#Devil_Cousin_Lover♥
#Imtihan_Imran
03.
“সিনহা তুই ঠিক আছিস?তোর কিছু হয়নি তো।আমি সরি সিনহা।(চিন্তিত কন্ঠে)
” ভাইয়া..
সিনহা কান্না করে দিয়েছে।সিনহার কান্না দেখে ইমরানের বুক ধুক করে উঠল।সিনহা কী ব্যাথা পেয়েছে?
“সিনহা খুব ব্যাথা পেয়েছিস?কোথায় ব্যাথা পেয়েছিস?(উত্তেজিত হয়ে)
” ভাইয়া আমি ব্যাথা পাইনি।(কান্না করে)
“তাহলে কান্না করছিস কেনো?
” তোর হাত..
“আমার হাত কী?
” তোর হাত থেকে রক্ত পড়ছে।(কান্না করে)
ইমরান নিজের হাতের দিকে খেয়াল করে।কনুই থেকে রক্ত পড়ছে।শার্ট থাকার কারনে বুঝা যাচ্ছে না,কতটুকু ছিঁলে গেছে।
“আমি সরি ভাইয়া।আমি বুঝতে পারিনা।আমার জন্য তোর এই অবস্থা হলো।আমাকে তুই শাস্তি দে ভাইয়া।(কাঁদতে কাঁদতে হেচকি উঠে গেছে)
” থাপ্পড় দিমু দুইটা।বেশি বুঝিস কেনো?হালকা ছিঁলে গেছে মনে হয়।তেমন কিছু হয়নি।তুই কান্না বন্ধ কর।তোর কান্না দেখে তো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
সিনহা কান্না বন্ধ করছে না।কান্না করেই যাচ্ছে।
“আজব,যেভাবে কান্না করছিস যেনো,তোর জামাই মরে গেছে।
কান্না বন্ধ করতে বলেছি।দেখ মানুষজন বিনা পয়সায় ফ্লিম দেখছে।
তুই যদি কান্না বন্ধ না করেছিস।তাহলে কিন্তু আমি আমার হাতটা ভেংগে ফেলবো।
ইমরানের কথা শুনে সিনহা ভয় পেয়ে যায়।সাথে সাথে সে কান্না বন্ধ করে দেয়।এই ইমরানকে সে খুব খুব ভালো করেই ছিনে,সে যা বলবে তাই করবে।
ইমরান,সিনহাকে রাস্তা থেকে উঠায়।
“আপনারা দাঁড়িয়ে না থেকে নিজ নিজ কাজে যান,আজব পাব্লিক,কিছু দেখলেই হইছে।
ইমরানের কথা শুনে সবাই চলে যায়।
” ভাইয়া তোর হাত থেকে রক্ত পড়ছে।
“দেখছি আমি।
” চল বাসায় চলে যাই।হাত ব্যান্ডেজ করতে হবে।
“কলেজে যাবো।
” এভাবে তুই কলেজে যাবি?
“হুম,ওখানে ফার্মিসি থেকে ব্যান্ডেজ করে নিবো।
ইমরান বাইক রেখে একটা রিক্সা ডাক দেয়।
” সিনহা রিক্সায় উঠ।
“বাইকে যাবোনা?
” কোন মুখে তুই বাইকে যাওয়ার কথা বলিস?উঠ রিক্সায়।(ধমক দিয়ে)
সিনহা কথা না বাড়িয়ে রিক্সায় উঠে বসল।তার কারনেই তো এতো কিছু হলো।
“মামা সামনে কলেজে নামাই দিয়েন।
” ভাইয়া তুই যাবিনা?
“আমি বাইক নিয়ে তোর পিছন পিছন আসছি।
সিনহা আর কিছু বলল না।রিক্সাওয়ালা সিনহাকে কলেজে নামিয়ে দেয়।ইমরানও বাইক নিয়ে চলে আসে। ইমরান ভাড়া দিয়ে রিক্সাওয়ালাকে বিদায় দেয়।
ইমরান,সিনহাকে কলেজ গেইটের ভিতরে নিয়ে দাড় করায়।
” এখানে দাঁড়িয়ে থাক।কোথাও যাবিনা।কেউ যেতে বললেও যাবিনা।আমি ব্যান্ডেজ করে আসছি।
“আমিও তোর সাথে যাই।আমার ভয় ভয় লাগছে।
” ভয় পাচ্ছিস কেনো? ভয় পাওয়ার কী আছে?
“আমি গেলে সমস্যা কী তোর?
” দোকানে এতো মানুষের ভিতরে তোর দাঁড়িয়ে থাকার দরকার নেই।আমি যাবো আর আসবো।
ইমরান,সিনহাকে রেখেই চলে গেলো,ব্যান্ডেজ করতে।আর সিনহা একা একা দাঁড়িয়ে থাকল।
কিছুক্ষণ পর ইমরান,ফিরে এসে সিনহাকে দেখতে পায় না।ইমরান চিন্তায় পড়ে যায়।
“এই সিনহা আবার কোথায় চলে গেলো?
ইমরান চারিদিকে তাকায়।হঠাৎ মাঠের মাঝখানে ইমরানের চোখ আটকে যায়।সিনহা দাঁড়িয়ে আছে।শুধু দাঁড়িয়ে না, ইমরান যা দেখলো,তা দেখে রাগে তার মুখ রক্তিম বর্ণ ধারন করলো।
সিনহা কান্না করছে আর কান ধরে উঠবস করছে।তার সামনে কয়েকটা ছেলে দাঁড়িয়ে হাসি তামাশা করছে।
আর অন্য সকল ছেলেমেয়েও তো আছেই বিনা পয়সায় এমন একটা সিন দেখার জন্য।ইমরানের বুঝতে দেরি হয়না,সিনহা র্যাগিং এর স্বীকার।
ইমরান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে।তার চেহারা রক্তিম বর্ন ধারন করাই বলে দিচ্ছে,সে কতোটা রেগে আছে।এই ছোকরা ছেলেমেয়েরা জানে না,ওরা কার চোখের পানি বের করেছে।এর পরিনাম যে খুবি ভয়াবহ।
ইমরান এক পা,এক পা করে সিনহার দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।ইমরান যতোটা সামনে এগুচ্ছে,ততোই সিনহার কান্না মাখা মুখ তার সামনে পরিষ্কার দৃশ্যমান হচ্ছে।
সিনহার চোখ ইমরানের উপর পড়তেই,সিনহা জোরে কেঁদে উঠে।।
” ভাইয়া….
চলবে তো…?
~ইমতিহান ইমরান।