ঈংরেজ সাহেবের বাঙালী বধূ পর্ব ২১+২২

0
670

#ঈংরেজ সাহেবের বাঙালী বধূ
#লেখিকা : সামিয়া ইমাম নূর
#পর্ব ২১+২২

২১.
রাহার বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই আরিয়ান আর মাধূর্যর বিয়ে হয়ে যায়। আর সানা আর তার মা রেগেমেগে রাহার বিয়ের পড়ের দিনই কানাডায় চলে যায়। যাই হোক, আরিয়ান আর মাধূর্যর বিয়েটা খুব কম সময়ের মধ্যে হলেও মোটামুটিভাবে খুব জাঁকজমকভাবেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল তাদের। মাধূর্যর মা-বাবা মাধূর্য আর আরিয়ানের বিয়ের ব্যাপারে ভাবার জন্য সময় নেয়ার পড় রাশেদা, আমান এবং রাহা তাদের অনেক বুঝায় যে আরিয়ান বিদেশী হলেও সে একদম খাঁটি মনের একটা মানুষ। সে একদমই অন্যান্য ছেলেদের মতো নয় যে দশ-বারোটা মেয়ে নিয়ে ঘুরবে, অনৈতিক কোনো কাজ করবে। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এই সবকিছুই আরিয়ানের বিদেশে হলেও সে নারীদের কে খুব respect করে। তাই সে কখনোই মাধূর্যকে কোনো কষ্ট দেবে না বা অসম্মান করবে না বরং সবসময়ই মাধূর্যকে আগলে রাখবে। কারণ সে খুবই protective এবং carrying একটা ছেলে। আর তাছাড়া মাধূর্যর বাবা-মাও যে দুই-একদিন রাহার বিয়ের উপলক্ষে রাহাদের বাড়িতে ছিল সেই সময়টাতে তারা আরিয়ান আর তার ফেমিলিকে খুব কাছ থেকে দেখেছে এবং বুঝেছে আসলে তারা কেমন মানুষ আর আরিয়ানই বা কেমন প্রকৃতির ছেলে। তার উপর আবার তাদের মেয়ের মধ্যেও আরিয়ানের জন্য কিছুটা দুর্বলতা দেখতে পেয়ে তারা অবশেষে আরিয়ানের সাথে মাধূর্যর বিয়ে দিতে রাজী হয়। আর তারপর বেশ জাঁকজমকের সাথে নিজেদের মেয়েকে আরিয়ানের হাতে তুলে দেয়। বিয়ের সময় মাধূর্যর সব আত্নীয়স্বজন আর পাড়াপড়শিরা বিদেশী জামাইকে দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল এক প্রকার যখন আরিয়ানের বরযাত্রী গিয়ে মাধূর্যদের বাড়িতে পৌঁছায়। যাই হোক, ভালোয় ভালোয় বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হল। এবার আরিয়ানদের লন্ডন ফেরার পালা। কাজিনের বিয়ে খেতে এসে নিজের বিয়েও লেগে যাওয়ায় ভার্সিটি থেকে আরও এক সপ্তাহের ছুটি বাড়িয়ে নিতে হয়েছিল আরিয়ানকে। কিন্তু এখন আর কিছুতেই ছুটি কাটানো যাবেনা তাই সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব লন্ডনে গিয়ে পৌঁছাতে হবে আরিয়ানকে। তাই বউভাতের পরের দিনই আরিয়ানরা লন্ডন ফিরার ব্যবস্থা করে রেখেছে। মাধূর্যর বাবা-মা বউভাতের উপলক্ষে এসে আরিয়ানদের বাড়িতেই রয়ে গেছে আরিয়ান আর মাধূর্যকে বিদায় দেবে বলে। পরের দিন আরিয়ানরা সবাই রেডি হয়ে নিচে নেমে এসেছে আর রাহারা সবাই এবং মাধূর্যর মা-বাবাও এসে সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাদের বিদায় দেয়ার জন্য। মাধূর্যর বাবা রায়হান খানের উদ্দেশ্যে বলল,

আফসান – ভাই সাহেব, আমার মেয়েটাকে তো আপনাদের হাতে তুলে দিলাম আর এখন সে চলে যাচ্ছে আবার সেই দূরদেশে। আমরা তো চাইলেই যখন-তখন এখান থেকে মেয়ের কাছে চলে যেতে পারব না আর মেয়ের সুবিধা-অসুবিধাগুলোও দেখতে পারব না। তাই দয়া করে আপনারা আমার মেয়েটাকে একটু দেখে রাখবেন আর ও’কে আপনাদের ঐ বিলেতী সংস্কৃতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য একটু সময় দিবেন। আসলে বুঝতেই তো পারছেন আমার মেয়েটা একটা বাঙালী মেয়ে আর তার শিক্ষা-সংস্কৃতি সবকিছুই আপনাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাই একটু দেখবেন আমার মেয়েটাকে আর আপনারাই বরং ও’কে আপনাদের নিজেদের মতো করে গড়ে নিয়েন যাতে আপনাদের এবং আপনাদের ঐ বিদেশী culture এর সাথে সে সহজেই মানিয়ে-গুছিয়ে নিতে পারে নিজেকে।

