তুমি_আছো_হৃদয়ে_তাই পর্ব_১৮

0
2328

#তুমি_আছো_হৃদয়ে_তাই
#শোভা_আক্তার(লাভলী)
#পর্ব_১৮

[আমি ওয়াদা করেছিলাম গতকাল দু’টো পর্ব দিব। কিন্তু গল্প দেওয়ার সময় দেখি গ্রুপ নেই। যেহেতু এই পর্বটা ছোটো করো দিচ্ছি আমি রাতে আরো একটা পর্ব দিব]

সময় ঘনিয়ে আসলো খেলার দিন। সকাল ৭ টায় খেলা শুরু হবে। প্রথম হবে ছেলেদের খেলা তারপর মেয়েদের। আধুনিক্তা, মেহরিন ও মল্লিকা ফজরের নামাজের পর জগিং করতে বেরিয়েছে। সবার চেহারায় আজ চিন্তার ছাপ। মল্লিকা খেলোয়াড় না তবুও তার চিন্তা হচ্ছে তার প্রিয় দুই বান্ধবীর জন্য৷ তিনজন চিলড্রেন পার্কের বেঞ্চে বসে আছে৷ মাশরাত বলেছে সে আসবে। মল্লিকা কবিরকে কল দিয়ে হুমকি দিয়ে বলেছে আসতে৷ দু’জনের চোখে অপেক্ষা। কিছুক্ষণ পর মাশরাত আর রিয়াজ আসলো। কবির ঘুমের কারণে তাকাতে পারছে না। মাশরাত তাকে টানতে টানতে নিয়ে এসেছে। মল্লিকা জোরপূর্বক হাসি দিয়ে কবিরের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। কবিরের পেটে কনুই দিয়ে খোঁচা দিয়ে বলল-
“সুন্দর মতো দাঁড়াও।”
“আমাকে কেন ডাকালে তুমি?”
“বাহ রে আধুনিক্তার উনি আসবে আমার উনি আসবে না কেন।”
“সকাল সকাল ঘুম হারাম আমার। ভেবেছিলাম নামাজ পড়ে ঘুমাবো। এমনিতেও স্টেডিয়াম যেতে হবে কিছুক্ষণ পর।”
“তুই বয়ফ্রেন্ড কলঙ্ক।”
“আবার তুইতোকারি করছো।”
“বেশ করেছি।”
আধুনিক্তা তাদের ঝগড়া দেখে হাসছে। মাশরাত আধুনিক্তার বাম হাত ধরলো। মাশরাতের ছোঁয়া পেয়ে আধুনিক্তা মাশরাতের দিকে তাকাল। মাশরাতের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সে ভয় বা নার্ভার হচ্ছে। আধুনিক্তা ভ্রু কুঁচকে বলল-
“তুমি টেনশন করছো?”
“কোথায় না তো।”
“আমার থেকে লুকাতে পারবে না। খেলা নিয়ে টেনশন করছো?”
মাশরাত না সূচক মাথা নাড়াল৷ আধুনিক্তা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাশরাতের দিকে। মাশরাত আধুনিক্তার দুকাঁধে হাত রেখে একটুখানি কাছে এনে বলল-
“জানি না, কিন্তু আমার খুব ভয় করছে।”
আধুনিক্তা মুচকি হেসে মাশরাতের বুকে মাথা রেখে বলল-
“এখন ভয় করছে?”
মাশরাত হাসলো। শক্ত করে আধুনিক্তাকে জড়িয়ে ধরে লম্বা নিশ্বাস নিয়ে ছাড়লো। ভয় কমে নি কিন্তু বেশ শান্তি লাগছে। হঠাৎ মেহরিন কাশতে শুরু করলো। আধুনিক্তা চোখ খুলে মাথা তুলে মেহরিনের দিকে তাকাল। মেহরিন আধুনিক্তার চাহনি হাসতে হাসতে বলল-
