হলদে_প্রজাপতি পর্ব-৩২

0
213

#হলদে_প্রজাপতি
(প্রাপ্তমনস্কদের জন্য )
— অমৃতা শংকর ব্যানার্জি ©®

বত্রিশ

( আগের অধ্যায়গুলোর লিংক অধ্যায়ের শেষে দেওয়া হল)

পরের দিন সকালে মেলা গন্ডগোল । কমলাই প্রথমে আরম্ভ করেছিল । সুর করে ছিঁচকাঁদুনে গলায় ইনিয়ে বিনিয়ে নানা রকমের কথাবার্তা । কারণ দেখিয়ে, নিজের কোলে ঝোল টেনে। আমি যেহেতু বারণ করেছিলাম, টগর কিছুক্ষন চুপ করে ছিল। তারপরে কাক-চিল বসা দায় , এমন গলায় বোনকে সেকি গালমন্দ । টগরের ব্যাপারটা আমি বুঝি । খুবই বুঝি। বোনকে নিজের কাছে রাখতে গিয়ে সে পড়েছে মহা যাঁতাকালে। নিজের চাকরিটা না যায় । আমি যে খুব পাকা হাতে সমস্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পারি তা বলছি না । যেকোনো ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে পড়ে আমার মাথা যায় গুলিয়ে । তবে এখানে যে আমাকে খুব একটা কিছু করতে হলো, তেমনটা নয় । পরিস্থিতি নিজের চাহিদা মত গোটাটাই সাজিয়ে নিল। সেদিনের মধ্যেই কমলা চলে গেল আমার বাংলো ছেড়ে। তবে শিশিরের কিছু হলো না । সে দিব্যি রয়ে গেল। এই ব্যাপারে আমার একটা জেদ চেপে বসলো । যদি দোষ হয়ে থাকে, তবে একই দোষে দুজনেই দোষী । বরঞ্চ শিশিরের দোষ বেশি । সে বিবাহিত । স্ত্রী বর্তমান থাকতে সে স্ত্রীর অবর্তমানে এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়েছে। সেখানে কমলার স্ট্যাটাস , সে উইডো। কাজেই প্রতারণা যদি কেউ করে থাকে সে শিশির । অথচ, সমাজের বিচারব্যবস্থায় শাস্তি পায় মেয়েরাই। কমলা আমার কাছে বেশ ছিল, নিশ্চিন্তে ছিল । এই গন্ডগোলটা না পাকিয়ে ফেললে সে দিব্যি থাকতে পারত। এখন যখন গন্ডগোল পেকে গেছে, তখন কিন্তু কমলাকেই প্রথমে সরে পড়তে হলো । আর সমস্ত জেনেশুনে আমি ওকে রাখিই বা কি করে ? শেষকালে বড়োসড়ো রকমের গন্ডগোল কিছু একটা বাধলে আমার চাকরী নিয়ে টানাটানি পড়বে। শহুরে জায়গায়, কলকাতায় যেমন ঘরে ঘরে কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি, ওসব কেউ মাথাতেই রাখতে পারেনা । কিন্তু, এই সমস্ত জায়গায় এই ধরনের আচার মিশ্রিত খবর লোকে খুব তাড়িয়ে তাড়িয়ে খায় এবং ঢিঢি পড়তে বেশিক্ষণ টাইম লাগে না । তাই কমলাকে আমার কাছে রেখে দেওয়ার কথা তো ভাবিই নি, উল্টে বরঞ্চ নিজের মুখেই বলেছিলাম টগরকে, ও যেন সেদিনের মধ্যেই চলে যায় ।