রায়হান – আরে আপনার মেয়ে তো এখন আমাদেরই মেয়ে। তাই তার প্রতি আপনাদের থেকে বেশি দায়িত্ব এখন আমাদের। বুঝলেন? একদম চিন্তা করবেন না আপনারা মাধূর্য মামণিকে নিয়ে। আর হ্যা, যখনই সুযোগ পাবেন চলে যাবেন মেয়েকে দেখতে। ok?

আফসান – জ্বী অবশ্যই। আর বাবা আরিয়ান তোমাকে বলছি, আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো কেমন? এখন তো ওর সব দায়িত্বই তোমার। তাই না? তাই একটু দেখেশুনে রেখ ও’কে।

আরিয়ান মিষ্টি হেসে বলল,

আরিয়ান – Don’t worry papa, আমি always মেরিনের খেয়াল রাখব এবং ওখে আগলে রাখব। আপনি ছিন্তা খরবেন না।

আফসান – যাক, শুনে আস্বস্ত হলাম বাবা। তোমার আর তোমার বাব-মায়ের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।

এবার মাধূর্যর মাও বলে উঠল,

মারিহা – বাবা আরিয়ান, তোমার উপর পূর্ন বিশ্বাস আর ভরসা করেই তোমার হাতে আমাদের মেয়েটাকে তুলে দিয়েছি আর এতটা দূরে পাঠাচ্ছি। দয়া করে আমাদের এই ভরসা আর বিশ্বাসের মান তুমি রেখ। আর মাধূর্য! তুমিও কিন্তু তোমার শশুর-শাশুড়ি আর স্বামীর মন জুগিয়ে তাদের সাথে মানিয়ে-গুছিয়ে থাকার চেষ্টা করো কেমন? এখন কিন্তু আর তোমার মা তোমার পাশে থাকবে না তাই নিজের প্রয়োজন-অপ্রয়োজন আর সুবিধা-অসুবিধাগুলো সব আরিয়ানের সাথে শেয়ার করো। যেকোনো সমস্যা আরিয়ানের সাথে শেয়ার করে তাকে নিয়েই সমাধান করার চেষ্টা করো। কোনো ক্ষেত্রেই নিজে নিজে কোনো পাঁকামো করতে যেও না কারণ, ঐটা কিন্তু তোমার নিজের দেশ না। বুঝলে? একটা অন্য দেশে যাচ্ছ, সেখানকার পরিবেশের সাথে, মানুষদের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করো সবসময়।

মাধূর্য মাথা নেড়ে তার মা’কে আস্বস্ত করল যে সে তার মায়ের কথামতোই চলবে। যাই হোক, সবার থেকে বিদায় নিয়ে আরিয়ানরা মাধূর্যকে নিয়ে বেরিয়ে গেল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে নির্দিষ্ট সময়ে লন্ডনের ফ্লাইটে ওঠে উড়াল দিল সুদূর লন্ডনের উদ্দেশ্যে।

লন্ডন পৌঁছাতেই আরিয়ানরা দেখল আরিয়ানের নানার বাড়ির লোকেরা, বন্ধুরা এবং আরও পরিচিত অনেকেই আরিয়ান আর তার বউকে স্বাগতম জানানোর জন্য এয়ারপোর্টে এসে হাজির হয়েছে। আরিয়ানরা কাছে যেতেই সবাই আরিয়ান আর মাধূর্যকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাল। তারপর সবাই আরিয়ানদের থেকে বিদায় নিয়ে যার যার কাজে চলে যায় আর আরিয়ানরা চলে যায় তাদের বাড়িতে। বাড়িতে পৌঁছে আরিয়ান গাড়ি থেকে নেমে মাধূর্যকে হাত ধরে গাড়ি থেকে নামায়। গাড়ি থেকে নেমে একবার চারদিকে চোখ বুলাতেই মাধূর্যর চোখ আটকে যায়। এত সুন্দর সাজানো-গুছানো বাড়ি দেখেই মাধূর্যর মন ভরে গেছে। বাড়িটা যেন আস্ত একটা রাজপ্রাসাদ। আর সেই প্রাসাদের সামনেই বড় করে লেখা Prince palace. তা দেখে মাধূর্যর মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠেছে। তার ঠোঁটের কোণে হাসি দেখে আরিয়ানও মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করল,

আরিয়ান – What happened? হাসচ খেন থুমি?