“সরি তোকে ডিস্টার্ব করার জন্য। ইউ ক্যারি অন বেবি।”
“তোর কী ঈর্ষা হচ্ছে?”
“ছি ছি আমার ভদ্র মানুষের ঈর্ষা হতেই পারে না।”
মাশরাত আধুনিক্তাকে ছেড়ে পকেটে হাত দিয়ে বলল-
“তোমার চোখে এই সময় মিসিং সামওয়ান লেখাটা দেখতে পারছি না।”
“ইশশ মিথ্যে কথা। চোখে আবার লেখা দেখা যায় নাকি?”
“না, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুমি কাওকে মিস করছো।”
“একদম না আমি তো আজকের খেলা নিয়ে টেনশন করছি।”
মাশরাত হেসে দিলো। কেমন রহস্যময় হাসি, মেহরিন ঘাড় ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকাল। হঠাৎ করেই রিয়াজকে মিস করছে সে কিন্তু কাওকে বলবে না। বললেই লজ্জায় পরতে হবে। কিছুক্ষণ পর মাশরাত আধুনিক্তাকে কনুই দিয়ে খোঁচা দিয়ে ইশারা করে বলল সামনের দিকে তাকাতে৷ আধুনিক্তা তাকিয়ে দেখে রিয়াজ হেটে আসছে। আধুনিক্তা হাসলো, ভাবলো মেহেরিনের সাথে মজা নেওয়া যাক৷ মেহরিন আধুনিক্তার বরাবর দাঁড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে। রিয়াজ এসে কিছু বলতে নিলো তার আগেই কবির ইশারায় বলল শব্দ না করতে। আধুনিক্তা মেহরিনকে বলল-
“দোস্ত রিয়াজ বাস্কেটবল প্লেয়ার হিসেবে বেশ ভালো তাই না?”
মেহরিন নিচের দিকে তাকিয়েই “হুম” বলল৷ আধুনিক্তা আবার বলল-
“আর মানুষ হিসেবে কেমন রে?”
“ভালো”
“তোর কি মনে হয় সে প্রেমিক হিসেবে কেমন হবে?”
“বোরিং”
মল্লিকা মুখ চেপে ধরে হেসে দিলো। রিয়াজের চেহারা দেখার মতো। রিয়াজ হাত আড়াআড়ি ভাবে ভাজ করে এক ভ্রু উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আধুনিক্তা আবার বলল-
“আমার মনে হয় না বোরিং। রিয়াজ ভাইয়া অনেক কেয়ারিং প্রেমিক হবে।”
মেহরিন মাথা তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলল-
“হ্যাঁ ঠিক বললি। বন্ধুত্ব না থাকার শর্তেও সে সবার হেল্প করে। প্রেমিক হিসেবে খুব কেয়ারিং হবে। তার গার্লফ্রেন্ড বা বউ ভবিষ্যতে যে-ই হবে। বলতে হবে মেয়েটা খুব লাকি। রিয়াজের একটা স্বভাব আমার খুব প্রিয়৷ সেটা হলো সে সবসময় চেহারায় হাসি ফুটিয়ে রাখে। কবির যখন অসুস্থ ছিল আমি প্রথমবারের মতো রিয়াজকে কাঁদতে দেখেছিলাম। তখন মনে হয়েছিল মানুষটা কষ্ট বুকে লুকিয়ে রাখে কিন্তু কাওকে বলে না৷ সত্যি রিয়াজ খুব ভালো মানুষ।”

