#সেই_তমসায়_৭
নুসরাত জাহান লিজা
১৭.
ময়ূখ সেদিন দু’জন সো/ র্স/কে আলাদা আলাদা করে কয়েকজনের ব্যাপারে বলেছে, এদের ব্যাপারে ত/থ্য প্রয়োজন। দু’জনেই আগামীকাল আসবে। শিরিনকে এতগুলো টাকা দেবার ব্যাপারটা বেশি ভাবাচ্ছে। ওদিকে অ/নু/স/র/ণ/ কা/রী আর হু/ ম/ কি/ দা/ তা না দা/ত্রী এটা নিয়েও ভাবিত।
ভেতরে ভেতরে এতকিছু চললেও বাইরে তার বিন্দুমাত্র আভাস নেই। বরং নির্বিকার চিত্তে সকালে সবার সাথে বসে নাস্তা করল। নাস্তা একসাথে করায় ভালো উপকার হচ্ছে ময়ূখের। সবাই কথা বলে বেশ। এসব থেকেও তাদের মনোভাব সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
মুনিরার বর জুয়েল বেশকিছুদিন ছিল না। আজ খাবার টেবিলে দেখা গেল। তাই ধরে নেয়া যায় গতকাল এসেছে।
“পারিবারিক আলাপ করব, সেই অবস্থা এখন আর খাবার টেবিলে নেই।”
ময়ূখ তার কথা গায়ে মাখল না। সাঈদ বলল, “দুলাভাই, তোমার সাথে কথা আছে। খাবার পরে তোমার রুমে যাব।”
“আচ্ছা। আমার সি/গা/রে/ট শেষ। তোমার স্টকে থাকলে নিয়ে এসো তো।”
ময়ূখ খাবারের প্লেট থেকে চোখ তুলে আচমকা জুয়েলের দিকে তাকাতেই দেখল সাঈদের সাথে ইশারায় কথা বলল। সাঈদের মুখেও তা বুঝতে পারার আভাস।
“আমাকে আপনার বাবার ঘর দুটোর এক্সট্রা চাবিগুলো দিয়েন তো। যখন তখন প্রয়োজন হতে পারে৷ কিছু বইও নেব ভাবছি পড়ার জন্য। সময় কাটছে না ইদানিং।”
ময়ূখের কথায় মৃদুলা টি /প্প/ নী কেটে বলল, “গো/ য়ে/ ন্দা/ দে/র তো জানতাম র/হ /স্য পেলেই হয়। এত রসদ থাকতেও আপনার সময় কাটছে না?”
মেয়েটা তৈরি হয়ে আছে। কোথাও যাবে বলে মনে হচ্ছে।
ময়ূখ সাথে সাথে উত্তর দিল না, মুখের খাবারটুকু শেষ করে ঢকঢক করে পানি খেয়ে, তৃপ্তি সূচক অভিব্যক্তি ফুটিয়ে একগাল হেসে মুখ তুলে বলল, “আমার সময় বোরিং কাটছে বলে এখনো কেউ কেউ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। তবে চিন্তা নেই ম্যাডাম, আমি খুব দ্রুতই ব্যস্ত হয়ে পড়ব। হয়তো কারোর ঘুম না হওয়ার কারণও হবো।”
সবাই যেন ক্ষণেকের জন্য থ/ম/কে গেল। ময়ূখ প্রত্যেকের অভিব্যক্তি একবার পর্যবেক্ষণ করে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, “মানে ওই /চো// রে/র কথা বলছিলাম আরকি!”
আরেকবার সবার মুখভঙ্গি প/র্য/বে/ক্ষ/ণ করে স্বস্তি নিয়ে নিজের ঘরে ফিরে এলো। যাক, সবাইকে ভ/ড়/কে দেয়া গেছে কিছুটা হলেও। এদের প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু অ/প/রা/ধ/বো/ধ আছে। সেজন্যই এমন হতচকিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম কথাটায়। রায়হানেরটা সে জানে। সাঈদ আর জুয়েলের বিষয়টাও জানতে হবে। বাকিগুলো আগামীকাল ওরা কতটুকু জানতে পারল তার উপর নির্ভর করছে।
বেরুতে হবে এখন। সে নিজে আজ একজনের পি/ছু নেবে।
১৮.
ময়ূখ দাঁড়িয়ে ছিল পাঁচিলের বাইরে ডানদিকের ঝোপের কাছে। মৃদুলা ওকে পেরিয়ে কিছুদূর অগ্রসর হতেই সে-ও হাঁটতে শুরু করল। সাজিদকে আজ সকাল থেকে একবারও দেখা যায়নি। সাঈদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে আজ নাকি ছুটি নিয়েছে। এদিকে মৃদুলাও বাইরে যাচ্ছে, সেদিন দু’জন একসাথে শ/লা/প/রা/ম/র্শ করেছে।
কিছু পেলে পাওয়াও যেতে পারে। কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ স/ /ন্দে/ হে/র ঊর্ধ্বে তো কেউই নয়!
মৃদুলা ভারি সোয়েটার পরেছে, একটা শাল গায়ে জড়িয়েছে। নির্জন রাস্তায় এসে ব্যাগ থেকে ওড়না বের করে মাথা ঢেকে নিয়ে শাল ভালো মতো গুছিয়ে নিল হালকা পায়ে হাঁটতে হাঁটতেই। ময়ূখের মন উৎফুল্ল হয়ে উঠল। সময় এবং এতটুকু হাঁটার পরিশ্রম বৃথা যাবে না তবে। কিছু লুকোচুরি তো আছেই।
মেঠোপথের এই রাস্তাটা জনমানবহীন। গাছাপালায় ছাওয়া চারপাশে, কিছু জংলী লতানো গাছও আছে পথের দুই পাশে। রোদ উঠেছে আজ। তবে উ/ত্তা/প নেই তেমন। এদিকে সারি সারি গাছপালার জন্য ঠান্ডা তুলনামূলক বেশি।
মৃদুলার সাথে দূরত্ব রেখেই এগুচ্ছে পথের ধার ঘেঁষে, যাতে পেছনে তাকালে নিজেকে আ/ড়া/ল করা যায়। কিন্তু একবারও পেছনে তাকায়নি মৃদুলা।
এর অ/স্বা/ভা/বি/ক/তা যতক্ষণে ন/জ/রে এলো, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। সামনে নজর রাখতে গিয়ে পেছনে যে কেউ থাকে তার কথা কিছুক্ষণের জন্য মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
ই/ন্দ্রি/য়ে/র সতর্কবার্তা পেতে পেতে ঝট করে পেছনে ঘুরবে, কিন্তু তার আগেই মাথায় শক্ত কিছু আঁ*ছ*ড়ে পড়ল। মুহূর্তের জন্য মাথা ফাঁ//কা হয়ে গেল যেন।
সেভাবেই লু/টি/য়ে পড়ল ময়ূখ। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। মুহূর্তের অ/স/ত/র্ক/তায় নিজেকেই ভ/র্ৎ/স/না করতে করতে জ্ঞা//ন হারালো গো/য়ে/ন্দা/ প্রবর।
……
ক্রমশ
(পর্ব ছোট হবার জন্য দুঃ/খি/ত। একটু দৌড়ের উপরে আছি। কথা দেয়া ছিল বলে এটুকুই দিলাম।)