যখন_তুমি_এলে। #পর্ব- ২২।

0
616

#যখন_তুমি_এলে।
#পর্ব- ২২।
#লেখা- জাহান লিমু।।

আরাদ প্রায় সুস্থ হয়ে গেছে। তাই নিজের বাসায় চলে যেতে চাইছে। কিন্তু সবাই জোর করছে আরো কয়েকদিন থেকে যাওয়ার জন্য। একজন অপরিচিতের জন্য এতোটা ভালোবাসা দেখে আরাদ বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো। কতবছর এমন ভালোবাসা পায় না সে!
আর এখানে এসে পুরো পরিবার পেয়ে গেলো। বেঁচে থাকতে যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি বিশুদ্ধ ভালোবাসারও প্রয়োজন। অক্সিজেন আমাদের শরীর সচল রাখে,আর ভালোবাসা মন। দুটোর একটা ছাড়াও,মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব। যদিও ভালোবাসাহীনতায় শরীরের মৃত্যু না হলেও,আত্নার মৃত্যু ঘটে। শুধু নিথর দেহটা নিয়ে প্রয়োজনেই বেঁচে থাকে। আবার কেউবা ভালোবাসাহীনতায় জীবনের ইতি টানে। যদিও সেটা বোকামি। আবার সম্পূর্ণ বোকামিও নয়। একটা প্রাপ্তবয়স্ত মানুষ যখন নিজের সাথে যুদ্ধ করে আর পারেনা,তখন এমন ভয়াবহ কাজটা করে বসে।
কাছের মানুষের ভালোবাসা যে কি,সেটা সেই বুঝে যার কাছের মানুষ নেই। আর তার নিজের পরিবার থেকেও,আজ সে একাকী জীবনের সঙ্গী। সে জানেনা, তার পরিবার কি কোনদিনও আগের মত হয়ে যাবে কিনা। তবে সে খুব করে মনেপ্রাণে চাই,দিনগুলো আবার আগের মতো হয়ে যাক। সেই ছোটবেলার মত। যখন মায়ের আঁচল ধরে বায়না করতো। একমাত্র ছেলে হওয়ার দরুণ,আহ্লাদটা খুব বেশিই করেছে সে। এতো বেশিই করেছে যে,এখন আর তাদের দেখায় পাই না।
মায়ের মুখটা ভীষণ মনে পড়ছে আজ। বাবার প্রতি খুব ঘৃণা হয় আরাদের। একটা ছোট্ট ভুল বুঝাবুঝি, একটা মিষ্টি পরিবারকে সাপের ছোবলের মতন দংশন করে ঝাঁঝরা করে দিলো।
ছাদে বসে উদাসীন হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবনায় ডুবে ছিলো সে। কখন চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো,সে টেরই পাই নি। আজ প্রথমবার এ বাসার ছাদে উঠেছে সে। আগে সিঁড়ি দিয়ে উঠা ডাক্তারের নিষেধ ছিলো। কারন এতে পেটে চাপ পড়ে,সিলি ছিঁড়ে যেতে পারে।
এখন সিলি খুলা হয়ে গেছে। ঘা শুকিয়ে গেছে একদম। তবে এরপরও বেশ কিছুদিন, সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।
এতোদিন ঘরে বন্দি থেকে,আজ একটু খোলা বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে মন চাইছিলো। তাই একাই উপরে আসলো।
হঠাৎ পেছনে কারো অস্তিত্ব অনুভব করতে পারলো সে। দ্রুত চোখ মুছে পেছনে ঘুরেই বেশ ঘাবড়ে যায়। তবুও নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে বললো,
” আপনি এখানে?”
সাচী আরাদের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। আরাদ কাঁদছিলো!
ওর চোখ এখনো লাল হয়ে আছে। মুখটাও কেমন মলিন দেখাচ্ছে। চেহারার সে প্রাণবন্ত ভাবটা নেই। আগের আরাদের সাথে,এ আরাদের কোন মিল খুঁজে পাচ্ছে না সাচী। আরাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে,সাচী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো।
” আপনি কাঁদছিলেন?”
