ভয়ংকর চাহনি,(পর্ব-০১)

0
3466

ভয়ংকর চাহনি,(পর্ব-০১)
লেখক- Riaz_Raj

– প্লিজ আমার শাড়ী খুলবেন না।সর্বনাশ করবেন না আমার প্লিজ।

কে শুনে কার অনুরোধ। মিমকে একা পেয়ে সব বন্ধুরা এক সাথে ধর্ষণ করার জন্য রুমে বন্দি করেছে। মিম চিল্লাচ্ছে।কিন্তু লাভ নেই। মেহেদি নিজে তার প্রেমিকাকে বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছে।

ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া মিম আজ বিপদে।এতো কিছু বুঝেনা।সহজ সরল এক মেয়ে। মেহেদি নামক একটা ছেলেকে পছন্দ করতো।কিন্তু কখনো কি ভেবেছিলো? এইভাবে প্রেমিক তার বন্ধুদের হাতে তাকে তুলে দিবে? আজ মিমের বার্থডে। উপহার দিবে বলে বন্ধুর বাসায় এনেছে মেহেদি। আর শুভ এবং রাকিবকে দিয়ে ধর্ষণ করাচ্ছে।

পাশের হোস্টেলের একটা রুমে আকাশ অনুরোধ করছে।
– প্লিজ ছেড়ে দিন আমাকে।আমি আজ থেকে আপনাদের সব কথা শুনবো। কিন্তু আমার সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করবেন না প্লিজ।

আকাশ এইবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে। সুমাইয়া এবং আখি আকাশকে রুমে বন্দি করেছে নিজেদের যৌনতা মিঠাবে বলে। আকাশ গ্রামের ছেলে।শহরের ভাব এখবো বুঝেনি।কিন্তু সুমাইয়া এবং আখি কয়েকদিন ধরেই একটা বলদ খুঁজতেছে। অর্থাৎ যাকে দিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করবে।সুমাইয়া কল দেয়, মেঘা,রশনী আর সাদিয়াকে।তাদের কে ও আসতে বলেছে।আজকে সবাই মিলে আকাশকে নিজেদের কাজে লাগাবে।

অন্যদিকে মেহেদির গফ মিম অনেক রিকুয়েস্ট করেই যাচ্ছে। ছেড়ে দেওয়ার কোনো নাম নেই। মেহেদি, রাকিব এবং শুভ মিমকে ফ্লোরে শুইয়ে দেয়। মেহেদি মিমের হাত নিজের কবজায় আনে।আর শুভ মিমের মুখ চেপে ধরে। রাকিব মিমের শাড়ির ভাজ খুলতে খুলতে পুরো শাড়ী ছিনিয়ে নেয়। হিংশ্র চাহনিতে তারা মিমের দিকে তাকিয়ে আছে।একটু পরেই শুরু করবে।

এদিকে আকাশ মেঘা,রশনী,সাদিয়া, আখি আর সুমাইয়ার হাতে আটক পড়েছে। ওরা আকাশকে বেধে ফেলে রেখেছে খাটে। আকাশের হাত পা বাধা। এমনিও রোগা পাতলা। তাই শক্তি খাটাতে পারেনি। মেঘা আকাশের শার্ট খুলে ফেলে।বিভিন্ন অঙ্গিভঙ্গি করে আকাশের প্যান্টাও ছিনিয়ে নেয়।আকাশ চিৎকার দিতে চাইলে তারা আকাশের মুখে নিজেদের আকাশের শার্ট ঢুকিয়ে দেয়।

দুই রুমে দুই কাহিনী। এক জায়গায় ছেলেরা ধর্ষণ করছে মেয়েকে।অন্য জায়গায় মেয়েরা ধর্ষণ করছে ছেলেকে। চলুন পরিচয়টা জেনে আসি।

মেহেদি, শুভ আর রাকিব হচ্ছে কোটিপতি বাবাদের বিগড়ে যাওয়া ছেলে। মানে টাকার গরমে তারা যা ইচ্ছে করতে পারে।যেমন এখন নিজের গফকে ধর্ষণ করছে ফ্রেন্ডদের দিয়ে।নিজেও সামিল হয়েছে।

