হলদে_প্রজাপতি পর্ব-৪৮ শেষ পর্ব

0
812

#হলদে_প্রজাপতি
(প্রাপ্তমনস্কদের জন্য )
— অমৃতা শঙ্কর ব্যানার্জী ©®

আটচল্লিশ / অন্তিম অধ্যায়

( আগের অধ্যায়গুলোর লিংক অধ্যায়ের শেষে দেওয়া হল)

প্রায় আধঘন্টা সময় কেটে গেছে । ঘরের মধ্যে আমি আর ইন্দ্রাশিষ বাবু বসে রয়েছি । কথা আরম্ভ করতে পারিনি । হয়তো দুজনের কেউই কিভাবে আরম্ভ করা যায় ভেবে পাচ্ছি না ।
বান্টি বলেছে , তোরা দুজনে বসে কথা বলে নে। আমি পাতাকে নিয়ে বাইরে যাচ্ছি।

কোথা থেকে যেন অনেক কিছু ঘটে গেল হঠাৎ করেই । ছাদে ঘুরছিলাম । সন্ধ্যা ঘনাচ্ছিল । হঠাৎ করেই বান্টি এল । সঙ্গে ইন্দ্রাশিষ বাবু, পাতা । পাতা প্রায় ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল । চোখ দুটো ছল ছল করছিল ওর ।
বুকের কাছে মুখ এনে বলল , মণি তুমি এখান থেকে চলে যাবে ?
আমারও দুচোখ ভরে জল এসেছিল । দুই হাতে ওকে জড়িয়ে নিয়ে বলেছিলাম, চলে যাব তাতে তোর কি? তুই তো আর আসিস না আমার কাছে !
— এইতো এসেছি মণি ।
আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিলাম আমি পাতাকে । জড়িয়ে আছি পরের ধন । সেও আমায় জড়িয়ে আছে । কে আপন কে পর, কে জানে ! মায়ার পৃথিবী ।
টগর ব্যাপার-স্যাপার দেখে খুব খুশি। কলকলিয়ে অনেক কথা বলছিল । যার সারমর্ম দাঁড়ায়, ডাক্তারবাবু আর পাতা চলে এসেছে । দিদি আর যাবে না ।
যেটুকু যা বুঝলাম , আমি যখন বাবার অসুস্থতাজনিত এবং তার পরবর্তী সময়ে বেশ অনেকগুলো দিন কলকাতায় ছিলাম, তখন বান্টি এসে টগরের কাছেই এই সমস্ত ইনফরমেশন কালেক্ট করেছে , আমার সঙ্গে যে ইন্দ্রাশিষ বাবুর একটা বিয়ের কথাবার্তা চলছিল ।
ঝাঁঝালো গলায় বলে উঠল , ঘরের ভেতরে চল্ । এখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলে চলবে না । কথা আছে তোর সঙ্গে ।

