Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ১০
#আবির হাসান নিলয়
অনেক কষ্টে জান্নাতকে টেনে নিয়ে এসে
বেঞ্চটাতে বসালাম।বসার পর জেনো কোনো
ভাবে উঠে না যায় সে জন্য কাদে হাত দিয়ে
আমিও ওর পাশে বসলাম।
জান্নাতঃকাদে থেকে হাত সরা শুয়োরছানা?
আমিঃসরানোর পর উঠবি না বল
জান্নাতঃআমার ইচ্ছা,আমার লাইফ আমার
যা ইচ্ছা তাই করবো।
আমিঃতাহলে হাত সরাচ্ছি না জানু
জান্নাতঃহাত সরা কুত্তা?
ঝাড়ি দিয়ে হাত সরিয়ে দিলো।
আমিঃকিরে,এমন করছোস কেন?
জান্নাতঃতুই কে?তোর মাথায় ভুত চাপে?
আমিঃভুত চাপবে কেনো?
জান্নাতঃতো তুই রাতের বেলা খাবার নিয়ে
গেছিলি কেনো?
আমিঃআমি কেনো খাবার নিয়ে যাবো?
জান্নাতঃদেখ ফাজলামি করবি না
আমিঃফাজলামি কই করলাম?
জান্নাতঃআমি জানিনা কোনটা আন্টির করা
রান্না?ছ্যাঁচড়ামি বাদ দে।
আমিঃছ্যাচড়ামি তুই বাদ দে,তুই জানার
পরেও ঢং করছিলি কেনো?
জান্নাতঃআমার ইচ্ছা
আমিঃআমারো ইচ্ছা
জান্নাতঃতুই যা এখান থেকে
আমিঃতোর বাপের জায়গা এটা?
জান্নাতঃতোর বাবার জায়গা?
আমিঃহো আমার বাপ এটার মালিক
জান্নাতঃতোফ বাপের জায়গা তুই থাক,আমি
নিজেই চলে যাই ?
আমিঃএই না..তোমার সাথে কথা আছে
জান্নাতঃআমার নেই
আমিঃশোনোই না
জান্নাতঃকোনো দরকার নেই
আমার থেকে উঠে চলে যাবে তখন বললাম…
আমিঃআমরা এখান থেকে চলে যাচ্ছি
হাটা অবস্থায় থাকলেও আমার কথা শুনে
দাঁড়িয়ে আমার দিকে ফিরলো।কিছু বলার
আগে আমি নিজেই বললাম….
আমিঃনিলুর এক্সাম শেষ হলেই সবাই চলে
যাবে।কিন্তু সবাই আমার কাছে একটা
রিকুয়েস্ট করছে।যে রিকুয়েস্ট শুধুমাত্র তুই
পূরণ করতে পারবি।
জান্নাতঃকি?
আমিঃবস এখানে প্লিজ?
জান্নাতঃহু,এখন বল কি রিকুয়েস্ট
আমিঃউনারা তোকেও নিয়ে যেতে চায়,মানে
তোকে উনারা নিজের ছেলের বউ করতে চায়
জান্নাতঃ…….
আমিঃআমি জানি তুই এখনো ভয় পেয়ে
আছিস।আমি নিজেও ভয় পেতাম।কারণ
আমি কোনোভাবেই চাই না,আমার জন্য
আমার পরিবারের কারো কোনো ক্ষতি হোক
জান্নাতঃসেই জন্যই আমি তোর জীবনে আর
কখনো যেতে চাই না।
আমিঃআমি ভিতু বলে?
জান্নাতঃনা,কারো যেনো ক্ষতি না হয় তাই।
আমিঃএখন কারোর কিছুই হবে না।
জান্নাতঃতোর প্রতি আমার আর কোনো
ভালোবাসা নেই
আমিঃতাহলে এখনো কেনো তোর ফোনের
ওয়েলপেপারে আমার ছবি দেয়া
জান্নাতঃআ..আমার ফোনে থাকবে কেনো
আমিঃদেখেছি আমি
জান্নাতঃভালো করছিস
আমিঃবিয়ে করবি না?
জান্নাতঃনা
আমিঃভালোও বাসিস না?
জান্নাতঃকিছুই করি না।
আমিঃসত্যি?
জান্নাতঃহুম
আমিঃযা মিথ্যুক
জান্নাতঃভাগ?
