#ঈংরেজ সাহেবের বাঙালী বধূ
#লেখিকা : সামিয়া ইমাম নূর
#পর্ব : ১৯+২০
১৯.
মাধূর্য যেন এবার শরীরে প্রাণ ফিরে পেল। সে মুখ থেকে আরিয়ানের হাতটা সরিয়ে দিয়ে বড় বড় শ্বাস নিতে লাগল। আরিয়ান আবার বলল,
আরিয়ান – Are you okey? এত বয় পাও খেন? বুথ বলে খিচু আছে নাখি?
মাধূর্য ভ্রু কু্ঁচকে বলল,
মাধূর্য – Oh really? তাহলে সেদিন যে বললেন আপনি নাকি ঐ দীঘির মধ্যে ভুতকে সাঁতার কাটতে দেখেছেন? ভুত না থাকলে ঐটা কেন বলেছিলেন শুনি?
আরিয়ান মিষ্টি হেসে বলল,
আরিয়ান – আরে ঐঠা থো আমি সানাখে বয় দেখানোর জন্য বলেছিলাম। But, i don’t believe in ghost. খারণ বুথ বলে খিচুই হয় না। বুজলে?
মাধূর্য – হুম বলেছে আপনাকে।
আরিয়ান ভ্রু কুঁচকে বলল,
আরিয়ান – খি বলেছে আর খে বলেছে?
মাধূর্য – জানি না। কিন্তু আপনি এতরাতে এখানে কি করছেন?
আরিয়ান – ওহ, আমি থো rooftop এ যাচ্ছিলাম but থুমি এখানে খি খরছো এথো রাথে?
মাধূর্য – আরে আমিও তো ছাদেই যাচ্ছিলাম।
আরিয়ান – Oh really? থাহলে থো বালোই হল। ছলো আমরা দুজনে একসাথে যাই। দুজনে অনেখ গল্প খরব। খি বলো?
মাধূর্য – হুম, চলুন তাহলে।
ওরা দুজন ছাঁদের একপাশে গিয়ে দাঁড়াল। দুইজনেই কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। এক পর্যায়ে আরিয়ান বলল,
আরিয়ান – থুমি খি আমার উপর রাগ খরেছো?
মাধূর্য অবাক চোখে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল,
মাধূর্য – না তো। হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন করলেন?
আরিয়ান – না মানে, ঐ যে আমার mom- dad থোমার mom- dad এর সাথে আমাদের বিয়ের খথা বলেছে থাই? Actually, আমিও এই সব খিচুই জানতাম না। আমাখেও আগে থেখে খিচুই জানানো হয়নি। থাই থুমি আমার উপর রাগ কর না please।
মাধূর্য মুচকি হেসে বলল,
মাধূর্য – আমি আপনার উপর রাগ করেছি সেটা আপনাকে কে বলল? আমি বলেছি?
আরিয়ান – না বলোনি খিন্তু থুমি বিয়ের খথা হওয়ার পর থেখেই আমার সাথে আর আগের মথো খথা বলছ না। খেমন যেন নিশ্ছুপ হয়ে গেছ।
মাধূর্য এবার মুচকি হেসে বলল,
মাধূর্য – আপনি ভুল বুঝছেন। আমি মোটেই আপনার উপর রাগ করিনি। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি আমাকে বিয়ে করতে না চান তাহলে আমাকে সরাসরি কোনোরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করেই বলে দিতে পারেন। Trust me, আমি কিচ্ছু মনে করব না। তাছাড়া, আপনার culture, আপনার status, সব কিছুই আমার থেকে অনেক আলাদা। তাই আমাকে আপনার wife হিসেবে পছন্দ না হওয়াটাও স্বাভাবিক। তাই যদি আমাকে ভালো না লাগে তাহলে ভদ্রতার খাতিরে বা আমার মন রাখার জন্য মনের মধ্যে কোনো কথা লুকিয়ে রাখবেন না। যদি কিছু বলার থাকে তাহলে বিয়ের কথাবার্তা আর সামনে এগুনোর আগেই সেটা বলে ফেলুন please।
আরিয়ান মাধূর্যর দিকে কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলল,
আরিয়ান – You know Marine? আমি না খখনোই খোনো মেয়ের এথোঠা খাছে আসিনি যতঠা থোমার খাছে এখন আছি। খোনো মেয়ের দিকে এথো বালো খরে দেখিনিও যেবাবে থোমাখে দেখেছি। I swear, লন্ডনে- বাংলাদেশে অনেখ মেয়ে দেখেছি but i think, আমার চোখে দেখা সবচেয়ে best মেয়েঠা শুদুই থুমি। আমি আজ এই খথাগুলো বলছি cause, আমার মনে হচ্ছে আজ থোমাখে এগুলো বলা উছিথ। এরপরও খি আমার ব্যাপারে থোমার আর খোনো confusion আছে?
