বেলা_শেষে_শুধু_তুমি পর্ব ৮
#আনিশা_সাবিহা
নদীর প্রবাহের মতোই দুটো দিন কেটে গেল। শহরের এক হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সাজানো হয়েছে। আশেপাশে ঝকঝকে লাইটিং, ফুল দিয়ে নানানরকম সাজসজ্জা আশেপাশে। সামনের বাগান থেকে শুরু করে হোটেলের ভেতর পর্যন্ত মানুষজন গিজগিজ করছে। আজ ঐশানী এবং অভয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। ভেতরে অনুষ্ঠানের আসরে নাচগানের আসর বসেছে। অথচ বর-কনে দুজনেই লাপাত্তা। হয়ত দুজনে এখনো বিয়ে ভাঙার নয়ত বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার প্লান কষছে।
–“এখনকার বিয়ে মানেই ভারি ভারি জামাকাপড় পড়ে সং সেজে বসে থাকা আর ফটোশুট করা। এই ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েরা বিয়ের আনন্দ কি সেটা জানেই না। আমাদের সময়ে তো আমরা বিয়ের দিন ভোরবেলা গায়ে হলুদের পর্ব সেড়েছি। আমার বিয়েটা ছিল শীতের সময়। ভোরবেলা ডেকে তুলে আম্মাসহ কয়েকজন এসে হলুদ মাখিয়ে ভূত করে দিল। জোর করে টেনে নিয়ে গেল কলের পাড়ে। হাড়হিম করা ঠান্ডা পানি মাথার ওপরে ঢালতেই কাঁপুনি দিয়ে উঠল শরীর। এটা হচ্ছে বিয়ের আনন্দ। আর এখনকার বিয়ের কোনো অনুষ্ঠানেই রসকষ নেই।”
চেয়ারে ঠেস লাগিয়ে রসিকতার সঙ্গে বলে ওঠেন রাহাত সাহেব কথাগুলো। উনার কথায় কেউ মিটমিটিয়ে আর কেউ উচ্চস্বরে হাসতে লাগল। রাহাত সাহেবের চেয়ারের পাশের চেয়ারে বসে থাকা ইমতিয়াজ সাহেব হু হা করে হেসে বলেন….
–“ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিল নাকি তুই একা একা উঠেছিস? দেখ বিয়ের আগের দিন আমি তোর সাথে ঘুমিয়েছি। সারা রাত না তুই নিজের ঘুমিয়েছিস আর না আমায় ঘুমোতে দিয়েছিস।”
–“টেনশন টেনশন সবই টেনশনের খেলা বুঝলি।”
পান চিবুতে চিবুতে বলেন রাহাত সাহেব। অতঃপর ঘড়ি দেখে বলেন….
–“কই গো তনু? তোমার ছেলে কই? আর ঐশানীই বা কোথায়? রাত আটটা বেজে পার হয়ে যাচ্ছে যে।”
–“আমি উঠি। দেখি ঐশানী রেডি হলো কি না! মেয়েটা ভারি জ্বালায়। এরপর থেকে কিন্তু আপনাদেরও জ্বালাবে। মানিয়ে নেবেন।”
চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে বললেন মিসেস. দিশা। রাহাত সাহেব হাসেন উনার কথায়। তারপর উনিও চেয়ার থেকে উঠে বলেন….
–“আমি যাই অভয়ের কাছে। ছেলেদের তো এতো টাইম লাগার কথা না।”
অভয়ের ড্রেসিং রুমটা নিচেই ছিল। তাই আসতে বেশি সময় লাগলো না রাহাত সাহেবের। রুমের দরজা খুলেই উনি দেখতে পান অভয় বার বার কাউকে ফোন করার চেষ্টা করে চলেছে। চোখেমুখে অস্থিরতার ছাপ স্পষ্ট। নিজের স্বভাবতই রাহাত সাহেব হেসে ব্যঙ্গত্ব করে বলেন….
–“নিজের প্রেমিকার সাথে পালানোর প্লান করছিস? লাভ নেই, লাভ নেই। যেই সেই প্রেমিকা নয় তোর প্রেমিকা। তোর পরোয়া করে না। পরোয়া করলে ফোন না ধরে থাকতে পারত?”
অভয় তার বাবার দিকে তাকায়। ফোনটা বেডের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে কপালে তিন আঙ্গুল দিয়ে বুলাতে থাকে।
–“কপাল ঘষলেই ভাগ্য পাল্টে যাবে না। এদিকে আয় শেরওয়ানি পর। নয়ত এই অবস্থায় হলুদ মাখানো শুরু করবে সবাই।”
–“বাবা একটা কথা বলো। আমার মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে লাভ টা কি হবে? যদি আমি কখনো ঐশানীকে সুখে রাখতে না পারি তাহলে তো অপমান এই পরিবারেরই হবে তাই না?”