উঠে চলে যেতে লাগলো,কিন্তু কি মনে করে
আমার কাছে এসে ধুমধাড়াক্কা মাইর দিয়ে
চলে গেলো।জান্নাতের মাথায় ছিট আছে
তা আমি এমনি এমনি বলি না।কুত্তীটা ভালো
করে কথা বলতে তো পারেই না।আবার কিছু
জিজ্ঞাস করলেও সেটার ত্যাড়া উত্তর দিবে।
জান্নাত চলে যাওয়ার সেখানে অনেকটা
সময় বসে রইলাম।ক্লাস শুরু হওয়ার আগ
অবধি সেখানে বসে আমাদের আগের দিনের
কথা ভাবতে লাগলাম।এসব ভাবতে ভাবতে
মুচকি হেসে দিলাম।
*********অনেকটা দিন পর**********
বাসস্টপে বসে আছি তখন দেখলাম জান্নাত
রিক্সা করে কোথায় যাচ্ছে।আমাকে দেখে
রিক্সা থেকে নেমে কাছে আসলো।যদিও
ভাব দেখিয়ে আমাকে কিছুই বলছে না।তাই
বাধ্য হয়ে আমি নিজেই বললাম।বলে রাখা
ভালো এখন কথা বলার সময় আমরা একে
অপরকে আপনি করে সম্বোধন করি।
আমিঃকোথায় যাচ্ছিলেন?
জান্নাতঃআপনাকে বলতে যাবো কেনো?
আমিঃতাহলে আমার কাছে আসলেন যে?
জান্নাতঃসে তো আমার ইচ্ছা,রিক্সা করে
যেতে ভালো লাগছে না।তাই এখন বাসে
করে যাবো ভাবছি।
আমিঃওহ আচ্ছা
জান্নাতঃআপনি এখানে কেনো?
আমিঃএকজনের জন্য অপেক্ষা করছি
জান্নাতঃকে গার্লফ্রেন্ড?
আমিঃহুম অনেকটা তেমনি।
জান্নাতঃগুড গুড,এসব তো আবার শুধু
ছেলেদের দ্বারাই সম্ভব
আমিঃকোন সব ম্যাডাম?
জান্নাতঃফ্রট করা
আমিঃও হ্যালো..!ফ্রট করা কাদের পেশা
জানিনা।তবে সে পেশার মানুষ আপনার
ফ্যামিলিতেই আছে।
জান্নাতঃকথাবার্তা ঠিক করে বলুন,আপনি
জানেন আমি কেমন মেয়ে।
আর কিছু বলার আগে বাস আসলো।কুত্তীকে
রাগানোর আরেকটা হাতিয়ার।
আমিঃআপনার বাস আছে,যান আপনি।
জান্নাতঃবলতে হবে না শুয়োর কোথাকার ?
জান্নাতের বকা শুনে মুচকি হাসছিলাম তখন
বাস থেকে অনেকের মধ্যে মাহিও নামলো।
মাহিঃকি অবস্থা?
আমিঃএইতো ভালো
মাহিঃহাসছিস কেনো?
আমিঃএকটা পাগল মেয়ের কথা শুনে হাসি
পাচ্ছিলো।তাই হাসছিলাম।
জান্নাতঃআমি পাগল মানে?
আমিঃআপনাকে তো বলি নাই
জান্নাতঃতো কারে বলছোস আপনি?
আমিঃহোয়াট দ্যা কথাবার্তা
মাহিঃকে উনি?
জান্নাতঃতুই কে?
মাহিঃআমি মাহি
আমিঃঐ আপনি যান,আমরাও যাই।মাহি
চল,এখানে থেকে কোনো লাভ নাই।
জান্নাতঃএকজনকে ছেড়ে আরেকজনকে
ধরতে খুব ভালো পাড়িস।
আমিঃট্রাই করছি,বাই
মাহির ল্যাগেজটা হাতে নিয়ে সেখান থেকে
চলে আসলাম।অবশ্য আসার পথে অনেক
বকাবকি করছিলো,তবে সেসবে কান দেয়নি।
একটা রিক্সায় উঠে দুজন বাসার দিকে রওনা
দিলাম।
মাহিঃমেয়েটা কে ছিলো
আমিঃজান্নাত
মাহিঃজান্নাত আপু?
আমিঃহুম
মাহিঃচিনতেই পারলাম না।আগের থেকে
তো অনেক কিউট হয়ছে।
আমিঃতুইও কিউট,তাই তোকেও জান্নাত
চিনতে পারে নাই।
মাহিঃপাম হু?
আমিঃহোপ কিসের পাম?
মাহিঃআমি কিউট না,তাই আলাদা করে বলে
কোনো লাভ নেই।বাদ দে এসব,কেমন আছিস?
আমিঃআছি মোটামুটি,তুই আসতে এতো
দেরি করলি যে?
মাহিঃসব জায়গা ঘুরে বেড়ালাম। প্রথমে
গ্রামে চিলাম ২০ দিনের মতো।তারপর কিছু
ফ্রেন্ডস মিলে সিলেট ঘুরতে গেছিলাম।সেখান
থেকে আসার পর বাসায় এসে কিছুদিন রেস্ট
নিয়ে চলে গেলাম মামাবাড়ি।
আমিঃআর সেখান থেকে এখানে?