মাধূর্য অবাক হয়ে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। সে কি বলবে আরিয়ানের কথার জবাবে ভেবে পাচ্ছে না। সে ভাবতেও পারছে না যে এই ইংরেজ সাহেবটা কখনো তাকে এতটা পছন্দ করে বসবে আবার নিজের মুখে এত সুন্দর করে তার মনের কথাগুলো প্রকাশও করবে মাধূর্যর কাছে। ওরা দুইজনই দুইজনের চোখের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ বাগানের দিক থেকে কিছু একটার শব্দ শুনে আরিয়ান আর মাধূর্য দুজনেই দ্রুত ছাঁদ থেকে নিচের দিকে তাকায়। ওরা দেখল ছায়ার মতো কিছু একটা বাগানের দিক থেকে বাড়ির ভিতরের দিকে যাচ্ছে। মাধূর্য ভয়ে দ্রুত আরিয়ানের হাত চেপে ধরে চোখ খিঁচে বন্ধ করে আরিয়ানকে বলতে লাগল,
মাধূর্য – আরিয়ান দেখুন ভুত। আমার খুব ভয় করছে আরিয়ান। ভুতটা তো বাড়ির ভিতরে ঢুকছে আরিয়ান। এখন কি হবে????
মাধূর্যর কান্না দেখে আরিয়ান বেয়াকুব বনে গেল। একে তো বাড়িতে কি ঢুকল সেই চিন্তা তার উপর মাধূর্যর কান্নাকাটি। আরিয়ান দ্রুত মাধূর্যকে শান্ত করার জন্য বলল,
আরিয়ান – Don’t worry Marine. Please থুমি বয় পেয়োনা। আমি আছি থো এখানে? খিচ্চু হবে না থোমার। আর আমার মনে হচ্চে ঐঠা খোনো বুথ নয় বরং খোনো ছোর।
মাধূর্য দ্রুত চোখ খুলে আরিয়ানের দিকে তাকাতেই আরিয়ান মাথা নেড়ে বলল,
আরিয়ান – Yes, I think a thief came to the house. ছলো আমরা quickly নিছে যাই। গিয়ে ঐ ছোর বেঠাখে ধরে ছাবখানি দেই।
মাধূর্য অবাক হয়ে বলল,
মাধূর্য – ছাবখানি?
আরিয়ান – ছাবখানি means flogging!
মাধূর্য ভ্রু উঁচিয়ে বলল,
মাধূর্য – ওহ, চাবকানি?
আরিয়ান দ্রুত মাথা নেড়ে বলল,
আরিয়ান – Yeah! Yeah! please এবার থাড়াথাড়ি ছলো নইলে ছোর ছুরি খরে পালাবে।
ওরা দুইজন ছাদ থেকে দ্রুত নিচে নেমে একদম শব্দহীনভাবে এগুতে লাগল আর চারপাশে চোখ বুলাতে লাগল। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে একটা কিছুর শব্দ হলে দ্রুত আরিয়ান মাধূর্যকে একদম বিনা শব্দে তার সাথে রান্নাঘরের দিকে এগুতে বলল। মাধূর্য ও আরিয়ানের কথা মতোই এগুতে লাগল। ওরা ধীরেধীরে রান্নাঘরের সামনে যেতেই কিসমতের গলার আওয়াজ শুনতে পেল ভিতর থেকে। দুইজন দুইজনের দিকে ভ্রু কুঁচকে একবার তাকিয়ে আবার চুপচাপ কান পাতলো রান্নাঘরের দিকে। ভিতর থেকে শোনা গেল,
কিসমত – সম্মানিত হাবিবী ইয়া চোর সাহেব! বলছি যে, দুনিয়াতে এত কাজ থাকতে এই আধুনিক যুগে এসেও আপনি চুরি কেন করছেন ভাই সাহেব?