মাধূর্য আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বলল,

মাধূর্য – আপনাদের বাড়িটা ভীষণ সুন্দর।

আরিয়ানও মিষ্টি হেসে বলল,

আরিয়ান – Thanks but, এঠা এখন শুদু আমাদের বাড়ি নয় বরং এইঠা থোমারও বাড়ি। বুজলে dear?

মাধূর্য লাজুক হাসল। এর মধ্যে আরিয়ানের বাবা-মাও অন্য গাড়িতে করে বাড়ি এসে পৌছাল। তারা গাড়ি থেকে নেমেই আরিয়ানদের কাছে এলো। তারপর রায়হান বলল,

রায়হান – কি ব্যাপার, তোমরা এখানে কেন দাঁড়িয়ে আছ? ভিতরে যাওনি কেন এখনো?

মোনালিসাও বলল,

মোনালিসা – থাই থো প্রিন্স থুমি এখনো মেরিনখে নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছ খেন? ছলো ভিতরে ছলো।

আরিয়ান – যাচ্ছি মম। মেরিন ছলো আমরা ভিতরে যাই আর আশা খরি, বাড়ির ভিতরঠাও থোমার ভাল লাগবে।

মাধূর্য মুচকি হেসে মাথা নাড়াল। আরিয়ান মাধূর্যর হাত ধরে palace এর ভিতরে ঢুকল। পিছনে পিছনে আরিয়ানের মা-বাবাও ঢুকল। বাড়ির ভিতরে ঢুকে মাধূর্যর চোখ আরও বেশি ধাঁধিয়ে গেল। বাড়ির ভিতরটাও অনেক বিশাল যেটা বাইরে থেকে বুঝা যায় না। আর এর সুন্দর্য তা বলে শেষ করা যাবে না। বাড়ির প্রতিটা জিনিসই যেন কেউ খুব সুক্ষ হাতে সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখেছে এমন মনে হয়।

মাধূর্য রাতে ফ্রেশ হয়ে ঘুমোতে এসে দেখে আরিয়ান ঘরে নেই আর বিছানার উপরে কয়েকটা শপিংব্যাগ আর তার উপর একটা চিরকুট পড়ে আছে। মাধূর্য ভ্রু কুঁচকে বিছানার দিকে এগিয়ে গিয়ে চিরকূটটা খুলে পড়তে লাগল। চিরকুটে লিখা আছে,

Dear wife,
All the clothes in the shopping bag are yours.
These are all night clothes. Get ready for tonight by wearing any one of your choice from here. Go and get ready in five minutes. Otherwise, If you takes more than five minutes, then I will come and dress you. Will i come? Okey, I’m coming to you darling. Lots and lots of kisses for you. Ummaaaa…………………………..
(শপিং ব্যাগের সমস্ত পোশাক তোমার। এই সবগুলোই রাতের পোশাক। এখান থেকে তোমার পছন্দের যেকোন একটি পরে আজ রাতের জন্য প্রস্তুত হও। যাও এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রেডি হও। অন্যথায়, পাঁচ মিনিটের বেশি সময় লাগালে আমিই এসে তোমায় পোশাক পরিয়ে দেব। আমি কি আসব? ঠিক আছে, আমি আসছি তোমার কাছে প্রিয়তমা। অনেকগুলো চুমো তোমার জন্য। উম্মা………)

