বেলা_শেষে_শুধু_তুমি পর্ব ৭

0
1563

বেলা_শেষে_শুধু_তুমি পর্ব ৭
#আনিশা_সাবিহা

অভয় কিছু বলে না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। রাহাত সাহেব হাতের চায়ের কাপ রেখে সোজা হয়ে বসেন। ছেলের এই পরিবর্তন উনার ভালো লাগছে না। ছেলেটা কি এবার তাহলে নিজের ফ্যামিলির বিরুদ্ধে যাবে?
–“দেখ অভয়, ছোট থেকে তুমি যা চেয়েছো সব সময় তোমার ইচ্ছে পূরণ করেছি। কিন্তু এবার তোমার পুরো জীবনের ব্যাপার। তুমি জেদ ধরে বা মোহের টানে যদি কাউকে নিজের বানাতে চাও তাহলে কিন্তু এর পরিণাম খারাপই হবে। আমি তোমাকে আবারও বলছি সায়রা নামক মেয়েটি নিশ্চয় তার বাবার সাথে হাত মিলিয়ে শত্রুতা করার চেষ্টা করছে।”

–“সি ইজ ইনোসেন্ট বাবা। তুমি ভুল করছো। ওর বাবা তোমার শত্রু বিজনেসের ক্ষেত্রে। কিন্তু ও তোমার শত্রু নয়। আর সায়রা আমার জেদ বা মোহ নয়। ভালোবাসি ওকে আমি।”
বেশ বেহায়াপনা করেই কথাগুলো বলল অভয় তার বাবার সামনে। রাহাত সাহেব হালকা হাসার ভঙ্গিতে বলেন….
–“প্রথম প্রথম সবাই বলে এটা ভালোবাসা। তবে এটা ভালোলাগা ছাড়া কিছুই নয়। তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছো। তোমার বয়স কম হয়নি কিন্তু। তাই তোমায় এসব মানায় না। ম্যাচুউরড হও।”

–“তুমি তো আমাকে ত্যায্যপুত্র করবে এই ভয় দেখিয়েই তো ঐশানীর সাথে বিয়েতে রাজি করিয়েছো। বাবা হয়ে এসব ব্ল্যাকমেইল তোমার সাজে?”
–“একদিন তুমি নিজে বলবে যে আমি ঠিক ছিলাম। তোমার জন্য তোমার যোগ্য মানুষকেই বেছেছিলাম।”
অভয় চোয়াল শক্ত করে অন্যদিকে তাকায়। ঐশানী ওর যোগ্য? ওর সাথে তো ঐশানীর যায়ই না। ঐশানী আর সে একেবারে দুই মেরুর মানুষ। তাদের মাঝখানে মস্ত বড় পাঁচিল। যা ভাঙা এই জন্মে সম্ভব নয়। তবে কে বোঝাবে রাহাত সাহেব কে এই কথা? তাই জবাব না দিয়ে বেরিয়ে যায় অভয়।

বাইরে এসে গাড়ির বদলে বাইকে বসে পড়ে অভয়। গাড়ি দিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে না তার। বাইকের পেছনের সিটে তার ফাইল আঁটকে দিয়ে স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে আসে। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর তার মনে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। তার কি কোথাও ভুল হচ্ছে? আবেগের বশে নিজের পরিবারকে কোথাও কষ্ট দিচ্ছে? আজ তার বাবার নিজের কোম্পানি ছেড়ে অন্য কোথাও চাকরি দিতে যাচ্ছে সে। বিষয়টা নিশ্চয় তার বাবার কাছে বেশ অপমানজনক। তার বাবা তাকে শর্ত দিয়েছে শত্রুর মেয়েকে ঘরে তোলার আগে তাকে ত্যায্যপুত্র হতে হবে। অভয়ের ছিল না নিজস্ব কোনো চাকরি। তাই সায়রা আলাদা সংসারে রাখতে পারত না সে। বিধায় ঐশানীর সঙ্গে বিয়েটা চুপচাপ মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন তার খারাপ লাগছে। যেই পরিবারে এতদিন সে বড় হয়েছে সেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে ভালোবাসার জন্য? এটা আদোও কি ঠিক হবে?”