রাহাত সাহেব কথাটা শুনে কিছুক্ষণ থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকেন। তারপর আস্তেধীরে হেঁটে এসে বিছানায় ধপ করে বসেন। উনি বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। হাঁটুতে সমস্যা হয়। কিছু একটা ভেবে বলেন…..
–“মানলাম তুই সায়রাকে ভালোবাসিস। সায়রা তোকে ভালোবাসে?”
–“হ্যাঁ বাবা। ভালোবাসে ও আমায়।”
কোনোকিছু না ভেবেই চট করে উত্তর দেয় অভয়। উত্তরে রাহাত সাহেব নাবোধক মাথা নাড়ান। জবাবে বলেন….
–“আচ্ছা ঠিক আছে। তবুও আমি বলব তুই ঐশানীকে বিয়ে কর। যদি বিয়ের কয়েকটা দিন অতিবাহিত করার পরে তোর সত্যিই মনে হয় তুই ঐশানীকে তোর স্ত্রীর জায়গায়টা দিতে পারছিস না। তোর সাথে ওর যায় না তাহলে আমি কথা দিচ্ছি তোদের দুজনের সম্পর্ক আমি নিজে ভাঙতে সাহায্য করব। আজ যেমন তোদের দুজনকে এক করতে চাইছি সেদিন আমি নিজের তোদের আলাদা করব।”
অভয়ের চোখজোড়া চকচক করতে থাকে তার বাবার কথায়। হঠাৎ একটা প্রশ্ন তার মনে দ্বন্দ্ব পাকায়।
–“কিন্তু বাবা ততদিন যদি সায়রা আমার জন্য অপেক্ষা না করে? আমাকে যদি ছেড়ে যায়?”
–“ভালোবাসার সব থেকে বেরিয়ে প্রমাণ কি জানিস? অপেক্ষা। সে যদি তোকে ভালোবাসে তবে তোর জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করতেও ওর বাঁধবে না। এতে প্রমাণও হয়ে যাবে আদোও কি ও তোকে ভালোবেসেছিল??”
অভয় কিছু না বলে কয়েকবার জোরে শ্বাস নেয়। রাহাত সাহেব এবার অভয়কে হলুদ রঙের শেরওয়ানি ধরিয়ে দিয়ে বলে….
–“তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে সবাই তোর অপেক্ষা করছে। আর হ্যাঁ সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলবি। আর ঐশানীর জন্য পারলে ইউনিক কিছু করিস।”
বেরিয়ে আসেন রাহাত সাহেব রুম থেকে।
ভারি হলুদ রঙের লেহেঙ্গা পড়ে রুমের এইপাশ থেকে ওইপাশ ঝড়ের বেগে পায়চারি করছে ঐশানী। ঘরে এসির বাতাস ঢুকলেও ঘামছে তার শরীর। এইসময় ঘরে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে ঐশী।
–“আপু, হয়েছে তোর? চল সবাই তোকে ডাকছে এবার।”
–“আমি যাব না। তুই যা তো। গিয়ে বসে পড়। আমার বদলে বিয়েটা করে দিয়ে উদ্ধার কর। এই ব্যাথাগুলো এতো তাড়াতাড়ি যে কি করে সেরে গেল আল্লাহ মালুম!”
–“কি বলিস আপু? আমার পেনসিল মার্কা বয়ফ্রেন্ডের কি হবে? রাগে-দুঃখে ঝড় হাওয়ায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেকে উড়িয়ে দেবে আকাশে। তার জন্য দায়ি থাকব আমি। এ হতে পারে না কখনোই না।”
ঐশানী বিরক্ত হয় ঐশীর কথায়। ও ঝটপট করে বলেছে ঐশীকে তার বদলে বিয়ের কথা। কিন্তু এখন তো দেখা যাচ্ছে তার বোন তার থেকেও বেশি উল্টাপাল্টা বকতে শুরু করেছে।
–“চুপ কর। এখন তো বিয়েটা ভাঙতেও পারব না। নইলে এতো এতো লোকজনের কাছে অসম্মানিত হতে হবে বাবাকে। ঐশী গিভ মি আইডিয়া। অন্তত বিয়ে যেন পিছিয়ে যায়।”
–“বিয়েটা করে নে না। দেখ কত মজা হচ্ছে!”
ঐশানী কিছুক্ষণের জন্য মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে যান্ত্রিক ভাবে বলে….
–“তুই কি পারবি তোর ভালোবাসার মানুষকে ভুলে অন্য কারো হাত ধরতে?”
ঐশী বিস্ফোরিত নয়নে তাকায় ঐশানীর দিকে। ও কি বলছে? ভালোবাসার কথা বলছে? নিজের কানকে বিশ্বাস হয় না ঐশীর। ঐশানীর ওপর একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়ে বলল….
