হিংস্রপ্রেম পর্ব ১০

0
443

SStory: হিংস্রপ্রেম
পর্বঃ ১০
লেখাঃ Israt Jahan
.
ফালাকঃ যদি সেদিন রাতের মত ওর ঘুম ভেঙ্গে যায়?তাই দ্রুত ওর থেকে দূরে সরে এলাম।
ফালাকের ইচ্ছা করছেনা মেহের কে ছেড়ে ওর কক্ষে গিয়ে থাকতে।আবার মেহেরের কাছে থাকলে ও যদি ঝামেলা করে ওর সাথে।এইসব ভাবনার মাঝে আটকে গেছে ও।অতো সতো কিছু না ভেবে ফালাক মেহেরের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ল।খুব ভোরের দিকে মেহের বুঝতে পারল ওর শরীরের উপর কারো হাতের ভর।আর পিঠের মাঝে কারো গরম নিঃশ্বাস পড়ছে মনে হচ্ছে।
মেহেরঃ পাশ ফিরে ওকে দেখতেই আমার সারা শরীর আগুনে জ্বলে উঠল।ও কি করে আমার কক্ষে এল?আমি তো ভেতর থেকেই দরজা বন্ধ করে রেখেছিলাম।
মেহের ধাক্কা দিয়ে ফালাকের হাত সরিয়ে দিল।সেই ধাক্কাতেই ফালাকের ঘুম ভেঙ্গে আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকাল।মেহের বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ফালাকের দিকে চেয়ে রইলো।
মেহেরঃ আপনি এ কক্ষে কি করে এলেন?
ফালাক উঠে বসে ভাবছে এখন কি উত্তর দিবে ও।
চুপ করে আছে ও।
মেহেরঃ কি হলো কথা বলছেন না কেন? আপনি কেন আমার কক্ষে এলেন আর কিভাবে এলেন?
ফালাক একবার মেহেরের মুখের দিকে তাকিয়ে ওর কোনো কথার উত্তন না দিয়ে তারপর বিছানা থেকে উঠে চলে গেল কক্ষের বাহিরে।নিজের কক্ষে চলে আসল।কক্ষে আসার কিছুক্ষণ পর ফালাক মেহেরের দাসীকে ডেকে পাঠাল।
দাসীঃ জ্বি সম্রাট আদেশ করুন।
ফালাকঃ মহারানী কি করছেন?
দাসীঃ উনি গোসলে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
ফালাকঃ ওনাকে বলো এ কক্ষে চলে আসতে।আজ থেকে ওই কক্ষের দ্বার বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং তা এক্ষণি।গিয়ে বলো মহারাজের আদেশ।
দাসীঃ ঠিক আছে সম্রাট।
দাসী গিয়ে মেহেরকে সেই তথ্য গুলো দিল। মেহের বাধ্য হয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসল।আর তারপরই ওর সামনে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল।রাগে গজগজ করতে করতে ফালাকের কক্ষে এসে দাঁড়াল।মেহের উঁচু কন্ঠে ফালাকের সাথে কথা বলা শুরু করল।
মেহেরঃ কক্ষের দ্বারে তালা লাগিয়ে দেওয়ার কারণ কি জানতে পারি?
