ঈংরেজ সাহেবের বাঙালী বধূ পর্ব ২৩+২৪+২৫

0
659

#ঈংরেজ সাহেবের বাঙালী বধূ
#লেখিকা : সামিয়া ইমাম নূর
#পর্ব : ২৩+২৪+২৫

২৩.
আরিয়ান – It’s okey, আমি বুজথে পেরেছি। থুমি শান্ত হও বাউ।

আরিয়ানের কথাটা শেষ হতেই মাধূর্য দ্রুত আরিয়ানের বুক থেকে মুখ তুলে আরিয়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,

মাধূর্য – বাউ? বাউ আবার কি?

আরিয়ান মিষ্টি হেসে উত্তর দিল,

আরিয়ান – খেন থুমি? থুমিই থো আমার বাউ।

মাধূর্য কিছুক্ষণ অবাক চোখে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে থেকে বাউ শব্দটার মানে বুঝার চেষ্টা করতে লাগল। কয়েক সেকেন্ড যেতেই সে হু হা করে হেসে ওঠল। আরিয়ান মাধূর্যের হাসির কারণ জানার জন্য কৌতুহলি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে মাধূর্য কোনো রকমে হাসি আটকে আরিয়ানের কিছুটা কাছে গিয়ে তার গলা জড়িয়ে ধরে নিজের পা দুটো অনেকটা উঁচুতে তুলে আরেকটু উপরে ওঠে এক হাতে আরিয়ানের চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বলল,

মাধূর্য – You mean বউ। মানে wife?

আরিয়ান মিষ্টি হেসে দ্রুত মাথা ঝাকিয়ে উত্তর দিল,

আরিয়ান – হুম।

মাধূর্য মুচকি হেসে আরিয়ানের নাকটা আলতো করে টেনে দিয়ে বলল,

মাধূর্য – আমার বরটা!

আরিয়ান হাসল। আরিয়ানকে হাসতে দেখে মাধূর্যও হেসে আবার আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরতে নিলেই পিছন থেকে হঠাৎ রায়হান খান এসে শুকনো কেশে বলে ওঠল,

রায়হান – উহুম! উহুম! আমি কিন্তু কিছুই দেখিনি। কিন্তু বলছিলাম যে আজকের দুপুরের খাবার কি আমাদের সাথে খাওয়া হবে নাকি আলাদা কোনো plan আছে?

রায়হানের কথার আওয়াজ শুনেই থতমত খেয়ে মাধূর্য দ্রুত আরিয়ানকে ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে সরে গিয়ে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। ঐদিকে আরিয়ান রায়হানের দিকে তাকাতেই রায়হান তাকে চোখ মেরে দিল। আরিয়ান তার বাবার থেকে দ্রুত চোখ সরিয়ে মাধূর্যের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগল। রায়হান আবার বলল,

রায়হান – না ঠিক আছে, যদি তোমাদের আলাদা কোনো প্ল্যান থাকে তাহলে আর আমাদের শুধু শুধু উপোস করিয়ে রেখে কি লাভ? আমরা বরং খেয়ে নেই। কি বলো তোমরা?

মাধূর্য দ্রুত বলে ওঠল,

মাধূর্য – না না বাবা, আমরা আপনাদের সাথে একসাথেই খাবো। আপনি যান, আমরা এক্ষুনি আসছি।

রায়হান মিষ্টি হেসে বলল,

রায়হান – ok, ok. এসো তোমরা তাহলে।আর আরিয়ান! এবার থেকে দরজাটা বন্ধ করে নিতে ভুলো না বাবা।

বলেই রায়হান চলে যেতে লাগল আর এদিকে মাধূর্য তো লজ্জায় আরিয়ানের দিকেও তাকাতে পারছে না আর আরিয়ান তার লজ্জারাঙা বাঙালী বধূর লজ্জা মাখা মুখটা দেখে দেখে আরও বেশি প্রেমে পড়ে যাচ্ছে ।