২০.
ভিতর থেকে কিসমতের কথা শুনে এদিকে মাধূর্যর মারাত্মক হাসি পেয়ে গেল। আরিয়ান দ্রুত মাধূর্যর হাসির শব্দ বের হওয়ার আগেই নিজের হাত দিয়ে মাধূর্যর মুখ চেপে ধরে। মাধূর্যও নিজেকে সামলে নেয়। ঐদিকে ভিতরে চোর ফ্রিজ থেকে বস্তার মধ্যে বিয়েতে সব বেঁচে যাওয়া খাবারগুলো ঢুকাতে ঢুকাতে কিছুটা মাতলামোর স্বরে বলতে লাগল,
চোর – এটা আমাগো খানদানী পেশা। যুগ যতই আধুনিক হোক আমরা আমাগো খানদানি পেশা ছাড়বার পারুম না। এটা আমাগো ইজ্জতের প্রশ্ন। আপনা গো যেমন বংশপরম্পরা আছে তেমনি আমাগোও আছে। আর আমরা কোনোমতেই আমাগো খানদানী পেশা ছাইড়া বংশের মুখে চুনকালি মাখবার পারুম না। অহন কথা কম কইয়া আমারে চুরিতে সাহায্য করেন। বেশি কথা কইলে বাড়ির লোকজন জাইগা যাইবোগা। আর আপনাগো বাড়ির সব লোকজন নিশ্চয়ই আফনার মতো এত মহৎ হৃদয়বান না যে আমারে খাতিরযত্ন কইরা কইব লও বাবা, যা খুশি লইয়া যাও। পরে হেরা আইয়া আমারে ঠেঙ্গানি দিলে হেই ঠেঙ্গানির হাত থেইকা আমারে বাঁচাইব কেডা?
কিসমত – না না, ছি! এইসব কি বলেন? আপনি হচ্ছেন গিয়ে আমাদের জইফুন মানে মেহমান। আমরা কি আপনাকে ঠেঙ্গানি দিতে পারি? আচ্ছা, আমি আর কিছু বলব না কিন্তু জনাব চোর সাহেব, আর একটা কথার উত্তর দিবেন আমার?
চোর – আর একটাই তো? আইচ্ছা ঠিক আছে, আফনি যখন আমারে চুরি করার একটা সুযোগ দিছেন তখন আমিও নাহয় আফনারে একটা সুযোগ দেই। কন কি জানবার চান?
কিসমত – ?? না মানে বলছিলাম যে, আনা মানে আমি যদি আপনাকে দেখার পড় আপনার দুঃখটা না বুঝে বাড়ির লোকজনকে ডেকে আপনাকে ধরিয়ে দিতাম তখন আপনি কি করতেন?
চোর – কি আর করতাম? হয় জান- পরাণ লইয়া ভাগতাম আর নয়তো আফনে বেশি বাড়াবাড়ি করলে মানুষ আওনের আগেই কোমরের থেইকা ছুড়িডা বাইর কইরা আফনেড়ে ঘেচেং কইরা ঢুকাইয়া দিতাম।
কিসমত – নাউজুবিল্লাহ। ভাই চোর সাহেব, আপনি কি জানেন না যে মানুষ হত্যা হারাম কাজ?
