শিশির ধোয়া গোলাপ শেষ পর্ব

0
1800

#শিশির_ধোয়া_গোলাপ

#ইভান_ডালী

#পর্বঃ১০(অন্তিম পাতা)

নূর নিজের ভালোবাসা টা কে বুকের ভিতর চেপে রাখলো।নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে নূরের।সে তো এক তরফা ভালোবেসে এসেছে।আচ্ছা ওই মানুষ টা কি বুঝে না আমি তাকে কতোটা ভালোবাসি। অবশ্য বুঝবেও বা কি করে। সে তো আমাকে ভালোবাসে নি। ভালোবেসেছে অন্য কাউকে। কথাগুলো ভাবতেও নূরের বুকে ব্যথা অনুভব হচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করছে।নূর ভেবে নিলো সে বিয়ে তে রাজি হয়ে যাবে।কারন ভালোবাসায় জোড় খাটে না। আর না জোড় করে পাওয়া যায়।তাই সে মা যার সাথে বিয়ে দিতে চাইব৷ নূর দ্বিমত করবে না।

______________________________________________

আরোহী সকাল হতেই নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।আবরার চৌধুরী নিচে বসে পত্রিকা পড়ছিলো। আদনান আরমোড় ভে*ঙে ওঠতেই পাশে তাকিয়ে দেখে আরোহী নেই।ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই আদনান তাড়াতাড়ি ওঠে পড়ে।রেডি হয়ে নিচে নেমেই ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে পড়ে।আবরার চৌধুরী অপলক দৃষ্টিতে নিজের ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে।রাহেলা বেগম আরোহীর সাথে সাহায্য করছিলেন খাবার টেবিলে আনতে আদনান কে দেখে তিনিও একই ভাবে তাকিয়ে রইলেন।
আদনান আশে পাশে তাকিয়ে বুঝতে পারলো সে বাসায় কখনো ব্রেকফাস্ট করেনি। বাহিরে গিয়ে খেয়ে নিতো।তার ব্যস্ততার কারনে সকালে দুদণ্ড বসতো না রেডি হয়েই চলে যেতো আর আজ সেই মানুষটা খেতে বসতে দেখলে অবাক হওয়ারি কথা।

আরোহী খাবার নিয়ে ফিরে এসে দেখলো,সবাই আদনানের দিকে তাকিয়ে আছে।আরোহী বুঝতে পেরে মুচকি হাসি দিলো।তারপর সবাই এক সাথে খেতে বসলো ।আবরার চৌধুরি বেশ বুঝতে পারছে তার ছেলের সাথে একসাথে খাওয়ার মতো আনন্দ আরোহী ছাড়া কেউ কেউ পারেনা। খাওয়া শেষে আদনান উপরে চলে গেলো।আরোহী কিছু করতে নিলেই রাহেলা বেগম বাধা দেয়,তিনি জানান তিনি একাই সব করতে পারবে।আরোহী উপরে আসতেই আদনান বলল,

– তোমার জন্য কোন সময় থেকে অপেক্ষা করছি।আর তোমার এই আসার সময় হলো।

– কি জন্য বলুন আমাকে।কিছু কি খুঁজে পাচ্ছেন না আমি খুঁজে দিবো।

– হুম।খুঁজছি তো!
কথাটা বলেই আরোহীকে কাছে টেনে নিলো।বউকে আদর না দিয়ে অফিস যেতে ভালো লাগে না।

-ইস – রে,,ছাড়ুন বলছি।বড্ড বেহায়া হয়ে গেছেন।

– বউয়ের সাথে রোমান্টিক করলে বুঝি বেহায়া হয়ে যায়।তুমি না বলতে আমি আনরোমান্টিক, নিরামিষ। তাই আমি শুধু আমার বউয়ের সুক্ষ্ম ধারনা টা শুধু পাল্টে দিচ্ছি।

– হয়েছে আর বলতে হবে না। আমি ঠিকই বলেছি।আপনি যেটা সে রকমই বলেছি।কিন্তু এখন এতো চেঞ্জ হওয়ার কারনটা কি জানতে পারি।

– বউকে আদর করতে আবার চেঞ্জ এর কি আছে। আমার ইচ্ছে করছে করবো।তোমার ইচ্ছে হলে তুমি করো তোমার স্বামী কে। আমি প্রস্তুত আছি।

– ও আচ্ছা। তাহলে চোখ বন্ধ করেন।

– কোনো – চোখ বন্ধ করতে হবে কেন?

– চোখ বন্ধ করলেই বুঝতে পারবেন?