সাচীর প্রশ্ন শুনে আরাদ বেশ চমকে গেলো। সে তো অশ্রু মুছে নিয়েছিলো,তাহলে বুঝলো কি করে? মেয়েদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কি এতো বেশিই কাজ করে? আরাদ আমতা আমতা করে বললো,কই, কাঁদছিনা তো। চোখে কি যেন পড়ে গিয়েছিলো।
সাচী রহস্যময় হাসি হাসলো। সে বেশ বুঝতে পারলো,আরাদ তার কাছে স্বীকার করতে চাইছেনা। অথচ কি বোকা অযুহাতটাই না দিলো। কোনকিছু পড়লে, এক চোখে পড়বে। দুই চোখে নয়। আর কেউ কান্না করলে,তার মুখ দেখেই বুঝা যায়। আরাদ যখন ধরা দিতে চাইছেনা,তাই সাচীও প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলো। কাউকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলাটা আবার, সাচীর বিশেষ পছন্দ নয়।
সাচী আরাদকে ধন্যবাদ জানালো। তাতে অবশ্য আরাদ বেশ অবাকই হলো। আর কাঁদার প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য, মনে মনে সাচীকে ধন্যবাদ দিলো সে।
আর সাচীর ধন্যবাদের জবাবে আরাদ ছোট্ট করে বললো, আমরা তো মানুষ। তাই আমরা যেমন মন্দ কাজ করি,তেমন ভালো কাজও টুকটাক করি। কেউই তো আর মহান নয়। তাই কিছু কিছু ভুলচুক হয়েই যায় আমাদের দ্বারা।
সাচী ঠিক বুঝতে পারছেনা,আরাদ এই কথাগুলো বলে কি বুঝাতে চাইছে। তাই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আরাদের দিকে তাকিয়ে রইলো। আরাদ সেটা বুঝতে পেরে,একটু সামনে এগিয়ে ছাদের দেয়ালে দু’হাত রেখে দাঁড়ালো। সাচী তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। তাই সাচী ওর মুখ দেখতে পাচ্ছে না। সাচীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কেন যেন বেশি কথা বলতে পারে না আরাদ। তাই নিজেকে আড়াল করে নিলো। সামনের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,
” তুহিনকে আপনি ভীষণ ভালোবাসতেন, তাই না?”
আরাদের প্রশ্ন শুনে সাচী বিরক্তি বোধ করলো। তবে সেটা সে হজম করে নিয়ে উত্তর দিলো,
” কাউকে ভালোবাসলে সেটা কি জনে জনে বলে বেড়াতে হবে? কিংবা প্রমাণ দিতে হবে,কতটুকু ভালোবাসি?”
আরাদ বুঝতে পারলো,সাচী ক্ষেপে গেছে আবারও। তুহিনকে নিয়ে কোন কথা বললেই,মেয়েটা গরম তাওয়ায় পানি পড়লে যেমন ছ্যাত করে,তেমন করে উঠে। আরাদের অবশ্য এটা বেশ ভালোই লাগে। তবে সেটা যদি এই লাভগার্ল জানতে পারে,তবে এবার আর একহালি নয়,একডজন থাপ্পড় খাওয়ার চান্স আছে। তখন আগামী একবছর এই থাপ্পড়ের স্বপ্ন দেখেই, জীবন কাঁটাতে হবে। সেটা ভেবেই, আরাদের গা শিউড়ে উঠলো।
তবে পরিবেশ ঠান্ডা করার জন্য, এবার বরফ ফেলতে হবে। কথার বরফ। আরাদ এবার সাহস করে সাচীর মুখের দিকে ঘুরে তাকালো। তাতে অবশ্য সাচী অবাকই হলো বটে। কারন সাচী আরাদের থেকে একহাত দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিলো। তাই আরাদ ঘুরার কারনে,প্রায় মুখোমুখি হয়ে গেল দুজন।
আরাদ একটু পিছিয়ে বলতে লাগলো,
” আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করবো,একটু ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিবেন প্লিজ?”