মুশকিলটা বাধল শিশিরকে নিয়ে । মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত খচখচানি আরম্ভ হল কমলা চলে যাওয়ার পর থেকেই। শিশির দিব্যি বহাল তবিয়তে বিরাজমান থাকবে, মাঝখান থেকে কমলাকে চলে যেতে হল কেন? পুরুষতান্ত্রিক সমাজে স্ত্রী হয়ে জন্মানোর অপরাধটুকু ছাড়া বিশেষ কিছু অপরাধ ও তো করেনি, যা কিনা শিশিরের চেয়ে ওর অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই ঠিক করলাম, একটা ইমেইল আমি মালিকপক্ষকে অবশ্যই করবো। এই ব্যাপারে হয়তো তারা খুব বেশি মাথা ঘামাবে না । ব্যাপারটা নিয়ে কোনো ঝঞ্ঝাট হয়নি জানলে শিশিরকে রেখেই দেবে । বিশেষ করে আমার হাতে ঘটনার কোন প্রমাণ নেই । এরকম একটা ইমেইল পাঠিয়ে ঝামেলায় আমিও পড়তে পারি । তবুও পাঠাবো বলেই মনস্থ করলাম। একই দোষে বিচারের এতোখানি অসাম্যতা সহ্য হয় না। তবে, যেমনটা ভেবেছিলাম, ঠিক তেমনটা হল না। পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে কাজ হল। যদিও চাকরি গেল না, তবে শোকজ লেটার এল । যদিও অফিশিয়াল লেটার নয়। কারণ অফিশিয়ালি এই ঘটনার জন্য শোকজ করার কোনো উপায় ছিল না। আনঅফিসিয়ালি মালিকপক্ষের তরফে কমপ্লেনের একটা কার্যকারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল । আমি একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটনাটা ঘটার পর থেকেই লক্ষ্য করছিলাম । ঘটনাটায় শিশিরের কোনো হেলদোল নেই। যেন সে এই ব্যাপারে জড়িতই নয় । পরের দিন যখন পুরোদমে নাটক চলছে আমার বাংলোয়, তখন বাবুর টিকির দর্শন পাইনি একবারও । দিব্যি ভিজে বেড়ালটি সেজে নিজের ঘরটিতে ঘাপটি মেরে বসে ছিল । কিন্তু তারপরে যেই শোকজ লেটার এল, অমনি কি তড়পানি বাবুর ! তাকে নাকি ভীষণ অসম্মান করা হয়েছে , হ্যান-ত্যান , ইত্যাদি ইত্যাদি । যাকে বলে চোরের মায়ের বড় গলা। কিন্তু আসল সময়ে ইঁদুরের মতো ঘাপটি মেরে লুকিয়েছিল গর্তে, পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাহস পায়নি । তখনকার মত বাধ্য হলো বটে শোকজ লেটারের একটা জবাব দিতে , তবে সে তক্কে তক্কে ছিল অন্য চাকরির। অন্য একটা চাকরি পেয়েও গেল মাস দুয়েকের মধ্যে । চলে গেল আমার টি এস্টেটের চাকরি ছেড়ে । বাঁচলাম হাঁপ ছেড়ে । সত্যি কথা বলতে কি, ‘শিশির’ -এই একজন মানুষ , যার সাথে এখানে এসে থেকে আমার কোন মানসিক সেতু তৈরি হয়নি । ও ছাড়া আর যে কটা মানুষকে নিয়ে এখানকার আমার বাড়িয়ে গুছিয়ে সংসার করা, সেই সংসারে সকলের সঙ্গেই কমবেশি মানসিক বন্ধন তৈরি হয়েছে ।

শিশির চলে যাওয়ার পরে যে ছেলেটি আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে এখানে জয়েন করেছে , তার নাম মৃন্ময় । ছেলেটির বয়স শিশিরের থেকে কম । পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের একটি ছেলে , মাঝারি হাইট, মাঝারি দেখতে । তবে শিশিরের মত গায়ে পড়ে উপদেশ দেওয়ার কোন ইচ্ছাই সে দেখায় না। কাজটুকু করে । বাড়তি আগ্রহ তার নেই । এই ভালো হয়েছে । শিশির আমার এখান থেকে না যাওয়া পর্যন্ত আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না । যদিও সে অন্য চাকরি জুটিয়ে নিয়েছে , সেখানে গিয়ে সে অনুরূপ কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারে আবার ভবিষ্যতে । তবে কমলাকে যে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হল, অথচ শিশির এখানেই রয়ে গেল – এটা আমার যথেষ্ট বিবেক দংশনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ।