ঘরের মধ্যে ঢুকে এলাম পাতাকে সঙ্গে নিয়ে।

— ইন্দ্রদা এসো ।
বলে বান্টি ঘরে এসে ঢুকলো। ইন্দ্রাশিষ বাবু এলেন পেছনে পেছনে । বিছানার কোণের দিকে আমি পাতাকে নিয়ে বসলাম । বান্টি আমার সামনে বিছানাতেই বসলো । ইন্দ্রাশিষ বাবু ঘরে ঢুকে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসলেন ।
বান্টি বার দুয়েক আমার আর ইন্দ্রাশিষ বাবুর ভাবগতিক দেখে নিয়ে পাতাকে বলল , পাতা তুমি মণিকে যেতে দেবে এখান থেকে ?
পাতা একবার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে নিয়ে বান্টিকে বলল মণিকে এখান থেকে যেতে বারণ করলে কি মণি শুনবে আমার কথা ?
— শুনবে কিনা সেটা আমি দেখছি । তুমি শুধু বলো , যেতে দিতে চাও কিনা ।
পাতা আমার গায়ের উপর ঝুঁকে পড়ে গলার কাছে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল , মণি এখানেই থাকবে , কোথাও যাবে না ।
তারপর ওরা দুজনে মিলেই কলবল্ করে অনেক কথা বলছিল । আমি আর একজন চুপ করে বসেছিলাম ।
একসময় বান্টি বলল , তাহলে বুঝলি তো তরুদি , পাতা যখন তোকে যেতে দেবে না , তখন এখান থেকে তোর কিছুতেই যাওয়া চলবে না । এখানেই তোকে থাকতে হবে ।
আমি মিনমিনে গলায় বললাম , আমি ওদের মেইল করে দিয়েছি।
— ইমেইল করেছিস ? রিজাইন করে দিয়েছিস অলরেডি ?
আমতা আমতা গলায় বললাম, না তা ঠিক নয় –
— তাহলেও ঠিক ছিল , বুঝলি ? তুই রিজাইন করে দিলেও সেটাকে কিভাবে কি ম্যানেজ করা যায়, সে ব্যবস্থাও আমি করতাম । যাক্ গে যাক্ । করিস তো আর নি । এখন কথা হচ্ছে , তোর এখান থেকে কিছুতেই যাওয়া হবে না। বাকি ব্যবস্থা আমরা সবাই মিলে করব।
— বাকি ব্যবস্থা ?
— সেটা তোকে আমি বুঝিয়ে বলবো। এখন আগে তোরা দুজনে মিলে চুপচাপ বসে এখানে একটু কথা বল্ ঠান্ডা মাথায় । আমি পাতাকে নিয়ে যাচ্ছি । কিছুক্ষণ পরে আসবো ।
এই বলে বান্টি পাতাকে নিয়ে বেরিয়ে গেছে ।