মাধূর্য চিরকুটটা পড়ে হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝতে পারছে না। কারণ আজ মাধূর্য আর আরিয়ানের প্রথম রাত। প্রচন্ড ভয় আর অস্বস্তিবোধ করছে এখন মাধূর্য। কিন্তু ঐদিকে আরিয়ান যেকোনো সময় চলে আসবে। তাই তাকে আরিয়ান আসার আগেই তৈরী হতে হবে নইলে আবার যদি আরিয়ান দুষ্টুটা সত্যিই এসে ওর পোশাক change করাতে চায়? মাধূর্য ভেবেই পাচ্ছে না আরিয়ানটা বিয়ের পর পর এতটা দুষ্টু হয়ে ওঠল কিভাবে? সুযোগ পেলেই মাধূর্যকে কোনো না কোনোভাবে harass করে ঐ দুষ্টুটা। আর এখন আবার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ওর দেয়া পোশাক পরে তৈরী না হলে সত্যিই না জানি এসে নিজ হাতে পোশাক পরাতে ওঠে পড়ে লাগে কে জানে? তাই দ্রুত মাধূর্য গিয়ে ঘরের দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়ে আরাম করে এসে বিছানায় বসে সবগুলো শপিংব্যাগের পোশাকগুলো বিছানায় ঢেলে দিল। তারপর একটা পোশাক হাতে নিয়ে খুলে দেখতেই মাধূর্যর চোখ বড় বড় হয়ে গেল সেই সাথে নিজের অজান্তেই মুখের উপর একটা হাত চলে গেল তার। মাধূর্য মুখ থেকে হাতটা সরিয়ে দুইহাতে পোশাকটা উলোটপালট করে দেখতে লাগল এটা কি পোশাক নাকি অন্য কিছু। এক এক করে সে সবগুলো পোশাকই উল্টেপাল্টে দেখতে লাগল। কোনোটায় পুরো পিঠ খালি তো কোনোটায় একসাইট দিয়ে কোমরের নিচ থেকে পুরো পায়ের অংশ খালি আর কয়েকটা তো এমন যে এগুলো দেখে মাধূর্য নিজেই নিজের চোখ ঢেকে ফেলল। সে এইসব পোশাক পরবে কিভাবে আর এগুলো পরে আরিয়ানের সামনেই বা যাবে কিভাবে? লজ্জায় তো তার এখনই মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে, গাল গরম হয়ে যাচ্ছে। আবার অন্যদিক দিয়ে আরিয়ানের প্রতি প্রচন্ড রাগও লাগছে তার। আরিয়ানটা কি করে পারল এমন সব বেশরম মার্কা পোশাক আনতে? মাধূর্য রেগেমেগে পোশাকগুলো সব এভাবেই বিছানার উপর ছুড়ে ফেলে রেখে গিয়ে দরজার লক খুলে দিয়ে এসে মুখ ফুলিয়ে আবার বিছানায় এসে বসে পড়ল। আজ হবে আরিয়ানের সাথে একচোট।

পাঁচ মিনিট পর পরই আরিয়ান একগুচ্ছ ফুল হাতে ঘরে আসে আর এসে দেখে মাধূর্য এখনো আগের পোশাকেই বিছানায় বসে আছে আর তারপাশে বিছানার উপর সেই পোশাকগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা মাধূর্য আরিয়ানকে দেখেই অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। আরিয়ান অবাক হয়ে মাধূর্যর কাছে গিয়ে বলল,

আরিয়ান – What happened my dear wife? থুমি এবাভে মুখ ফুলিয়ে বসে খেন আছ? আর এখনো ready হওনি খেন? পোশাখগুলো খি পছন্দ হয়নি?

মাধূর্য এবার কাঁদোকাঁদো গলায় অভিযোগের সুরে বলল,

মাধূর্য – আপনি খুব খুব খারাপ একটা লোক। এগুলো কি ধরনের পোশাক এনেছেন আপনি আমার জন‍্য? আমাকে কি কখনো এইসব পোশাকে দেখেছেন আপনি? আমি আপনাকে ভালো ভেবেছিলাম কিন্তু আপনিও দেখছি অন্যসব লুচ্চা ছেলেদের মতোই। এই সব পোশাক কিনতে গিয়ে আপনার একটুও লজ্জা লাগল না?

আরিয়ান মাধূর্যর কথায় কিছুটা অবাক হয়ে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,

আরিয়ান – লজ্জা খেন খরবে? আর এগুলো থো
Sleeping clothes. সবাই-ই থো ঘুমোনোর সময় এইসব পরে ঘুমোয় থাহলে এগুলো খিনতে গেলে লজ্জা খেন খরবে? আর থুৃমি খি যেন একঠা বললে, লুচি না লুচু খি ঝেন?

মাধূর্য দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

মাধূর্য – হ্যাঁ ঐটাই, লুচ্চা বলেছি আপনাকে?

আরিয়ান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

আরিয়ান – ওহ আচ্চা but, এই লুচা মানেঠা খি?

মাধূর্য আনমনেই বলে বসল,

মাধূর্য – লুচ্চা মানে বাজে, অসৎ চরিত্র। বুঝলেন?