চোর – আর আফনে মনে হয় জানেন না যে, জান বাঁচান ফরজ? কতায় আছে, চাচা আপনা প্রাণ বাঁচা। হের লাইগা আমিও নিজের জান বাঁচানের লাইগা আফনেরে মারলে আমার পাপ হইব না।
কিসমত এর গলা শুকিয়ে গেল চোরের কথা শুনে। সে শুকনো কাঁশতে লাগল। চোর দ্রুত নিজের কাজ বন্ধ করে কিসমতের মুখ চেপে ধরে বলল,
চোর – আরে মিয়া কাশতাছেন ক্যান? মানুষ জাইগা যাইব তো। আফনের কি পিপাসা পাইছে? একটু বাংলা দেমু? আমার কাছে জাফানি বাংলা মাল আছে??। আমার এক ডাকাইত বন্ধু দিছিল আর কইছিল হেয় নাকি আমার লাইগা জাফান থেইকা আনছে এইডা। খাইবেন একটু? দেই? গলাডা ভিজান, ভাল লাগব অনেক? দেমু একটু? হা করেন, ঢাইলা দেই।
কিসমত – ধুর মিয়া চোর সাহেব, কি যে বলেন এসব? আমি একজন পাক্কা মুসলমান, বড় শক্ত আমার ঈমান। আমি এইসব খাইনা বুঝলেন? ইসলামে এইসব খাবার হারাম। আপনিও পারলে ছেড়ে দেন। প্রয়োজনে মদের বদলে মধু কিনে খান। এতে নেই কোনো পাপ, নেই কোনো ক্ষতি কিন্তু আছে শুধুই উপকার।
চোর – হ ভাই, এইডা ঠিকই কইছেন কিন্তু অভ্যাস হইয়া গেছে তো তাই ছাড়বার পারিনা। তবে যাই হোক, আপনি যেহেতু আমারে এত উপকার করলেন, এত আদর আপ্যায়ন করলেন, নিজের মেহমান বইলা সম্মোদন করলেন তাই আপনার কথাখান রাখার চেষ্টা করুম। আস্তে আস্তে এই বাংলা খাওয়া ছাইড়া দেমু। কিন্তু ভাই, ইংরেজি খাওয়া যাইব তো? নাকি ঐডা খাইলেও পাপ হইব?
কিসমত – Oh no, no. বাংলা, ইংরেজি, আরবি, উর্দু কোনটাই খাওয়া যাবেনা কারণ, Haram is haram.
যেটা নিষেধ সেটা সব দেশেই নিষেধ এবং সব দেশের মুসলিমদের জন্যই নিষেধ।
চোর – ও আইচ্ছা, তাইলে আস্তে আস্তে ছাইড়া দেমুনে।
কিসমত – খুব ভালো। কিন্তু জনাব চোর ভাই, চুরি টা ছাড়া যায় না?
চোর এবারও অনেক ভাবগাম্ভির্জের সাথে বলল,
চোর – না, আগেই কইছি এইডা আমাগো খানদানী পেশা। এই কাম কিছুতেই ছাড়ন যাইব না। তাইলে পড়পাড়ে আব্বা-দাদারার কাছে মুখ দেখাইবার পারুম না। তাই এই রিকুস্টা দয়া কইরা কইরেন না।
কিসমত – আচ্ছা চোর সাহেব, আপনি বললেন আপনার বন্ধু জাপান থেকে আপনার জন্য বাংলা এনেছে। তা জাপানে কি বাংলাও বিক্রি হয়?
চোর – হ হয় তো। ল্যাংটাকাল থাইকাই তো দেখতাছি জাফানে বাংলা বেঁচে।
কিসমত – ল্যাংটাকাল থেকে মানে? আপনি কি ল্যাংটাকালে জাপান ছিলেন নাকি? তাহলে এই দেশে আসলেন কিভাবে?