বসে আছি নির্বাক । মুখ নিচু । নখ খুঁটছি । তাকাচ্ছি না ওনার দিকে মোটেই । তবে বুঝতে পারছি উনি মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিচ্ছেন । ঘরের মধ্যে আমরা দুজন । দুজনের কেউই কোন কথা বলছি না। পরিস্থিতি যথেষ্ট অস্বস্তিকর । সেটা বুঝতে পেরে বেশ কিছুক্ষণ পর উনি গলা খাঁকারি দিলেন ।
বললেন , ইয়ে .. মানে ..
আমি চোখ তুলিনি । নখ খুঁটেই চলেছি ।
গলা খাঁকারির কম্পাঙ্ক মিলিয়ে যেতে তিনি বললেন , একটা কথা .. মানে ইয়ে ..
আমি চুপ করে আছি , তাকাইনি ।
তিনি বললেন , ইয়ে মানে .. এই চাকরিটা রিজাইন করে চলে যাওয়া কি খুব প্রয়োজন ?
চোখটা অর্ধেক তুললাম । ওঁর পায়ের পাতাদুটো দেখতে পাচ্ছি ।
বললাম , এখানে থাকার আর খুব একটা প্রয়োজন দেখতে পাচ্ছি না ।
তিনি বললেন , প্রয়োজন কি কখনো জানতে চেয়েছ ?
অল্প শিহরণ লাগলো গলায় । বললাম , এসব জানতে চাইতে হয় না । জানা যায় ।
— জানায় তো ভুল থাকতে পারে ।
এবার চোখ তুলে তাকালাম সরাসরি। বললাম , কিরকম ভুল শুনি –
— সবাই হয়তো সবকিছু গুছিয়ে বলতে পারে না বা কাজ করতে পারে না । তার জন্য অনেক কথার বা কাজের ভুল মানে হয়ে যায় ।
ভুরু কুঁচকে তাকালাম ।
তিনি বললেন , আমি সত্যি করেই অগোছালো মানুষ । সেদিন কি বলতে কি বলেছিলাম কে জানে ! হয়তো তার অন্যরকম মানে দাঁড়িয়েছিল । কিন্তু , আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে গেছি যাতে ট্রানস্ফারটা আটকানো যায় ।
একটা ছোট দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বললেন, এখানে থাকতে চাওয়ার মূল উদ্দেশ্যই ছিল পাতা যেন তোমার সান্নিধ্য পায় । তোমার সান্নিধ্যেই ও বড় হয়ে ওঠে –
ঘাড় হেঁট করে মেঝের ওপর চোখ স্থির রেখে বললেন , আমি নেহাত গুছিয়ে কিছুই করতে পারি না । কথা বলতে পারি না। তা না হলে, তোমায় আগেই বলতাম । হয়তো মেসোমশাইকে এ প্রস্তাব তুলতে হতো না ।
বাবার কথায় আমার দুচোখ ভরে জল এলো । অভিমান হল বড় ।
বললাম , বাবা চলে যাওয়ার এত বড় খবরটা শুনেও তো কই একদিনও আসেননি ?
আমার চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে তিনি বললেন, আমি খুব অগোছালো বটে, তবে এতটা ইন্সেন্সিটিভ নই । তুমি এখানে কবে ফিরে এসেছো, সবই জানি । আমি পাতাকে নিয়ে তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসতাম । কিন্তু বান্টি -, ওই আমাকে বলেছিল – , যাকগে ছাড়ো । ওর কাছে ইন ডিটেলস শুনে নিও । কিন্তু তার জন্য আমাকে ভুল বুঝো না । বান্টি বলেছিল , তোমার সঙ্গে কথা বলে, তোমার মেন্টাল হেলথ , পালস এ সবকিছু বুঝে নিয়ে তারপর আমাকে দেখা করতে বলবে তোমার সঙ্গে । আর সত্যি কথা বলতে কি , সেদিনের ঘটনার পরে আমি একটু ঘাবড়ে গেছিলাম । তোমার পালস কিছু ফিল করতে পারছিলাম না ।
তীরের মত কথাগুলো বেরিয়ে এলো আমার গলা চিরে ।
বললাম , মাত্র এই কটা দিন ! তার মধ্যেই আমাকে এতটা দূরে সরিয়ে দিয়েছেন ! পাতাকে তো আসতে দিতে পারতেন !
উনি কোন উত্তর দিলেন না । চুপ করে রইলেন । তারপর উঠে এসে বিছানায় আমার পাশে বসলেন ।
আমার কোলের ওপর জড়ো করে রাখা হাত দুটোর ওপরে ডান হাতটা রেখে বললেন , আমি অত কিছু গুছিয়ে তোমায় বলতে পারব না । তুমি চলে যেও না । পাতা তোমারই মেয়ে । আমার চেয়েও ও তোমায় বেশি ভালোবাসে ।
অনেকক্ষণ দুজনেই চুপ করে বসে রইলাম । কিছুক্ষণ পরে উনি হাতটা সরিয়ে নিলেন ।
বেশ কিছুক্ষণ পর বললাম, মনে আছে একদিন বলেছিলেন আমায় , শুধু পাতার জন্যই আপনার জীবনে একজন মানুষকে আনাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে ?
এতক্ষণে অল্প হাসলেন তিনি । বললেন , আমার কথাটা না হয় পরে শুনো । এখন পাতার কথা শুনেই আপাতত এখান থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা ক্যানসেল করো ।

*****************************************

এরপরে কিভাবে যেন দ্রুত অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেল জীবনে ! এখন মাঘের শেষ । আর কিছুদিন পর অশোক, পলাশ , শিমুলের রমরমা শুরু হবে। আমের মুকুল ধরবে ..
আমি বাবার যত্ন করে গুছিয়ে রাখা সেই টুকটুকে লাল বেনারসি শাড়িটা পরে বসে রয়েছি রংচটা ছোপ ছোপ শ্যাওলা ধরা একতলা কোয়ার্টারটার একটা ঘরে । দুই ভ্রুর মাঝখানে লাল টিপের চারপাশে চন্দনের কলকা । এখন রাত এগারোটা । রেজিস্ট্রি হয়েছে আজকে আমাদের । পাতা অনেকখানি ঘের দেওয়া একটা হলুদ রঙের গাউন টাইপের ফ্রক পরেছে । হলুদ একটা পরীর মতো লাগছে ওকে । ওর পিসি , কাকি , ইত্যাদি আরো কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন বাড়িতে ভিড় করে । ওকে এই ঘরে ঢুকতে বারণ করেছেন । দরজার চৌকাঠের কাছে দাঁড়িয়ে জুলজুল করে তাকিয়েছিল আমার দিকে । আমি হাত নেড়ে ভেতরে ডাকলাম । গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসে আমার কোল ঘেঁসে দাঁড়ালো । আমি ওকে বুকে জড়িয়ে নিলাম । বাবার মুখটা ভেসে উঠলো চোখের সামনে । আর তখনই অদ্ভূত এক উপলব্ধিতে সারাটা দেহ-মন ভরে উঠলো —