আকাশ-পাতাল চিন্তাভাবনা করতে করতে হঠাৎ অভয়ের বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটা স্কুটির। স্কুটিতে থাকা দুজন মেয়ে স্কুটি সামলাতে না পেরে স্কুটিসহ নিচে কপোকাত হয়ে পড়ে যায়। অভয় নিজের বাইককে সামলে নেয়।
–“ওহ সিট অভয়! এটা তুই কি করলি?”
অভয় বাইক সাইড করে দৌড়ে আসে মেয়ে দুটোর দিকে। প্রথম মেয়েটার মাথায় হেলমেট পড়া। মাথাটাও নিচু করে আছে সে।

–“মেঘনার কালা বৃষ্টি! তোর স্কুটির জন্য আজ ভবিষ্যত বাচ্চাটাকে অনাথ করে চলে যেতাম অন্য দুনিয়ায়।”
মেঘনা ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে বলে….
–“দোষটা তোরই। অযথা আমার স্কুটির ওপর দোষ চাপিয়ে ভালো সাজার এক্টিং বন্ধ কর। গান গাইতে গাইতে দেদারসে স্কুটি চালায় কেউ? আর স্কুটি থেকে পড়ে গেলে কেউ পটল তোলে না।”

অভয় সন্দিহান চোখে তাকায় দুটো মেয়ের দিকে। দুজনের মধ্যে কিছু গড়বড় আছে। কন্ঠস্বর টা তার চেনা চেনা লাগছে। ইতিমধ্যে রাস্তার মানুষ জড়ো হয়ে গিয়েছে। সবাই দূর থেকে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। অভয় আর কিছু না ভেবেই নিজের হাত বাড়িয়ে বলে…..
–“খুব লেগেছে আপনাদের? আমার হাত ধরে উঠে আসুন।”
দুজনের মাঝে একজনকে বেশ চেনা লাগে অভয়ের। তৎক্ষনাৎ মনে পড়ে এটা তো ঐশানীর বান্ধবীদের মাঝে একজন!! বিদ্যুৎ এর গতিতে হেলমেট পড়া মেয়েটার দিকে তাকায় সে।

ঐশানী নিজের হাতে থাকা ময়লা ঝাড়তে ঝাড়তে মাথা উঠিয়ে তাকায়। অভয় ঐশানীকে দেখে আচমকা দূরে সরে আসে। ক্ষোভ নিয়ে বলে….
–“এগেইন ইউ??”
–“তার মানে আপনার লাল দোপাট্টা মার্কা বাইক আমাদের স্কুটিকে ধাক্কা মেরেছে? বলেছিলাম না, আপনি আমার জন্য অশুভ। আপনার জন্যই যত ক্ষতি হয় আমার।”
চোখ ছোট ছোট করে বলে ঐশানী। অভয় দুই পা এগিয়ে হালকা নিচু হয়ে হাত বাড়িয়ে দেয় ঐশানীর দিকে।

–“ইলোজিক্যাল কথাবার্তা না বলে হাত ধরে উঠে এসো। নয়ত রাস্তায় বসে থাকো।”
ঐশানী তবুও থম মেরে রাগি চাহনি নিয়ে বসে থাকে। হাতে-পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছে সে। দাঁড়াতে পারবে কি না তাতে সন্দেহ। অভয় হাত সরিয়ে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে….
–“ওকে দ্যান। আই এম গোয়িং। আমার কাছে তোমার জন্য খরচ করার মতো সময় নেই। টাইমের অনেক ভ্যালিউ আছে আমার কাছে।”
–“আরে আরে, হাত দিচ্ছিলাম তো। হাত ফিরিয়ে নিলেন কেন? দিন না! একা দাঁড়াতে পারব না। ব্যাথা পেয়েছি।”

বাচ্চাদের মতো মুখ করে বলে ঐশানী। অভয় ঘুরে এসে আবার হাত বাড়াতেই হাতে হাত রাখে সে। ঐশানীর স্পর্শে চোখমুখ কুঁচকে আসে অভয়ের। অস্বস্তি লাগতে শুরু করে। কিন্তু হাত সরানোর কোনো উপায় নেই তার কাছে। ঐশানী ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু হাঁটুর দিকে তার পায়জামা ছিঁড়ে গেছে। মানে কাটা জায়গায় আবারও লেগেছে। কতখানি জখম হয়েছে কে জানে? একসময় অভয় অন্য হাতে ঐশানীর বাহু ধরে ফেলে। বিদ্যুৎ বয়ে যায় ঐশানীর শরীরে। গলা শুকিয়ে আসে। কোনোমতে উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু পা ফেলতেই ব্যাথায় আওয়াজ করে ওঠে সে। অভয় শক্ত করে ঐশানীকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে নেয়।

দুজনে হাঁটতে হাঁটতে অভয়ের বাইকের কাছে যায়। এর মাঝেই চোখাচোখি হয় দুজনের। দুজনেই চোখ সরিয়ে নেয়। হয়ত লজ্জায় নয়ত অস্বস্তিতে। বাইকের কাছে এসে ঐশানী তাকায় তার বান্ধবীর দিকে। অভয়ের কারণে সে ভুলেই গিয়েছিল মেঘনার কথা। পিটপিট করে চোখজোড়ার ঘন পাপড়ি ফেলে পেছনে তাকায় সে। মেঘনা পেছন থেকে ইশারা করে বলে….
–“আমাকে স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। কলেজ তো আর হলো না। আমি বাড়ি গেলাম। আমার তেমন ব্যাথা লাগেনি।”