এখন মে মাস চলছে। খুব গরম পড়েছে। এখানেই এই রকম গরম মানে, আন্দাজ করতে পারি কলকাতার দিকে বা দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় কি অবস্থা । বছর ঘুরে গেছে আমার এখানে আসা। বাবা-মাকে একবারও নিয়ে আসা হয়নি । বাবার টুকটাক শরীর খারাপ লেগেই ছিল । আর এদিকের ব্যাপার-স্যাপার সম্পূর্ণভাবে বুঝে ওঠার আগে বাবা-মাকে নিয়ে আসার ভরসা পাচ্ছিলাম না । এখন যেহেতু মোটামুটি বোঝাবুঝি হয়ে গেছে , আর হাতের কাছে একজন ডাক্তার রয়েছেন এবং তার সঙ্গে আমার যথেষ্ট সুসম্পর্ক , ডাকলেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি এসে হাজির হতে পারেন , সেহেতু বাবা-মাকে নিয়ে আসার ভরসা পেলাম ।

সেদিন ছিল শুক্রবার। ঈদের ছুটি পড়েছে পরপর দু’দিন। তারপরের দিন রবিবার । পরপর তিনদিন ছুটি । সেইমতো দেখেই শুক্রবারে বাবা-মাকে আসতে বলেছিলাম । বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেনে এলে শুক্রবার সকালেই এখানে পৌঁছে যাবে । সেই দিনটা সারাদিন, তারপরের দুটো দিন আমি ঝাড়া হাত-পা হয়ে বাবার সাথে গল্প করতে পারব । উফ্, কতদিন বাবার সাথে চুপটি করে বসে কথা বলা হয় না । পুজোর সময় কটা দিন বাড়ি গিয়েছিলাম বটে, কিন্তু তখন তো পুজোর শোরগোল একটা ছিলই, বাবার সাথে প্রাণ ভরে গল্প করা হয় নি।

আমি জগন্নাথদার সাথে গেছিলাম বাবা-মাকে স্টেশন থেকে নিয়ে আসার জন্য । এনজিপি স্টেশনে গিয়ে কিছুক্ষণ ওয়েট করতে হলো । মিনিট পনেরো আগে পৌঁছেছিলাম । ট্রেন মোটামুটি রাইট টাইমেই ছিল । মোবাইল অ্যাপ থেকে ট্রেনের টাইমিং মোটামুটি চেক করে নিয়ে বেরিয়েছিলাম বাড়ি থেকে। প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম । ট্রেন থেকে নেমে বাবা-মা আমাকে দেখে প্রাণ জুড়ানো হাসি হাসলো । এ হাসি মূল্যহীন , এ হাসি অমূল্য ! দেখি গতবার পুজোয় আমার দেওয়া সবুজ সফট সিল্ক এর শাড়িটা পরেছে মা । সঙ্গে লাগেজ যা কিছু ছিল, জগন্নাথদাই মোটামুটি সবকটা বয়ে নিয়ে চলল । আমি শুধু একটা ব্যাগ নিলাম । গাড়িতে এসে উঠলাম । গাড়ি স্টার্ট দিল ।