সাচী ভ্রু কুঁচকে তাকালো। নিজেকে সংযত করে বললো,”বলুন কি বলবেন।”
আরাদ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলতে লাগলো,
” আপনার ব্রেকআপটা ছিলো আমার করানো ফিফটি নাম্বার ব্রেকআপ। মানে ক্রিকেটের ভাষায় অর্ধশতক। আরাদ স্পষ্ট দেখতে পেলো,সাচীর মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। এমনি ফর্সা মানুষ। তারমধ্যে গালের শিরা-উপশিরা গুলো প্রায় স্পষ্ট দেখা যায়। রাগলে তো পাকা আপেলের মতন দেখায়।
আপনি কিন্তু বলেছেন,মাথা ঠান্ডা রাখবেন। তাই কথা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু বলতে পারবেন না। সাচী অনেক কষ্টে নিজের রাগটা সংবরণ করলো। কেন যে এই ছেলের কথায় রাজি হয়েছিলো। এখন নিজের কুকীর্তি গুলো আমাকে শোনাবে। একরাশ বিরক্তি নিয়েও, অগত্যা সাচীকে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। আরাদ আবার শুরু করলো।
আপনাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম, সেদিনই ভীষণ ন্যাকা,ঢঙ্গী,ফিল্মি মনে হয়েছিলো। আরাদ কথাগুলো এবার অন্যদিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো। কারন এগুলা শোনার পর সাচীর মুখটা কেমন হতে পারে,সেটা ভেবেই যদিও আরাদের গলা শুকিয়ে আসছে। কিন্তু আজ সে সব সত্য বলে দিবে। তাই সে স্বাভাবিক কোন কথায় বলছে,এমন ভান করতে লাগলো।
তারপর যেদিন দ্বিতীয় বার দেখা হয়,সেদিনও আপনি অদ্ভুত আচরণ করলেন। আমি ভেবেছি,আপনি আমার ছবি তুলছিলেন। সেজন্যে আপনার ক্যামেরা নিয়ে নিয়েছিলাম। কারন কারো অনুমতি না নিয়ে,তার ছবি তোলা অপরাধ। এমন নয় যে,ছেলেরা অনুমতি না নিয়ে মেয়েদের ছবি তুললেই অপরাধ। একই নিয়ম মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু সেদিনের আপনার আচরণের কারনে, আপনার প্রতি একটা বিরূপ মনোভাব তৈরি হয় আমার মাঝে। আপনাকে রগচটা মেয়ে মনে হয়। এ ধরনের মেয়ে,আমার একদম পছন্দ নয়।
যাক,সেটাও তেমন কোন বিষয় না।
এরপর ভার্সিটিতে আপনাকে দেখতে পাই,আরজে তুহিনের সাথে। সম্ভবত আপনাকে সরি বলছিলো ফুল,বেলুন দিয়ে। সেসব দেখেও,আমার পুরো ন্যাকামি মনে হয়েছিলো। ভেবেছিলাম আপনাদের সম্পর্কটাও,ঐ লোক দেখানো টাইপ। মানে ভালো যতটুকু বাসেন,তার চেয়ে বেশি লোক দেখান। হাজারটা লোকের কাছ থেকে, ইউ আর দ্যা বেস্ট কাপল,মেইড ফর ইচ আদার, এসব কমপ্লিমেন্ট পাওয়াটাই আপনাদের কাছে মূখ্য। ভালোবাসাটা নয়। আজকাল এই ফেইক ভালোবাসার ছড়াছড়ি। আর সেগুলোতেই আমার এলার্জি। ভালোবাসাটা হবে স্বচ্ছ কাঁচের মত। যেখানে একে অন্যের প্রতিবিম্ব দেখতে পাবে। কোন চাটুকারিতা থাকবেনা সেখানে। দুজন দুজনের কাছে সবসময় স্বচ্ছ থাকবে। কোন লুকোচুরি থাকবেনা সেখানে।
যেখানে ভালোবাসা থাকে, সেখানে কোন শঠতা থাকতে পারেনা। যদি থাকে,তবে সেখানে ভালোবাসার অস্তিত্বই ছিলো না। আরাদ একটু থেমে, আঁড়চোখে সাচীকে দেখে নিলো। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো,সাচীকে এবার স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। সে মনোযোগ দিয়েই,আরাদের কথা শুনছে। সেটা আরাদের কাছে সুবিধার না ঠেকলেও,নিজের কথা শেষ করার জন্য আবার শুরু করলো।
আমার একমাত্র ফ্রেন্ড,রোহানী সেদিন মজা করেই বলেছিলো,আপনাদের ব্রেকআপ করাতে পারবো কিনা। আমিও হুঁট করেই,বলে দিলাম পারবো। আমারতো ঐটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো। আমি জানিনা,আমার কাজটা ঠিক নাকি ভুল। হয়তো ভুল,হয়তো না। আপাতদৃষ্টিতে ভুল মনে হতেই পারে,যে কারো। তবে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করলে,ভুল নাও মনে হতে পারে। আমি বলছিনা,আমি এটা কোন মহৎ কাজ করে ফেলেছি। তবে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে। আমার এটাও হয়তো সেরকমই কিছু।
তবে আশ্চর্য বিষয় হলো,এই এতোগুলো ব্রেকআপের মাঝে কেবল সাতটা কাপল পরে মিল হয়। আর বাকীগুলো ছেলে মেয়ে,উভয়ই নেক্সট খুঁজে নিয়েছে। কেন জানেন?
