যখন_তুমি_এলে। #পর্ব- ২১।

0
601

#যখন_তুমি_এলে।
#পর্ব- ২১।
#লেখা- জাহান লিমু।।

ব্যাংকের হিসেবের কাজে বেশ বড়সড় একটা ভুল করে ফেলেছে তানিম। সেজন্য অবশ্য সিনিয়র স্যারের বেশ ঝাঁড়ি হজম করতে হয়েছে৷ সবাই তানিমকে সবচেয়ে মনোযোগী কর্মী হিসেবেই জানে। যেখানে সে অন্যদের ভুলত্রুটি নির্ণয়েও সাহায্য করে,সেখানে তার এতোবড় ত্রুটিতে সবাই বেশ অবাকই হয়েছেন বটে। একজন জুনিয়র আসলো শান্তনা দিতে। বাদল নাম তার। সে তানিমের কাছে এসে চুপিচুপি বলতে লাগলো,
” স্যার এর কি বউয়ের সাথে ঝগড়া হয়েছে?”
ছেলেটা নতুন জয়েন করেছে,তাই তানিমের বিষয়ে জানেনা হয়তো। তানিম যথাসম্ভব স্বাভাবিক কন্ঠে বললো,
” আমি ব্যাচেলর।”
এটা শুনে যেন বাদল আঁতকে উঠলো। সে চোখেমুখে বিস্ময় নিয়ে বলতে লাগলো, সরকারী চাকুরী করছেন,এখনো ব্যাচেলর? হাউ ইজ ইট পসিবল!
এতোদিনে তো আপনাকে ইন্টার পড়ুয়া বাবা মায়েদের এট্যাক করার কথা। আমারতো এখনি এট্যাক শুরু হয়ে গেছে। তবে এতো কষ্ট করে চাকুরী নিয়েছি,একটু ভাব নিতে হবে না। সেজন্য এখন একের পর এক পাত্রী রিজেক্ট করছি। প্রেম করতে চাইলে ওরা রিজেক্ট করতো,এখন আমি রিজেক্ট করে সেটার শোধ নিচ্ছি।