যত চা-বাগানের বুক চিরে গাড়ি এগোতে লাগলো, তত লক্ষ্য করছিলাম বাবার মুখের মধ্যে একটা ছেলেমানুষির ভাব ফুটে উঠছে । যেন গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলে এখনি বাচ্চাছেলের মতো মাঠ-ঘাটের মধ্যে দিয়ে ছুটে বেড়াবে। বুঝতে পারছিলাম অনেকদিন পর ওই খুপরি ফ্ল্যাটবাড়িটা থেকে বার হয়ে আসতে পেরে বাবা যেন মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। যখন বাংলোর সামনে গাড়ি এসে দাঁড়ালো , তখন বাবা সারারাতের জার্নির পরেও বেশ অনেকক্ষণ ধরে আমার বাংলোর চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখল ।
আমাদের গাড়িটা এসে দাঁড়াতেই ভেতর থেকে টগর ছুটে এসে , ওমা মাসিমা-মেসোমশাই চলে আইলেন! কি ভালো , কি ভালো । থাকেন একেনে, আমার হাতে রান্ধা খান-
বলে ঢিপ ঢিপ করে দুখানা প্রণাম করলো । মা টগর এর সঙ্গে ঢুকে পড়ল বাংলোর ভেতরে । আমি বাবার সঙ্গী হলাম।
বাবা কিছুটা করে ঘুরে দ্যাখে, আর আমায় বলে , এতদিন শুধু ফোনেই শুনতাম রে তরু। নিজের চোখে সব দেখে বড্ড ভালো লাগছে। খুব ভালো করেছিস এখানে চাকরি নিয়ে এসে । প্রকৃতির মাঝে থাকার একটা আলাদা স্বাদ । সে স্বাদ কি আর কোনদিন ঘিঞ্জি শহরে থেকে পূরণ হবার ।
কিছুক্ষণ ঘোরার পরে বললাম, এবার চল বাবা , ফ্রেশ হয়ে নাও । খাওয়া-দাওয়াও তো করতে হবে । এখন তো এখানে থাকবে তোমরা । সব দেখা কি আজকেই দেখে নিলে হবে? পরে তোমাকে তাহলে আর দেখাবো কি ?
— দেখার জিনিসের কি আর অভাব আছে রে মা ? শুধু দেখার চোখ আর মন থাকতে হয়। একই জিনিস যতবার দেখবো, ততবার অন্যরকম করে দেখা যায়।
বাবার এইসব গভীর উপলব্ধির কোন উত্তর দিতে পারি না । শুধু, ভীষণ ভালো লাগে শুনতে।

ভাতের পাতে টগর সেদিন অনেক কিছুই রান্না করেছিল । তার সাথে ছিল দই বোরোলি। বিশেষভাবে বাবা-মায়ের জন্যই জগন্নাথদাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম উত্তরবঙ্গের বিশেষ সুস্বাদু এই মাছ জোগাড় করে আনার জন্য । বাবা বিশেষ জায়গার বিশেষ মেনু খেতে খুব পছন্দ করে। অল্প খায় , কিন্তু খুব তৃপ্তি করে খায় । আজকেও খেল । মা খাবার টেবিলে বসে টগরের বেশ প্রশংসা করল । ঘরদোর গুছিয়ে রাখা, রান্নাবান্না করার , সব কিছুরই প্রশংসা করল। মা বেশ খুঁতখুঁতে মানুষ । চট করে কারো প্রশংসা মোটেই করেনা । করল মানে সত্যি করেই ভালোলেগেছে যে বুঝতে পারলাম ।

বিকেল বেলার রোদ পড়ে আসার পরে বাবার সঙ্গে বেরোলাম চারপাশটা বাবাকে ঘুরিয়ে আনার জন্য । বাবা আজকাল আর বেশি হাঁটতে পারে না । একটুখানি হেঁটেই হাঁপিয়ে পড়ে। তবুও সন্ধ্যা হওয়ার পরেও বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঘুরলো চারপাশটা ।

বাংলোয় ফিরে এসে সন্ধ্যের চা পর্ব শেষ করে বাপ-বেটিতে দুটো চেয়ার নিয়ে গেলাম ছাদে । অনেকক্ষণ ধরে বাবার সাথে বসে আগের মতো গল্প করলাম । মনে হল যেন মাঝখানে অনেকটা সময় কেটে গেছে। বাবা আমার ছাদের সিঁড়ির পাশে ছোট্ট ঠাকুর ঘরটায় বেশ কিছুক্ষণ বসে থেকে নীল আলোয় আমার ঠাকুরকে দেখলো । ঠাকুর ঘর থেকে বেরিয়ে আবার দুজনে মিলে ছাদে বসে গল্প আরম্ভ করলাম । বাবাকে যদিও সবকিছুই ফোনে বলেছি, যা যা বলা যায় , তবুও বাবা আমার এখানকার জগৎ সম্পর্কে, চাকরি সম্পর্কে, আমি ভবিষ্যতে এখানেই থাকার কথা ভাবছি কিনা, কিংবা অন্য কিছু হলে সেটা কিরকম, সমস্ত কিছু সম্পর্কে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নিল। বাবার সামনে বসে এই কথাগুলো বলতে পারলে আমার যেন মনে হয় শুধু আলোচনাই করছি না , এই আলোচনার মাধ্যমে আমি যেন নিজের মনটাকে পড়ে নিচ্ছি । মনের মধ্যে যে যে ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে, বাবার সঙ্গে আলোচনায় তার অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যায় । যেটা কখনোই ফোনে কথা বলে সম্ভব হয় না । রাতের খাবার দিয়ে ডাকার আগে পর্যন্ত বাপ-বেটিতে মুখোমুখি বসে গল্প করলাম । কী ভাল যে লাগলো ! এ যেন এক শীতল স্পর্শ, প্রাণ স্নিগ্ধকর !