ঐশানীকে আস্বস্ত করে স্কুটি নিয়ে ফিরে যায় মেঘনা। অভয়ের গম্ভীর কন্ঠে ফিরে তাকায় ঐশানী।
–“বাইকে ওঠো।”
–“আমি??” (আশেপাশে তাকিয়ে)
–“এখানে তুমি ব্যতীত আর কে আছে? তুমি উঠবে নাকি এখানে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকবে আর আমি চলে যাব?”
ঐশানী ভেংচি কেটে বাইকের পেছনের সিটে উঠতে নেয়। অভয় তার ফাইল খুলে হাতে নিয়ে ঐশানীকে উঠতে সাহায্য করে নিজে উঠে বসে।

অভয় সামনের সিটে উঠে বসে স্টার্ট দেয় বাইক। হাত পেছনে দিয়ে ফাইলটা দিয়ে বলে….
–“টেক দিস। হাতে নিয়ে থাকবে।”
–“এমন ভাব করছে যেন আমি উনার বউ আর উনি আমার পরম স্বামী! গা জ্বলে যায়।”
বিরবির করে ফাইলটা খপ করে ধরে বসে ঐশানী। গাড়িটা দ্রুত গতিতে চলতেই ঐশানীর হার্টবিট তার থেকেও দ্রুত গতিতে লুঙ্গি ডান্স শুরু করে। বাম হাত দিয়ে খামচে ধরে অভয়ের সাদা শার্ট। আবার অতিরিক্ত ইগো নিয়ে ছেড়ে দেয়। অভয় সেটা বুঝেও কিছু বলে না।

অতিরিক্ত বাতাসে উড়তে থাকে ঐশানীর বেঁধে রাখা চুলগুলো। এতো বাতাসে ঘুম এসে যায় তার। চোখজোড়া হাত দিয়ে টেনে টেনে খোলা রাখার চেষ্টা করেও পারছে না। রাতেও ঘুম হয়নি তার।
একসময় অভয় অনুভব করে ঐশানী তার পিঠে মাথা রেখেছে।
–“ওই হ্যালো, বসে থাকার জন্য সিট দিয়েছি। শুয়ে পড়ার জন্য নয়।”
ঐশানীর জবাব আসে না। অভয় কিছু বলতে চেয়েও বলে না। হসপিটালে এসে থেমে যায় তার বাইক। অভয় দ্রুত বাইক থেকে নামতেই ঐশানী অভয়ের কাঁধে ভর দিয়ে থাকায় পড়ে যেতে নিয়েও সামলে নিয়ে চোখ খুলে চেচিয়ে বলে….
–“অর্ডার, অর্ডার, অর্ডার! ঘুমের মাঝে এভাবে নির্যাতন করার অপরাধে অপরাধীকে চার বছরের জেল দেওয়া হলো। একে তো কাঠের মতো শক্ত বালিশ দিয়েছে তার ওপর ঘুমে বিরক্ত। এর চেয়ে আর জঘন্য অপরাধ হতেই পারে না।”

সবটুকু বলার পর অভয়ের রাগান্বিত চেহারা দেখে মুখে হাত দিয়ে নিজের কথা বন্ধ করে সে। তার মুখ বড্ড চলে। জরুরির থেকে বেশি তড়তড় করে চলে। অভয় ভেবেই পায় না একটা মানুষ কি করে বাইকেও অনায়াসে ঘুমাতে পারে? ঐশানীকে আদোও মানুষের কাতারে ফেলা যায়? নাকি এলিয়েন নামটা তাকে স্যুট করবে? অভয় দাঁতে দাঁত চেপে বলে….
–“নিচে নামো?”
–“একা একা?”
–“ওহ, আমি তো ভুলেই গেছিলাম। এক্সিডেন্ট করা তোমার নেচার। কখনো ম্যানহোলে তো কখনো আমার বাইকের সাথে। বারে বারে আমাকেই তো তোমায় বাঁচাতে হয়।”
অভয় এসে এবার ঐশানীকে কোলে তুলে নেয়। ঐশানীকে কোলে তুলতে বেশি বেগ পেতে হয় না তার। মেয়েটার ওজন বড়জোর ৫০-৫২ কেজি হবে!