কথাগুলো বলেই মাধূর্যর জীহ্বায় কামড় দিয়ে ফেলল। অনুশোচনার দৃষ্টিতে সে আরিয়ানের দিকে তাকাল। আসলে সে এগুলো mean করে তখন এই কথাটা বলেনি আরিয়ানকে কিন্তু এখন এর অর্থগুলো আরিয়ানকে বলতে গিয়ে সে খেয়াল করল যে সে কি বলেছে। ঐদিকে আরিয়ান কিছুটা অভিমানী চোখে স্থির ভাবে কিছুক্ষণ মাধূর্যর দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে মাধূর্যর পাশ থেকে ওঠে গেল। আসলে এই শব্দগুলো আরিয়ান একদমই নিতে পারেনি। সে তো just তার বউয়ের জন্যই এই পোশাকগুলো কিনেছিল যদিও সে জানে মাধূর্য একজন বাঙালি মেয়ে আর সে এইসব পোশাকে হয়ত অভ্যস্ত নয় যদিও এই দেশে এইসব পোশাক অন্যান্য পোশাকের মতোই স্বাভাবিক ভাবেই পরে মানুষ এমনকি দিনের বেলাতেও পরে। কিন্তু তবুও আরিয়ান মাধূর্যর কথা ভেবেই শুধুমাত্র রাতে পরার জন্য বলেছে এই পোশাকগুলো। আর তাছাড়া নিজের স্বামীর সামনে তো এইসব পরাই যায়। কিন্তু এই সামান্য ব্যাপারটার জন্য মাধূর্য আরিয়ানের চরিত্র নিয়ে কথা বলবে তা সে ভাবতেও পারেনি। কত আশা করে এসেছিল সে ঘরে আজ তার আর মাধূর্যের first night আর এই রাতে সে তার প্রিয়তমাকে তার সম্পূর্ণটা উজার করে দিয়ে তাকে পরিপূর্ণভাবে নিজের করে নেবে কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল। সামান্য কয়েকটা পোশাকের জন্য যে এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরী হবে আর মাধূর্যও তাকে এভাবে ভুল বুঝবে জানলে আরিয়ান কখনোই এইসব পোশাক আনত না। আরিয়ান হাতের ফুলগুলো বিছানায় ফেলে দিয়ে মাধূর্যর দিকে না তাকিয়েই কিছুটা ধরা গলায় বলল,

আরিয়ান – I’m sorry Marine. আমি বুজথে পারিনি এই পোশাখগুলো এতটাই খারাপ যে আমি সেগুলো আমার wife এর জন্যও খিনতে পারব না আর এর জন্য আমাকে characterless title ও পেথে হবে। By the way, i am really sorry for this. এবার থুমি গুমিয়ে পড় আমি পাশের রুমে যাচ্ছি। Good night.

বলেই আরিয়ান চলে যেতে নিলে দ্রুত মাধূর্য বসা থেকে ওঠে আরিয়ানের হাত টেনে ধরে। আরিয়ান এক পলক মাধূর্যর দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক মুখে কিছুটা হাসি ফুটিয়ে তুলে বলল,

আরিয়ান – What? আর খিচু বলবে? ওহ বুজেছি, দাঁড়াও আমি পোশাখগুলো সরিয়ে নিচ্ছি।

বলেই আরিয়ান মাধূর্যর হাত থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়ে উল্টোদিকে ফিরে বিছানার কাছে গিয়ে পোশাকগুলো সব তুলে নিয়ে মাধূর্যর উদ্দেশ্যে বলল,

আরিয়ান – এবার গুমিয়ে পড় আমি এগুলো নিয়ে যাচ্ছি। বলেই আবার আরিয়ান যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে মাধূর্য আরিয়ানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ভেজাচোখে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে কাঁদোকাঁদো গলায় বলল,

মাধূর্য – I am sorry Ariyan. আমি আপনাকে ঐ কথাটা এতকিছু ভেবে বলিনি। just রাগের মাথায় মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে। আমি আর ভুলেও কখনো এমন কথা আপনাকে বলব না। please আপনি আমার উপর রাগ করে থাকবেন না। ক্ষমা করে দিন আমাকে। please Ariyan!

আরিয়ান মুচকি হেসে বলল,

আরিয়ান – আমি থোমার উপর খোনো রাগ খরিনি। এছাড়া দোষঠা থো আমারই থাই থোমার যা ঠিখ মনে হয়েছে থুমি সেঠাই বলেছ। থার জন্য থুমি খেন sorry বলছ? Sorry থো আমি থোমাখে বলা উছিথ। So, আমি আবারও বলছি i am sorry. Please থুমি খেঁদোনা। আমি আর খখনোই এমন খিছু খরব না promise.

বলেই আরিয়ান মাধূর্যকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই লম্বা লম্বা পা ফেলে চলে গেল রুম থেকে বের হয়ে আর মাধূর্য অসহায় চোখে সেদিকে তাকিয়ে রইল। রাতে আর কারোই ঘুম হল না। দুইজন দুই ঘরে আর তাদের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আস্ত একটা দেয়াল। আরিয়ান পাশের ঘরে গিয়েই সেই পোশাকগুলো মেঝেতে ছুড়ে ফেলে গিয়ে সোফার উপর দুই হাতে মাথা চেপে বসেছিল আর সারারাত সেই সোফাতেই ছিল। এদিকে মাধূর্য আরিয়ানের ফেলে আসা ফুলের গুচ্ছটা বুকে জড়িয়ে রেখে কেঁদেকেটেই রাত পাড় করে দিল। সকালে দুজনেরই চোখে ঘুম লেগে গেছিল যার কারণে মাধূর্য আরিয়ান দুজনেই অনেক বেলা করে ঘুম থেকে ওঠে আর ঐদিকে রায়হান এবং মোনালিসা ওরা দুইজন একসাথে আছে ভেবে বসে আছে আর তাই ব্রেকফাস্টে ওদের না ডেকে ওদের খাবারগুলো আলাদা করে তুলে রাখে। মাধূর্য আর আরিয়ান দুইজনেই একসাথে ঘুম থেকে ওঠে। অনেক লেট হয়ে গেছে দেখে দুজনেই দ্রুত যার যার রুমের ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে পোশাক পরে দুজনেই ঘরে থেকে বের হতে গিয়ে একে অপরের মুখোমুখি হয়ে যায়। আরিয়ান মাধূর্যকে দেখে কৃত্তিম হেসে good morning বলে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে মাধূর্য দ্রুত বলে ওঠে,