মাহিঃউহু,মামাবাড়ি থেকে সোজা ফুফুর
বাসায় গেছিলাম।
আমিঃপুরো বাংলাদেশ ভ্রমণ করছিস তাহলে
মাহিঃতবে ভাই আরো কিছু জায়গা গেলে
অনেক মজা করতাম।
আমিঃতোর মজা তোর কাছেই রাখ বোনু
মাহিঃহুম রে
দুজন টুকটাক কথা বলতে বলতে বাসায়
চলে আসলাম।কলিংবেল বাজাতে আম্মু
দরজা খুলে দিলো।
মাহিঃকেমন আছো খালা(সালাম দিয়ে)
আম্মুঃএইতো মা ভালো আছি,আয় আয়
ভিতরে আসতে আম্মু প্রথমেই ওকে ফ্রেস
হওয়ার জন্য বললো।মাহিও ক্লান্ত হাত ফ্রেস
হয়ে কিছু খেয়েই ঘুমিয়ে গেছে।
রুমে বসে ফোনে গেম খেলছি তখন জান্নাতের
নাম্বার থেকে কল আসলো।কিছু না ভেবেই
কল রিসিভ করলাম।
জান্নাতঃহ্যালো
আমিঃহুম বলেন
জান্নাতঃকিরে শুয়োর,মেয়েটা কে?
আমিঃআম্মু পাশে আছে,আর ফোনের স্পিকার
লাউড দেয়া আছে।?
জান্নাতঃও সরি,মেয়েটা কে?
আমিঃমাহি
জান্নাতঃতোর বোন?
আমিঃনা গার্লফ্রেন্ড
জান্নাতঃকবে থেকে?
আমিঃ১ মাস হবে আরকি
জান্নাতঃবাই
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃইচ্ছা আমার
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল
কেটে দিলো।রেগে গেছে মাইয়া তাহলে?
ফোনটা রেখে আমিও একটু ঘুমানোর ট্রাই
করলাম।
————————————————————
কলেজের শেষ এক্সাম দিয়ে ক্লাস থেকে বের
হয় বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছি তখন সাইফ
কাছে আসলো।সাইফ আমাদের এক ব্যাচ
সিনিয়র।
সাইফঃকি অবস্থা?
আমিঃএইতো ভালো
সাইফঃতোকে ধন্যবাদ দিতে আসছিলাম।
আমিঃকিসের জন্য?
সাইফঃতোর জন্য আমি সাদিয়ার সাথে এতো
সুন্দর রিলেশনে আছি।
আমিঃওহ,অভিনন্দন
সাইফঃকিছু মনে করিস নাই তো?
আমিঃকিছু মনে করার কি আছে?আমি
কখনো সাদিয়াকে ভালোই বাসিনি।ওর সাথে
শুধুমাত্র আমার বন্ধুত্ব ছাড়া কিছুই নেই।
সাইফঃআমিও তো সেটাই ভাবতাম,তুই তো
জান্নাতকে ভালোবাসিস।কিন্তু তুই হুট করে
সাদিয়ার সাথে কেনো গেলি।
আমিঃএসব তোর আর ভেবে লাভ নাই,যা
বন্ধুদের পার্টি দে নতুন প্রেমের।
সাইফঃতুইও আয় আমাদের এলাকায়
আমিঃহুম যাবো
সাইফঃআজ তো এক্সাম শেসে হয়ে গেলো।
কাল আয় মজা করবো সবাই।
আমিঃচেষ্টা করবো
সাইফঃআচ্ছা কাল সন্ধ্যায় চলে আসিস।
সাইফ কথা শেষ করে চলে যাবার পর বন্ধুরা
আসলো।সবাই আসতেই বাসার দিকে রওনা
দিতে যাবো তখন খেয়াল করলাম জান্নাত…..
জান্নাতঃরাফি কোথায় যাচ্ছিস তোরা?
রাফিঃএখনো সিদ্ধান্ত করি নাই।চাইলে সবাই
ঘুরতেও যেতে পাড়ি।
জান্নাতঃকোথায় যাবি?
রাফিঃবললাম তো শিওর না
জান্নাতঃঘুরতে গেলে যেতাম
রাফিঃকি করবি তোরা?
জয়ঃচল ঘুরে আসি
রাহুলঃতোরা যাবি?
মারিয়াঃহ্যা যাবো
বৃষ্টিঃকিন্তু যাবি কোথায়?
রাফিঃকোথায় যেতে চাস?
জান্নাতঃতোরাই বল
জুইঃচল কোনো গার্ডেনে যাই
জয়ঃনিলয় কিছু বল
আমিঃআমার যাওয়া হবে না
জুইঃকেনো?