মেহরিন কথাগুলো শেষ করে আধুনিক্তার দিকে তাকালো। আধুনিক্তা হা হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মাশরাত ভ্রু দু’টো উঁচু করে রেখেছে। মেহরিন মল্লিকার দিকে তাকাল। মল্লিকা এক হাত কোমড়ে রেখে আর এক হাতের কনুই কবিরের কাঁধে রেখে গালে হাত দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। আর কবিরের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সে এখনই হেসে দিবে। মেহরিন বেশ লজ্জাবোধ করছে। হঠাৎ তার মনে হলো কেও তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। ধীরে ধীরে পেছনে ফিরে রিয়াজকে দেখে চিৎকার দিয়ে দু কদম পিছিয়ে গেল। হঠাৎ মেহরিনের চিৎকার শুনে মল্লিকা ভয় পেয়ে কবির বুকের সাথে ঘেষে দাঁড়াল। কবির জড়িয়ে ধরলো তাকে। মেহরিন পিছিয়ে যাওয়ায় তার পা গিয়ে পড়লো আধুনিক্তার পায়ের উপর। আধুনিক্তা মেহরিনকে ধাক্কা দিয়ে তার পা ধরে লাফাতে লাফাতে পড়ে যেতে নিলো। মাশরাত তাকে খোপ করে ধরে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো। আধুনিক্তার ধাক্কা খেয়ে মেহরিন গিয়ে পড়লো রিয়াজের বুকে। রিয়াজ সাথে সাথে ধরে ফেলল মেহরিনকে। সবাই হা হয়ে একে অপরের দিকে তাকাল। আজব পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেল তারা। হঠাৎ ফিক করে হেসে দিলো সবাই। মল্লিকার হাসতে হাসতে বলল-
“এটা বেশ মজাদার ছিল। ইটস কলড নিয়তির খেলা।”
কবির বলল-
“একে অপরকে জড়িয়ে ধরাকেও তোমার নিয়তির খেলা মনে হয়? মুর্খ ব্যক্তি।”
“এই এই তুই বেশী কথা বলবি না।”
কবির ভেংচি কাটলো। মেহরিন তারাতাড়ি নিজেকে রিয়াজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল-
“এ..এভাবে কেও পে..পেছনে দাঁড়িয়ে থা..থাকে?”
“আমি দাঁড়িয়ে থাকি কোনো সমস্যা?”
“তুমি নিজেই একটা সমস্যা। তুমি আসার সাথে সাথে আধুনিক্তা পায়ে ব্যাথা পেল। আজ আমাদের খেলা, টেনশনে মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর তুমি…ধ্যাত কথা বলবো না আর তোমার সাথে।”
“হুম এতক্ষণ আমি বকবক করছিলাম।”
মাশরাত আধুনিক্তাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে বলল-
“তুমি ঠিক আছো?”
“হ্যাঁ, মেহরিন চিকন হলেও ওজন খুব বেশী।”
মেহরিন ভ্রু কুঁচকে আধুনিক্তার দিকে তাকিয়ে বলল-
“আমার ওজনে নজর দিস না।”
মাশরাত বলল-
“তোমার ওজনে ও আর কি নজর দিবে। ওর ওজনেও কমতি নেই। মনে আছে আমি একবার ওকে কোলে নিয়েছিলাম? বিলিভ মি আমার হাত সেদিন বার বার বলছিলো আমাকে এবার নরক থেকে মুক্তি দে।”
আধুনিক্তা রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকাল মাশরাতের দিকে। মাশরাত মুখ বাঁকা করে বলল-
“এভাবে তাকিয়ে লাভ নেই আমি তোমাকে ভয় পাই না।”
আধুনিক্তা ভেংচি কেটে মেহরিনের দিকে তাকিয়ে বলল-
“এখন এসব ছাড় তুই সবসময় বলিস রিয়াজকে তোর ভালো লাগে না। আর তার এত প্রশংসাও করিস। তুই এমন দুমুখো সাপ কেন বল তো।”
“আমি কখন প্রশংসা করলাম?”
“একদম পল্টি খাবি না। তুই একটু আগে রিয়াজের প্রশংসার রচনা শোনাচ্ছিলি আমাদের।”
“এত বেশী প্রশংসা করি নি। রচনা না ভাব সম্প্রসারণ বলতে পারিস।”
মাশরাত হাসছে তাদের কথা শুনে। আধুনিক্তার সাথে থাকতে থাকতে মেহরিনও তার মতো হয়ে যাচ্ছে। মল্লিকা হঠাৎ কান্না জড়িত কন্ঠে বলল-
“এই তোরা ঝগড়া থামা। আমার প্রচুর ক্ষুধা পেয়েছে।”
মাশরাত বলল-
“আজ আধুনিক্তা, মেহরিন আর রিয়াজ একদম হাল্কা খাবার খাবে। অর্থাৎ আটা রুটি বা পাউরুটি। এসব খাবার খেলে পেট ভরা থাকে বেশ কিছুক্ষণ। ভারী খাবার এখন খেলে পরে সমস্যা হতে পারে। যেমন হঠাৎ করে পেট খারাপ বা গ্যাস্ট্রিক।”
আধুনিক্তা জিজ্ঞেস করলো-
“ডিম খেতে পারবো?”
“পারবে, হঠাৎ জিজ্ঞেস করলে যে?”
“আমার হঠাৎ ডিম খেতে ইচ্ছে করছে তাই।”
আধুনিক্তার কথাটা শুনে মাশরাতের মনে হলো একটা ৫ বছর বয়সী বাচ্চা বলল কথাটা৷ মাশরাত মুচকি হেসে মাথা নাড়াল। বেশ মায়া কাজ করে মাশরাতের মনে আধুনিক্তার প্রতি।