আরিয়ান বিকেলে মাধূর্য কে নিয়ে কয়েকটা দর্শনীয় স্থানে ঘুরিয়ে দেখায় আর তারপর প্রচুর কেনাকাটা করে রাতে একেবারে বাইরে থেকেই খাওয়া-দাওয়া করে বাড়িতে ফেরে মাধূর্য কে নিয়ে। এসেই তার বাবা-মায়ের সাথে দেখা করে দুজনে ঘরে এসে আরিয়ান যায় ফ্রেশ হতে আর মাধূর্য এই ফাঁকে কিনে আনা পোশাকগুলো সব কাবার্ডে তুলে রেখে তার কাবার্ড থেকে দুইটা প্যাকেট নিয়ে চলে যায় পাশের রুমে। আরিয়ান ফ্রেশ হয়ে এসে হাত- মুখ মুছতে মুছতে চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখে মাধূর্য কোথাও নেই। তাই সে ভাবল হয়ত তার মায়ের কাছে গেছে কিংবা কোনো কারণে নিচে গেছে। তাই এটা নিয়ে তেমন একটা না ভেবে মাধূর্যর জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। প্রায় পাঁচ-ছয় মিনিট পড় মাধূর্য আসছে না দেখে আরিয়ান ঘর থেকে বের হয়ে তার বাবা-মায়ের রুমের দিকে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে মাধূর্য তাদের কাছে যায়নি। তাই আরিয়ান এবার ভাবল আবার পানির জন্য কিচেনরুমে গেল কি না। তাই সে কিচেনরুমে গেল কিন্তু না, সেখানেও মাধূর্যর দেখা পেল না। ড্রয়িংরুমেও নেই মাধূর্য। এদিকে নিজের ফোনটাও আরিয়ান ঘরে ফেলে এসেছে। তাই আবার ঘরের দিকে পা বাড়াল। ঘরের সামনে এসেই দেখে ঘরের দরজা হাট করে খুলা আর ঘরের ভিতরটা অন্ধকার। আরিয়ান ভাবল হয়ত মাধূর্য ঘরে এসেছে আর সেই লাইট অফ করে দিয়েছে। আরিয়ান মুচকি হেসে বাইরের আলোয় যতটা দেখা যায় সেই আলোতেই ঘরে ঢুকে ঘরের লাইটের সুইচ হাতড়ে লাইট অন করে পিছনে ফিরতেই তার মুখ হা হয়ে গেল। এরকম কিছু দেখার জন্য হয়ত সে প্রস্তুতই ছিল না। সে দেখে মাধূর্য একটা পাতলা সফ টিসু শাড়ি আর তার সাথে একেবারে স্লিভলেস ব্লাউজ পরে চুলগুলো ছেড়ে একসাইটে এনে উল্টোদিকে ফিরে দাঁড়িয়ে আছে তার উপর আবার ব্লাউজের পিছনের পিঠ অনেকটা চওড়া। এই দৃশ্য দেখে আরিয়ানের মাথা ঘুরে গেল। সে ঘোরের মধ্যে পড়ে গেল। আরিয়ান আস্তে আস্তে মাধূর্যের দিকে এগুতে লাগল। এক পর্যায়ে আরিয়ান একদম মাধূর্যের কাছাকাছি গিয়ে মাধূর্যর পিছনে দাঁড়ালে মাধূর্য চোখ খিঁচে বন্ধ করে একটা বড় করে শ্বাস ছেড়ে লাজুক হেসে আরিয়ানের দিকে ফিরল। প্রচন্ড নার্ভাস ফিল করছে মাধূর্য কিন্তু তবুও আজ এই ঝুঁকিটা নিল এই বেশে আরিয়ানের সামনে দাঁড়ানোর। আসলে কাল আরিয়ানের সাথে সে যেই ব্যবহারটা করেছে সেইটার প্রায়শ্চিত্ত করারই একটা প্রচেষ্টা এটা। দুপুরের আগে যখন আরিয়ান বাড়িতে ছিল না তখন মাধূর্য পাশের যেই রুমে রাতে আরিয়ান ছিল সেই রুমে গিয়েছিল আরিয়ানের আনা সেই পোশাকগুলো খুঁজতে কিন্তু গিয়ে দেখে আরিয়ান সেগুলোকে ঘরের ভিতরের ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। তাই সে সেগুলোকে সেখান থেকে এনে লণ্ড্রীতে দেয়ার জন্য রেখে দেয় আর শপিংয়ে যাওয়ার সময় তার শাশুড়ি তাকে আলাদাভাবে কিছু ডলার দিয়েছিল তার শাশুড়ির পক্ষ থেকে নিজের পছন্দমতো কিছু কিনে নেয়ার জন্য। এদিকে পরনের শাড়িটা তার দেশ থেকে আনা হলেও শাড়ির সাথে থাকা ব্লাউজটা ছিল খুবই সাধারন। তাই মাধূর্য শপিংয়ে গিয়ে এই শাড়িটার সাথে ম্যাচ করে ব্লাউজটা কিনেছিল যদিও আরিয়ান তখন সেটা দেখেনি। কারণ এইটা কিনার সময় মাধূর্য কিছু পার্সোনাল জিনিস কিনবে বলে আরিয়ানকে অন্যদিকে পাঠিয়ে দেয় আর এটার দামও মাধূর্য আলাদাভাবে আরিয়ানের অগোচরেই পেইমেন্ট করে দেয়।