সুমাইয়া,মেঘা,রশনী, আখি আর সাদিয়াও ধনী ব্যাক্তিদের সন্তান।মেয়ে পড়াশুনা করবে,তাই ছেড়ে দিয়েছে স্বাধীন করে। হুম,স্বাধীন তো আছেই।নইলে কি ছেলেকে রেপ করা যায়?
কলেজেও বেশ নামডাক ওদের। মেয়ে হয়েও ছেলেদের উপর বেশ অত্যাচার করে।মেয়ে বলে অনেকে সম্মান দিয়ে কিছু বলেনা। কিন্তু মনে মনে যেমন সবাই ভয় পায়,আবার তেমনি ঘৃণা করে।

এদিকে আকাশকে খাটে ফেলে একের পর এক কুকর্ম চালাচ্ছে সুমাইয়া,মেঘা,রশনী, আখি আর সাদিয়া। আকাশ অনিচ্ছাকৃত চোখ বন্ধ করে সয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে মিমকে পুরো নগ্ন করে ধর্ষন চালাচ্ছে তারা। মিম নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে ফ্লোরে।অভাগীর মতো এতক্ষণ অনেক ঝড় সয়ে নিয়েছে।কিন্তু মেহেদি, শুভ আর রাকিব মিমকে ছেড়ে দিবেনা।জানে ছেড়ে দিলে মিম যদি কোনো পদক্ষেপ নেয়?শুভ বলল,
– কিরে মেহেদি। তোর গফ তো একটা মা*। তুই একা কিভাবে সামলাইতি।
– যাই বলিস।এখন এই আপদের ব্যবস্থা করতে হবে।নয়তো বাহিরে গিয়ে মামলা করবে।
– যা বলেছিস। কিন্তু কিভাবে কি করবি?
– মেরে ফেলবি?
– কিহ,এইটা ঠিক হবে?
– বাচতে তো হবে।
– ওকে,বালিশ দে। তাকে পরকালে পাঠাচ্ছি।

এদিকে আকাশকে দিয়ে কাজ চালাচ্ছে সুমাইয়া,মেঘা,রশনী, আখি আর সাদিয়া। আকাশকে জোর পূর্বক ট্যাবলেট সেবন করিয়ে উত্তেজিত করে তারা।
৪০ মিনিট বাদে ওরাও শান্ত হয়। নিজেদের বাচাতে হবে। করতে হবে খুন।তারাও প্লানিং করলো।আকাশকে খুন করবে।

রাত,২ টা বাজে।
মিমের লাশ নিয়ে বের হয় মেহেদি, শুভ আর রাকিব।
এদিকে সুমাইয়া,মেঘা,রশনী, আখি আর সাদিয়া আকাশের লাশ নিয়ে আসে। কলেজের পিছনেই একটা ময়লার ড্রেন আছে। মেঘা আকাশের লাশ ফেলার সময় দেখে,আরো একটি লাশ। মেঘা বলল,
– ব্যাপার কি। এই লাশ কার।
– আমাদের কলেজেরই মনে হচ্ছেনা?
– হুম। মিম নামের মেয়েটার মতো।
-এইটা মিমই। বাদ দে। চল এই আপদকে ফেলে দে। যেতে হবে।

সুমাইয়া,মেঘা,রশনী, আখি আর সাদিয়া চলে যায় নিজেদের হোষ্টেলে। আখি নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেলে।এখন গোসলের সময়।শরীর নাপাক আছে। বাথরুমের দরজা খুলতেই আখি দেখে,আকাশ বাথরুমের ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে।উলঙ্গ।

এদিকে মেহেদি গোসল করে বের হয়ে এসেছে। আর তখনি সে অনুভব করলো,তার লজ্জাস্থানে লিঙ্গ নেই।

চলবে…..?

[ মরে যাওয়া লোক ফিরে আসা মানে আত্মা। কিন্তু আকাশ কি সত্যিই মৃত? নাকি বেচে আছে।তাহলে বাথরুমে এলো কিভাবে। আর মেহেদির এরকম হবার কারণ কি। মিমের আত্মা এসেছে? নাকি অন্য কোনো কারণ।জানতে হলে কমেন্ট করে জানান ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here