– ওকে, করলাম।

আরোহী এই সুযোগে আদনানের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে দ্রুত ঘর প্রস্তান করলো।
আদনান আশে পাশে কারো উপস্থিতি না পেয়ে।চোখ খুলে তাকাতেই দেখে আরোহী নেই।আদনান বেশ বুঝতে পেরেছে আরোহী তাকে ইচ্ছা করে মজা দেখিয়েছে।

– পালিয়ে আমাকে বোকা বানানোর মজা আমি তোমাকে দেখাবো।

______________________________________________

নূর কাল রাত থেকে দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি। সকালে নূর আনমনে বাহিরে তাকিয়ে ছিলো।পিছন তাকে নূরের মা মিসেস শালেহা বেগম অনেকক্ষণ যাবৎ নূরকে ডেকে চলেছে। কিন্তু নূরের কোনো হেলদোল নেই। নূরের কাঁধ স্পর্শ করতেই নূর চমকে পিছনে তাকায়।

মিসেস শালেহা বেগম বললেন,

– আজ তোর কলেজ যাবার দরকার নেই।

– কেন মা?

– ছেলে ঠিক করেছি, আজ তোকে দেখতে আসবে।

নূর নিরব চাহনিতে বাহিরে তাকিয়ে মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানায়। মিসেস শালেহা বেগম নূরের কপালে চুমু খেয়ে বের হয়ে আসে।






এদিকে, আরোহী একটা ব্যাগ নিয়ে জামা কাপড় গুছিয়ে যাচ্ছে। আদনান ঘরে ঢুকতেই দেখে আরোহী জামা কাপড় গুছিয়ে ব্যাগে রাখছে।আদনান অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,

– রুহি বেবি কোথায় যাচ্ছ।

– আমার সইয়ের বিয়ে আমি যাবোনা, তা কি কখনো হয়।
– নূরের বিয়ে,আমার একমাএ শ্যালিকার বিয়ে অথচ আমাকে তুমি জানাও নি কেন।

– হুম।তার আগে আমাদের একটা কাজ করতে হবে।

– কি কাজ রুহি বেবি?

– নূর আর তুষার ভাই কে এক করতে হবে।

– এক করতে হবে মানে?

– আরে, শুধু শুধু আনরোমান্টিক বলি না আপনাকে।এক করতে হবে মানে নূর তুষার ভাই কে অনেক ভালোবাসে আর এদিকে তুষার ভাই সেটা জানেই না।

– আই সি,। তো শ্যালিকার মিশন শেষ হলে কি কিন্তু আমাদের মিশন টাও শুরু করতে হবে।

– কিসের মিশন?

– সেটা সময়ই বলে দিবে।
কথাটি বলেই আদনান বাঁকা হাসলো।

______________________________________________

আরোহী আর আদনান সকাল হতেই আবরার চোধুরির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় আরোহী দের গ্রামের উদ্দেশ্যে।
এদিকে,
নূর কে একটা শাড়ি নামিয়ে দিলো মিসেস শালেহা বেগম।নূর হালকা চোখে কাজল দিয়ে খুব সিম্পলি সেজেছে। শুধুমাএ মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কিছু মেনে নিচ্ছে। কারন মায়ের মনে কোনো কারনে দুঃখ দিতে চায় না নূর।

আরোহী আর আদনান সবকিছু ঠিক করে রেখেছে।আরোহী নূর দের বাসায় যায় নূরের সাথে দেখা করতে।নূর আরেহীকে দেখা মাত্রই জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। আরোহী নূর কে থামিয়ে বলতে লাগলো,

– আরে নূর এভাবে কাঁদলে তো সাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
তারপর পাত্র পক্ষ তোকে পছন্দ করবে না।