যাই হোক, মাধূর্য সামনের দিকে ফিরে লাজুক হেসে কাঁপাকাঁপা গলায় আরিয়ানকে বলল,

মাধূর্য – কেমন লাগছে আমায়?

আরিয়ান আনমনেই মাধূর্যর আরও একটু কাছে গিয়ে বলল,

আরিয়ান – Why do you want to drive me crazy like this? এমনিতেই তো crazy হয়ে আছি থোমার প্রেমে। এর বেশি crazy হলে সামলাথে পারবে থো আমায়?

২৪.
মাধূর্য আরিয়ানের কথায় যেন আরও লাল হয়ে ওঠল লজ্জায়। সে দ্রুত মুখ লুকালো আরিয়ানের বুকে। আরিয়ান মুচকি হেসে মাধূর্যর মুখ নিজের বুক থেকে সরিয়ে এনে আঙ্গুলের সাহায্যে মাধূর্যর থুতুনিটা ধরে মুখটা উপরে তুলে আস্তে আস্তে ঠোঁটের দিকে এগুতে নিলেই মাধূর্য ভয়ে চোখমুখ খিঁচে আরিয়ানকে ধাক্কা মেরে উল্টোদিকে ফিরে এক দৌড় মেরে গিয়ে বিছানায় বসে হাঁপাতে লাগল। ঐদিকে আরিয়ান মাধূর্যর এই অবস্থা দেখে হু হা করে হেসে দিয়ে তার কাছে এগিয়ে এসে বলল,

আরিয়ান – খি? এইঠুখুথেই দম শেষ মিসেসের? এইঠা থো খিচুই ছিল না। Just একঠা trailer ছিল। পুরো movie দেখলে থো মনে হচ্ছে থোমাখে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।

মাধূর্য এবার লজ্জায় দুই হাতে মুখ ঢেকে বলল,

মাধূর্য – ইশ! আর কত লজ্জা দেবেন? এতটা দুষ্টু হলেন কিভাবে আপনি? আগে তো এমন ছিলেন না?

আরিয়ান এবার মাধূর্যর গা ঘেঁষে বসে দুষ্টু হেসে বলল,

আরিয়ান – আগে থো থুমি আমার wife ছিলে না, থাই। এখন থুমি আমার বউ হয়ে গেছ আর আমিও দুষ্ঠু হয়ে গেছি। Understand?

মাধূর্য মুখ থেকে হাত সরিয়ে আরিয়ানের থেকে কিছুটা সরে বসতে নিলে আরিয়ান তার কোমর জড়িয়ে ধরে একটানে নিজের কাছে নিয়ে আসে। মাধূর্য অবাক চোখে আরিয়ানের দিকে তাকাতেই আরিয়ান ভ্রু নাচিয়ে বলে ওঠে,

আরিয়ান – খোথায় সরে যাচ্ছ? আমাকে জাগিয়ে দিয়ে নিজে গুমিয়ে যাবে থা হচ্ছে না।

মাধূর্য অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
মাধূর্য – মানে?

