তুমি_আছো_হৃদয়ে_তাই পর্ব_২৩

0
2061

#তুমি_আছো_হৃদয়ে_তাই
#শোভা_আক্তার(লাভলী)
#পর্ব_২৩

মাশরাত আধুনিক্তাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। আধুনিক্তা তার পেছনে থাকা কাদার দিকে এক নজর দিয়ে আবার মাশরাতের দিকে তাকাল। মাশরাতের চাহনি দেখে সে কিছু বলতে পারছে না। মাশরাত কিছু না বলে ঘুরে আবার হাঁটা ধরলো। আধুনিক্তা আবার দৌড়ে গিয়ে মাশরাতের পাশাপাশি হাটতে হাটতে বলল-
“থ্যাঙ্ক ইউ আমাকে ধরার জন্য। নাহলে আজ আমার হাড্ডি ভেঙে যেত।”
“তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে রেখে চলে যেতাম? এইভাবে দৌড়ে আসলে কেন? ধীরে ধীরে আসা যেত না?”
“সরি, আর এমন হবে না।”
মাশরাত দাঁড়িয়ে গেল। তার সাথে সাথে আধুনিক্তাও দাঁড়াল। মাশরাত হাত আড়াআড়ি ভাবে ভাজ করে বলল-
“মন থেকে সরি বলছো?”
“হ্যাঁ”
“ঠিক আছে, তোমাকে মাফ করবো কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।”
“কি শর্ত?”
“এখনই তোমাকে ২০ বার কান ধরে উঠা বসা করতে হবে।”
“কি? আমি করবো না। দেখো তো এইখানে কত মানুষ আছে। আমার মান সম্মান প্লাস্টিক হয়ে যাবে ব্রো।”
“ব্রো? আই এম নট ইওর ব্রো।”
“এটা ভালোবাসার ডাক।”
“তো এবার ভালোবেসে উঠা বসাও করো দেখাও।”
আধুনিক্তা মুখ লটকিয়ে ডান বাম দেখলো। বৃষ্টি অনেকটাই কমে গিয়েছে। অনেক মানুষও দেখা যাচ্ছে এখন রাস্তায়। আধুনিক্তা বলল-
“পরে শাস্তি দিলে হয় না?”
“না এখনই শাস্তি উপভোগ করতে হবে।”
“সবাই দেখলে কি বলবে বলো।”
“মানুষের কথায় কান দিতে নেই। যদি তুমি এখন পড়ে যেতে দোষ সব আমার উপর আসতো। তাই তোমাকে এখন শাস্তি পেতেই হবে।”
“শিওর?”
“ইয়েস”
আধুনিক্তা ডান বাম দেখলো। লজ্জা লাগছে তার ভীষণ। মাশরাতের ইচ্ছে করছে চিৎকার করে হাসতে। আধুনিক্তা তার কান ধরে বসতে নিলো তার আগেই মাশরাত তাকে কোলে তুলে নিলো। আধুনিক্তা শকড, সে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মাশরাতের দিকে। মাশরাত হেসে হাটা ধরলো। আধুনিক্তা চারপাশে চোখ বুলালো। সবার চাহনি দেখে লজ্জায় মাশরাতের বুকে মুখ গুঁজে ফেলল।
“কি করছো সবাই দেখছে আমাদের।”
“এখন এইটা বলো না যে তোমার লজ্জা লাগছে।”
“সবাই আমাদের কি ভাবছে উপর ওয়ালাই জানে।”
“ভাবুক, আমার এতে সমস্যা নেই। মনে আছে তোমার? তোমাকে যেদিন আমি প্রথমবার কোলে নিয়েছিলাম সেদিনও বৃষ্টি পড়েছিল।”
“হ্যাঁ মনে আছে, সেদিন আমার কোমড় ভাঙতে ভাঙতে বেঁচেছিল।”
“আমি সেদিন ইচ্ছে করে তোমাকে ফেলি নি৷”
“হ্যাঁ আমি জানি আর মনে করাতে হবে না সেদিন।”
“তখন টেরও পাই নি, যাকে হৃদয়ের সাথে চেপে ধরে ছিলাম সেই একদিন আমার হৃদয়ের অংশ হয়ে যাবে।”
আধুনিক্তা মুচকি হেসে মাশরাতের গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বুকে আবার গাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে রইল। মাশরাত আধুনিক্তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেল কোলে করেই৷ রাস্তায় একজন জিজ্ঞেস করেছিল মেয়েটার কি হয়েছে। মাশরাত বলেছে ও অসুস্থ। মাঝে মধ্যে অপবাদ থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যে বলতে হয়। আধুনিক্তা তার বাড়ির সামনে আসতেই মন খারাপ করে ফেলল। মাশরাত তাকে মানাতে নিলো কিন্তু আধুনিক্তা মাশরাতকে শক্ত করে ধরে রইল।
“কী হলো নামবে না?”