ফালাক মেহেরের উচ্চ কন্ঠের আওয়াজ শুনে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াল।
ফালাকঃ সম্রাট ফালাকের সঙ্গে কেউ এমন উঁচু কন্ঠে কথা বলেনা মেহের।
মেহের চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে ছিল ফালাকের দিকে। ওর এমন কথা শুনে রাগী চোখ দুটো অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিল।
ফালাকঃ তবে তোমার উচ্চকন্ঠ আমি মেনে নিতেই পারি কিন্তু তার মাঝে ভালোবাসার স্বাদ থাকতে হবে।
মেহেরঃ আমি ওই কক্ষে-ই থাকতে চাই।
ফালাকঃ না তুমি ওই কক্ষে একা থাকতে পারবেনা। থাকলে আমার সঙ্গেই থাকতে হবে।আর আমার সঙ্গে-ই যেহেতু থাকতে হবে তাহলে ওই কক্ষে কেন আমাদের নিজেদের কক্ষে-ই থাকব আমরা।
মেহের চুপ করে শুধু কথাগুলো শুনছে।আর চোখে রাগ উপচে পড়ছে।ফালাক অবশ্য তা বুঝতে পারছে।কিন্তু ফালাকের চিন্তা ও যেভাবেই হোক মেহেরের মনে ওর জায়গা ও করেই নেবে।মেহের ফালাকের মুখোমুখি কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে গোসলাগারের দিকে এগিয়ে গেল।
ফালাকঃ এই দাঁড়াও তুমি তো গোসল করবে,তাইনা?
মেহের শুধু তাকিয়ে-ই রইলো কোনো উত্তর দিল না।
ফালাকঃ দাসীদের প্রয়োজন নেই আজ আমি তোমাকে তোমার গোসলে সহযোগীতা করব।
মেহের রেগে গিয়ে জোড়ে বলে উঠল,
মেহেরঃ নাআআ।
ফালাকঃ কেন?আমি কি পরপুরুষ?স্ত্রী এর কাজে কর্মে সহযোগীতা করার কথা তো আমাদের নবী পাক(সঃ) ও বলে গেছেন।আল্লাহ্ পাক এতে খুশি হন।আজ ও আমি তোমাকে গোলাপের পাপড়ি, দুধ আর মধু মিশ্রিত পানি দ্বারা তোমাকে গোসল করিয়ে দেব।
মেহেরের মনের বিরুদ্ধে ফালাক ওকে গোসলাগারে ওকে গোসল করতে সহযোগীতা করল।গোসল শেষে মেহের চুল গুলো মুছে যখন জানালার সামনে দাঁড়াল চুল শুকানোর জন্য তখন ফালাক দূরে দাঁড়িয়েই ওকে দেখছে।চুল গুলো নেড়ে চেড়ে বাতাসে শুকানোর চেষ্টা করছে।হঠাৎ ফালাক মেহেরের কাছে এসে দাঁড়াল।
ফালাকঃ চুল গুলোকে বাতাসে শুকাতে হবে না। আস্তে আস্তে শুকাক না?
মেহের তখন জানালার বাহিরে তাকিয়ে আছে কোনো কথার উত্তর দিচ্ছেনা।আবার চুল গুলো নেড়ে চেড়ে শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।তখন ফালাক ওর চুলের মাঝে হাত দিল।মেহের রাগান্বিত হয়ে ফালাকের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফালাকঃ বললাম যে বাতাসে দাড়িয়ে চুল শুকাতে হবেনা।কিছুসময় ভেজা থাকুক।
মেহের খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে যে ফালাক এখন কোনোভাবেই ওকে চুল শুকাতে দেবেনা। আর দাসীর সাহায্য নিয়ে চুলে আগুনের আভা নেওয়া তো দূরে থাক।দেখা যাবে রেগে গিয়ে দাসীকে-ই কিছু করে বসল।তাই বাধ্য হয়ে মেহের ভেজা চুল আয়নার সামনে বসে আচড়াতে শুরু করল।খুব জোড়ে টান লাগছে চুলে তবু সে আচড়িয়ে যাচ্ছে।