মাধূর্য – আপনি কি কোথায়ও বের হচ্ছেন?

আরিয়ান – হুম। Why?

মাধূর্য – না মানে দেখে মনে হচ্ছে কোথাও যাওয়ার জন্য তৈরী হয়েছেন। তাই জিজ্ঞেস করলাম।

আরিয়ান – ওহ। By the way, have you had breakfast?

মাধূর্য মাথা নিচু করে বলল,

মাধূর্য – No. আপনি?

আরিয়ান অবাক হয়ে বলল,

আরিয়ান – না খরিনি। But, থুমি এখনো খেন খরনি?

মাধূর্য – না মানে আজ ঘুম থেকে ওঠতে একটু দেড়ি হয়ে গেছে।

আরিয়ান – আচ্ছা, আমারও same reason. By the way, থুমি breakfast খরে নাও আমি একঠু বাইরে বের হচ্ছি।

মাধূর্য দ্রুত জিজ্ঞেস করল,

মাধূর্য – একি! আপনি না খেয়েই বেরিয়ে যাবেন?

২২.
আরিয়ান – Don’t worry, আমি বাইরে থেখে খেয়ে নেব। Actually, আমার এখঠা জরুরী খাজ আছে। আমি আরও আঘেই বের হতাম but, গুম থেকে ওঠথে late হয়ে ঘেছে থাই এখনই যেথে হবে আমাখে। So, i have to go now. You go and have breakfast. Bye bye, see you.

বলেই আরিয়ান দ্রুত পায়ে চলে গেল মাধূর্যর সামনে দিয়ে। মাধূর্য বুঝতে পারছে না সে কি করবে। আরিয়ান যেভাবে তাকে avoid করে চলছে তাতে সে কোনো chance ই পাচ্ছে না আরিয়ানের মান ভাঙ্গানোর। এখন মাধূর্যর নিজেকেই নিজের চড় মারতে মন চাচ্ছে মুখ ফসকে এরকম আজেবাজে কথা কেন বলে বসল তার জন্য। নিজের উপর নিজে জেদ ধরে এবার না খেয়েই আবার ঘরে ঢুকে গেল মাধূর্য। ঐদিকে আরিয়ান বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার মা’কে বলে গেছে যেন মাধূর্যকে breakfast করিয়ে দেয়। কারণ তার কাছে মনে হয়েছিল আরিয়ান খায়নি বলে আর মাধূর্যও একা একা breakfast করতে আসতে অস্বস্তিবোধ করতে পারে, তাই হয়ত breakfast না করেই ঘরে গিয়ে বসে থাকবে সে। তাই বুদ্ধি করে আরিয়ান যাওয়ার সময় তার মা’কে বারবার করে বলে দিয়ে যায় যেন মাধূর্যকে ডেকে এনে breakfast করিয়ে দেয়। তাই মোনালিসাও আরিয়ান যেতে যেতেই আরিয়ানের ঘরের সামনে এসে দরজায় nock করে। মাধূর্য বিছানা থেকে ওঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখে মোনালিসা মিষ্টি হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাধূর্য ও মিষ্টি হাসল। মোনালিসা বলল,

মোনালিসা – ছলো breakfast খরবে।

মাধূর্য আমতা আমতা করে বলল,

মাধূর্য – না মানে বলছি যে mom, আমার না একদমই ক্ষুধা নেই। আমি এখন খাব না। তাছাড়া এখন breakfast এর সময়ও চলে গেছে তাই একেবারে নাহয় দুপুরে আপনাদের সবার সাথে মিলে lunch করব কেমন?