–“তারমানে তুই কাউকে ভালোবাসিস আপু? এটা আমায় আগে জানাস নি কেন?”
ঐশানী থেমে থেমে বলে…..
–“আমি না। অভয় ভালোবাসেন কাউকে। একটা মেয়েকে ভালোবাসেন তিনি। আমি এটা বুঝতে পারছি না উনি ভালোবেসেও কেন আমার সাথে বিয়েতে রাজি হয়েছেন? আমি তো পরিবারের কারণে রাজি হয়েছি।”
–“হতে পারে অভয় ভাইয়াও একই কারণে রাজি হয়েছে? আর তোর কথা যদি সত্যি হয় তাহলে বিয়েটা তো আটকাতেই হবে দেখছি।”
–“সেকারণেই তো বলছি হাড়গিলার গার্লফ্রেন্ড গিভ মি আইডিয়া। আর আমার ঘর শত্রু বিবিশোন গুলো কি করছে?” (রাগ নিয়ে)
–“তোর ফ্রেন্ড গুলা? ওরা তো তুমুল নাচছে আর ব্যুফে সিস্টেমে খাবার দেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো খাচ্ছে একেকটা। আবার কেউ কেউ ছবি তুলছে। ফ্রেন্ডও জুটিয়েছিস একেকটা হেহেহেহে!!”
ঐশানী এই মূহুর্তে ইচ্ছে করল একেকটা বান্ধবীকে কাঁচাই চিবিয়ে খেতে। নিজের ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখে সে। ওটা পরেও করা যেতে পারে। ঐশী কিছু একটা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ বলে ওঠে….
–“এই আপু একটা আইডিয়া পেয়েছি। আচ্ছা, এখন তোর জ্বর এলে কি হবে বল তো?”
–“কি আর হবে? হয়ত অনুষ্ঠানটা হবে না।”
–“জানিস তো, আমি কোথাও শুনেছিলাম রসুন থেঁতলে নিজের কাছে রাখলে জ্বর আসে। তাও আবার খুব জ্বর। কিন্তু ঘন্টা দুয়েকের মাঝে ছেড়েও যায়।”
ঐশানীর দাঁত কেলিয়ে হাসে। অনুষ্ঠান টা পিছিয়ে দেওয়া যাবেই যাবে। দেরি না করে দুইবোন মিলে কাজটা সেড়ে ফেলে। কথা অনুযায়ী কিছুক্ষণের মাঝেই ঐশানীর গায়ের তাপমাত্রা গরম হতে শুরু করে। ২০ মিনিটের মাথায় জ্বর আসে ঐশানীর। মাথাও তুলে তাকাতে পারছে না সে। বিছানায় গা এলিয়ে দেয় ও।
–“বুঝলি ঐশী আমার নাম গিনিজ বুক ওফ ওয়ার্ল্ডের পাতায় থাকা আবশ্যক। ঠিক কি না?”
–“আপু তুই তো জ্বরের ঘোরে আবোলতাবোল বকিস আবার উল্টাপাল্টা কাজকর্ম করিস। একদিন আমাকে জ্বরের ঘোরে শাহরুখ খান ভেবে গালে চুমু খেয়েছিলি।”
ঢক গিলে শুকনো গলায় বলে ঐশী। এবার মনে হচ্ছে সে নিজের পায়ে কুড়াল টা মেরেছে। ঐশানী আধোভাবে চোখ খোলা রেখে মুচকি মুচকি হাসছে। ঐশি বিড়বিড়িয়ে বলে….
–“এই সেরেছে!! আপু কি আবার আমাকে শাহরুখ খান টান ভাবছে নাকি? এবার যদি আমার গাল ছাড়া অন্য কোথাও চুমু খায় তাহলে তো আমার ইজ্জতের দফারফা হয়ে যাবে। ঐশী আগে নিজের ইজ্জত বাঁচা!”
ঐশানী দুহাত দিয়ে নিজের কোলবালিশকে জড়িয়ে ধরে। ঐশী ভীরু গলায় বলে….
–“আপু, আমি বাইরে সবাইকে খবর দিয়ে আসি তোর জ্বর এসেছে ওকে? তুই এখানে শুয়ে থাক।”
ঐশানী চোখ বন্ধ করে থাকে আপনমনে। ঐশীকে আর পায় কে? ও সেই সুযোগে দৌড় দেয় বাইরে।
হলুদের অনুষ্ঠানে জ্বর এসেছে কনের। কথাটা শুনে সবাই হম্বিতম্বি করে এসে ভীর লাগায় ঐশানীর ঘরে। ঐশানীর মা মিসেস. দিশা দ্রুত ঘরে ঢুকে ঐশানীর পাশে বসেন। ঐশানী কোলবালিশ ধরে চোখ বুজে আছে। মুখে কোণে একটু হাসির রেশ। মিসেস. দিশা কপালে হাত রাখতেই আঁতকে ওঠেন। আসলেই ঐশানীর ধুম জ্বর। চিন্তিত সুরে বলেন….