কারন তারা প্রেমে পড়েনি,প্রেম করেছে। এই কথাটা শুনে সাচী বিস্মিত চোখে তাকালো। বিস্ময় না ঠেকাতে পেরে, প্রশ্ন করে বসলো,” এটার মানে?”
বলছি। প্রেমে পড়া,আর প্রেম করার মাঝে বিস্তর ফারাক আছে। মানুষ প্রেমে পড়ে মনের টানে। আর প্রেম করে,মস্তিষ্কের ইশারায়। সাচীর কাছে বোধহয় বিষয়টা জটিল লাগছে। সেটা সাচীর মুখ দেখেই,বুঝা যাচ্ছে।
আরাদ আরেকটু সহজ করে বলার চেষ্টা করলো।
প্রেমে পড়া মানে হলো,আপনি তার প্রতি আকর্ষিত হতে হতে তারপর ভালোবেসে ফেলবেন। আর প্রেম করা হলো,আপনার একটা প্রেম করার প্রয়োজন অনুভব করছেন,তাই কেউ প্রপোজ করলেই, গ্রহণ করে ফেলেছেন। আপনি কিন্তু তার প্রেমে পড়েন নি। আপনি প্রেম করছেন। এখন বলতে পারেন,তাহলে কেউ প্রপোজ করলে কি গ্রহণ করবোনা?
হ্যাঁ,করবেন। অবশ্যই করবেন। কিন্তু সেটা প্রেম করার তাগিদে যেন না হয়। কারন তাহলে আপনি তার প্রতি আকর্ষিত হন নি। সবাই প্রেম করে,তাই আপনিও করছেন। মূলত আপনি প্রেমে পড়েন নি। আর ঠিক এই সম্পর্ক গুলোই বেশিদূর গড়ায় না। আবার এমনও হতে পারে,গ্রহণ করার পরও আপনি প্রেমে পড়তে পারেন। যদি পড়েন,তবে ভালো। আর না পড়লে,সেটা একসময় ভেঙেই যাবে। আর সেটা খুব তুচ্ছ কারনেই।

আরাদের কথাগুলো সাচীর মাথায় ভনভন করছে। আর সে বুঝতে পারছেনা,ওকে এসব বলার কি মানে?

আপনাদের ব্রেকআপ করানোটা বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো জানেন। কারন আগের গুলো সব ভার্সিটির ভেতরই ছিলো। কিন্তু আপনাদেরটা ঝামেলা পূর্ণ। তবে কেন যেন একটা ট্রাই করতে মন চেয়েছিলো। কেন, সেটা আমি নিজেও জানিনা। তারপরেরটা তো জানেনই আপনি। যেহেতু ঐদিন শুনে নিয়েছিলেন। আর আমাকে শাস্তিও দিয়েছিলেন বটে। এটা বলে আরাদ ওর গালে হাত বুলালো।
সেসব বাদ। এখন আমি স্বীকার করছি,আমি ভুল করেছি। আর আমি সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্তও করতে রাজি। এখন আপনি আমাকে সুযোগ দিবেন কিনা, সেটা জানতে চাই।
সাচী ঠিক বুঝতে পারলোনা,আরাদ কি সুযোগ চাইছে। সাচীর মাথা পুরো ভোঁ ভোঁ করছে।
আরাদ এবার সরাসরিই সাচীকে বললো,
” তুহিন দেশে ফেরার সাথে সাথেই আমি সব কিছু স্বীকার করে নিবো। তাহলেই তো,আর কোন প্রবলেম হওয়ার কথা না। আর আপনাকে আমার প্রতি সেই বিশ্বাসটুকু রাখতে হবে। আর তুহিনকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে, আমি সবরকম চেষ্টা করবো। আর আপনার আমাকে সেই সুযোগটুকু করে দিতে হবে। আপনি কি তাতে রাজি আছেন?”
সাচী কোন উত্তর খুঁজে পেলো না। সে শুধু উপর নিচ করে মাথা নাড়ালো। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছে সে,আরাদের কথা শুনে। মানুষ কত বিচিত্র!

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here