তারা ৬ জন মিলে হাটতে হাটতে পার্ক থেকে বের হলো। পার্ক থেকে কিছুটা দূর একটা ছোটো হোটেল আছে। তারা সেখানে গেল। এই হোটেল সবসময় খোলা থাকে। কারণ এমন অনেক মানুষ আছে যারা দিন-রাত মকাজ করে। যেমন রিকশাচালক, সিএনজিচালক, বাসচালক, তারা অনেক সময় রাত জেগে কাজ করে৷ তাদের জন্যই বেশ করে এই হোটেল খোলা রাখা হয়৷ তারা গিয়ে ভেতরে বসলো। মাশরাত আর কবির গেল খাবারের অর্ডার দিতে। মেহরিন ভেংচি কেটে বলল-
“নবাবজাদা বসে আছে মেয়েদের মাঝে। তাদের সাথে গেলে কি হতো?”
“এক্সকিউজ মি আমি গেতে চেয়েছিলাম। মাশরাত বলল আমাকে বসতে।”
“হ্যাঁ হ্যাঁ এখন বাহানা দাও ১০১টা।”
রিয়াজ আর কিছু বলল না। তার এখন মাথা গরম করতে ইচ্ছে করছে না। মেহরিন ইচ্ছে করে ঝগড়া করার চেষ্টা করে তার সাথে। কিন্তু আজ মেহরিনের কথাগুলো শুনে তার মনে হচ্ছে সঠিক মানুষকেই ভালোবেসেছে। মাশরাত কবির ফিরে আসলো। মাশরাত আধুনিক্তার পাশে বসে বলল-
“খাবার মাত্র রান্না হচ্ছে তাই কিছুক্ষণ দেরি হবে।”
সবাই বলল তাদের সমস্যা নেই। মল্লিকা মুখ লটকিয়ে কবিরের কাঁধে মাথা রাখলো। কবির মুচকি হেসে মল্লিকার কপালে চুমু দিয়ে বলল-
“কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো জান এখনই হয়ে যাবে।”
মল্লিকা মাথা নাড়াল। আধুনিক্তা মাশরাতের দিকে ঝুঁকে ফিসফিস করে বলল-
“দেখো তারা কত রোমান্টিক। আর তুমি..”
আধুনিক্তা লম্বা নিশ্বাস ফেলল। মাশরাত হাসলো, তার মনে হয় এখন কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। সে চায় না আধুনিক্তা ভবিষ্যতে ভাবুক সে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাশরাতকে ভালোবেসে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর খাবার আসলো। মল্লিকা খুশীতে আত্মহারা। আধুনিক্তা জেদ ধরেছে মাশরাতের হাতে খাবে৷ মাশরাত বিরক্ত চেহারা বানিয়ে বলল-
“এইবার অতিরিক্ত ন্যাকামো করছো। নিজের হাতে খাও।”
“প্লিজ এমন করো, এটাই প্রথম এটাই শেষ।”
মাশরাতের কলিজা হঠাৎ মোচড় দিয়ে উঠলো। আবার ভয় কাজ করছে মনে। আধুনিক্তার দিকে তাকাল। কেমন মায়াবী চেহারা বানিয়ে রেখেছে৷ মাশরাত রুটি ছিঁড়ে ডিমের সাথে মিশিয়ে আধুনিক্তার দিকে এগিয়ে দিলো। আধুনিক্তা হেসে মুখে পুড়ে নিলো রুটি৷ মাশরাত আধুনিক্তাকে ডাকলো। আধুনিক্তা মাশরাতের দিকে তাকাতেই মাশরাত বলল-
“ওয়াদা করো কখনো এ রকম কথা বলবে না।”
“কোন রমক?”
“এটাই প্রথম এটাই শেষ।”
আধুনিক্তা কিছু বলল না। মাশরাতের কথা তার মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। মাশরাত আলতো করে আধুনিক্তাকে জড়িয়ে ধরলো এক হাত দিয়ে। তার মনে হচ্ছে কেও হৃদপিণ্ডে আঘাত করছো বার বার।