“এত তারাতাড়ি কেন হাটলে?”
“তারাতাড়ি? ৩০ মিনিটের বেশী সময় লেগেছে বাসায় আসতে।”
“তবুও এই সময়টা তারাতাড়ি কেটে গেল মনে হচ্ছে।”
“এখন নামো আমার হাত ব্যাথা করছে।”
আধুনিক্তা মাথা নাড়াল। মাশরাত আধুনিক্তাকে কোল থেকে নামিয়ে আড়মোড়া ভাঙলো। আধুনিক্তা ভ্রু কুঁচকালো। তার মনে হচ্ছে সে কিছু ভুলছে।
“কি ভাবছো?”
“মনে হচ্ছে কিছু একটা ভুলে গিয়েছি।”
“নিশ্চিন্তে ভাবো, কবে থেকে ভার্সিটি যাবে?”
“আগামীকাল থেকেই।”
আধুনিক্তা কিছুক্ষণ চুপ থেকে হঠাৎ মনে আসতেই চোখ বড়ো বড়ো করে বলল-
“ওহ শিট আমি ড্রাইভার মামাকে প্লে গ্রাউন্ডের বাহিরে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম গাড়ি নিয়ে। আমি তো উনাকে বলেও আসি নি।”
মাশরাত ফিক করে দিলো। আধুনিক্তা ভেংচি কেটে মাশরাতের কাঁধে থাপ্পড় মেরে বলল-
“না হেসে আইডিয়া দাও কি করবো। মোবাইলও তো গাড়িতে।”
“আর আমার মোবাইল পানিতে ভিজে গিয়েছে। এক কাজ করো, বাসায় চলে যাও আর আন্টিকে সব বলে দাও। আন্টি তো সব জানে। ড্রাইভার মামাকে কল দিয়ে বলে দাও আসতে।”
“এত বুদ্ধি নিয়ে থাকো কিভাবে? আমাকে একটু ট্রান্সফার করে দাও।”
মাশরাত আধুনিক্তার গাল ধরে টেনে বলল-
“দুষ্টুমি না করে এখন বাসায় যাও। ঠান্ডা লেগে যাবে তোমার।”
“আর তুমি বাসায় পৌছে আমাকে কল দিতে ভুলবে না।”
“ঠিক আছে, আল্লাহ হাফেজ।”
আধুনিক্তা রাস্তায় চোখ বুলিয়ে মাশরাতকে আবার জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়ে দৌড়ে গাড়ির ভেতরে চলে গেল। মাশরাত হাসছে আধুনিক্তার কান্ড দেখে।

রাতেরবেলা……
মাশরাত ড্রইংরুমে বসে অফিস এর ফাইল দেখছে। মালিহা তার জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে আসলো। টি টেবিলের একপাশে রেখে সোফায় বসে বলল-
“সারাদিন তুই কি করিস ভাই? রাতে তোর কাজের কথা মনে আসে?”