হসপিটালের সামনে কয়েকটা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে থাকে অভয় ঐশানীকে নিয়ে। পায়ের ধাপ ফেলতে ফেলতে অভয়ের খেয়ালে আসে ঐশানীর হাত ফাঁকা। ঝংকার তোলা কন্ঠে সে বলে….
–“তোমায় যে ফাইল ধরতে দিয়েছিলাম সেটা কোথায়?”
–“ওটা তো ঘুমের ঘোরে হাত থেকে পড়ে গিয়েছে।ঐশানী ভীরু উত্তরে অভয় তাকে ঝাঁকিয়ে বলে…..
–“ইচ্ছে তো করছে ফেলে দিই এখানেই যেভাবে ফাইলগুলো ফেলে দিয়েছো। সামান্য কমন সেন্স টাও তোমার মাথায় নেই হ্যাঁ? তোমার মনে হয় না ফাইলে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকতে পারে?”

–“আপনি আমাকে ফাইলগুলো দিয়েছেন কেন? আমি নিতে চেয়েছি?”
–“ওহ সরি, আমি ভুলেই গিয়েছিলাম তোমার সাথে কথা বলা আর না বলা একই।” (দম ফেলে)
–“তাহলে বললেন কেন??”
অভয়ের ইচ্ছে করছে ঐশানীর কথায় কপাল চাপড়াতে। হাসবে না কাঁদবে তার কূল না পেয়ে হাঁটতে শুরু করে নিজের গন্তব্যে। ফাইলগুলোতে কাগজপত্র সবটা ফটোকপি ছিল আর তেমন গুরুত্বপূর্ণও ছিল না। কারণ যা ইভিডেন্স জমা দেওয়ার তা সে গত বিকেলেই দিয়েছিল।

হসপিটালে ঐশানীর আঘাত লাগা জায়গা গুলোতে ড্রেসিং করে দেয় ডক্টর। অভয় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। ডক্টর বাইরে যাওয়ার পরে ঐশানী নিজের ব্যান্ডেজ করা জায়গা গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করে।
–“মনে তো হচ্ছে না এই ব্যাথা তাড়াতাড়ি সারবে বলে! এই বাহানাই আমার বিয়ের ডেট পিছিয়ে যাবে। (ভাব নিয়ে) কিতনা ইন্টেলিজেন্ট হু মে। আমার মতো প্রতিভাবান মানুষও এই দুনিয়ায় এখনো বেঁচে আছে এটা কেউ জানেই না অদ্ভুত! ভাগ্যিস রাত জেগে ইচ্ছেকৃত এক্সিডেন্টের ব্যাপারটা মাথায় এসেছিল। এখন বিয়ে পিছিয়ে যাবে এটা তো সিউর। এই ইচ্ছেকৃত এক্সিডেন্টের একটা নাম দেওয়া উচিত।”

গালে হাত দিয়ে ভাবতে থাকে ঐশানী। খানিকটা ভেবে বলে….
–“ইয়েস। এখানে যেহেতু একটা সুইসাইড, সুইসাইড ভাব আছে সেহেতু এটার নাম হবে সুইসিডেন্ট! হোয়াট এন আনকমন নেম।”
–“এর মানে তুমি ইচ্ছে করে আমার গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছো।”
–“এনি ডাউট? তবে আমি জানতাম না ওটা শ্যামলা ঘোড়ার বাইক হবে। ওতো খেয়াল করিনি। জানলে অন্য গাড়ি চুজ করতাম সুইসিডেন্টের জ…..”

কথা বলা শেষ করার আগেই ঐশানীর মনে হয় ও কার সাথে কথা বলছে? মাথা তুলে তাকাতেই বোকা বনে যায় নিজেই। সামনে অভয় রক্তচক্ষু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইশশ…কেন যে সে সেধে সেধে নিজের পায়ে কুড়াল টা মারে?
–“নট এ ব্যাড আইডিয়া। তবে এতো রিক্স নিয়ে বিয়ে না পিছিয়ে দিলেই পারতে। আরো বড় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে প্রবলেম হতো বেশি। এতো ঝুঁকি না নিলেই পারতে।”

ঐশানী বিস্ময়ের সর্ব সীমায় বিরাজ করতে লাগে অভয়ের শান্ত কন্ঠ শুনে। এতো কিছুর পরেও লোকটা রিয়েক্ট করল না কেন?
সেদিন আর যাওয়া হলো না অভয়ের ইন্টারভিউ দিতে। অনেকটা দেরি হয়ে যায় তার। ঐশানীকে বাড়ি পৌঁছে দেয় সে। চাইলেও সে যেতে পারতো ইন্টারভিউ দিতে। কারণ সে দুই জায়গায় এপ্লাই করেছিল। তবে মনটা সায় দিল না তার। কিন্তু কেন দিল না এর কারণটা তার অজানা!

চলবে…..

[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর গঠনমূলক কমেন্টের আশায় রইলাম।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here