আমারতো কি মনে হয় জানেন স্যার?
তানিম জানে এই ছেলেটা বেশি কথা বলে,তাই একটু এড়িয়ে চলতো সে। কিন্তু আজকে তো আচ্ছা মুসিবতে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। এমনিতেই মন মেজাজ ঠিক নেই। রোহানীর আচরণ কিছু বুঝতে পারছেনা। ফোন দিচ্ছে,নাম্বার বিজি। ব্লকলিস্টে রেখেছে হয়তো। তারমধ্যে স্যারের ঝাঁড়ি খেলো৷ সবমিলিয়ে সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত করছে সে। আর এই ছেলে এসেছে আজাইরা বক বক করতে। সে তার মতোই তার বুলি বলে চলেছে। জানেন স্যার,বিয়ের বাজারে সুন্দরী কচি মেয়ের যেমন চাহিদা,তার চেয়েও বেশি চাহিদা আজকাল সরকারী চাকুরী ওয়ালাদের। আমিতো এজন্যই প্রেম-টেম করিনি। প্রেমের সময় মেয়েরা একেবারে সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। কয়েকমাস ঘুরিয়ে, তারপর যখন এটিচিউডের ভান্ডার খালি হয়,তখন রাজি হয়। আর বিয়ের সময়,জাস্ট মানি ইজ এনাফ। ছেলের ড্রামের মত ভূড়ি থাকলেও সমস্যা নেই,বেলের মত টাক থাকলেও। সেজন্যই আমি একেবারে হাঁটু বেধে নেমে পড়েছিলাম,বিসিএস লাগানোর জন্য। কিন্তু কপাল খারাপ! সেটা আর হলো না। অবশ্য এখনো তিনবছর বয়স আছে। তবে আর হবে বলে মনে হয় না। সেজন্য এখন এই ব্যাংকেরটাতেই ঢুকে পড়লাম। নাই মামার চেয়ে তো,কানা মামা ভালো।
আর প্রেম করে তো বোকারা। তারপর প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে, ব্যাকা হয়ে, গাঞ্জাখুর হয়,বড়লোক হলে হয় মদখোর।
আরে প্রেম করলে তুই একটা মেয়ের পেছনে পড়ে থাকবি। আর যদি সরকারী চাকুরী করতে পারিস,তাহলে একটা মেয়ে নয়,ডজন ডজন মেয়ে তোর পেছনে ঘুরবে। আর শুধু মেয়ে কি,মেয়ের অভিভাবকও তেল মেরে মেরে ঘুরবে। যে ক্রাশের কাছে একসময় পাত্তা পেতি না,সেই ক্রাশও নক দিবে।
তাহলে বলুন স্যার,প্রেম করা ভালো,নাকি সরকারী চাকুরীর চেষ্টা?
প্রেম করলে তুই মেয়ের পিছন ঘুরবি,আর চাকুরী করলে মেয়ের চৌদ্দ গুষ্টি তোর পিছনে ঘুরবে। আর বিয়ের পরে জামাই আদরের কথা আর না বলি। যদি বেসরকারি চাকুরীজীবী, বা ব্যবসায়ী ভাইরা ভাই থাকে,তাহলেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবি। বাদলের ননস্টপ রেডিও বাজতেই লাগলো৷ মনে হচ্ছে সে এ বিষয়ের উপর পিএইচডি করেছে। তানিমের মন চাইছিলো এ ছেলেকে ফ্যানে লটকিয়ে দিতে। অথবা রাস্তার মাঝখানে হাত-পা বেঁধে রেখে আসতে। এতো বকবক কোন মানুষ করে?
ছোট বেলায় মধুর বদলে বোধহয় মুড়ি খাওয়িয়ে ছিলো, তাই মুড়ি ভাজার সময় যেমন শব্দ হয়,তেমন পটর পটর করে। এখন এর কাছ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে হবে। সেজন্য একটু মিথ্যে নাটক করা দরকার। এছাড়া উপায় নেই। সাথে সাথে তানিম মাথা ব্যাথার অভিনয় শুরু করে দিলো। কিন্তু কোন কাজের কাজ হলো না। এই বদ ছেলে নিজের পকেটে মাথা ব্যাথার মলম নিয়ে ঘুরে। এটা শুনে তানিমের নিজেরি রাস্তায় গিয়ে শুয়ে থাকতে মন চাইছিল। তার নিজেরও নাকি কাজ করতে করতে মাথা ব্যাথা করে। সেজন্য পকেটে মলম নিয়ে ঘুরে। নিজের আইডিয়াটা এভাবে ফ্লপ হবে জানলে,শুধু শুধু মিথ্যা বলে গুণাহ কামাতো না। এখন জোর করে মলম না লাগালেই হয়। অবশ্য হালকা মাথা ধরেছে বটে। তাই কথাটা পুরোপুরি মিথ্যে নয়। আর এমন পটর পটর শুনলে,সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যাবে। মাথায় মলম লাগাতে লাগাতে আবার ভাঙা রেডিও চালু হয়ে গেলো। তানিম এবার আর কিছু বললোনা। চুপ করে রইলো একদম। কারন কোন লাভ নেই। কিছু মানুষ আছে এমন। এরা বোধহয় কথা বলতে পারার কারনেই বেঁচে আছে। তাদের কথা শুনে আর কেউ পাগল হয়ে যাক,তাতে তাদের কোন আক্ষেপ নেই। সে বলেই চলেছে,
“স্যার, আপনার কি তবে কোন গার্লফ্রেন্ড ছিলো? ব্রেকআপ হয়ে গেছে,সেজন্য আপসেট? তাই হিসাবে ভুল করে ফেলেছেন।
কিন্তু আপনি চাকুরী করেন,তা স্বত্বেও ব্রেকআপ কেন করবে?
কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলো সে। তারপর আবার শুরু হয়ে গেলো।
টেবিলে আস্তে করে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলে উঠলো,
এবার বিষয়টা বুঝতে পেরেছি আমি স্যার। আপনি চাকুরী করেন,কিন্তু আপনার গার্লফ্রেন্ডের পরিবারের হয়তো ব্যবসায়ী ছেলে পছন্দ। আজকাল এটাই হয়। যদি আপনি চাকুরীজীবী হন,তখন তাদের ব্যবসায়ী পছন্দ হবে। আবার যদি আপনি ব্যবসায়ী হোন,তবে চাকুরী পছন্দ করবে। আপনি যদি কম শিক্ষিত হোন,তবে তাদের কাছে সেই শিক্ষাটাই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আবার আপনি উচ্চশিক্ষিত,কিন্তু চাকুরী নেই। তখন তাদের কাছে চাকুরীটাই প্রধান,শিক্ষাগত যোগ্যতা গুল্লি মারি।
মোটকথা, গার্লফ্রেন্ডের পরিবারকে মানানোর চেয়ে,এভারেস্ট জয় করাও সহজ। অন্তত আপনার নামটা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ তো থাকবে। ঠিক বলছিনা স্যার?
তানিম কেবল মাথা তুলে তাকালো বাদলের দিকে। পুরো লাঞ্চ টাইমটা খেয়ে দিলো পটর পটর করে। কোন ছেলেও এত কথা বলে,সেটা তানিমের জানা ছিলো না। এই ছেলে মেয়েদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে। বাদলের দিকে তাকিয়ে তানিম একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। কারন তার ভাঙা রেডিও তখনো চলছে,তাও ননস্টপ।

.