“কি করবো বল? দিন হোক বা রাত কাজ শেষ হবাব নয়।”
“তা ঠিক, আচ্ছা আধুনিক্তা আপুর সাথে কথা হয়েছে তোর?”
“হ্যাঁ, আজ দেখাও করেছি।”
“ওহো, সো মিস্টার মাশরাত তোফাজ্জল হোসেন। আমি আধুনিক্তা আপুকে আপু ডাকবো না-কি ভাবী?”
মাশরাত হাসতে হাসতে কফির মগ হাতে নিয়ে চুমুক বসালো। মালিহা আবার বলল-
“আমার কিন্তু আপুকে বেশ পছন্দ। এখন বল ভাবী বলে ডাকার সুযোগ কবে করে দিবি?”
“আপাতত বিয়ের ব্যাপারে ভাবছি না। আধুনিক্তার বাবা আমাকে অপছন্দ করে।”
“বড়োলোক বাবারা এমনই, আমি জানি উনি এক সময় মেয়ের জন্য মেনেই নিবেন।”
“আই হোপ তাই যেন হয়। জানিস এখন আমার মনে হয় এই মানুষটা আমার জীবনে না থাকলে আমি বাঁচার কারণ হারিয়ে ফেলব।”
“ওহ নো আমার ভাই নিজের ওয়াদা ভুলে আবার প্রেমে পড়েছে।”
“ওয়াদা? কিসের ওয়াদা?”
“ভুলে গেলি তুই ওয়াদা করেছিলি তুই আর কখনো কাওকে ভালোবাসবি না।”
“হয় তো করেছিলাম।”
মালিহা হেসে মাশরাতকে জড়িয়ে ধরে বলল-
“আমি হোক আমি তোর জন্য অনেক খুশী। এইবার হয় তো ফুপি ডাক শুনতে পারবো।”
বলেই মালিহা নিজেই কনফিউজ হয়ে গেল। জিহ্বায় কামড় দিয়ে মাথা চুল্কিয়ে বলল-
“সরি ভাই একটু বেশীই বলে ফেলেছি। আগে বিয়েটা হলেই হবে। আঙ্কেল যেমন মানুষ, বিয়ে হতে হতেই ২/৩ বছর হয় তো লেগে যাবে।”
“মন্দ বলিস নি। আচ্ছা, এখন গিয়ে ঘুমা। আমি কাজ কিছুটা শেষ করেই ঘুমাতে চলে যাব।”
“ঠিক আছে, গুড নাইট ভাই।”
“গুড নাইট”
মালিহা চলে গেল। মাশরাত আবার মনোযোগ দিলো তার কাজে। সে ভেবেছিল এই প্রজেক্ট হয় তো মিনি প্রজেক্ট গুলোর মতোই হবে। কিন্তু প্রজেক্ট ডিটেইলস দেখে তার মাথা ঘুরছে। দু’মাসের মধ্যে এটা কমপ্লিট করতে হবে। মাশরাত সোফায় হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করলো। আধুনিক্তা এই সময় ঘুম হয় তো। মেয়েটার ঔষধের কারণে তারাতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে হয়। মাশরাত সোজা হয়ে বসে আড়মোড়া ভেঙে আবার কাজে মনোযোগ দিলো। কাজ না করলে আধুনিক্তার বাবার মনে জায়গা করে নিতে পারবে না। তাই তার আধুনিক্তার জন্য হলেও পরিশ্রম করতে হবে।

কিছুদিন পর…..
পৌঁছে তার ক্লাসে গেল। মেহরিন আর মল্লিকা ঝগড়া করছে৷ আধুনিক্তা বেশ অবাক হলো। পুরো ক্লাস হাসছে তাদের ঝগড়া দেখে। আধুনিক্তা কপালে হাত দিয়ে লম্বা নিশ্বাস ফেলল। এরা কোনোদিন শুধরাবে না। আধুনিক্তা দ্রুত গিয়ে মল্লিকা আর মেহরিনের মাঝে দাঁড়িয়ে দুজনের মুখ চেপে ধরলো।
“হচ্ছেটা কি? তোরা সবসময় এইভাবে ঝগড়া করিস কেন?”
