিন হয় তায়াশা ইফানের দৃষ্টিতে নিজের দৃষ্টি মেলায় না, তায়াশার নির্ঘুম ক্লান্ত চোখ দুটো একবার ইফান কে পূর্ণ দৃষ্টিতে দেখার আশায় কাতর হয়ে আছে।
তাই আজ যখন ইফান তায়াশার সাথে কথা বলছিলো, তায়াশা তখন ইফানের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
আর তখনই তায়াশা বুঝতে পারে ইফানের বলা কথা গুলোর সত্যতা কিছুটা হলেও আছে।

–কিং, ইফানকে ছেড়ে দিন (তায়াশা)

–তায়াশা তুমি আমায় হুকুম করছো?
তোমার স্পর্ধা দেখে বিস্মিত হচ্ছি,এতোটা দুঃসাহস তুমি পেলে কোথায়?
কিং বেশ রেগে গিয়ে কথা গুলো বলে।

–দেখুন কিং, আমার দুঃসাহস নিয়ে বিবেচনা পরেও করতে পারবেন, কিন্তু তার আগে আমায় ইফানের বলা কথা গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করুন।
ইয়ান স্যার আসলে কে?
আর ইয়ান স্যার এর কি এমন পরিচয় আছে যা ইয়ান স্যার আমার সামনে প্রকাশ করতে পারছে না।
তায়াশার কন্ঠে ইয়ানের প্রতি সন্দেহর আভাস পরিপূর্ণ স্পষ্ট।

— তায়াশা আপনি আমায় সন্দেহ করছেন?(ইয়ান)

–হ্যা সন্দেহ করছি আপনাকে, আর তার যথেষ্ট কারন ও আছে,আপনি নিজেই নিজেকে রহস্যময় করে রেখেছেন।
আর সত্যি মিথ্যার পার্থক্য করার মতো যথেষ্ট জ্ঞান আমার আছে, ইফান যে সত্যি বলছে তা ইফানের কথা বলা কালীন ওর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসেই প্রমানিত। (তায়াশা)

–তায়াশা খুব বড় ভুল করছেন আপনি, আপনার এই ভুলের পরিনতি খুব খারাপ হবে।
কথা গুলো ইয়ান বেশ রেগে বলে।
আর আজ এই মুহুর্তে ইয়ানের মুখভঙ্গি এবং কথা বলার ধরনে অনেকটা নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পাচ্ছে।

–আপনি কি আমায় থ্রেট করছেন ইয়ান স্যার? (তায়াশা)

–কেনো আপনার সরাসরি প্রমান চাই? (ইয়ান)

ইয়ান আর তায়াশার কথার মাঝে ইফান বলে ওঠে,

–ইয়ান তুমি কিন্তু নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছো।
আর কিং দয়া করে তায়াশাকে যেতে দিন।
আপনাদের শত্রতা তো আমার সাথে তো আমার সাথে যা করার করুন।

— রাফিম মানতে হবে _ আপনি খুব ভালো অভিনয় করতে পারেন। (ইয়ান)

–ইয়ান তুমি কি থামবে?(ইফান)

–না রাফিম,থামার হলে কথা গুলো বলা শুরু করতাম না। (ইয়ান)

চুপ করুন আপনারা, তায়াশা চিৎকার করে কথাটা বলে।
আসল সত্যিটা কি আমায় কেউ বলবেন কি?

— আমি বলছি। (ইয়ান)
আমি শুধু একজন invisible island এর সদস্য নই তায়াশা।

–তাহলে?(তায়াশা)

–আমিও রাফিম হিন এর মতই একজন ডেভিল পাওয়ার আহ্বান কারী ছিলাম,তবে সেটা আমার অতীত ছিলো।
আর এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এতোটুকু কথা বলে ইয়ান একটা দুষ্টুমি মাখা হাসি দেয়।
এমন সময় ইয়ানকে মজা করতে দেখে সবাই-ই আশ্চর্য হয়ে হয়ে যায়।

এরপর ইয়ান আবার বলা শুরু করে,

সত্যি হলো আমি একজন invisible island protectant.
কিন্তু invisible island এর সদস্য নই।
তবে নিজের শেষ নিশ্বাস অব্ধি আমি invisible island ‘s রক্ষা করার চেষ্টা করবো।
আমি চেয়েছিলাম যে এই lone island এর ক্ষতি করতে চাইবে তাকে মেরে ফেলতেও দ্বিতীয় বার ভাববো না।
কিন্তু রাফিমের ক্ষেএে আমি আমার উদ্দেশ্য পূরন করতে ব্যার্থ হই, শুধু আপনার কথা ভেবে রাফিম কে এখনো জীবিত রেখেছি।
আর রাফিম সেখানে কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে,আমার দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে।

— এতোদিন তাহলে আমার কাছে এসব আড়াল করার মানে কি ইয়ান স্যার? আপনি invisible island এর সদস্য নন, তাহলে কে আপনি?
আপনারা কেউই কি বিশ্বাস এর মর্যাদা দিতে জানেন না, মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলার এতো কিসের আসক্তি আপনাদের?
নিজেই বলেছিলেন বিশ্বাস করতে পারেন ঠকবেন না, অথচ আমার কাছে নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে আমার সাথে অভিনয় করে যাচ্ছেন।
আসলে কি চান বলুন তো আপনারা? (তায়াশা)