ফালাকঃ ব্যাথা পাবে মেহের।
মেহেরঃ আমার ব্যাথার কথা কত ভাবেন উনি। এত সুন্দর নাট্যকার উনি যা ভাষাতে প্রকাশ করার মত নয়।
মনেমনে একগাদা কথা বলল ফালাকের উদ্দেশ্যে মেহের।ভেজা চুল আচড়িয়ে উঠে যাচ্ছিল মেহের তখন ফালাক মেহেরের পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ল।
ফালাকঃ এখানে দাঁড়াও।
ফালাক আয়না রাখা কাঠের আসবাবের উপর থেকে কিছু গহনা হাতে নিল।মেহের কিছু বলার আগে ফালাক ওকে গহনা পরিয়ে দেওয়া শুরু করেছে।মেহের সামনে রাখা আয়নার দিকে তাকিয়ে শুধু দেখছে ওকে।চোখে মুখে অজস্র রাগ আর ঘৃণা ফুটে উঠেছে মেহেরের।এতো ভালোমানুষি রূপ মেহেরের কাছে সম্পূর্ণ অভিনয় মনে হচ্ছে শুধু।গহনা গুলো পড়াতে যতবার মেহেরের শরীরে ওর হাত পড়ছে ততবারই ফালাকের ইচ্ছা করছে আরো বেশি করে গভীর করে ওকে স্পর্শ করতে।আর এদিকে মেহেরের ততবারই শরীর ঘৃণাতে শিউড়ে উঠছে ফালাকের স্পর্শে। শেষে গহনাটা যখন ফালাক মেহেরের পেছনে দাঁড়িয়ে ওর গলাতে পরিয়ে দিচ্ছিল তখন ফালাক মেহেরের খুব কাছে চলে এসেছে।মেহেরের শরীর আর চুল থেকে এক মিষ্টি ঘ্রাণ বেরিয়ে আসছে।
ফালাকঃ দুধ,মধু আর গোলাপের পাপড়ি ঘ্রাণগুলো এত মাতাল করা এটা তো আগে জানমাম না? নাকি আমার প্রিয়তমার শরীরে এ ঘ্রাণ মিশ্রিত হয়ে বলে-ই কি এত মিষ্টি লাগছে?
গহনা পরানো শেষে ফালাক মেহেরের দুই বাহু চেঁপে ধরে মেহেরের ঘাড়ের ওপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে অতি সন্তর্পণে ওর ঘাড়ে চুমু খেলো। যা পাওয়ার জন্য মেহের একদম-ই প্রস্তুত ছিলনা। চমকে উঠল মেহের।দূরে সরে গেল ওর থেকে। দুজনে দুজনের দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে।এক জনের চোখে কিছু প্রশ্ন আর কিছু না পাওয়ার আক্ষেপ আর অন্যজনের চোখে শুধু ঘৃণা আর ঘৃণা।মেহের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে ফালাক ওর হাতটা টেনে ধরল।
ফালাকঃ কাল রাতে দুর্ব্যবহার আর তোমাকে আঘাত করার জন্য আমি লজ্জিত।ক্ষমা চাইছি আমি তোমার কাছে।আমার ভুল আমার ক্রোধ এর জন্য তুমি যা কষ্ট পেয়েছো আমার থেকে তার জন্য আমি সত্যি খুব লজ্জিত।আমায় ক্ষমা করো।
মেহেরঃ ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।কাল আর আজকের চাহনির মাঝে আকাশ পাতাল ফারাক।
ওই চোখে কাল হত্যার প্রচেষ্টা ছিল আর এখন সেই চোখে অনুতাপ।এত দ্রুত কিভাবে রং বদলাতে পারে?
ফালাকঃ কিছু বলছোনা যে?