মেহরিন আধুনিক্তার হাত তার মুখ থেকে সরিয়ে বলল-
“দোস্ত ওই আগে ঝগড়া শুরু করেছে। আমাকে বলে আমি না-কি দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছি।”
মল্লিকা বলল-
“আধু তুই দেখ, আমি কি ভুল কিছু বলেছি? এই বছরের বাস্কেটবল খেলাতেও ও সিলেক্ট হয়েছে। ওজন বেশী বেড়ে গেলে খেলবে কিভাবে?”
“তোর এত টেনশন নিতে হবে না। তুই যা তোর কবিরের কাছে। সারাদিন তো ওর সাথেই চিপকে থাকিস। কল দিলে পর্যন্ত নাম্বার বিজি বলে।”
“তোর কি? তোর এত জ্বলে কেন? তুই তো বিবাহিত। যা তোর স্বামীর কাছে।”
“তুই..”
মেহরিন কথা শেষ করার আগেই আধুনিক্তা তার মুখ চেপে ধরে বলল-
“তোকে কসম লাগে তোর স্বামীর এইবার মুখ বন্ধ রাখ।”
মেহরিন চুপ হয়ে গেল। মল্লিকা নিশ্চিন্তের নিশ্বাস ফেলে বলল-
“থ্যাঙ্ক গড আমার কোনো স্বামী নেই।”
“স্বামী নেই তো কি হয়েছে বয়ফ্রেন্ড আছে ভুলিস না।”
তখনই ক্লাসে স্যার আসলো। তারা গিয়ে বেঞ্চে বসলো। এতদিন পর তারা তিনজন একসাথে হলো। ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে না৷ দু’টো ক্লাস করে বেরিয়ে গেল ক্লাস থেকে।
“চল বাগানে গিয়ে বসি। রিয়াজ আর কবির হয় তো ক্লাস করছে। তারা কিছুক্ষণ পর আসবে।”
আধুনিক্তা মেহরিনের কথা শুনে বলল-
“মাশরাত কাজে ব্যস্ত নাহলে তাকেও আসতে বলতাম।”
“মন খারাপ করিস না দোস্ত। ভাইয়া যেদিন ছুটি পাবে আমরা সেদিন আবার দেখা করবো।”
“আইডিয়া ভালো লাগলো। চল আগে কেন্টিনে গিয়ে কিছু কিনে আনি।”
আধুনিক্তা, মেহরিন আর মল্লিকা কেন্টিনে গেল। আধুনিক্তার বোরিং লাগছে। মল্লিকা আর মেহরিন গেল খাবারের অর্ডার দিতে। আধুনিক্তা কিছুক্ষণ বসে থেকে মাশরাতকে কল করলো। ২ বার রিং বাজতেই কল রিসিভ হলো৷ কিন্তু অপরপাশ থেকে এমন কিছু শুনলো যার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।
“তুমি মাশরাতকে কেন কল করছো?”
বাবা কন্ঠ শুনে আধুনিক্তা থতমত খেয়ে বসে রইল। জবাব দেওয়ার কোনো শব্দ পাচ্ছে না সে। বাবা আবার বলল-
“আজ তুমি বাসায় আসো। তোমার মতো বেহায়া মেয়ে আর একটা নেই দুনিয়ায়।”
আধুনিক্তা ভ্রু কুঁচকে বলল-
“তুমি কি আমাকে নিজের মতো ভাবো?”
“হোয়াট?”