– আরু তুই ও।

– হ্যা,ঠিক করেছি।তুই তো আমাকে একবার বলতেও পারতি বল।
নূর নিশ্চুপ হয়ে আছে।

– শোন পাত্র পক্ষ এসে পড়েছে।আমি নিশ্চিত ওদের তোকে পছন্দ হবে।

নূর নিরব চাহনিতে শুধু তাকিয়ে আছে।আসলে যাকে ভালোবাসি সেই তো আর আমাকে বাসে না।

– নূর কোথায় হারিয়ে গেলি। চল্ তাড়াতাড়ি।

নূর, নূরের মা, নূরের দুঃসম্পর্কের এক মামা, আদনান এবং পাত্র পক্ষের বাবা – মা, আর পাত্র বসে আছে।তারা নিজের মধ্যে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছিলো। নূর কে নিয়ে এসে বসিয়ে দিলো আরোহী।
নূরকে দেখে পাত্র পক্ষের সবারই খুব পছন্দ হয়।এদিকে,নূর একবারের জন্যও ওপরের দিকে তাকায় নি।
বিয়ে ঠিক হলো দুইদিন পরেই। তারা বেশি দেরি করতে চায় না। একমাত্র ছেলের বউকে খুব শীঘ্রই তাদের বাড়িতে নিতে চায়।
নূরের ফ্যামিলর কেউ দ্বিমত করলো না, তারাও রাজি হয়ে গেলো।।
কাল নূরের গায়ে হলুদ আরোহী খুব সুন্দর করে সেজেছে।হলুদের জামদানি শাড়িতে আরোহী কে একদম হলুদ পড়ীর মতো লাগছে।আদনান আরোহীর ওপর থেকে নজর সরাতে পারছে না। আরোহী আদনানের সামনে গিয়ে হাতে তুরি বাজায়।
– এভাবে তাকিয়ে দেখার কিছু নেই।যে ভাবে তাকিয়ে আছেন মনে হয় খেয়ে ফেলবেন।

আদনান আশেপাশে তাকিয়ে আরোহীর গালে চুমু খেয়ে বলল,
– আপাতত এটা নেও।পরে দেখবো কি করা যায়

আদনানের এহেন কাণ্ডে আরোহী পুরো থ হয়ে যায়।আচ্ছা মানুষটার কি লজ্জা বলতে কিছু নেই,কেউ দেখে ফেললে কি হতো।

আরোহী নূরের পাশে বসল,প্রথম শালেহা বেগম হলুদ ছুঁইয়ে দেয়।তারপর একে একে সবাই হলুদ দিয়ে দিলো।বিকেলে আবার ছোট খাটো একটা অনুষ্ঠান করে।সবাই নাচ-গানে মেতে ওঠে।

অনেক খুনসুটি আর আনন্দের মাঝে চলে আসে বিয়ের মুহূর্তটি।নূর কে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে আরোহী। মেরুন রঙের লেহেঙ্গায় এবং ভারি গহনায় নূর কে দেখতে অপূর্ব লাগছে।নূর কে রেডি করে দিয়ে আরোহী নিজেও রেডি হয়ে নিলো।আরোহী গোল্ডেন রঙের একটা লেহেঙ্গা পড়ে নিলো।সাথে হালকা মেচিং অর্নামেন্টস পড়ে নিলো।নূর রা সে রকম ভাবে আয়োজন করতে না পারলেও আদনানের সহযোগীতায় খুব সুন্দর আয়োজন করেছে।

পাত্রপক্ষ চলে আসার পর নূরকে এবং পাত্র কে একসাথে বসিয়ে রাখা হয়েছে।নূর একবারের জন্যও তাকিয়ে দেখেনি তার পাশে কে রয়েছে। সারাদিন না খেয়ে থাকায় মাথাটাও কিরকম ঝিম ঝিম করছে।কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করতেই নূরের হৃদ স্পন্দন কেঁপে উঠলো,খুব করে ইচ্ছে হচ্ছিলো তুষার কে এক নজর দেখার।কিন্তু পারলো না হয়তো এই দেখার আক্ষেপ সারা জীবন থেকে যাবে।
কথা গুলো আনমনে বলে নিরবে চোখের পানি ফেলে নূর।

তবে পাত্রের নাম শুনে নিজের নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছে না নূর।সে কি ঠিক শুনলো। নিজের ভাবনায় ডুবে থাকায় হয়তো ভ্রম শুনেছে ভেবে নূর ভ্রুক্ষেপ করেনি।কাজি যখন নূর কে কবুল বলতে বলল,নূরের যেন গলা ধরে আসলো।তিনবারের সময় আরোহী নূরের কাঁধে হাত রাখে।হাতটা দেওয়ার মানে আশ্বাস ছিলো বুঝতে পেরে নূর কাঁপা কাঁপা গলায় কবুল বলে।পাত্র নিজেও কবুল বলে।পাত্রের গলার স্বর পরিচিত লাগলেও নূর কর্ণপাত করে নি। সকলে আলহামদুলিল্লাহ বলে।অবশেষে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বাসর রাতে,ফুলে সুসজ্জিত খাটে বসে আছে নূর।চারিদিকে ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে।দরজা খুলে কারো ভিতরে আসাটা উপলব্ধি করতে পেরে নূর জড়সড় হয়ে বসে। পরিচিত কণ্ঠ শুনে নূর ঘোমটা টা সরিয়ে উপরে তাকায়।নিজের সামনে তুষার কে দেখে নূর নিজের চোখ কে বিশ্বাস করাতে পারছে না। তুষার এবার নূরের সামনে এগিয়ে বসলো,

– এতো ভালোবাসো আমায় কখনো বলোনি কেনো?