আরিয়ান দুষ্টু হেসে মাধূর্যর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,

আরিয়ান – আজখে খিন্তু আমি খিচুথেই ছাড়ছি না my dear wife. আমাদের বিয়ের 4-5 days হয়ে গেল খিন্তু এখনো আমাদের first night ই হল না। আজ আমি খোনো বাঁদা মানব না। আজ থো আমি আমাদের first night খরেই ছাড়ব। So, be ready sweetheart.

মাধূর্যর অনার্স ফাইনালের রেজাল্ট বের হয়েছে। খুব ভালো রেজাল্ট হয়েছে। এবার মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার পালা। আর আরিয়ান তাই তারই university তে মাধূর্যের admission এর ব্যবস্থা করেছে। যথাসময়ে admission test এ ও টিকে গিয়ে মাধূর্য সেখানে ভর্তির সুযোগটা অর্জন করে নেয়। মাধূর্য ভীষণ excited কারণ এখন থেকে সে সবসময়ই আরিয়ানের কাছাকাছি থাকতে পারবে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। কারণ, বাড়িতে আরিয়ান একজন husband হিসেবে থাকলেও ভার্সিটিতে থাকবে একজন teacher হিসেবে। আর এই teacher আরিয়ান কি husband আরিয়ান এর মতোই protective and soft mind এর থাকবে নাকি teacher আরিয়ান খুব কঠোর আর বদরাগী প্রকৃতির হবে সেটা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ভোগছে মাধূর্য। কারণ সে রায়হান খান আর মিসেস মোনালিসার কাছে শুনেছে ভার্সিটিতে আরিয়ান কতটা strict. তাই কিছুটা ভয়ে ভয়েই আছে মাধূর্য।

সকালের নাস্তা শেষ হতেই আরিয়ান মাধূর্যকে তাড়া দিয়ে বলল,

আরিয়ান – quickly গিয়ে car এ বসো মেরিন, আমি phone ঠা নিয়ে আসছি থেকে।

কথাটা বলেই আরিয়ান দ্রুত ওঠে চলে গেল নিজের রুমের দিকে। এদিকে মাধূর্য চিন্তিতমুখে মোনালিসা আর রায়হানের দিকে একবার তাকাতেই রায়হান বলল,

রায়হান – চিন্তা কর না মামনি, জানি প্রথম প্রথম একটা নতুন জায়গায় নতুন পরিবেশে যেতে সবারই একটু nervous feel হয় কিন্তু দু’একদিন গেলেই দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে। তখন হয়ত ভার্সিটি থেকে বাড়িতেই ফিরতে মন চাইবে না তোমার। কি বলো মোনালিসা?

মোনালিসা – Yeah, you are right. থুমি এথ nervous হয়োনা মেরিন। খোনো বয় নেই থোমার। প্রিন্স থো থোমার সাথেই আছে থাই না?

ওদের কথার মাঝেই আরিয়ান এসে হাজির। সে মাধূর্য কে এখনো এখানেই বসে থাকতে দেখে আবারও তাড়া দিয়ে বলল,

আরিয়ান – হেই! থুমি এখনো এখানে বসে খেন আছ? first day থেই late খরে ফেলভে না খি? ছলো quickly এসে গাড়িথে ওঠ।

কথাগুলো বলতে বলতেই আরিয়ান বেরিয়ে যেতে লাগল আর মাধূর্য আরিয়ানের এই শান্ত ভঙ্গিতে দেয়া ঠান্ডা ঝাড়ি খেয়েই দ্রুত কাঁধের ব্যাগটা নিয়ে দ্রুত আরিয়ানের পিছনে ছুট লাগাল।

University তে পৌঁছে আরিয়ান মাধূর্যকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে আরিয়ানের জন্য সেখানেই অপেক্ষা করতে বলে গাড়ি পার্ক করতে যায়। আরিয়ান গাড়ি পার্ক করে মাধূর্যের কাছে আসতেই দেখে কয়েকটা মেয়ে মাধূর্যর চারপাশে চক্কর কাটছে আর মাধূর্যকে নানাভাবে tease করছে। বেচারি মাধূর্য চুপচাপ নিজের ব্যাগ আগলে ধরে মাথা নিচু করে চোখ খিঁচে বন্ধ করে রেখেছে। আরিয়ান দ্রুত মাধূর্যর কাছে এগিয়ে গিয়ে ঐ মেয়েগুলোর উদ্দেশ্যে কড়া গলায় বলল,
আরিয়ান – What the hell are you doing here?