মেহেরঃ যেদিন আপনার প্রতিটা ভুল আপনি বুঝতে পারবেন সেদিন-ই আপনি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য হবেন।
হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে চলে গেল মেহের।
ফালাকঃ তোমাকে যে আমি কোনভাবেই হারাতে চাইনা।তোমার পিতামাতাকে মুক্ত করে দিলে তুমি যে আমার থেকে পালিয়ে যাবে।তোমার চোখে আমার প্রতি যে ঘৃণা দেখেছি আমি তাতে আমি নিশ্চিত কাল রাতে তুমি যা করোনি আজ থেকে তুমি হয়তো তাই আমার সাথে করার চেষ্টা করবে। হয় আমাকে সুযোগে তোমার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে আর নয়তো খুন।আর আমি ফালাক তাজ আজ থেকে তোমার হাতে মৃত্যু নয় তোমার চোখে আমার মৃত্যু জেনেও তোমাকে আমার বুকের মধ্যেই রাখব।পেছন থেকে নয় আমার বুকের মাঝে থেকে-ই আমাকে তোমায় আঘাত করতে হবে। আমিও দেখতে চাই কত কলিজা আছে তোমার নিজের স্বামীকে সামনে থেকে আঘাত করার।আর আমিও তোমার ঘৃণাকে কিভাবে ভালোবাসায় পরিণত করতে পারি তাও দেখাতে চাই।তোমার মনে ভালোবাসার ফুল যেদিন ফোটাতে পারব সেদিন তোমার পিতামাতা মুক্ত হবে।তার আগে নয়।
সন্ধ্যার পর মেহের কক্ষে বসে আছে তখন ফালাক রাজমহলের বাহিরে।কোনো এক রাজকর্যের জন্য দুপুরের পরে বাহিরে বের হয়েছে।এখনো রাজমহলে আসেনি।
মেহেরঃ রাতে কতরকম চিন্তাভাবনা করলাম এভাবে অথবা ওভাবে ওকে যে কোনো উপায়ে কোণঠাসা করতে হবে।কিন্তু তা শুধু ভাবনাতে-ই সম্ভব বাস্তবে নয়।আবেগের বশে কতকিছুই না ভেবেছিলাম ওকে আমার বুদ্ধির জালে আটকাব। কিন্তু তা ওর রাজমহলে ওর কাছে থেকে কখনোই সম্ভব নয়।ও যা বুদ্ধিমান আর যা চতুর তাতে ও আমার যে কোনো পরিকল্পনা বুঝে ফেলবে।আর এভাবে সুযোগের আশায় বসে থাকতে থাকতে সময়গুলো পার হয়ে যাচ্ছে।আমার পিতামাতার কষ্টের পরিমাণ ও দিন দিন বেড়ে চলেছে।না পারছি বুদ্ধিতে আর না পারছি শক্তিতে।কোনো উপায়ে-ই ওকে শেষ করতে পারছিনা।নাহ্ এভাবে ভেঙ্গে পড়লে চলবেনা।ওর রাজ্যে,ওর রাজমহলে,ওর-ই কাছে থেকেও যদি ওকে কিছু না করতে পারি তাহলে আমার মত ব্যর্থ জীবন আর কারো হবেনা। আজ রাতে-ই আমার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ শুরু হবে।
ফালাক অনেক্ষণ যাবৎ কক্ষে প্রবেশ করেছে। মেহের বিছানার এক কোণে বসে কত শত চিন্তাভাবনা করছে যে ও এখনো বুঝতে পারছেনা কক্ষের ভেতরে কারো প্রেমে উৎকন্ঠা চোখ ওর দিকে চেয়ে আছে।
ফালাকঃ কি এমন ভাবছে আমার প্রিয়তমা? স্বামীর প্রেম নাকি স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা? আমি বেশকিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে গলায় কাশির শব্দ করে ওর দিকে এগোলাম।ও চমকে উঠে আমার দিকে তাকাল।দ্রুত শয্যা ত্যাগ করে উঠে দাঁড়াল।
আমি ওকে বললাম,
ফালাকঃ অনেকক্ষণ যাবৎ কক্ষে এসে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু তুমি বুঝতে পারোনি।গভীর চিন্তাতে মগ্ন ছিলে।কি ভাবছিলে তা জানতে চাইছিনা।তাই অপ্রস্তুতকর অবস্থাতে পড়তে হবে না।