রুমে বসে সাচী হাঁসফাঁস করছে। বারবার ঘড়িতে সময় দেখছে,আর দরজার দিকে তাকাচ্ছে। দরজা খুলেই রেখেছে।একঘন্টা আগে বিরুনিকা বলেছে আসছে,কিন্তু এখনো আসার নামগন্ধ নেই। একবার ভাবলো সাচী ওদের রুমে যাবে কিনা। কিন্তু পরক্ষণেই নিজের মত পাল্টালো। না এখন সেখানে যাওয়া যাবেনা। একদম না। কিন্তু বিরুপু এখনো আসছেনা কেন? সাচী ফোন দিলে,ফোন কেটেও দিচ্ছে।
কি একটা মুশকিলে পড়া গেলো। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। একটা মেসেজ করা যেতে পারে অবশ্য। কিন্তু কল কেটে কেন দিচ্ছে?
তাহলে মেসেজ দিয়ে কি লাভ হবে?
তবুও একটা মেসেজ দেই। যেই ভাবা সেই কাজ। সাচী ছোট্ট করে কেবল লিখলো,আই অ্যাম ওয়েটিং বিরুপু।
গুনে গুনে আরো সতের মিনিট পর বিরুনিকা আসলো। সাচীর মোটামুটি মেজাজ খারাপ হচ্ছিলো। তবুও নিজেকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করলো। হয়তো কোন ঝামেলা ছিলো। বিরুপুর মা তো জবে চলে যায়, এনজিওতে কাজ করে। যাই সকাল আটটায়,আসে সেই সন্ধ্যার পর। বিরুপুকেই সব সামলাতে হয়। আর ছোট ভাইবোন দুইটা সারাদিন লেগে থাকে। ওদেরকে সামলাতেই দিন যায়। সাচী বুঝে সবটা। এরকম লক্ষী একটা মেয়েকে ভাবী হিসেবে পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু তার সন্ন্যাসী ভাই,সেটা বুঝলে তো। আচ্ছা ঐদিন কি হয়েছিলো,তার কিছুতো বিরুপু আমাকে বলেনি। এর পরেই আমি চলে গিয়েছিলাম ফুফুর বাসায়। আজকে এটাও জিজ্ঞেস করতে হবে।
বিরুনিকা সাচীর পাশে বসেই সরি বললো। সাচী হালকা রাগ দেখিয়ে বললো,
” কল কেন কেটে দিচ্ছিলে?”
বিরুনিকা অবাক হয়ে বললো,
” আমিতো কল কাটিনি। ফোন তো আমার কাছেই ছিলো না। আমি রান্নাঘরে ছিলাম। আরাদের জন্যই একটু স্যুপ বানাচ্ছিলাম। বাটিতে করে আনছিলাম, তখন সেখানে আচমকা সাফুয়ান চলে আসে। গরম স্যুপ ওর হাতে পড়ে যায়। একটুই পুড়েছে অবশ্য। ওর হাতে বরফ ধরে বসেছিলাম। আর মলম লাগিয়ে আসলাম। এখন ঘুমিয়েছে। তারপর আসলাম।
সাচী জানতো নিশ্চিত কোন ঝামেলা হয়েছে।
কিন্তু ফোন কে কাটলো তবে?
“স্মরণিকা কি বাসায় নেই আপু?”
“নাহ,ওর তো এসময়ে প্রাইভেট থাকে।”
“ওহহ!” সাচী স্বাভাবিক স্বরে বললো। তাহলে ফোনটা কি অন্য কেউ…!