মেয়েগুলো আরিয়ানের গলা পেয়ে অনেকটা ভয় পেয়ে গিয়ে মাধূর্যর কাছ থেকে সরে গিয়ে একপাশে মাথা নিচু করে দাঁড়াল। মাধূর্য আরিয়ানকে পেয়ে যেন শরীরে শক্তি ফিরে পেল। সে দ্রুত গিয়ে আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরল। আরিয়ান এক হাতে মাধূর্যর পিঠে হালকা করে চাপড় মেরে আস্বস্ত করল যে তার কোনো ভয় নেই। ঐদিকে মাধূর্য আর আরিয়ানকে এতটা closely দেখে মেয়েগুলো অবাক হওয়ার পাশাপাশি কিছুটা রাগ নিয়েও মাধূর্যর দিকে তাকিয়ে আছে। আরিয়ান আবার ওদের দিকে চোখ তুলে গরম গলায় বলল,

আরিয়ান – Did I ask you something?

একসাথে সবাই বলল, Yes sir.

আরিয়ান – Then why don’t you answer me? What were you doing here? Were you giving rags here?

২৫.
মেয়েগুলো দ্রুত আবার একসাথে মাথা নাড়াল। তাদের মধ্যে এলিটা নামের একটা মেয়ে বলে ওঠল,

এলিটা – No no sir, We were just watching this girl. actually, we’ve never seen her before. So,
We just wanted to get to know her. That’s it.

আরিয়ান – Oh really? okey, Then I will introduce you to her. She is my wife Mrs. Madurja Marine and she is also a student of this university from today. Anything else to know?

এলিটা নামের একজন বলল,

এলিটা – No sir.

আরিয়ান – okey, now you all can go.

মেয়েগুলো সবাই আরিয়ানের কথামতো আরিয়ানের থেকে বিদায় নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল আর আরিয়ান মাধূর্যকে নিয়ে পা বাড়াল office room এর দিকে। কিছু formalities সেড়ে মাধূর্যকে তার classroom দেখিয়ে দেয় আরিয়ান।

মাধূর্য ক্লাসে বসে নোট খাতায় কিসব আঁকিবুঁকি করছে আর তার পাশে দুইজন মেয়ে একে অপরের সাথে টুকটাক কথা বলছে। class এ আসার পর কয়েকজন মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয় আর তারমধ্যে দুইজন মেয়ে মাধূর্যর সাথে ভালো ভাবেই মিশে গেছে কারণ তারা দুইজনও বাংলাদেশী। মেয়েদুটোর নাম সামিরা আর সাফা। যাই হোক, যথাসময়ে প্রথম class শুরু হল মাধূর্যদের আর সবচেয়ে interesting ব্যাপার হল প্রথম class টাই আরিয়ানের। তাই দেখে প্রথমে মাধূর্য প্রচন্ড খুশি হলেও তার সেই খুশিটা মুহুর্তেই হাওয়া হয়ে গেল। কারণ মাধূর্যর আজই university তে প্রথম class হলেও অন্যদের জন্য এটাই প্রথম ক্লাস নয় আর তারা সবাই versity তে আরিয়ানের রুদ্রমূর্তি সম্পর্কে জানে যেটা মাধূর্যর কাছে ছিল অজানা। আর যেই আরিয়ান class এ প্রবেশ করল অমনি সবার চোখমুখে কেমন একটা আতংক আর class এর থমথমে পরিবেশ দেখে আর বুঝতে বাকি নেই যে এখানে আরিয়ানকে সবাই শিংহের মতো ভয় পায়। তার উপর তার পাশের মেয়েদুটো আরিয়ান class এ ঢুকতেই মাধূর্যকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বুঝায় যেন সে একদমই চুপচাপ থাকে নইলেই punishment. তাই মাধূর্যও আপাতত চুপচাপ বসে আরিয়ানের গতিবিধি দেখছে।