ফালাক আজ ও যখন ওর সামনে পোশাক পরির্বতনের জন্য জামা খুলছিল সেদিনের মত আজ ও মেহের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল।ফালাক হাতটা টেনে ধরল ওর।
ফালাকঃ আমি বাহিরের পুরুষ নয় যে আমাকে উলঙ্গ দেহে দেখলে তোমার চোখের যীনা হবে। কালো পশম দ্বারা আবৃত ফালাকের ফর্সা বুকের দিকে মেহেরের চোখ গেল।সেদিন রাতেও ফালাকের শরীর ও দেখেছিল কিন্তু এত আলোতে এত পরিষ্কারভাবে ও দেখেনি।ওর বুকের থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে ওর চোখের দিকে তাকাল মেহের।
ফালাকের খুব কাছে মেহের।
মেহেরঃ নিজের কেউ ও ভাবিনা আপনাকে।
ফালাকঃ আমি তোমার স্বামী।আলহামদুলিল্লাহ্ কবুল পড়েই তোমার আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
মেহেরঃ মনের ভেতর থেকে নয়। বাধ্য হয়ে শুধু মুখ থেকে কথাটি বলতে হয়েছিল।
ফালাকঃ যেভাবেই হোক।আমাদের মাঝে এখন সেই দূরত্ব নেই যে দূরত্ব মেনে তুমি চলো।স্বামীর হক তোমার যেমন আদায় করা উচিত তেমন-ই স্ত্রীর হক আমায় আদায় করতে হবে।আমার হক থেকে তুমি আমাকে বঞ্চিত করতে পারোনা।
রাতে দুজনে একই বিছানাতে শুইলেও মাঝে মেহের যে দূরত্ব রাখে তা আজ ও আছে।ফালাক একবার চিন্তা করছে জোড় করেই ওর কাছে যাবে কিনা পরবর্তীতে আবার তা বদলে ফেলছে।এত ঘৃণা ওর মাঝে সৃষ্টি করার কি প্রয়োজন?
ফালাকঃ এই সম্পর্ক থেকে কিছুদিন দূরে থেকে যদি ওর আমার প্রতি খারাপ মনোভাব পরিবর্তন হয় তাহলে আমি তাই করব।
ফালাকের ঘুমানোর অভ্যাস সবসময় সোজা হয়ে কপালের উপর হাত রেখে।অনেকক্ষণ ধরেই ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ঘুম আসছেনা।জোড় করে চোখ দুটো বন্ধ করে আছে।ভালোবাসার মানুষকে এত কাছে রেখে তার সাথে কথা বলতে না পারা তার কাছে যেতে না পারা তা প্রতিটা প্রেমীক স্বামীর কাছে কষ্টকর।আর তা ফালাকের কাছে আরো বেশি কষ্টকর।তবু ও নিজেকে সংযত রেখে চলেছে শুধুমাত্র মেহেরের মনের খারাপ চিন্তা দূর করার জন্য।এদিকে মেহের যে আজকে অন্যকিছু ভেবে রেখেছে।ফালাকের কোনো শব্দ বা নড়াচড়া না পেয়ে মেহের ধরে নিয়েছে ফালাক ঘুমিয়ে পড়েছে।ফালাকের কিছুটা কাছে গিয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছে ফালাক সত্যি ঘুমন্ত কিনা। অনেকক্ষণ দেখার পর ফালাকের মুখের দিকে তাকিয়েই মেহেরে কোমড়ের বামপাশ থেকে টেনে কিছু বের করছে ঠিক তখনই ফালাক চোখ বন্ধ করেই ওই হাতটা চেঁপে ধরল।তখন মেহের ফালাকের মুখের উপর ঝুঁকে ছিল।মেহের কিছু বোঝার আগেই হাতটা চেঁপে ধরে মেহেরকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল।ফালাক সে মুহূর্তে মেহেরের শরীরের ওপর কিন্তু মেহেরের বাম হাতটা এখনো চেঁপে ধরে আছে।ফালাকের চোখ মেহেরের চোখের দিকে।মেহের মুখ চোখ শক্ত করে আছে,চোখ থেকে পানি ও বেরিয়ে এসেছে।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here