মোনালিসা – Oh no baby. থা হচ্চে না। থোমার husband আমাখে যাবার সময় বারবার খরে বলে গেছে যেন তোমাখে আমি breakfast খরিয়ে দেই। আর থুমি থো এখনো আমার son খে ছিনথে পারনি i think. সে যদি এসে ঝানথে পারে থুমি সখালের খাবার খাওনি then পুরো palace মাথায় থুলে ফেলবে। থাই breakfast ঠা খরে নাও লক্কিঠি।

মাধূর্য বাধ্য হয়ে গেল breakfast করতে আর মনে মনে আরিয়ানকে ইচ্ছে মতো বকতে লাগল। মাধূর্য মনে মনে বলছে,

মাধূর্য – ফাজিল লোক একটা, এদিকে আমার সাথে রাগ দেখিয়ে মুখ ফুলিয়ে আমার থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করছে আর অন্যদিকে আবার আমার খাওয়া-দাওয়া নিয়েও কত Considered. আসো তুমি বাড়িতে, দেখব আমি কতক্ষণ তুমি মুখ ফুলিয়ে আমার থেকে দূরে দূরে থাকতে পারো। বেটা ইংরেজ কোথাকার!

এরকম আরো অনেক হাবিজাবি কথা ভাবতে ভাবতে খাওয়া শেষ করল মাধূর্য আর এর মধ্যে মোনালিসার সাথেও টুকটাক গল্প তো আছেই। খাওয়া শেষ করে মাধূর্য ওঠতে নিলেই মোনালিসা বলল,

মোনালিসা – Listen মেরিন, tomorrow থোমাদের বিয়ের উপলক্কে আমরা একঠা party রেখেচি বাড়িথে। So, থুমি আর প্রিন্স গিয়ে বিখেলে নিজেদের পছন্দমতো শপিং খরে নিও। okey?

মাধূর্য কথাটা শুনে মনে মনে খুশি হল কারণ এই সুযোগে আরিয়ানের সাথে কালকের ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলে সব মিটমাট করা যাবে। তাই মাধূর্য মিষ্টি হেসে মোনালিসাকে বলল,

মাধূর্য – ঠিক আছে মম কিন্তু, আপনার ছেলে কি যাবে আমার সাথে?

মোনালিসা – ওমা! খেন যাবে না? তাছাড়া থুমি ওর wife, থোমার সাথে না গেলে খার সাথে যাভে সে?

মাধূর্য – না মানে আমি বলছিলাম যে উনি কি সময় পাবেন আমার সাথে যাবার? আসলে কিছুক্ষণ আগেই এত ব্যস্ত হয়ে বেরিয়ে গেলেন তো, তাই বললাম।

মোনালিসা – Oh no no. থুমি সেই নিয়ে ছিন্তা খরো না। আরিয়ান ঠিখ সময়মথো ছলে আসবে। Actually, অনেখদিম ছুঠি খাটিয়েছে থো! সেই ঝন্য আজ university থে যেথে হয়েচে। থুমি সেই নিয়ে ছিন্থা খরনা। এখন ঘিয়ে একঠু rest নাও।

মাধূর্য – আচ্ছা mom, আমি আসছি তাহলে। আর আপনার কোনো প্রয়োজন হলে আমাকে অবশ্যই ডাকবেন কেমন?

মোনালিসা মিষ্টি হেসে বলল,

মোনালিসা – Okey dear, okey. Now you go and take rest. অনেখ দখল গেছে খয়েখদিন দরে থোমার উপর দিয়ে। থাই এখন থোমার এখটু rest এর দরখার। নইলে tomorrow party থে থো থোমাখে অনেখ weak দেখাবে।

মাধূর্য এবার একটু শব্দ করে হেসে বলল,

মাধূর্য – আচ্ছা আচ্ছা, আমি যাচ্ছি। আপনিও গিয়ে rest নিন মম।

মোনালিসা – ঠিক আছে।

দুপুরে আরিয়ান বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসে খাবার টেবিলে। কাজের লোক খাবার বেড়ে দিচ্ছে। সবাই টেবিলে উপস্থিত কিন্তু মাধূর্য এখনো আসেনি। আরিয়ান তার মা’কে জিজ্ঞেস করল,

আরিয়ান – Mom! মেরিন খি খাবার খেয়ে নিয়েছে?

মোনালিসা – No my son, সে থো বলেছিল আমাদের সাথেই খাবে। থুমি থাকে আসথে বলোনি?

আরিয়ানের খেয়াল হল যে তার বাবা-মা জানে না তারা আলাদা ঘরে থাকছে। তাই আরিয়ান দ্রুত বসা থেকে ওঠে বলল,

আরিয়ান – No. actually, সে মনে হয় ওয়াশরুমে ছিল থাই আমি দেখথে পাইনি থাকে। আমি বেবেছিলাম সে এখানে ছলে এসেছে। আমি গিয়ে ডেখে আনছি ও’খে। By the way, সে সখালের খাবার খেয়েছিল থো?

মোনালিসা – হ্যাঁ, সে খেয়েছে।

আরিয়ান – Okey.