সাচীকে ভাবনায় ডুবতে দেখে বিরুনিকা হাতে গুতা দিলো। সাচী সংবিত ফিরে পাওয়ার সাথে সাথে বিরুনিকা প্রশ্ন ছুঁড়া শুরু করলো।
” এবার বলো, আরাদকে তুমি চিনো কি করে?”
সাচী বিরুনিকার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো।
” আগে তুমি বলো, ও এখানে কেন?”
সে বিরাট কাহিনী। অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছি আমরা। আর সেটা আরাদের জন্যই।
সাচী কিছুই বুঝতে পারলোনা। সে বললো,
” আমি না তোমার কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারছিনা। কি দুর্ঘটনা? আর আরাদের জন্য মানে?”
এবার বিরুনিকা পুরো ঘটনা খুলে বলতে লাগলো। স্মরণিকাকে কিছু ছেলে টিজ করছিলো রাস্তায়। গায়ের স্কার্ফ ধরে টানছিলো। সেখানে অনেক মানুষ থাকলেও,সবাই তামাশা দেখছিলো। যেটা আমাদের মেয়েদের সাথে অহরহ ঘটে থাকে। আর আমাদের চুপ করে এসব অসম্মান সহ্য করে যেতে হয়। কারন আওয়াজ উঁচু করলে তো,একেবারে চিরতরে মুখ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কেউ একজন সেখানে আওয়াজ তুলেছিলো। আর সে কেউটা আরাদ। যার ফলশ্রুতিতে আজকে তার এ অবস্থা। ইভটিজারগুলো চলে যাওয়ার সময়,আচমকায় ওর পেটে ছুঁড়ি বসিয়ে দেয়। পরপর দুইটা স্টেপ করে। প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছিলো। স্মরণিকা স্কার্ফ দিয়ে পেট বেঁধে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলো। সেখানে গিয়ে আমাদের ফোন করে বললো,দ্রুত এপোলো হাসপাতালে আসার জন্য। আমি আর মা কোনকিছু না ভেবে ছুঁটে গেলাম। মায়ের হালকা শরীর খারাপ থাকায়,ঐদিন ছুটিতে ছিলো।
তারপর হাসপাতালে গিয়ে সব শুনলাম। এক তো বোনের ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছিলো। আবার তাকে বাঁচাতে গিয়ে,আরেকজনের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে গেলো। পুরাই বিধ্বস্ত অবস্থা আমাদের। স্মরণিকা ভয়ে আর টেনশনে ভীষণ কান্না করছিলো।
অবশেষে অপারেশন সাকসেসফুল হলো। যথাসময়ে রক্ত পাওয়া গিয়েছিলো বলে রক্ষা। অবশ্য আরাদের রক্তের গ্রুপ সহজলভ্য ছিলো। এ পজেটিভ।
মা জোর করে আরাদকে বাসায় নিয়ে আসলো। যদিও সে একদমি আসতে চাইছিলো না। কিন্তু মা যখন ওকে জিজ্ঞেস করেছিলো,ওর পরিবারে কে কে আছে। তখন সে বললো কেউ নেই। সে একা থাকে। মা চেয়েছিলো কারো ফোন নাম্বার পেলে,কথা বলতে পারতো অন্তত। কিন্তু আরাদের কথাতে কেমন যেন বিষন্নতা খুঁজে পেলাম সেদিন। মনে হয়েছিলো সে কোনকিছু বলতে চাইছেনা পরিবারের ব্যাপারে। তাই আমরাও আর ঘাটিনি। তবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত,এখানেই থাকার শর্ত দেই। সে মানতে চাইছিলোনা। অবশেষে স্মরণিকার কান্নাকাটি দেখে রইলো এখানে। সে তো আরাদকে একেবারে ভাই বানিয়ে ফেলেছে। সাচী চুপ করে সব শুনছিলো। কোন হিসেব মিলাতে পারছিলো না সে। একটা মানুষ একইসাথে কয়টা ক্যারেক্টার প্লে করতে পারে,সেটা সম্পর্কে সাচী অবগত নয়। মূলত আরাদের ক্যারেক্টার কোনটা তাহলে?

সাচীকে চুপ থাকতে দেখে বিরুনিকা বললো,
” এবার তুমি বলো তো,ওকে কি করে চেনো?”
আরাদ আমার ভার্সিটিতেই পড়ে। আমার দুই বছরের সিনিয়র। আরাদকে ঠিক কিভাবে চেনে,সেটা বিরুপুকে কেন যেন বলতে ইচ্ছে করলোনা। কারন তাহলে এখন মানুষটাকে যতটা ভালো ভাবছে,সেই ভাবনাতে আঘাত পাবে। আর সেটা সাচী করবেনা। অবশ্য আগে এই রোবটকে একটু বুঝার চেষ্টা করতে হবে।
মতলবটা কি উনার!
কোন ফন্দি আঁটছে না তো?
কিন্তু সেসব এখন কাউকে বলা যাবেনা। নিজে নিজেই বের করতে হবে। হঠাৎ সাচীর ঐ বিষয়টা মনে পড়ে গেলো। সাথে সাথে বিরুনিকাকে চেপে ধরলো। বিরুনিকা উঠে জানালার কাছে দাঁড়িয়ে উদাস গলায় বললো,
” তোমার ভাবী হওয়ার সৌভাগ্য, বোধহয় আমার কপালে নেই!”

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here