–“সকালেই তো ঠিক ছিল মেয়েটা। হঠাৎ যে কি হলো। হ্যাঁ গো ঐশানীর বাবা, দেখো না কি হয়েছে ওর!!”
ইমনাত সাহেব আশ্বাস দিয়ে বলেন….
–“সামান্য জ্বর হয়েছে। চিন্তা করো না। হতেই পারে। ওয়েদার চেঞ্জ এর কারণে হচ্ছে হয়ত।”
–“তাহলে আমার মনে হয় আজকের অনুষ্ঠান ক্যান্সেল করা ভালো। ঐশানী মাকে তো এই অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে না।”
কথার মাঝেই বলেন রাহাত সাহেব। এরই মাঝে ঐশানী চোখ খোলার চেষ্টা করে বলে…..
–“আমার নামটা গিনিজ বুক ওফ ওয়ার্ল্ডে দাও কেউ। এই প্রথম কোনো মেয়ে তার বিয়ে ভাঙার জন্য এতোকিছু করছে। গিভ মি অস্কার!”
ঐশানীর কথায় সবাই সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়। কি বলতে চায় মেয়েটা? ঐশী টেনশনে এদিকওদিক তাকাতে শুরু করে। জ্বরের ঘোরে তাকেও ফাঁসিয়ে দিতে সময় লাগবে না ঐশানীর। মিসেস. দিশা বলেন…..
–“ও আসলে জ্বরের উল্টাপাল্টা কথাবার্তা আর কার্যক্রম করে।”
–“তাহলে কি আজকের অনুষ্ঠান ক্যান্সেল করব?”
সবার মতামত জানার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন রাহাত সাহেব।
–“কোনো দরকার নেই ডেট পিছিয়ে দেওয়ার।”
কোথা থেকে ভীড় ঠেলতে ঠেলতে সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে অভয়। রাহাত সাহেব তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে বলেন…..
–“মানে? ঐশানীর জ্বর এসেছে অভয়। লুক এট হার। জ্বরের ঘোরে তাকাতে অবধি পারছে না।”
অভয় এগিয়ে এসে ঐশানীর শুয়ে থাকা বেডের পাশে দাঁড়ায়। ঐশানীকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বলে…..
–“সবার চোখে ধুলো দেওয়ার মাস্টার! ও জ্বরের নাটক করছে।”
–“হোয়াট? কি বলছো এসব? জ্বরের ভান কি করে করতে পারে?”
অভয় জবাবে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ঐশানী চেঁচিয়ে বলে…..
–“শাহরুখ খান!!”
তার চেঁচানোতে হালকা ভড়কে ওঠে অভয়। ভ্রুযুগল কুঁচকে যায়।
–“হোয়াট রাবিশ?”
ঐশানী সুন্দর করে হাসি দেয়। যেন সে ঘোরের মাঝে আছে। নিজের ঠোঁটে তর্জনী আঙ্গুল রেখে বলে…..
–“হুঁশশ…. রাবিশ না। শাহরুখ খান। আমি জানতাম তুমি আসবে। আমি সুন্দরী নয়ত তো কি? তোমায় এত্তগুলা ভালোবাসি!”
উঠে বসার চেষ্টা করে ঐশানী। হাত উঁচু করে অভয়ের গাল ধরে বলে….
–“ইউ আর সো কিউট!”
–“হোয়াট দ্যা হেল! আমার গাল ছাড়ো।”
চোখমুখ লাল করে বলে অভয়। সবার সামনে কি বিশ্রী কান্ড লাগিয়েছে মেয়েটা। পেছনে চাপা হাসির শব্দ স্পষ্ট কানে আসছে। অভয়ের লজ্জায় কান কাটা যাচ্ছে। ঐশানী চোখ খুলে রাগি স্বরে বলে….
–“ছাড়লে পালিয়ে যাবে। ছাড়ব না।”
কথাটুকু বলেই অভয়ের শেরওয়ানির কলার ধরে অভয়কে ঝাঁকিয়ে নিচু করে ঐশানী। ওর ঠোঁট সরু থেকে চোখ বড় বড় হয়ে যায় অভয়ের। কি ভয়ানক কাজ করতে চলেছে মেয়েটা? এসব ভাবার আগেই ঐশানীর ঠোঁটের পরশ লাগে অভয়ের ডান গালে। আচমকা অভয়ের সর্বাঙ্গ শিরশির করে ওঠে। সবার সামনে ঐশানী চুমু খেয়ে বসেছে তার হবু বরকে? কি তাজ্জব কান্ড!!
চলবে……
[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ]