Ragging To Loving ?part-5

0
1181

? Ragging To Loving ?
Part:: 5
Writer:: Ridhira Noor

আহিল এক পা দু পা এগিয়ে আসছে আমরিন পিছিয়ে যাচ্ছে। বারান্দার রেলিং এর সাথে পিছলে পড়ে যেতে নিলেই আহিল এক টান দিয়ে আমরিন কাছে নিয়ে আসে। ফর্সা সাদা গাল দুটো একদম টমেটোর মতো লাল হয়ে গেল। লজ্জায় চোখ নিচু করে ফেলল। আহিল এক ধ্যানে লাল গাল দুটোর দিকে তাকিয়ে আছে। এক দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল।

আহিলঃঃ- কি হলো মাই লাভ। লজ্জা পাচ্ছ কেন? (থুতনি টেনে মাথা উঁচু করল। চোখে চোখ পড়তেই দুজনের বুক যেন ধুকপুক করে উঠলো। আমরিন সাথে সাথে ধাক্কা দিয়ে আহিলকে সরিয়ে দৌড় দিল। আমরিনকে এভাবে দৌড়ে যেতে দেখে হালকা হেসে দিল।) স্নো হোয়াইটের মতো সাদা গাল দুটো যখন লজ্জায় লাল হয়ে যায় দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগে।

আমরিন দৌড়ে এসে হাঁপাতে লাগলো। চেয়ারে বসে সিমার হাত থেকে পানি ছিনিয়ে নিয়ে ঢকঢক করে খেতে লাগলো।

সিমাঃঃ- ওই বজ্জাত মাইয়া টেবিলে পানি থাকতে আমার হাত থেকে পানি নিলি কেন। ঝালে জিহ্বা পুড়ে যাচ্ছে। (আমরিন থেকে পানির বোতল কেড়ে নিল।)

আলিফাঃঃ- কি হয়েছে তোর এভাবে হাঁপাচ্ছিস কেন? আর গাল দুটো লাল হয়ে আছে। কেউ মারল নাকি তোকে?

মেহেরঃঃ- কোন খাচ্চর মারল তোকে আয় ওর হাত ভেঙে গলায় ঝুলিয়ে দিই। আরে বল না।

পুষ্পঃঃ- ওকে বলতে তো দে।

আমরিনঃঃ- ওওও…..(কি বলব ওদের। বললে এখন মান ইজ্জত সব পানির সাথে গুলিয়ে শরবত বানিয়ে দিবে) আরে তোরা ডায়নি আমাকে ফেলে একা একা খাচ্ছিস তাই দৌড়ে এলাম। (এক জোর পূর্বক হাসি দিল)
_______________________________

ওয়াসিমঃঃ- তুই আবার উঠে এভাবে দৌড়ে কই গিয়েছিলি?

আহিলঃঃ- ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম। (ওদের বললে এখন আমাকে নানান কথা শুনাবে।)

আফরানঃঃ- আচ্ছা বাদ দে এসব। রিহান তুই বল ওদের কি ইনফরমেশন পেয়েছিস।

রিহানঃঃ- এক দিনে আর কত ইনফরমেশন পাব। যা পেয়েছি তাই বলি। ওরা ৬ ফ্রেন্ড তা তো দেখতে পাচ্ছিস। ওদের প্রথমে বলি আমরিনের কথা মানে ওই যে মিস সিংগার। বাবা-মার ছোট মেয়ে। সারাক্ষণ সেলফি তুলবে আর ভিডিও করবে। নিজের ফ্রেন্ড ছাড়া কারো সাথে তেমন মিশে না।

আহিলঃঃ- (ওহ তো ওর নাম আমরিন।)

রিহানঃঃ- মিস পিংকির নাম সিমা। ইতরামিতে নাম্বার ওয়ান। চেনা অচেনা যেই হোক একটু ইতরামি না করলে হয় না।

ওয়াসিমঃঃ- (মিস পিংকি,,, আইসক্রিম খাব আমি উইথ রিংকি। বাই দ্যা ওয়ে এই রিংকিটা কে? ধুরর।)

রিহানঃঃ- আলিফা আর মেহের দুইজন কাজিন। ছোটবেলা থেকে একসাথে ছিল। আর ওদের সাথে ফ্রেন্ডশিপ হয় স্কুল লাইফের শেষে। আর বাকিরা আগের থেকেই ফ্রেন্ডস ছিল। ওরাও কম দুষ্টু না। তারপর পুষ্প বাবা-মার একমাত্র মেয়ে। কোন কিছু চাওয়ার আগেই পেয়ে যায়। তেমন রাগও ভীষণ।

আফরানঃঃ- আর মিস চাশমিশ?

রিহানঃঃ- বলতে দিবি তো নাকি? ওর নাম নূর। দুই বোন ওই বড়। ইতরামিতে সবার নানি। এক নাম্বারের ঝগড়াটে। কিন্তু তা শুধু ফ্যামিলি আর ফ্রেন্ডের জন্য। আর এসবে ওদের সবার মধ্যে একটা জিনিসই কমন।

সবাই একসাথে “কি?”