চোর – আরে ভাই, আমার জন্মডাই তো জাফানে। জাফানে থাকমু না তো কই থাকমু? আর এই দেশে আইছি কেইমনে মানে? আমি তো এই দেশেরই পোলা। এইডা কি পাকিস্তান নাকি যে আমারে অন্য দেশ থাইকা এই দেশে আইতে হইব? ও বুঝছি, আফনে ঐ বিদেশী জাফানের কথা মনে করছেন? আরে না, আমি তো আমাগো গ্রাম জাফানের কথা কইলাম। আসলে আমাগো গ্রামের নাম জাফান গ্রাম।
চোর আর কিসমতের মধ্যে আরও অনেক কথা চলছে। আসলে কিসমত রাতে পানি খেতে নিলে দেখে ঘরে পানি নেই আর তাই রান্নাঘর থেকে পানি আনতে যেতেই কারো একটা ছায়া দেখতে পায় রান্না ঘরের দিকে যেতে। তাই কিসমতও ধীরে ধীরে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে আস্তে করে রান্নাঘরের আলোটা জ্বালিয়ে দেয় আর তখনই দেখতে পায় একটা লোক রান্নাঘরে কিছু খুঁজার চেষ্ঠা করছে কিন্তু হঠাৎ আলো জ্বলে ওঠায় সে ভয়ে ভয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই কিসমত লম্বা করে সালাম প্রদান করে লোকটার উদ্দেশ্যে। লোকটা তখন ভয়ে ভয়ে সালামের উত্তর দিয়ে দৌড় দিতে নিলে কিসমত দ্রুত তাকে ধরে ভয় নেই বলে আস্বস্ত করে। তারপর লোকটার সাথে কথা বলে জানতে পারে লোকটা একটা চোর। সে এখানে চুরি করতে এসেছে আর এসেই রান্নাঘর থেকে ভালো ভালো খাবারের গন্ধ পেয়েই আগে এসে এখানে ঢুকে খাবারের খুঁজে। তাই মেহমানপ্রিয় কিসমত চোরকে মেহমান বানিয়ে আপ্যায়ন করার জন্য নিজেই ফ্রিজ খুলে দিয়ে চোরকে নিজের পছন্দমতো খাবার বেছে নিতে বলে আর তারপর চোরের কাজ চোরে করে আর সেই সাথে কিসমত চোরকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। আর এদিকে চোর আর কিসমতের কথোপকথন শুনে আরিয়ান আর মাধূর্য নিজেদের হাসি কোনোভাবেই control করতে পারছিল না বলে আরিয়ান দ্রুত নিজেকে সামলে মাধূর্যর মুখ চেপে ধরে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায় আবার ছাদে। ছাদে গিয়ে মাধূর্যর মুখ ছেড়ে দিতেই মাধূর্য বড় বড় কয়েকটা শ্বাস ছেড়ে আরিয়ানের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকাতেই আরিয়ান হেসে ফেলে আর তার সাথে সাথে মাধূর্যও এতক্ষণ ধরে পেটের ভিতরে জমিয়ে রাখা হাসির বোমাটা ছেড়ে দিল। দুইজনেই হাসতে হাসতে কাহিল হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এভাবে হাসতে হাসতেই হঠাৎ মাধূর্যর হাসির দিকে ভালো করে খেয়াল করতেই আরিয়ানের মাধূর্যর প্রতি ঘোর লেগে যায়। সে ঘোর লাগানো দৃষ্টিতে মাধূর্যর দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে মাধূর্যর দিকে এগুতে লাগে। আরিয়ান মাধূর্যর অনেকটা কাছে চলে আসতেই মাধূর্যর হাসি বন্ধ হয়ে গেল। সে দ্রুত আরিয়ানের উদ্দেশ্যে বলল,
মাধূর্য – Ariyan, what are you doing? Please, এতটা কাছে আসবেন না আমার। Keep distance please Ariyan.
মাধূর্যর কথায় হুঁশ ফিরে আরিয়ানের। সে দ্রুত মাধূর্যর থেকে সরে গিয়ে অন্যদিকে ফিরে জোরে জোরে দুটো শ্বাস ছেড়ে কিছুটা গম্ভীর গলায় বলে ওঠল,
আরিয়ান – I am sorry Marine. I think, থোমার এবার নিজের ঘরে যাওয়া উছিথ। Please, get out from here and Leave me alone for a while. আমি এখানে খিচুক্ষণ এখা থাখথে ছাই।
মাধূর্য কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে নিশব্দে চলে গেল ছাদ থেকে। মাধূর্য চলে গেছে বুঝতে পেরে আরিয়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আকাশের চাঁদটার দিকে তাকিয়ে আনমনে বলে উঠল,
আরিয়ান – Good night Marine and sorry for my behavior.
কথাগুলো বলে আরিয়ান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আকাশের ঐ চাঁদটার দিকে তাকিয়ে থাকে। আর ঐদিকে কিসমতের ব্যবহার আর মেহমান দাড়িতে খুশি হয়ে চোর ঘরের কোনো জিনিসপত্র না নিয়ে কিসমতের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে আর প্রয়োজনমতো কিছু খাবার নিয়ে চলে যায় তবে কিসমত নিজের থেকে চোরকে তার হাতে থাকা একটা দামী বিদেশী ঘড়ি gift করে দেয়।
চলবে-