স্পষ্ট দেখতে পেলাম, এই পৃথিবী জুড়ে জেগে থাকা বা চিরকালের মতো ঘুমের দেশে চলে যাওয়া মানুষগুলোর সকলের গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্ন হলুদ প্রজাপতির মতন ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে যত্রতত্র । গুটির মধ্যে দীর্ঘদিন বন্দী থাকার পর, কোনো একসময় টুক্ করে কোকুনের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে হলুদ ডানা মেলে ধরেছে আকাশের বুকে.. বাতাসের খাঁজে । তার মধ্যে কত স্বপ্ন চিরদিনের মতো হারিয়ে যায় ! আবার, কিছু ঠিক পাতা’র মতো ছোট্ট হলুদ পরীর বেশে লালিত হচ্ছে মনের এক চিলতে কুটিরে । ‘ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশা’ । মনে মনে বললাম , বাবা তোমার দেখা হলুদ স্বপ্নটাকে আজ আমি ছুঁয়ে রয়েছি দ্যাখো । আঁকড়ে ধরে রয়েছি । জড়িয়ে রয়েছি । হু হু করে কোথা থেকে অনেকটা জল ঠ্যালা মেরে বেরিয়ে এলো স্বপ্নজগতের কুঠুরি থেকে । গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো আমার পাতা’র পিঠে ..

কাঁধের কাছে হাতের উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে জল-ভরা চোখ তুলে তাকালাম । দেখলাম , ও কখন নিঃশব্দে এসে দাঁড়িয়েছে । চোখে চোখ আটকে গেল । পেলাম কিছু ? বোধহয় পেয়েছি । ভরসা ..! ভরসা রয়েছে সেখানে ।

সমাপ্ত

©®copyright protected

এক-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/978775899579141/

দুই-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/980083989448332/

তিন-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/981378992652165/

চার-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/983543179102413/

পাঁচ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/986002805523117/

ছয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/987404668716264/

সাত-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/989485091841555/

আট-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/991102821679782/

নয়-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/993099491480115/

দশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/994279738028757/

এগারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/995634347893296/

বারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/998832147573516/

তেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1000733104050087/

চোদ্দো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1002718000518264/

পনেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1004549847001746/

ষোল-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1007202950069769&id=248680819255323
সতেরো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1009015169888547/

আঠারো-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1011129543010443/

উনিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1013312572792140/

কুড়ি-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1015118655944865/

একুশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1017814589008605/

বাইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1019125995544131/

তেইশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1021798458610218/

চব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1024967944959936/

পঁচিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1031476470975750/

ছাব্বিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1034632350660162/

সাতাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1038754843581246/

আঠাশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1046967802759950/

উনত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1048831039240293/

ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1051696202287110/

একত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1053606998762697/

বত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1060747584715305/

তেত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1064517157671681/

চৌত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1073169890139741/

পঁয়ত্রিশ-
https://www.facebook.com/248680819255323/posts/1075303099926420/

ছত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1077175089739221&id=248680819255323

সাঁইত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=426810745740602&id=100052350402509

আটত্রিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=431076141980729&id=100052350402509

উনচল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=435617384859938&id=100052350402509

চল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=440158787739131&id=100052350402509

একচল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=444880253933651&id=100052350402509

বিয়াল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=448896420198701&id=100052350402509

তেতাল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=457879069300436&id=100052350402509

চুয়াল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=461688418919501&id=100052350402509

পঁয়তাল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=466038405151169&id=100052350402509

ছেচল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=472850991136577&id=100052350402509

সাতচল্লিশ-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=476712210750455&id=100052350402509

ছবি : সংগৃহীত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here