রিহানঃঃ- একেকটা বদের হাড্ডি। যখন একসাথে হয় সামনের জনের ব্যান্ড বাজিয়ে দেই। কলেজেও নাকি রেকর্ড করা ইতরামি আর ঝগড়ার জন্য।

আফরানঃঃ- এই ইনফরমেশনই অনেক। আর ওরা যদি বডের হাড্ডি হয় আমরাও বদের হাড্ডি মাংস হৃৎপিণ্ড কিডনি সব। (ওরা হেসে উঠল। তাদের হাসিতে নূররা তাদের দিকে তাকিয়ে ভেঙচি কাটলো।) এখন ওদের দেখাব আমরা কি?
_______________________________

নূরঃঃ- তো বল ওদের কোন ইনফরমেশন পেয়েছিস?

পুষ্পঃঃ- যা একটু আধটু পেয়েছি। ওরা ৯ জন ফ্রেন্ডস।

সিমাঃঃ- কিন্তু ওরা তো ৪ জন।

পুষ্পঃঃ- ফকিন্নি কথা শেষ করতে দে। তা কি যেন বলছিলাম। ভুইলা গেছি।

সবাই রাগী দৃষ্টিতে সিমার দিকে তাকিয়ে আছে। সিমা দাঁত ৩২ টা দেখিয়ে হাসি দিয়ে এক বোতল পানি মুখে দিল।

পুষ্পঃ- হ্যাঁ মনে পড়ছে। (সবাই আবার পুষ্পর দিকে ধ্যান দিল) ওরা ৩ জন মেয়ে বাট তেমন একটা ক্লোজ না। ফ্যামিলি ফ্রেন্ড হিসেবে তারাও ফ্রেন্ড। ৬ জন ছেলে ওরা বেস্ট ফ্রেন্ড স্কুল লাইফ থেকেই বেস্ট ফ্রেন্ড। ২ জন বাইরে কোথাও গিয়েছে। আর রিহান ও আফরান চাচাতো ভাই। দুইটাই এংরি ইয়াং ম্যান। তেমনি বজ্জাত। ওয়াসিম মি. কবি। ছন্দ বলতে পছন্দ করে। খুবই মিশুক টাইপের। আর আহিল (ওর নাম নিতেই আমরিনের কাশি উঠে গেল। পানি দিল খেতে) মি. ফ্লার্টি। মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করে বেড়ায়। এইটুকু ইনফরমেশনই পেলাম। (সামনাসামনি টেবিলে বসায় তাদের চিনিয়ে দিল।)

নূরঃঃ- শোন ওরা যদি কোন রকম জ্বালাতে আসে তোরা উল্টো ওদের জ্বালাবি। পারলে ঝগড়া লাগাই দিবি।

আমরিনঃঃ- কি ঝগড়া লাগাবো আহিলের বাচ্চা কাহিল উল্টো আমারই সাথে ফ্লার্ট করছে। (ভিড়ভিড় করে)

আলিফাঃঃ- কি মন্ত্র পড়ছিস? আমাদেরও বল আমরাও পড়ি আর ওদের উপর জাদু টোনা করি।

আমরিনঃঃ- ওই ছোট বেলার সেরা মন্ত্র।

নূরঃঃ- ছু মন্তর ছু,,, কালা কুত্তার গু।

সবাই একসাথে হেসে উঠল। আফরানরা ওদের দিকে বিরক্তি ভাব নিয়ে তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নিল।

নূরঃঃ- ওদের বুঝাতে হবে আমরা কি চিজ। কলেজের সব রেকর্ড ভাঙব।

আমরিনঃঃ- চল সেলফি তুলি!

সবাই ওর দিকে তাকিয়ে হেসে দিল। তারপর যে যার মতো পোজ দিল।
.
.
.
তন্বিঃঃ- কিরে আপু এটা কোন ধরনের নাইনসাফি? (নূর প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকাল। তন্বি আবারও বলতে লাগলো।) আমি কত সুন্দর করে আমার কলেজের প্রথম দিনের কাহিনি বললাম। আর তুমি আজ দ্বিতীয় দিন হয়ে গেল। আমাকে কিছু বলনি। (গাল ফুলিয়ে বেডের উপর ধপাস করে বসলো।)

নূরঃঃ- আমি তোর বড়।তাই তুই আমাকে সব বলবি। আমি কেন বলব?

তন্বিঃঃ- কলেজে এক কাহিনি ঘটেছিল। ভেবে ছিলাম তোমাকে বলব। কিন্তু না বলব না।

নূরঃঃ- কি হয়েছে বল না? (খুব আগ্রহী হয়ে)

তন্বিঃঃ- এএএ নিজে বলবে না আসছে আমার কাহিনি শুনতে। হুহ্ বলব না।

নূরঃঃ- আচ্ছা বলছি। (কালকের আর আজকের সব কাহিনি বলল)

তন্বিঃঃ- ও এম জি। কলেজ ক্রাশ। থুক্কু ভার্সিটি ক্রাশ।

নূরঃঃ- ক্রাশ না ময়লা ব্রাশ। তোর কাহিনি বল এবার।

তন্বিঃঃ- আসলে কাহিনি হলো….. কোন কাহিনি নাই। (বলে লে দৌড়)

.
.
.
চলবে

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here