– আপনি তো অন্য কাউকে ভালোবাসতেন। কোনোদিন কি পারতেন তার জায়গাটা আমাকে দিতে।

– হয়তো তার জায়গাটা তোমাকে দিতে পারতাম না।হয়তো তাকে যেভাবে ভালোবাসতাম ওই ভাবে পারতাম না। কিন্তু তোমাকে তোমার মতো করে ভালোবেসে ভালো রাখার চেষ্টা করতাম।
আমি কখনো জানতে পারতাম না যদি না আদনান আর আরোহী আমাকে না বলতো?

_____________________________________________

ফ্লাশবেকঃ

মিসেস শালেহা বেগম মেয়ের অন্যমনস্ক থাকাটা বুঝতে পেরে আরেহীকে জিজ্ঞেস করে?আরোহী সবটা শালেহা বেগম কে বুঝিয়ে বলতে তিনি অমত করেনি। কারন সে চায় নূর যাকে ভালোবাসে তাকে নিয়ে যেন সুখি থাকতে পারে। শালেহা বেগমের মত শুনে আরোহী আর আদনান তুষারের বাবা- মা কে জানায়।তারা সকলে রাজি হয়ে যায়।তাই তুষার নিজেও অমত করে নি।

___________________________________________

– তার মানে হলো আপনি ফ্যামিলি চাপে বিয়ে করেছেন নিজের ইচ্ছেতে নয়।

– না, সে রকম না।

– তাহলে কোন রকম।

-আসো বুজাচ্ছি।কথাটি বলেই তুষার নূরকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। নূরের হৃদ স্পন্দন ওঠা নামা শুরু হয়ে যায়।নূর কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
-ক- কি ক-অ-ছে-ন
নূরকে কোনো কিছু বলতে না দিয়ে নূরের ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দেয়।
এভাবে পূর্ণতা পায় আরো একটি ভালোবাসার।

( এই যে রিডার রা এতোটুকু তেই বুঝে নেন। এর থেকে রোমাঞ্চকর আর লিখতে পারলাম না 😐)

আরোহী ছাঁদে বসে দোলনায় দোল খেতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিলো। আদনান বলেছে এখানে অপেক্ষা করতে।পিছন থেকে আদনান এসে আরোহী কে জড়িয়ে ধরে।তারপর আরোহীর সামনে এসে বসে আরোহীর হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিলো।

আরোহী তোমাকে পেয়ে আমি ধন্য। তুমি আমার জীবনে এক #শিশির_ধোয়া_গোলাপ।আমার দুঃখে নয় আমার সুখের জীবনের সাথী করে তোমাকে রাখতে চাই।ভালোবাসি তোমায়।

– আরোহী আদনানের হাত চেপে বলল,কখনো ছেড়ে যাবো না। আর শুধু সুখের জীবনে নয় দুঃখের জীবনের ভাগিদার হয়ে দুঃখ গুলো ভাগ করে নিবো।

আদনান আরোহী কে কোলে নিয়ে নিজের রুমে চলে গেল।চারিদকে ফুলে সাজানো দেখে আরোহী অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো আদনানের দিকে। আদনান আরোহী কে কোল থেকে নামিয়ে হাটু গেঁড়ে বসে আরোহীর হাতে একটা রিং পড়িয়ে দেয়।
– সেদিন সব কিছু ঠিক ছিলো না। ঠিক ছিলাম না আমি, ঠিক ছিলো না পরিস্থিতি। তাই আজ নতুন করে সব কিছু শুরু করবো।

– আরোহী খুশি তে আদনান কে জড়িয়ে ধরে।আদনান ও আরোহী কে জড়িয়ে ধরে।

এভাবে,আরোহী- আদনান ; নূর-তুষার র মতো প্রতিটি ভালোবাসা যেন পূর্ণতা পায়।

~~~~~~~~#সমাপ্ত~~~~~~~~

( আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন।ব্যস্তায় তাড়াতাড়ি গল্পটা শেষ করে দিয়ে দেবার জন্য দুঃখীত।সবাই অবশ্যই গঠনমূলক মন্তব্য করে জানাবেন কেমন হয়েছে। ভুলক্রটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আবারো ফিরে আসবো নতুন কোনো গল্প নিয়ে)
হ্যাপি রিডিং🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here