হঠাৎ করেই কিং ইফানের থেকে সরে এসে ইয়ানের গালে সজোরে একটা চড় মারে।
ইয়ান গালে হাত দিয়ে কিং এর দিকে তাকিয়ে আছে।

কিং এর চোখ দিয়ে যেনো আগুন ঝড়ছে, কিং ইয়ানের হাত ধরে পেছনে ঘুরিয়ে মুচরে ধরে।
ইয়ানের হাতে অনেক ব্যাথা লাগছে, তবুও ইয়ান মুখ দিয়ে একটা শব্দ বের করছে না, আর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টাও করছে না,শুধু চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে।
–তোকে আমি সব থেকে বেশি বিশ্বাস করতাম, আগেও একবার আমার বিশ্বাস ভেঙেছিস, আর আজ আরো একবার ভাঙলি।
এতো দুঃসাহস তোর আসে কোথা থেকে?
তায়াশাকে তুই আগেই সব সত্যিটা বলিসনি কেনো?
আর আমি যখন প্রশ্ন করেছি যে তায়াশা আমাদের সাহায্য করতে রাজি কিনা,তখন তো বলেছিলি হ্যা তায়াশা রাজি।
অথচ এদিকে তুই তায়াশাকে সব সত্যি না বলেই রাজি করিয়ে নিয়েছিস।
তায়াশা পরে সবটা জানতে পারলে কি হবে সেটা ভাবিস নি একবারও?
তোর এসব হটকারি কাজকর্ম তুই কবে বন্ধ করবি বলতো?(কিং)

–দাদু আমার কথাটা একবার শোনো (ইয়ান)

–কি শুনবো তোর কথা?
আবার তো মিথ্যা -ই বলবি। (কিং)

–দাদু আমি সেদিন মিথ্যা বলেছিলাম এটা ঠিক।
আমি বলেছিলাম আমি আধিপত্যের লোভে পড়ে গেছিলাম সেদিন, কিন্তু আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি যেই মুহুর্ত থেকে, সেই মুহুর্ত থেকে আমি আমার ভুল গুলো সংশোধন করে আবার সঠিক পথে ফিরে এসেছি।
আর সেই কথা গুলো সব আমার মুখের বলা কথা ছিলো, তুমি কখনো দেখেছো আমায় ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করতে?
তুমি না দেখেই সেদিন বিশ্বাস করেছিলে আমার কথা,অবশ্য তোমার বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারনও ছিলো।
আর কাল রাতে আমি তোমার সাথে কোনো মিথ্যা বলি নি, আমি একবারের জন্যেও বলিনি যে, তায়াশাকে আমি আমার সমন্ধে সব সত্যি বলেছি, আমি শুধু বলেছি তায়াশা আমায় আমাদের সাহায্য করতে রাজি হয়ে গেছে।
আর তুমিও এর বাহিরে কোনো প্রশ্ন আমায় করো নি দাদু।

ইয়ান এর কথা শুনে কিং ইয়ানের হাত ছেড়ে দিয়ে বলে, তুই এতো রহস্য না বাড়িয়ে সোজাসুজি বলতো আসলে কি হয়েছিলো, তোর এতো ঘোরানো প্যাচানো কথা আমার ভালো লাগে না।

–দাদু আমি যেদিন জানতে পারি যে, রাফিম হিন invisible island ‘s এর অল পাওয়ার এবং Devil island এর অল পাওয়ার নিজের মধ্যে স্থাপন করতে চায়, সেদিন থেকে আমি তার পরিকল্পনা বিঘ্নিত করার জন্য আর তায়াশাকে রাফি মে’র উদ্দেশ্য সফল করার প্রচেষ্টায় ব্যাবহার করা থেকে আটকানোর জন্য রাফিমের সাথে বন্ধুত্ব করি।
রাফিম কে বিশ্বাস করাই যে আমিও ডেভিল পাওয়ার আহ্বান কারী, আমিও রাফিমের সাথে মিলিত হয়ে, এই Invisible island ‘s এর ক্ষমতা নিজের মধ্যে প্রতিস্থাপন করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাই।
রাফিম তা বিশ্বাসও করে নেয়।
কিন্তু আমার প্রতি রাগ প্রকাশ পায় তার মনে, তবে মুখে প্রকাশ করে না।
কারন রাফিম চায় নি যে তার শক্তি লাভে কেউ ভাগ বসাক, তাই সেদিন থেকেই সে আমায় মারার জন্য ফাঁদ পাততে থাকে।
একদিন আমি রাফিমকে প্রশ্ন করেছিলাম ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করার উৎস কি?
সে আমায় উওরও দিয়েছেন, তবে ভুল উওর দিয়েছিলো, যেনো আমি কোনো পাওয়ার লাভ করতে না পারি।
কিন্তু রাফিম জানতো না যে ডেভিল পাওয়ার আহ্বান করার উৎস আমার জানা।

To be continue…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here