বলেই আরিয়ান দ্রুত মাধূর্যকে ডাকতে গেল। মাধূর্যর ঘরের সামনে গিয়ে একবার দরজা নক করলে ভিতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আরিয়ান আবার নক করে। দ্বিতীয়বার সাথে সাথেই মাধূর্য দরজা খুলে দেয়। মাধূর্য আরিয়ানকে দেখেই অভিমানী চোখে কিছুক্ষণ আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ নামিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। আরিয়ান মাধূর্যের ভাব-সাব কিছ না বুঝতে পেরে বলল,

আরিয়ান – ছলো খাবার খাবে। সবাই wait খরছে আমাদের জন্য।

মাধূর্য মুখ ফুলিয়ে রেখেই অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,

মাধূর্য – আমার ক্ষুধা নেই, আপনারা খেয়ে নিন।

আরিয়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,

আরিয়ান – ক্ষুডা নেই মানে? সখালে খি এমন খেয়েছ যে থোমার এখন ক্ষুডাই নেই? ছলো খাবে, mom-dad wait খরছে থোমার জন্য। থাছাড়া আমারও খুব tired লাগছে। খেয়ে গুমোতে যাব।

মাধূর্য – তাহলে গিয়ে খান। আমি কি আপনাকে ধরে রেখেছি নাকি? আমি খাব না বললাম তো।

আরিয়ান শান্ত গলায় বলল,

আরিয়ান – থোমাখে ছাড়াই খাব?

মাধূর্য – হ্যাঁ খান গিয়ে। আমাকে ছাড়া তো আপনার সবই চলে তাহলে আমাকে ছাড়া খেতেও নিশ্চয়ই problem হওয়ার কথা নয়?

আরিয়ান – মানে?

মাধূর্য এবার ছলছল চোখে আরিয়ানের দিকে তাকালো। মাধূর্যর চোখে জল দেখে আরিয়ানের বুকটা হঠাৎ ধুক করে ওঠল। আরিয়ান একটা শুকনো ঢুক গিয়ে মাধূর্যর কিছুটা কাছাকাছি গিয়ে বলল,

আরিয়ান – খি হয়েছে, থুমি খাঁদছ খেন? আমি খি আবার খোনো বুল খরেছি? আমি বুল খরলে আমাখে punishment দাও খিন্তু please থুমি খেঁদনা। থুমি খাঁদলে i don’t know why আমার বালো লাগে না। Please you don’t cry my sweetheart.

মাধূর্য এবার নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে খপ করে গিয়ে আরিয়ানকে জাপটে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠল। আরিয়ান তো থ মেরে দাঁড়িয়ে আছে। মাধূর্য ঐ অবস্থাতেই কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল,

মাধূর্য – আপনি কেন আমাকে এভাবে avoid করে চলছেন? কেন আপনি অন্যরুমে গিয়ে থাকছেন? আমি তো কালকের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছি তবুও আপনি কেন আমার উপর এতটা অভিমান করে আছেন? আপনি বিশ্বাস করুন আমি ঐ শব্দটা আপনার উপর প্রয়োগ করার সময় ঐটার অর্থগুলো একবারও আমার মাথায় আসেনি। আমি ঐসব ভেবে আপনাকে কথাটা বলিনি। আসলে ঐসব পোশাক দেখে আমার একটু খারাপ লেগেছিল তখন তাই তখন একটু মাথা গরম হয়ে গেছিল আপনি ঐরকম পোশাকগুলো এনেছিলেন বলে। সেই কারণেই রাগের মাথায় কি বলতে কি বলে ফেলেছি আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। Please, আমায় ক্ষমা করে দিন। আমার থেকে এভাবে দূরে সরে থাকবেন না দয়া করে। আপনার এই দূরুত্ব আর আমাকে এড়িয়ে চলা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমার সহ্য হচ্ছে না। Please Ariyan, please forgive me. আমি আর কখনোই আপনার সাথে ঐরকম বাজে ব্যবহার করব না promise। আর আপনার দেয়া পোশাকও আমি পরব সেটা যেমনই হোক না কেন। আমি বুঝতে পেরেছি ঐ সামান্য ব্যাপারটা নিয়ে আমার ঐরকম overreact করা একদমই ঠিক হয়নি। তাছাড়া, আপনি তো আমার স্বামী। আর স্বামীর সামনে ঐসব পোশাক তো পরাই যায় কিন্তু কেন যে এই কথাটা আমার মাথায় তখন আসেনি আমি বুঝতেই পারছি না। কিন্তু এখন আমি বুঝতে পেরেছি আর এখন থেকে এমন ভুল আর কখনই করব না। আমি আবারও ক্ষমা চাইছি আপনার কাছে। Please, আপনি আবার আগের মতো আমার সাথে কথা বলুন, হাসুন। Please Ariyan, please.

চলবে-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here