আরিয়ান white board এ একটা important topic লিখে তা নিয়ে আলোচনা করে। আলোচনা শেষে আরিয়ান পিছনে ফিরে সবার উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করল বিষয়টা সবাই বুঝেছে কি না। সবাই উত্তর দিল হ্যাঁ কিন্তু মাধূর্য কিছুই বুঝতে পারেনি কারণ তার মন তো board এ ছিল না। তার মন ছিল board এর সামনে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলা ঐ handsome লোকটার দিকে। কিন্তু এখন পড়াটা বুঝেনি বললে যদি আরিয়ান রেগে গিয়ে সবার সামনে ধমক-টমক দিয়ে বসে বা কোনো শাস্তি দিয়ে দেয়? সেই ভয়েই সে কিছু না বলে চুপ করে বসে আছে। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি যে এটাই তার কাল হবে। আরিয়ান হুট করেই মাধূর্যর উদ্দেশ্যে বলে ওঠে,

আরিয়ান – Hey you! Can you explain the topic to me now?

মাধূর্য আরিয়ানের কথায় একবার আশেপাশে তাকিয়ে আবার আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে নিজের দিকে ইশারা করে বলল,

মাধূর্য – Me?

আরিয়ান – Yeah.

মাধূর্য এবার আস্তে আস্তে বসা থেকে ওঠে ক্লাসের সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিল। সবাই কৌতুহলি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাধূর্যর দিকে। মাধূর্য আমতা আমতা করে বলতে লাগল,

মাধূর্য – Actually I am….

আরিয়ান – What you are?

মাধূর্য আবার আমতা আমতা করে বলে ওঠল,

মাধূর্য – I,,,,, i didn’t understand it.

আরিয়ান – What? You didn’t understand that?

মাধূর্য মাথা দুইদিকে নাড়িয়ে বলল,

মাধূর্য – No.

আরিয়ান সাথে সাথেই কিছুটা ধমকের স্বরে বলে ওঠল,

আরিয়ান – Then why didn’t you say before that you didn’t understand it? Didn’t I ask everyone if they understood the topic? Then why didn’t you say you didn’t understand it?

মাধূর্য এর আগে কখনোই আরিয়ানের এমন রূপ দেখেনি আর কখনো আরিয়ানের থেকে কোনো বকাও খায়নি। বাড়িতে আরিয়ান সবসময়ই মাধূর্যের কাছে একজন super cool person। যতই দুইজনের মধ্যে মান-অভিমান হোক না কেন, আরিয়ানের ব্যবহার সবসময়ই মাধূর্যের সাথে একদমই soft থাকে। আর তাই হঠাৎ করে আরিয়ানের এই রাম ধমক তাও আবার সেটা এই ভরা মজলিশে হওয়ায় ব্যাপারটা মাধূর্য হজম করতে না পেরে তৎক্ষণাৎ ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। সবাই তো হা হয়ে মাধূর্যর দিকে তাকিয়ে আছে আর আরিয়ান যেন এবার মাধূর্যর কান্না দেখে আরও তেতে ওঠল। সে এবার আরও জোরে ধমক দিয়ে ওঠল।

আরিয়ান – Hey you, why are you crying? Don’t cry at all. I am telling you to stop crying. This is not your home or any Kindergarten. It is a University. So stop doing this kind of behavior.

আরিয়ানের কথায় মাধূর্যর কান্না উল্টো আরও বাড়ল বৈকি কমল না। আরিয়ান এবার নিজের রাগ আর control করতে না পেরে বলেই বসল,

আরিয়ান – Oh just shut up you stupid fool. Either you stop crying or go out to my class. Out……

আরিয়ানের ঝাঁঝালো কন্ঠে বলা এই কথাগুলো আর নিতে না পেরে মাধূর্য সাথে সাথেই কাঁধের ব্যাগটা হাতে নিয়ে ফুঁপাতে ফুঁপাতেই দৌঁড়ে বেরিয়ে গেল class থেকে আর সবাই ওর যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আর এদিকে আরিয়ান বেচারা পড়েছে জ্বালায়। এখন versity তে পড়াতে এসেও কি সে বউয়ের সাথে বাড়ির মতোই আচরণ করতে পারবে? কিন্তু এই ব্যাপারটা তার বউকে কে বুঝাবে?

চলবে-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here