আমিঃবাসায় কাজিন আসছে,ওকে নিয়ে
ঘুরতে যেতে হবে।
বৃষ্টিঃতাহলে আমাদের সাথেই নে,সবাই মিলে
ঘুরে আসি।আর তোরা কোথায় যেতে যাবি?
আমিঃশীতলক্ষ্য নদী
জয়ঃতাহলে চল ওখানেই যায়
জান্নাতঃঅন্য কোথাও গেলেও তো হয়
জুইঃআরে চলনা,অনেক মজা হবে ওখানে।
জান্নাতঃযাওয়ার পথে আমার বাসা পড়বে
জুইঃসিএনজি করে যাবো?
আমিঃওকে চল
সবাই আর কোনো দেরি না করে হাটতে শুরু
করলো।আমি পেছনে ফিরে এসে হাবিব
স্যারের থেকে ফোনটা নিয়ে মাহিকে কল
দিয়ে রেডি হয়ে থাকতে বললাম।
বাসার সামনে আসতে দুটো মিনি সিএনজি
ভাড়া করলাম।এক্সামের সব প্রয়োজনীয়
কাগজ বৃষ্টির বাসাতে রাখতে যাওয়ার সময়
আমি আমার বাসায় চলে আসলাম।কারণ
আমাদের বাসা সামনাসামনি। বাসায় এসে
মুখটা ধুয়ে কিছু টাকা আর ফোন নিয়ে মাহির
সাথে বাসা থেকে বের হলাম।বাসার নিচে
এসে দেখলাম কুত্তীগুলো এখনো আসেনি।
রাহুল ডাকার জন্য আবার ভিতরে যাবে
তখন সবাই বের হয়ে আসলো।
বৃষ্টিঃকিরে মাহি কবে আসলি?
মাহিঃঅনেকদিন আপু
বৃষ্টিঃকোথায় ছিলি এতোদিন?
মাহিঃতোমাকেই দেখা যায়না,তোমাদের নাকি
এক্সাম হচ্ছিলো।তাই আর বাসায় যায়নি।
আমিঃকথা শেষ হলে যাওয়া যাক?
সবাইঃহ্যা চল
জয়ঃআমি আর রাহুল একটায় উঠি,আর
নিলয় আর রাফি একটায় উঠ।কারণ ওদের
সামনে দেয়া যাবে না।
রাফিঃহুম যা উঠ
আর কোনো কথা না বাড়িয়ে সবাই গাড়িতে
উঠলো।একটাতে জান্নাত,জুই,মারিয়া,জয়
আর রাহুল।অন্যটায় আমরা।অবশ্য আমি
ইচ্ছা করেই জান্নাতের উঠা গাড়িতে যায়নি।
হুদাই আজাইরা কথাবার্তা বলবে,কিছু বললে
উত্তর দিবেও না।আবার প্রেমের কথা বললে
বলবে,“আমি তোর সাথে প্রেম করবো না”
সেসব আর না ভেবে সবাই মিলে আড্ডা
দিতে লাগলাম।যেতে অনেকটা সময় লাগে,
তাই সবাই গানের কলি খেলতে লাগলাম।
সব শেষে সবাই মিলে একটা গান ধরলাম।
দুর্গম গিরি কান্তার মরু গানটা মাহি ধরলেও
পরে আমরা সবাই মিলে ওর সাথে গাইতে
শুরু করলাম।শুধু আমাদের মধ্যেই না,
ড্রাইভার নিজেও আমাদের সাথে তাল মিলয়ে
গাইতে শুরু করলো।
দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা
হুশিয়ার! দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল,
ভুলিতেছে মাঝি পথ, ছিঁড়িয়াছে পাল, কে
ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ? কে আছ
জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ। এ
তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী
পার……….(আরো আছে)
গানটা শেষ হতেই সবাই হাতহালি দিলাম।
আমিঃআপনি তো অনেক সুন্দর করে গান
গাইতে পারেন ভাই।
—টুকটাক পাড়ি ভাই,জীবন মনোরঞ্জন করে
রাখার জন্য(ড্রাইভার)
টুকটাক কথা বলতে বলতে চলে আসলাম।
গাড়ি থেকে নেমে সিএনজি ভাড়া দিয়ে
নদীর তীরের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।
কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর জান্নাত ডাকলো….
আমিঃকি হয়েছে?
জান্নাতঃতুই আমার সাথে আসলি না কেনো?
আমিঃআসছি তো
জান্নাতঃআমার সাথে আসিস নাই কেনো?
আমিঃতোর কোলে বসে আসতে হবে নাকি?
জান্নাতঃহো আসতে হবে,আমার কোলে বসে
তোর আসতে হবে।
আমিঃভাগ এখান থেকে
চলবে………
(কেমন হচ্ছে জানাবেন)