৬ টা বেজে ৪৫ মিনিট। আর মাত্র ১৫ মিনিট পর খেলা শুরু হবে। সবাই বেশ এক্সাইটেড। মাশরাত আর আধুনিক্তার দাদাই পাশাপাশি বসে আছে। মল্লিকা আর কবির আধুনিক্তাদের সাথে। মাশরাত কিছুক্ষণ বসে থেকে উঠে দাঁড়াল। দাদাইর নজর চারপাশে। উনি আধুনিক্তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। হয় তো মেহরিনের সাথে আছে। উনার বেশ খারাপ লাগছে আধুনিক্তার জন্য। আজ তিন বছর পর আধুনিক্তা ন্যাশনাল খেলা দেখবে কিন্তু খেলতে পারবে না। হয় তো অনেক মন খারাপ করবে কিন্তু কাওকে বুঝতে দিবে না৷ মাশরাত রেস্ট রুমে গেল। সবাই সেখানে বসে আছে। রিয়াজ আর নাজমুল পাঞ্জা খেলছে। মাশরাতকে দেখে আধুনিক্তা মুচকি হাসলো। পাঞ্জাতে নাজমুলকে হারিয়ে রিয়াজ তার গেঞ্জির হাতা সরিয়ে মাসল দেখালো সবাইকে। মেহরিন হেসে বলল-
“আসছে মশার মতো মাসল দেখাতে। নাজমুল ভাইয়ার মাসল বেস্ট৷ দেখতে একদম জন সিনা।”
“হ্যাঁ তাই তো জন সিনার মতো মাসল নিয়ে হেরে গিয়েছে তোমার নাজমুল ভাই।”
“হ্যাঁ তো? দেখতে তো বেশ এটাই বেশী।”
নাজমুল শব্দ করে হেসে বসলো-
“সরি রিয়াজ তোর হৃদয়ে থাকা মানুষটা আমার প্রশংসা করছে।”
সবাই হাসলো নাজমুলের কথা শুনে। মাশরাত বলল-
“আচ্ছা বয়’স এখন রেডি হও আর মাত্র ৭ মিনিট পর খেলা।”
আধুনিক্তা মাশরাতের চেহারা দেখে মুখ লটকালো। ছেলেটা এত টেনশন কেন করছে আজ আধুনিক্তা বুঝতে পারছে না। মাশরাত কেন ভয়ে আছে? আধুনিক্তার সাথে কি কোনো গন্ডগোল ঘটবে? জানতে হলে পরের পর্বের অপেক্ষা করুন?

চলবে……

[যেমনটা বলেছিলাম, পর্বটা ছোটো করে দিলাম এখন। পরের পর্ব বড়ো করে দিব। ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ❤️]

আগের পর্বের লিংক ?

https://www.facebook.com/426596444732759/posts/907912696601129/?app=fbl

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here