“তুমি চাও সবাই তোমার কথার মতো চলুক। সবাইকে নিজের কথার মতো চালাতে পারলেও তুমি আমাকে পারবে না।”
“বেয়াদবি তোমার বেড়েছে। ঠিক আছে পরে কথা হবে।”
“ওকে তুমি বাসায় আসো তারপর কথা হবে।”
বলেই আধুনিক্তা কল কেটে দিলো। বাবা হা হয়ে গেল। উনাকে সবাই ভয় পেলেও এই মেয়ের কথা শুনলে উনার মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হয় না। বাবা মাশরাতের দিকে মোবাইল এগিয়ে দিয়ে বলল-
“নাম্বার এখনই কাটো। আর তুমি যত পারবে তত দূরত্ব বজায় রাখবে।”
মাশরাত মাথা নাড়াল। বাবা হনহন করে মিটিং রুম থেকে চলে গেলেন। মাশরাত তারাতাড়ি কল রেকর্ডিং লিস্ট চেক করে পুরো কনভারসেশন শুনলো। সে ধপ করে চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে বসে থাকলো। এই মেয়ের কান্ড তার মাথায় ঢুকে না। হঠাৎ হেসে উঠলো। আধুনিক্তার নাম্বারে ডায়াল করে কানে ধরলো। রিসিভ হতেই আধুনিক্তা ধমকের স্বরে বলল-
“তোমার মোবাইল আব্বুর কাছে কিভাবে গেল?”
“আগে বলো তুমি আমাকে কথায় কথায় ধমকাও কেন?”
“তুমি এটারই যোগ্য। কোনো কাজ তুমি সোজাসাপটা করতে পারো না। এখন বলো তোমার মোবাইল আব্বুর কাছে কিভাবে গেল?”
“আমরা প্রজেক্ট নিয়ে কথা বলছিলাম তখনই তুমি কল দিয়েছো। মোবাইল টেবিলের উপর ছিল। উনি তোমার নাম দেখে ফেলেছেন। আমি মোবাইল নেওয়ার আগেই উনি মোবাইল নিয়ে নিয়েছেন।”
“তুমি কোনো কাজেরই না। আজ থেকে মোবাইল পকেটে রাখবে।”
“আচ্ছা ম্যাডাম আচ্ছা, এখন রাখি আমি এখন ভীষণ ব্যস্ত।”
“হ্যাঁ হ্যাঁ আমার থেকে বেশী জরুরি কাজ তো।”
“তুমি জরুরি তাই তো কাজ করছি।”
“বুঝলাম, রাখি তাহলে। আই লাভ ইউ।”
“সেম টু ইউ।”
মাশরাত হেসে কল কেটে দিলো। আধুনিক্তা ভ্রু কুঁচকালো। আই লাভ ইউ টু বললে কি এমন ক্ষতি হতো?

মাশরাত মিটিং রুম থেকে বের হয়ে তার কেবিনে গেল। প্রজেক্টের ফাইলগুলো রেখে কেবিন থেকে বের হলো। পিওন এসে বলল বস ডাকছে তাকে। মাশরাত বস এর কেবিনে গিয়ে প্রবেশ করতেই বাহির থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ ভেসে আসলো। বস দাঁড়িয়ে বলল-
“চিৎকার কিসের?”
“জানি না বস, আমি গিয়ে দেখি।”
“চলো আমিও যাচ্ছি।”
মাশরাত আর বস দৌড়ে বাহিরে বের হলো। কর্মচারীরা ভীর করে রেখেছে। মাশরাত ভীর ঠেলে সবাইকে সরাতেই তার কলিজা মোচড় দিয়ে উঠল। আধুনিক্তার বাবা মাটিতে পড়ে আছে। মাশরাতের মনে হচ্ছে কেও তার হৃদপিণ্ড চেপে ধরে রেখেছে। মানুষটা হয় তো রাগী, অহংকারী৷ কিন্তু মাশরাত উনাকে বেশ সম্মান করে।

চলবে……

[গল্প ১০ টার দিকে পোস্ট করার সময় আমার বোকামির জন্য পর্ব অর্ধেক কেটে গিয়েছিল৷ আবার লিখলাম তাই দেরি হলো দিতে। পর্বটা ছোটো করে দিলাম। ভুল ক্রুটি থাকতে পারে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো❤️❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here