কথার মাঝে বাবা হঠাৎ করে জিজ্ঞাসা করলো, তোর মেয়ে কই? তাকে তো আজকে একবারও দেখলাম না –
— আমার মেয়ে !
অবাক হলাম বেশ ।
— হ্যাঁ , পাতা রে , পাতার কথা বলছি ।
হেসে ফেললাম।
— তুমি এমন করে বল না, বাবা ?
— বা রে , ও তো তোরই মেয়ে । তোর কথা শুনে বুঝিনা বুঝি আমি ?
— তাই বলে কি সব কিছুর ওপর অধিকার জন্মে যায় ?
— সবকিছুর ওপর জন্মায় কি বলেছি ?
বললাম , সে কালকে আসবে। আজকে তোমরা আসছো বলে একটা দিন আসতে বারণ করেছিলাম। তোমরা হয়তো টায়ার্ড থাকবে , তাই আর কি ।
— কালকে আসবে তো ? ব্যাস ব্যাস, তাহলেই হবে।
চুপ করে রইলাম কিছুক্ষন দুজনেই।
তারপর বাবা বলল , আর ডাক্তারবাবু ? তাকে ডাকবি না ?
বাবার মুখে হঠাৎ করে ইন্দ্রাশিষ বাবুর কথা শুনে হালকা সুগন্ধি লিকার চা এর আমেজের মতো একটা শিরশিরে লজ্জা আমার শরীর বেয়ে খেলা করে গেল । কেন জানিনা, কেন বুঝিনা । তিনি তো আমাকে তেমন করে কখনো কিছু .. । তবে কি আমারই .. ? না, তেমনটাও তো ঠিক নয়। তবে কি জানিনা । বাবার মুখ থেকে চোখ নামিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে বললাম,
— তিনি তো খুব ব্যস্ত মানুষ। হয়তো আসতে পারবেন না ।
— বলে দ্যাখ , যদি কাল আসে -। একসাথে না হয় দুপুরের ভাত খাওয়া যাবে ।
অল্প হেসে বললাম , আচ্ছা আমি না হয় ফোন করে দেখবো ।
বাবা চোখ দুটোকে সরু করে সামনের দিকে কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল । বাবার এই দৃষ্টির মানে আমি জানি । কিছুই দেখছে না ঠিক, মনের অতলে ডুব দিয়েছে । কি জানি কি ভাবছে বাবা।

ক্রমশ..

©®copyright protected

এক-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/978775899579141/

দুই-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/980083989448332/

তিন-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/981378992652165/

চার-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/983543179102413/

পাঁচ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/986002805523117/

ছয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/987404668716264/

সাত-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/989485091841555/

আট-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/991102821679782/

নয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/993099491480115/

দশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/994279738028757/

এগারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/995634347893296/

বারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/998832147573516/

তেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1000733104050087/

চোদ্দো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1002718000518264/

পনেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1004549847001746/

ষোল-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1007202950069769&id=248680819255323
সতেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1009015169888547/

আঠারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1011129543010443/

উনিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1013312572792140/

কুড়ি-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1015118655944865/

একুশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1017814589008605/

বাইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1019125995544131/

তেইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1021798458610218/

চব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1024967944959936/

পঁচিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1031476470975750/

ছাব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1034632350660162/

সাতাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1038754843581246/

আঠাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1046967802759950/

উনত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1048831039240293/

ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1051696202287110/

একত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1053606998762697/

ছবি : সংগৃহীত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here